হত্যা
পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে প্রাণ গেল বিএনপি নেতার
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত বীরু মোল্লা (৬০) লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মোল্লা ও নিহত বীরু মোল্লা আপন চাচাতো ভাই।
বীরু মোল্লার ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী রাজিব মোল্লা জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে আল আমিন মোল্লা বাবার জমি থেকে ইটভাটার জন্য জোরপূর্বক মাটি কেটে নেন। এ বিষয়ে আজকে (বুধবার) সকাল সোয়া ৯টার দিকে জহুরুল মোল্লাকে মাটি কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাৎক্ষণিক ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ও তার ছেলে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আমার বাবার মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটে পড়লে এলাকাবাসী তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাসনিম তামান্না তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন বলেন, আমার দলের নেতাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দ্রত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এটা কোনো দলীয় বিষয় নয়। বীরু মোল্লা অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লার আপন চাচাতো ভাই। এই হত্যাকাণ্ড মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।
ঈশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, বীরু মোল্লা নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুপুর সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানান ওসি।
৬ ঘণ্টা আগে
হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
গাজায় বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের এক সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় আরও ২ জন আহত হয়েছে বলে দাবি তাদের।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) গাজার শহরের উপকণ্ঠে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কমান্ডারের নাম রায়েদ সাদ বলে দাকি করেছে ইসরায়েল।
এক বিবৃতি দিয়ে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নিহত ব্যক্তি সাদই কি না তা স্পষ্ট করেনি হামাস। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল একটি বেসামরিক গাড়িতে হামলা করেছে যা যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
হামাসের উৎপাদন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সাদ। তার আগে তিনি এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অপারেশন বিভাগের নেতৃত্বে ছিলেন।
এদিকে ইসরায়েলের বিবৃতিতে তাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তিনি হামাসের পুনর্গঠনে যুক্ত ছিলেন, যা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) একজন সাংবাদিক জানান, গাজা শহরের পশ্চিমে ইসরায়েলের এই হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। শিফা হাসপাতালে তাদের মরদেহ দেখেছেন তিনি। আল-আওদা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েল এবং হামাস বারবার একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১০ অক্টোবর সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গুলিবর্ষণে অন্তত ৩৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের সৈন্যদের ওপর সশস্ত্র হামলার জবাবেই সাম্প্রতিক এসব হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অংশের এবং বাকি অংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা ‘ইয়েলো লাইন’-এর কাছাকাছি আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর সৈন্যরা গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।
ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হাতে থাকা শেষ ইসরায়েলি জিম্মি রান গভিলির দেহাবশেষ ফেরত দিতে হবে। এটি শান্তি চুক্তির দ্বিতীয় ও সবচেয়ে জটিল ধাপে প্রবেশের একটি শর্ত। ওই ধাপে হামাসের শাসনের অবসান এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে একটি নিরস্ত্রীকৃত গাজা পুনর্গঠনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে আটক করা হয়। যুদ্ধবিরতি বা অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে আটককৃত প্রায় সবাইকে ও নিহতদের মরদেহকে ফেরত দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলকে।
অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের দুই বছরের অভিযানে ৭০ হাজার ৬৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু। তবে এদের মধ্যে কতজন বেসামরিক নাগরিক ও কতজন সেনা তা আলাদা করে বলা হয়নি।
এ যুদ্ধে গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি উপত্যকার ২০ লক্ষাধিক জনসংখ্যার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, যে পরিমাণ মানবিক সহায়তা প্রবেশের কথা ছিল, তার চেয়ে কম সহায়তা প্রবেশ করছে গাজায়। এ ছাড়া, যুদ্ধে যারা অঙ্গ হারিয়েছেন, তারা কৃত্রিম অঙ্গের সংকটে ভুগছেন এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ বিলম্বের শিকার হচ্ছেন।
৩ দিন আগে
খুলনায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, ছেলে নিখোঁজ
খুলনায় একটি বাসা থেকে শিউলী (৪৫) বেগম নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ মো. সালাউদ্দিন খানের স্ত্রী। ছেলে রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এই মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীদের ধারণা, রিয়াদই তার মাকে হত্যা করেছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান আহম্মেদ জানান, কে বা কারা শিউলীকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রিয়াদ পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রী। ওই কাজে কষ্ট হয় জেনে ট্যাংক রোডের মাথায় তাকে একটি দোকান করে দেন তার মা। এদিকে, ৪০ দিন আগে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে মো. সাগর নামের একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শিউলী বেগম। এরপর ৫-৬ দিন আগে ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি, যেটি তার পরিবারের সবাই জানতেন।
খুলনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিহাব করীম জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিউলী বেগমের মৃত্যুর পর থেকে তার একমাত্র ছেলে রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলও রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের মাথার তালুর বাঁ পাশে পুতো (লোহার দণ্ড) দিয়ে আঘাত করে দুর্বল করে ফেলে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। কে তাকে হত্যা করেছে, এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
৬ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নয়ন আলী (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাবুপুর মোড়ে ঘটে এ ঘটনা। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নয়ন উপজেলার নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের মোড়লটোলার আব্দুল করিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর মোড়ে নয়নকে চাপাতি দিয়ে হাত-পায়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, নয়নকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন জানান, ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
৮ দিন আগে
হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
হবিগঞ্জে ফারজানা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত ফারজানার স্বামী নুর আলী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে চুনারুঘাট উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ফারজানা চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর গোড়ামী গ্রামের আছকির মিয়ার মেয়ে। প্রায় ৪ বছর আগে একই উপজেলার লাদিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র নুর আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
ফারজানার মা আছমা বেগম জানান, তার মেয়ে স্বামীসহ শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজসংলগ্ন শিমুলতলা গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ফারজানা ও নুর আলীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। নুর আলী ফারজানাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর নুরও একই অস্ত্র দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
১০ দিন আগে
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে ‘গলাকেটে হত্যা’
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধ এই দম্পতিকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন করা হলো, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের খিয়ারপাড়া গ্রামে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা হলেন যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। যোগেশ চন্দ্র রায় ওই এলাকার রহিমাপুর নয়াহাট মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যোগেশ দম্পতির দুই ছেলে, তারা বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। ফলে বাড়িতে একাই থাকতেন ওই দম্পতি। প্রতিদিনের মতো গতরাতেও তারা ঘুমাতে যান। এরপর আজ (রবিবার) সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশী দীপক নামের এক ব্যক্তি বাড়ির গেটের সামনে মই লাগিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি সুবর্ণা রায়কে রান্নাঘরে এবং যোগেশ চন্দ্র রায়কে খাবার ঘরে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানান।
ঘটনাটি এলাকায় শোক ও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু সাইয়ুম তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে ক্রাইম সিনের সদস্যরা রয়েছেন। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্তে নেমেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
১০ দিন আগে
১৬ মাসে খুলনায় ৪৮ খুন, নভেম্বরেই ৭
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৬ মাসে খুলনায় ৪৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ, মাদক ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যা করা হয়েছে ২০ জনকে। কেবল গত নভেম্বর মাসেই ৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
একের পর এক হত্যাকাণ্ডে ভয় আর আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হচ্ছে খুলনা। দিনদুপুরে আদালত এলাকার মতো জনবহুল জায়গায় হওয়া সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড সাধারণ মানুষকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
পুলিশের তথ্য বলছে, গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারের কালভার্ট এলাকায় বাড়ির মধ্যে নানি মহিতুন্নেসা (৫৫), তার নাতি মুস্তাকিম (৮) এবং নাতনি ফাতিহাকে (৬) হত্যা করা হয়। ওই রাতেই করিমনগরে নিজ বাড়ির ভেতর আলাউদ্দিন মৃধা নামের এক যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
২৭ নভেম্বর রাতে খালিশপুর ফেয়ার ক্লিনিকের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ইমান নামের এক যুবককে। সর্বশেষ রবিবার (৩০ নভেম্বর) আদালত চত্বরে আরও দুটি খুনের ঘটনা ঘটল।
একের পর খুনে উদ্বিগ্ন নাগরিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। ধারাবাহিক হত্যা ও সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ ছাড়া আইনশৃখলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে গত শনিবার নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে আইন অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম। তার এক দিন পরেই আরও দুটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে চরমপন্থীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল খুলনা। নতুন শতাব্দীর শুরুতেও তা বহাল ছিল। বোমা মেরে অথবা গুলি করে মানুষ হত্যা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়। চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারায় সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষ। পরবর্তীতে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশের সন্ত্রাস দমনে র্যাব গঠন করে। যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে শুরু হয় অপারেশন ক্লিনহার্ট, অপারেশন স্পাইডার ওয়েব। এসব অভিযানে অধিকাংশ চরমপন্থী নিহত হন, অনেকে গ্রেপ্তারও হন। ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসে খুলনাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে।
খুলনার আইনশৃখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আবারও বিশেষ অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতারা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘বেশিরভাগ হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এই (আদালত চত্বরে) হত্যার সঙ্গে জড়িতরাও দ্রুত গ্রেপ্তার হবেন।’
১৩ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুর পাহারাদাকে চোখ উপড়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুর পাহারাদারকে দুই চোখ উপড়ে দিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মুসলিমপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তোজাম্মেল হক (৬৫) শাহবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর এলাকার মৃত জোনাব আলীর সন্তান।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতেও তোজাম্মেল হক ওই এলাকায় একটি পুকুর পাহারায় ছিলেন। রাতের কোন এক সময়ে কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তোজাম্মেলের দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
রবিবার সকালে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান ওসি।
১৭ দিন আগে
রাজশাহীতে এক পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর পবা উপজেলায় ঋণের চাপে এবং অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে পারিলা ইউনিয়নের বামনশেখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন— মিনারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (দেড় বছর)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেছেন। এর মধ্যে এক ঘরে মা ও মেয়ে এবং অন্য ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটে মিনারুল লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো।’
‘কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’
১২৪ দিন আগে
বগুড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বশুর ও পুত্রবধূ খুন
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এক বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ ও তার পুত্রবধূর গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা ওই দুজনকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বা কারা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন— দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের বাসিন্দা মো. আফতাব হোসেন (৬৫) ও তর বড় ছেলের স্ত্রী রিভা (৩৫)।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। নিহত আফতাবের হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। হত্যার আগে তাকে বাঁধা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
১৬১ দিন আগে