হত্যা
বিএনপি নেতা হত্যার ১০ বছর পর আ.লীগের ৩৪ জনের নামে মামলা
১০ বছর আগে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নবীদুল ইসলামসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ৩৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে নিহত বিএনপি নেতার বড় ভাই আব্দুল হামিদ মামলাটি করেন।
নিহত বিএনপি নেতা জবান আলী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বাঐতাঁরা গ্রামের মৃত আজিজল হকের ছেলে।
মামলায় সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মন্ডল, ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম হাজী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন ও যুবলীগ নেতা রিগেনসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণহত্যা মামলায় আমু-কামরুল কারাগারে
আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেছেন যে মামলার বাদী ও তার ছোট ভাই জবান আলী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা।
বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা মাঝেমধ্যেই জবান আলীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এর জেরে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি জবান আলীকে অপহরণ করেন আসামিরা। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার ৩ দিন পর ১৯ জানুয়ারি সকালে প্রধান আসামি নবীদুল ইসলাম ফোন দিয়ে জবানকে অপহরণের করার কথা জানান। তাকে জীবিত ফিরে পেতে হলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর পরদিন ২০ জানুয়ারি আসামিদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পরও জবান আলীকে ছেড়ে দেননি।
পরে ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের কোনাগাঁতী সেতুর উত্তরে রাস্তার পাশে জবান আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সেদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। সে সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও ছিল।
সদর থানা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ চুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বিল্লাল হোসেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিন্ময় কাণ্ডে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন নেত্রীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
৪ দিন আগে
লাবণ্যকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিল কিশোর
৫ বছর বয়সি লাবণ্য আকতারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রিফাত (১৩) নামে এক কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নিখোঁজের ৫ দিন পর ২৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের একটি আঁখের খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিফাতের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায়। সে কোষামন্ডলপাড়ায় নানার বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করত।
পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে রিফাত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, লাবণ্যের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার পীরগঞ্জের ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রিফাত এবং কোষাডাঙ্গীপাড়ার হুসেন আলীকে আটক করে।
ওসি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত লাবণ্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়।
স্বীকারোক্তিতে রিফাত জানায়, গত ২৩ নভেম্বর বিকালে তারা খেলছিল। খেলার সময় লাবণ্য খুব দুষ্টুমি করছিল। তাই রাগের মাথায় রিফাত এক পর্যায়ে ঐ শিশুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ঐ শিশুর লাশ পাশের আঁখ খেতে ফেলে রাখে।
এছাড়া আটক হুসেন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইন্সুরেন্স কর্মী নিহত, আটক ১
৬ দিন আগে
চাচাতো ভাইকে হত্যার ২২ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে সাহেব আলী ফকির হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আপন দুই ভাই খলিল ফকির ও মারুফ ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে উভয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি খলিল ফকির আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি মারুফ ফকির উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে কামাল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত খলিল ফকির ও মারুফ ফকির জেলার কালিয়া থানার রাজাপুর গ্রামের মৃত শাহাদত ফকির ওরফে শাহা ফকিরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিডিউটার (এপিপি) আইনজীবী তারিকুজ্জামান লিটু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর কালিয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাহেব আলী ফকিরকে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মামা আজিজুর বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
বিচারিক আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পান।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
১ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারে মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ
কক্সবাজারে মাদকের টাকা দিতে না পারায় মাকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার পর নিজেই সদর থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত ছেলে আবিদ।
নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী ও অভিযুক্ত ছেলে হোসাইন মোহাস্মদ আবিদ (২৮)।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, এক যুবক মাকে হত্যা করেছে বলে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণকারী যুবক থানায় এসে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ‘মাদকের টাকা না দেওয়ায় সে নিজেকে সামলাতে না পেরে নিজে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় তার নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকে। তাই তিনি নিজেই শাস্তি পেতে থানায় হাজির হন।’
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ জানান, লাশের সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আবিদ প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মাকে অত্যাচার করতেন। শুক্রবার রাতে মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তিনি। হত্যাকাণ্ডের সময় আবিদ ও তার মা ঘরেই ছিলেন। তার অসুস্থ বাবা নিয়াজ আহমেদ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেয়ের বাসায় রয়েছেন।
২ সপ্তাহ আগে
বরিশালে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
বরিশালের বাবুগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দুজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রকিবুল ইসলাম এই রায় দেন।
আসামিরা হলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ভূতেরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা শয়ন চন্দ্রশীল এবং সুমন ফকির।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: হযরত আলী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা নদী থেকে ৩০ বছর বয়সি এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে বেড়িয়ে আসে ওই নারীর স্বামী মারা যাওয়ায় ছোট ছেলে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন। ১১ জানুয়ারি রাতে ছোট ছেলে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামিরা। এরপরে লাঠি, বৈঠা ও ইট দিয়ে হত্যা করে লাশটি নদীর নালায় ফেলে দেয়। তবে নালা শুকনা থাকায় লাশটি ভেসে যায়নি।
মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে এই রায় দেন আদালত।
মামলার বাদী বলেন, আমার মায়ের হত্যার বিচার হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। শুধু রায় নয় আমি চাই আসামিদের রায় কার্যকর হোক।
আরও পড়ুন: ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
২ সপ্তাহ আগে
পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
রাজধানীর পল্লবীতে দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর বাবা নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ওই দুই শিশুর নাম জানা যায়নি। তবে তাদের একজনের বয়স ৭ বছর ও আরেকজনের বয়স ৩ বছর। আর বাবার নাম মো. আহাদ।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
এদিকে খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘাতক বাবাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজেদুল শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে আমাদের কাছে খবর আসে পল্লবীর বাইগারটেকে এক বাসায় দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর বাবা নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
পরে পুলিশ ওই বাবাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায়।
এসআই আরও বলেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা, আহাদ তার দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর সে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির
৩ সপ্তাহ আগে
কুমিল্লায় ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, সাবেক রেলমন্ত্রীর ভাতিজা গ্রেপ্তার
সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার তোফায়েল হোসেন উপজেলার বুসয়ারা গ্রামের মৃত আম্বর আলীর ছেলে। তিনি চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
পুলিশ জানায়, মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল চৌদ্দগ্রামে ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে। তিনি মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৮ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় ওই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ বিএনপি
জামায়াতের ৬৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার।
তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আবু বকর সিদ্দীকের আদালতে বাসের মালিক আবুল খায়ের মামলাটি করেন।
আসামি করা হয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এছাড়া একাধিক পুলিশ সদস্যসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।
৩ সপ্তাহ আগে
মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায় গৃহশিক্ষিকাসহ আটক ৩
সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গৃহশিক্ষিকাসহ ৩ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১০ নভেম্বর) মুনতাহার বাড়ির পাশের পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে নিখোঁজ হয় শিশুটি।
আটক তিনজন হলেন- গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও আলিফজানের মা কুতুবজান বিবি।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধার
নিহত মুনতাহা (৬) কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
স্থানীয়দের দাবি, মুনতাহাকে তার গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া হত্যা করেছেন। এতে তাকে সহযোগিতা করেন তার মা আলিফজান। রবিবার ভোরে মুনতাহার লাশ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন আলিফজান বিবি।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার মুনতাহার পুঁতে ফেলা লাশ তুলে পুকুরের পানিতে ফেলার সময় স্থানীয়রা মার্জিয়ার মা আলিফজানকে হাতেনাতে আটক করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও আলিফজানের মা কুতুবজান বিবিকে আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা মার্জিয়ার বড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান ওসি মো. আব্দুল আওয়াল।
আরও পড়ুন: ১০ টাকায় দুপুরের খাবার!
৪ সপ্তাহ আগে
ফাঁদ পেতে বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার শহীদুল কারাগারে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুতের তারের ফাঁদ পেতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ। মামলায় গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সীমান্তের মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি টিলাপাড়ায় বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় শনিবার (২ নভেম্বর) শহীদুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু, আটক ১
তিনি বলেন, বন্যহাতি হত্যা মামলায় শহীদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসময় একটি জেনারেটর ও বেশ কিছু বৈদ্যুতিক তার জব্দসহ শহীদুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বনবিভাগ।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শহীদুলকে আটক করা হয়েছে এবং বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৬ (১)/৪২ ধারায় (অপরাধ ও সাজা) অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার জুম প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে সারাদেশের বন্যহাতি অধ্যুষিত বনাঞ্চলের বন কর্মকর্তা ও বনকর্মীদের নিয়ে ভার্চুয়ালি একটি জরুরি সভা করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) আমীর হোসাইন চৌধুরী।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেই সভায় বন্যহাতির বিচরণস্থলগুলোতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বন কর্মকর্তারা।
শেরপুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, আমাদের বনাঞ্চলের হাতিগুলো ‘এশিয়ান এলিফ্যান্ট’ জাতির। যা আইইউসিএন’র লাল তালিকাভুক্ত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি বন্যপ্রাণী।
এজন্য বন্যহাতি সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শেরপুর বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কার্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন।
ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা আরও বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করে শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ এ অঞ্চলের বন্যহাতি সুরক্ষায় সচেতনতামুলক সভা ও কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
তাই আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্যহাতির একটি দল বাতকুচি এলাকায় নেমে এলে কয়েকজন কৃষক ফসল রক্ষায় থানখেতে জেনারেটরের বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া তার ফেলে রাখে। রাত ১০টার দিকে মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি টিলাপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি বন্যহাতির মৃত্যু ঘটে। আনুমানিক ১০/১২ বছর বয়সি মাদি হাতিটির মরদেহ শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনাস্থলেই মাটিচাপা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুনতিতে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি নিহতের ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত
বাচাঁনো গেল না চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতি শাবকটিকে
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামিদুল ও নজরুল নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া বাজারে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত হামিদুল ইসলাম (৪৮) ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (৪৫) ছাতারপাড়া এলাকার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয়রা জানায়, ছাতারপাড়ার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের গাইন বংশ ও পিয়াদা বংশের মধ্যে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার বিকালে পিয়াদা বংশের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাইন বংশের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবীর বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষরা দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিহতদের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর রামপুরায় লেগুনার চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
১ মাস আগে