বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ প্রথম দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করে আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে।
শুনানিতে রাজীবের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি প্রতিনিয়ত সড়কে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস প্রত্যক্ষ করছি। এ মামলায় রাজীব একটি উদাহরণ মাত্র। তার জায়গার অন্য যে কেউ এমন ঘটনার শিকার হতে পারত। আমার মূল উদ্দেশ্য সড়কে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ চাই।’
গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরদিন ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রাজীব।
অন্যদিকে, রুহুল কুদ্দুস কাজলের রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেয়। রুলে রাজীবের পরিবারকে এক কোটি টাকা প্রদান, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।