স্বাস্থ্য
কপ-২৭ এর জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে: হু
জলবায়ু সংকট ক্রমাগত মানুষকে অসুস্থ করে তুলছে এবং জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে তুলছে। আর তাই এ বিপর্য়ের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকটকে কপ-২৭ এর জলবায়ু আলোচনার কেন্দ্রে রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
রবিবার হু এ সংক্রান্ত একটি অনুস্মারক জারি করেছে।
অনুস্মারকে বলা হয়েছে, হু বিশ্বাস করে যে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রশমন, অভিযোজন, অর্থায়ন এবং সহযোগিতার চারটি মূল লক্ষ্যে অগ্রগতির মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটাতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, কপ-২৭ বিশ্বকে এক করার এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখার (প্যারিস চুক্তি) লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সাংবাদিকদের ও কপ-২৭ এ অংশগ্রহণকারীদের উচ্চ পর্যায়ের একটি আলোচনায় যোগ দিতে স্বাগত জানায় হু।
হু জেনেভা থেকে এক বার্তায় জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ইতোমধ্যেই মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে এবং জরুরি পদক্ষেপ না নিলে তা (প্রভাব ) চলতেই থাকবে।
হু’র মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বে কয়েক লাখ মানুষকে অসুস্থ বা আরও বেশি রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলছে। এবং আবহাওয়ার চরম বিপর্যয় দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে নেতারা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা কপ-২৭-এ একমত হবেন যে, স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের বিষয়টিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা উচিত।’
হু এর প্রতিবেদন অনুসারে ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অপুষ্টি, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও তাপপ্রবাহের কারণে প্রতি বছর আনুমানিক আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি ক্ষতির খরচ (অর্থাৎ, কৃষি ও পানি এবং স্যানিটেশনের মতো স্বাস্থ্য-নির্ধারক খাতে খরচ বাদ দিয়ে), ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ২ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে খরা, বিধ্বংসী বন্যা ও ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী হারিকেন এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় আঘাত হানছে।
এই বিষয়গুলো সামগ্রিকভাবে মানব স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে।
তবে আশার কথা হলো, বিশ্বনেতারা যদি ২০২১ সালের নভেম্বরে গ্লাসগোতে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলিকে সম্মান করে এবং জলবায়ু সংকট সমাধানে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়; তবে সমাধান আনা সম্ভব।
হু জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে একটি ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত ও দ্রুত পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন জ্বলানি রূপান্তর করার জন্য সরকারগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছে।
ডিকার্বনাইজেশনের প্রতিশ্রুতিতেও উৎসাহব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে এবং হু একটি জীবাশ্ম জ্বালানি অপসারণ চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। যার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের জন্য ক্ষতিকারক কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত উপায়ে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা যাবে।
এটিকে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের একটি হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসে মৃত্যু সর্বনিম্ন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি চালু
ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি বীরেন শিকদারের
ই-সিগারেট মানবদেহের জন্য সমানতালে ক্ষতিকর বলে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীরেন শিকদার।
সোমবার ঢাকায় ন্যাম ভবনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ড্যাম) তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।
ড্যামের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা (মিডিয়া ম্যানেজার) রেজাউর রহমান রিজভী এবং প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আকতার রিনি সাক্ষাৎ করেন।
বীরেন শিকদার বলেন, ই-সিগারেট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
তিনি আরও বলেন, ‘এটি মানবদেহের জন্য প্রচলিত সিগারেটের মতোই সমান ক্ষতিকর। সুতরাং, এটি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত।’
তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
বিদ্যমান আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী সংসদে পাস হলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
বীরেন শিকদার এমপি বলেন, সিগারেট কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থে তরুণদের ধূমপানে উৎসাহিত করে। কিন্তু এটি অনেক রোগের একটি প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ধূমপানে কোনো লাভ নেই, তাই অধূমপায়ীরা পরোক্ষভাবে ধূমপায়ীদের দ্বারা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
প্রতিনিধি দলটি সংসদে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের আরও সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা আইনের খসড়া পাসের জন্য তার সমর্থন চেয়েছে। বীরেন শিকদার এমপি প্রতিনিধিদলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য অভিনন্দন জানান এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত: নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এ ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবী করেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান (জিএপি) মিনিস্ট্রিয়ালের উদ্বোধনী অধিবেশনে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী অতিমারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও মোকাবিলা (পিপিআর)-এর জন্য বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি গঠিত ফিনান্সিয়াল ইন্টারমিডিয়ারি ফান্ড গঠনের এর উদ্যোগটিকে স্বাগত জানান এবং এ তহবিল কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যখাতের চলমান বিভিন্ন বিনিয়োগের সমন্বয়কের ও পরিপূরকের ভুমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি একটি প্লেবুক তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যেখানে দেশগুলো ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য হুমকির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন,স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো ও বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’: নিউইয়র্কে মোমেন
যার লক্ষ্য হচ্ছে, কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখতে ও শক্তিশালী করতে অংশীদারদের একত্র করা।
জাপান, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহাপরিচালক বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, নরওয়ে, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দিয়েছিলেন।
এসময় ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ব্যববস্থাপনায় অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতিঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রনোদনা প্রদানের মাধ্যমে অতিমারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির দ্রুত পুনর্গঠন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
টিকা ও অন্যান্য কোভিড সামগ্রী সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঠিত ও পরিচালিত অ্যাক্ট-এ এবং কোভ্যাক্স এর মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মগুলোর প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত বহুপক্ষীয় উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কোভিড অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায় নি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিকাকে ‘বৈশ্বিক গণ পণ্য’- হিসেবে ঘোষণা করা এবং বৈষম্য ছাড়াই সকল দেশের মাঝে বিতরণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে জানা যায়, সভা শেষে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং অগ্রগতির রূপরেখা সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়।
বিবৃতিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ৬ টি মূল কর্মপরিকল্পনার আলোকে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের হালনাগাদ অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া, মহামারি চূড়ান্তভাবে মোকাবিলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরও উন্নত ও কার্যকরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
অসংক্রামক রোগে প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী ১ জনের মৃত্যু: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী একজন অসংক্রামক রোগে (এনসিডি) মারা যায়। তাদের বেশিরভাগই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর (এলএমআইসি)।
বুধবার প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে এই ৮৬ শতাংশ অকাল মৃত্যুর জন্য এলএমআইসি দায়ী। যদি মানুষ প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও যত্নের সুযোগ পায় তাহলে বেশিরভাগই এড়ানো বা বিলম্বিত হতে পারে।
শতাব্দীর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এই রোগগুলো একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেগুলো উপেক্ষা করা হয় এবং কম অর্থায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও প্রতিবেদন অনুসারে ‘অদৃশ্য সংখ্যা: অসংক্রামক রোগের প্রকৃত মাত্রা এবং সেগুলো সম্পর্কে কী করতে হবে।’ তা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়
অসংক্রামক রোগ প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী একজন মানুষ মারা যায় বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তাদের মধ্যে প্রধান হল কার্ডিওভাসকুলার রোগ, যেমন হৃদরোগ এবং স্ট্রোক; ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের অসুস্থতা।
মাত্র কয়েকটি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এনসিডি থেকে অকাল মৃত্যু এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করতে বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে রয়েছে।এতে দেখা যায় যে বিশ্ব এই রোগগুলোর প্রকৃত মাত্রার প্রতি মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এনসিডি’র কারণে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি দশ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যা বিশ্বব্যাপী সমস্ত মৃত্যুর ৭৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তথ্যগুলো একটি পরিষ্কার চিত্র ফুটে তোলে। সমস্যা হলো যে বিশ্ব এটির দিকে নজর দিচ্ছে না। যদিও মানুষ সহজাতভাবে বুঝতে পারে কেন এনসিডিগুলো ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ… তবুও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ফলাফলের এই বোঝাপড়াটি জাতীয়ভাবে বা বিশ্বব্যাপী পর্যাপ্ত পদক্ষেপে রূপান্তরিত হয়নি।
‘এই নিষ্ক্রিয়তা আংশিকভাবে বুঝতে ব্যর্থতার কারণে স্বাস্থ্য, ইক্যুইটি এবং অর্থনীতিতে এনসিডি উচ্চমাত্রার রুপ নিচ্ছে।
কার্ডিওভাসকুলার রোগে (হৃদরোগ এবং স্ট্রোক) অন্য যেকোনো রোগের তুলনায় বেশি মারা যায়। বছরে তিনজনের মধ্যে একজন বা প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এনসিডি।
গবেষকরা বলেছেন, ‘হাইপারটেনশনে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ লোক এলএমআইসি-তে বাস করে, কিন্তু উচ্চ
রক্তচাপ আছে এমন প্রায় অর্ধেক লোকও জানে না যে তাদের এটি আছে’।
আরও পড়ুন: মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসে মৃত্যু সর্বনিম্ন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, জনগণের স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না,জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে তা হতে দেব না। এছাড়া জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসাও করতে দেয়া হবে না। এজন্য ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, যে কোন স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান; যারা সেবা দিয়ে থাকে, তারা যদি সঠিক নিয়মে সেবা না দেয় তাহলে আমরা তাদের কাজ করতে দেব না। আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবার কোন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালিক বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে ও তাদের যদি সঠিক যন্ত্রপাতি-জনবল থাকে তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো যদি আবারও পূরণ না করে থাকে তাহলে বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি।
এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সঙ্গে মতবিনিময় করব।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফের অভিযান
অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধে সোমবার থেকে আবারও কঠোর অভিযান চালাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা শেষেও এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে গেছে। সোমবার থেকে আবারও কঠোর অভিযান পরিচালনা করবো। যেভাবে তিন মাস আগে অভিযান পরিচালনা করেছি, এখনও সেভাবেই হবে।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তিনি জানান, এখন থেকে তিন মাস আগে অবৈধ হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তখন বলেছিলাম তিন মাস পর আপনাদের অবহিত করবো। আজ সে উদ্দেশ্যই আপনাদের ডেকেছি। সে সময়ে সর্বমোট ১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ কোন হাসপাতালে যদি বৈধ কোন চিকিৎসকও চিকিৎসা সেবা দিতে যান, তাহলে তিনিও অবৈধ বলে বিবেচিত হবেন। তাদের কোন দায় আমরা নিব না। এছাড়া গত ২৬ মে সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। অভিযানে সেগুলোকে জরিমানা করে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এই মুহুর্তে আমাদের কাছে নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে এক হাজার ৯৪৬ টি। লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে দুই হাজার ৮৮৭টি প্রতিষ্ঠান।
তিনি জানান, এই পর্যন্ত নতুন লাইসেন্স দেয়া হয়েছে এক হাজার ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে। লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে দুই হাজার ৯৩০টিকে। নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ৩৭৯টিকে। লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ১০৭৬টি এবং নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে অপেক্ষমান রয়েছে ২০০০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
তিনি আরও জানান, লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যে, সময় দেয়ার পরেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদনও করছে না। এমনকি তারা লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এজন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্সের অবস্থা আরও তরান্বিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান কার্যক্রম চালনা করা জরুরি।
এর আগে গত ২৬ মে সারা দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরদিন থেকে সারা দেশে চলে অভিযান। এতে ঢাকা জেলাসহ রাজধানীতে ১৬৪টি ও ঢাকার বাইরে ৩৭৪ টিসহ মোট ৫৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আজ (সোমবার) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (সোমবার) বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
চিকিৎসকরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
চাঁদপুরে কুকুড়ের কামড়ে আহত ২৩
চাঁদপুর জেলা শহর ও আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে কুকুরের কামড়ে ২৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
গত ১৭ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত এই ৯ দিনে কুকুরের কামড়ে আহতরা চিকিৎসা নিতে চাঁদপুর সরাকারি জেনারেল হাসপাতালে এসেছে এবং চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজাউদ্দৌলা আহতদের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কুকুরের কামড়ে আহত ২০
আহতরা হলেন- সুফিয়া বেগম (৭০), ফারজানা (৬০), মাহিন উদ্দিন (৩২), মামুন (৫৫), কাকলি (৫০), মাকসুদা বেগম (৪০), মিনহাজ (২০), রফিক তালুকদার (২০), রেনু বেগম (৫০), তামিম আরাফাত (১৬), শামিম (২০), হাসিব (৯), ইতি (৩), রুপালী (১০), খাদিজা (২২), নাইম (১৪), রাজু (১৯), আল আমিন (১১), সানজিদা (৭), নুরু খান (৬), মানহা (৬), আরিসা (২), ও মামুন (১৬)। তারা সদর উপজেলার নতুনবাজার, পুরানবাজার, রঘনাথপুর, বহরিয়া, আশপাশ এলাকা ও বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১২
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে কুকুরে কামড়ালে প্রথমে ক্ষতস্থানে সোডা জাতীয় সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার জন্য আহত রোগীকে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক: ভারত ফেরত যুবক যশোর হাসপাতালে ভর্তি
মাঙ্কিপক্সের সন্দেহজনক উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার ভারত ফেরত এক যুবককে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দাওরা গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস আলী (৪২) গত ৩ জুন ভারতে যান।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শুক্রবার বিকালে তিনি বেনাপোল হয়ে দেশে ফেরেন।
আরও পড়ুন: মহামারির রূপ নিবে না মাঙ্কিপক্স: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
তিনি বলেন, স্ক্রিনিংয়ের সময় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার শরীরে ফুসকুড়ি দেখে আব্বাসকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহসিনা আক্তার রুম্পা বলেন, পরীক্ষা না করে কিছুই বলা যাবে না। তিনি মূলত
চিকেনপক্সে আক্রান্ত। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখবেন।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: পোষা প্রাণী থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান
এর আগে একজন তুর্কি নাগরিকের মাঙ্কিপক্সের সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা যায় তাকে ৭ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে পরীক্ষায় মাঙ্কিপক্স ভাইরাস পাওয়া না গেলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
২২ মে থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্থল, বিমান ও সমুদ্র বন্দরে নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেয় সরকার।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭ রোগী হাসপাতালে
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নতুন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জনই ঢাকা বিভাগে এবং ঢাকার বাইরে একজন হাসপালাতে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: রাজধানীর অর্ধশতাধিক এলাকায় চিরুনি অভিযান
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৬১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে দুজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন ২০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯৮ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩৩৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।