পারিবারিক বিরোধের জেরে তুহিনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় কিছুটা অমিল পাওয়া গেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা-চাচাসহ পরিবারের সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাসির মিয়া, জাকিরুল, তুহিনের চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রাম থেকে তুহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে গলা, কান ও গোপনাঙ্গ কেটে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সেই সাথে লাশের পেটে বিদ্ধ করা ছিল দুটি ছুরি।
স্বজনরা জানান, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে তাদের এক ভাতিজি দেখেন বাছের মিয়ার ঘরের দরজা খোলা। তার ডাকে বাছের মিয়া ও তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত পাওয়া যায়। এরপর কিছু দূরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, তুহিনের পেটে বিদ্ধ দুটি ছুরিতে গ্রামের বাসিন্দা ছালাতুল ও সোলেমানের নাম লেখা ছিল। তাদের ফাঁসাতে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেজাউরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের সাথে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘তুহিন হত্যার ঘটনাটি পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করছে। তুহিনের বাবাসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।’