হত্যা
পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
রাজধানীর পল্লবীতে দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর বাবা নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ওই দুই শিশুর নাম জানা যায়নি। তবে তাদের একজনের বয়স ৭ বছর ও আরেকজনের বয়স ৩ বছর। আর বাবার নাম মো. আহাদ।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
এদিকে খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘাতক বাবাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজেদুল শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে আমাদের কাছে খবর আসে পল্লবীর বাইগারটেকে এক বাসায় দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর বাবা নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
পরে পুলিশ ওই বাবাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায়।
এসআই আরও বলেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা, আহাদ তার দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর সে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির
১৫ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লায় ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, সাবেক রেলমন্ত্রীর ভাতিজা গ্রেপ্তার
সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার তোফায়েল হোসেন উপজেলার বুসয়ারা গ্রামের মৃত আম্বর আলীর ছেলে। তিনি চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
পুলিশ জানায়, মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল চৌদ্দগ্রামে ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে। তিনি মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৮ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় ওই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ বিএনপি
জামায়াতের ৬৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার।
তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আবু বকর সিদ্দীকের আদালতে বাসের মালিক আবুল খায়ের মামলাটি করেন।
আসামি করা হয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এছাড়া একাধিক পুলিশ সদস্যসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।
২ দিন আগে
মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায় গৃহশিক্ষিকাসহ আটক ৩
সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গৃহশিক্ষিকাসহ ৩ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১০ নভেম্বর) মুনতাহার বাড়ির পাশের পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে নিখোঁজ হয় শিশুটি।
আটক তিনজন হলেন- গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও আলিফজানের মা কুতুবজান বিবি।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধার
নিহত মুনতাহা (৬) কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
স্থানীয়দের দাবি, মুনতাহাকে তার গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া হত্যা করেছেন। এতে তাকে সহযোগিতা করেন তার মা আলিফজান। রবিবার ভোরে মুনতাহার লাশ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন আলিফজান বিবি।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার মুনতাহার পুঁতে ফেলা লাশ তুলে পুকুরের পানিতে ফেলার সময় স্থানীয়রা মার্জিয়ার মা আলিফজানকে হাতেনাতে আটক করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও আলিফজানের মা কুতুবজান বিবিকে আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা মার্জিয়ার বড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান ওসি মো. আব্দুল আওয়াল।
আরও পড়ুন: ১০ টাকায় দুপুরের খাবার!
৬ দিন আগে
ফাঁদ পেতে বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার শহীদুল কারাগারে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুতের তারের ফাঁদ পেতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ। মামলায় গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সীমান্তের মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি টিলাপাড়ায় বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় শনিবার (২ নভেম্বর) শহীদুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু, আটক ১
তিনি বলেন, বন্যহাতি হত্যা মামলায় শহীদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসময় একটি জেনারেটর ও বেশ কিছু বৈদ্যুতিক তার জব্দসহ শহীদুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বনবিভাগ।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শহীদুলকে আটক করা হয়েছে এবং বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৬ (১)/৪২ ধারায় (অপরাধ ও সাজা) অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার জুম প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে সারাদেশের বন্যহাতি অধ্যুষিত বনাঞ্চলের বন কর্মকর্তা ও বনকর্মীদের নিয়ে ভার্চুয়ালি একটি জরুরি সভা করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) আমীর হোসাইন চৌধুরী।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেই সভায় বন্যহাতির বিচরণস্থলগুলোতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বন কর্মকর্তারা।
শেরপুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, আমাদের বনাঞ্চলের হাতিগুলো ‘এশিয়ান এলিফ্যান্ট’ জাতির। যা আইইউসিএন’র লাল তালিকাভুক্ত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি বন্যপ্রাণী।
এজন্য বন্যহাতি সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শেরপুর বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কার্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন।
ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা আরও বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করে শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ এ অঞ্চলের বন্যহাতি সুরক্ষায় সচেতনতামুলক সভা ও কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
তাই আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্যহাতির একটি দল বাতকুচি এলাকায় নেমে এলে কয়েকজন কৃষক ফসল রক্ষায় থানখেতে জেনারেটরের বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া তার ফেলে রাখে। রাত ১০টার দিকে মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি টিলাপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি বন্যহাতির মৃত্যু ঘটে। আনুমানিক ১০/১২ বছর বয়সি মাদি হাতিটির মরদেহ শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনাস্থলেই মাটিচাপা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুনতিতে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি নিহতের ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত
বাচাঁনো গেল না চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতি শাবকটিকে
২ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামিদুল ও নজরুল নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া বাজারে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত হামিদুল ইসলাম (৪৮) ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (৪৫) ছাতারপাড়া এলাকার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয়রা জানায়, ছাতারপাড়ার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের গাইন বংশ ও পিয়াদা বংশের মধ্যে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার বিকালে পিয়াদা বংশের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাইন বংশের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবীর বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষরা দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিহতদের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর রামপুরায় লেগুনার চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
২ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু
রাজশাহী মহানগরীতে মীম নামে যুবলীগের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত মীম (২৫) রাজশাহী মহানগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল মোমিনের ছেলে।
জানা গেছে, শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রেখে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। হাসপাতালের ট্রলিম্যানরা তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।
মীম গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা রুবেলের নিকটাত্মীয় ও সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) তাজমুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে যতদূর জানা গেছে, নিহত মীম যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে পুলিশ। শিগগিরই পুরো ঘটনা জানা যাবে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
২ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে যুবককে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে আফতাব উদ্দিন তাহসীন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শমসের পাড়া মেডিকেল কলেজের অদূরে চান্দগাঁও বানিয়ারা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
নিহত তাহসীন চান্দগাঁও থানাধীন হাজীরপুলের মোহাম্মদ মুসার ছেলে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. সবেদ আলী বলেন, চান্দগাঁও থানাধীন বাইন্নার পোল দক্ষিণ বাড়ির সামনে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা মিলে তাহসীন গুলি করে আহত করে। চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ জরুরি বিভাগের লাশঘরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, মেঘনায় জেলেদের হামলায় ইউএনওসহ আহত ৫
৩ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে অটোচালককে হত্যার পরে মাটিচাপা, আটক তিন
রাজশাহী এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে ভুগরইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
সোমবার (২১ অক্টোবর) কলাই খেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত অটোরিকশা চালক সিরাজুল ইসলাম (৬৫) নওগাঁর মহাদেবপুরের কাঞ্চন গ্রামের বাসিন্দা।
হত্যার অভিযোগে আটকরা হলেন- রাতুল, ফিরোজ ও শুভ। তিনজনের বাড়িই রাজশাহীতে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকতার বলেন, আটক তিনজন সিরাজুলকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গিয়ে তারা অটোরিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করে। সেসময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উঠে আসে।
তিনি বলেন, বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশকে জানানো হলে ওই তিনজনের দেখানো স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। কলাই খেতে মাটিচাপা দিয়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল সিরাজুলের লাশ। এর আগে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।
ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
নড়াইলে হাত-পা বেঁধে প্রধান শিক্ষিকাকে হত্যা
নড়াইলের লোহাগড়ায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সবিতা রানী মন্ডলকে (৫০) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের রথখোলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবিতা চরদৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং ওই গ্রামের পরিতোষ মন্ডলের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সবিতা ঘরে বসে ল্যাপটপে বিদ্যালয়ের কাজ করছিলেন। তার স্বামী পাশের ঘরে ছিলেন। অনেক রাত হয়ে গেলেও সবিতার কোনো সাড়া না পেয়ে পরিতোষ মন্ডল তাকে ডাকতে এসে দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পায়। পরে অন্যদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় সবিতাকে পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘরের পেছন দিকে সিঁধ কাটা দেখতে পায়। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সবিতাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে তারা।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ক্ষেতলালের একটি হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে ও দুই ভাইসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ জুন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আমুনিয়াপাড়া গ্রামের মনসুর আলী ফকিরের একটি গরুর বাছুর প্রতিবেশী মোজামের বাড়িতে গেলে মোজাম বাছুরটিকে মারধর করেন।
সেদিন রাতে মনসুর বাছুরটিকে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনসুর ও তার ছেলে ফিরোজের ওপর হামলা করে।
আসামিদের মারধরে বাবা ছেলে গুরুত্বর আহত হলে পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজ মারা যান।
এ ঘটনায় ১৩ জুন নিহতের বাবা ক্ষেতলাল থানায় মামলা করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে