হত্যা
চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকায় নয়নতারা নামে এক গৃহবধূকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ সময় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি মাকে রক্ষা করতে এলে তাকেও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সুমিরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নয়নতারা মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের মৃত আনছার মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী নয়নতারাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছিলেন স্বামী আনোয়ার হোসেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নয়নতারার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়। স্বামী আনোয়ার হোসেন ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বিছানা ও ঘরের মেঝে রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, জান্নাতুলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথায় ১২-১৫টা সেলাই লেগেছে। সে শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে সদর হাসপাতালে নারী সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রেখেছি। তার চিকিৎসা চলমান।
আহত জান্নাতুল বলেন, বাবা ৯ মাস ধরে আমাদের কোনো খরচ দেন না। আমরা নানিবাড়িতে ছিলাম। আমার নানার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো না। মা আমাদের খুব কষ্ট করে চালান।
জান্নাতুল আরও বলেন, আমার আর ছোট ভাইয়ের পড়াশোনাও চালান মা। মায়ের শখ তার ছেলে হুজুর হবে এবং আমাকেও এসএসসি পর্যন্ত পড়াবেন। আমার পড়াশোনা গ্যাপ যাচ্ছে তাই আজ বাড়িতে এসেছি।
তিনি বলেন, মা বলছিলেন আজকে যেতে হবে না কালকে যাই।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমরা যদি কালকে আসতাম তাহলে আমার মা বেঁচে থাকতো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনাবনি ছিল না। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আনোয়ার হোসেন গা ঢাকা দিয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
চারজনের মধ্যে জব্দ তালিকার দু’জন এবং সিআইডি’র ব্যালাস্টিক এক্সপার্টও রয়েছে। এর আগে এই মামলায় ১৪ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় চার জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনিয়ে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
আজকে কোনো সাক্ষীর জেরা হয়নি। এর মধ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট), ফলের দোকানদার, পুলিশ কনস্টেবল ও মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা আছেন। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জিইসি মোড়ের একটি ফল দোকানের কর্মচারি আবদুর রহিম জানান, ঘটনার দিন সকালে দোকান খুলতে গেলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জড়ো হওয়া লোকজন দেখতে পান তিনি। তারা জানায়, এখানে একজনকে সন্ত্রাসীরা মেরে চলে গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তিনটি গুলি, একটি গুলির খোসা ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করে। আমাকে স্বাক্ষর করতে বলায় আমি স্বাক্ষর করি।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যাকাণ্ড: ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা উম্মে ফরহাদ আহমেদ সুরমা আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, আমার দুই ছেলেও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়ে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে আমার স্বামী ফোন করে আমাকে জানায়, মিতু ভাবি মারা গেছে। আমি লিফট থেকে নেমে দেখি মাহির। ও আমাকে বলে, আমার আম্মু মারা গেছে। সে তখন কান্না করছিল। তাকে ভবনের ভিতরে পাঠিয়ে আমি ওয়েল ফুডের সামনে যাই। দেখি মিতু ভাবি রাস্তায় পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায়। গুলির চিহ্ন দেখি। এরপর পুলিশ সুরতহাল করে। আমি স্বাক্ষর করি।
সে সময়ের পাঁচলাইশ থানার কনস্টেবল রনিতা বড়ুয়া আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, ঘটনার দিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া ফোন করে বলে যে জিইসি মোড়ে একটা লাশ আছে। ওখানে যেতে। আরও দুজন পুলিশ সদস্যসহ সেখানে যাই। ওখানে গিয়ে দেখি ওয়েল ফুডের সামে কালো বোরকা পরা একটি লাশ পড়ে আছে। এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া সুরতহাল করেন। তাকে সহযোগিতা করি। তিনি জব্দ তালিকাও করেন।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট আবদুর রহিম জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সিএমপি ডিবি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছ থেকে পাওয়া স্মারক মূলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি কাগজের বাক্সের ভিতর সিলগালা অবস্থায় আলামত পাই। আলামত হিসেবে ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তলের দুটি অব্যবহৃত, একটি ব্যবহৃত ও একটি মিস ফায়ার হওয়া কাতুর্জ, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি পয়েন্ট ৩২ ক্যালিবারের রিভলবার, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি রিভলবার পাওয়ার কথা আদালতে জানা। এসব আলামতের বিষয়ে মতামত, ব্যালাস্টিক রিপোর্ট ও রাসায়নিক প্রতিবেদন তিনি পরীক্ষা শেষে জমা দেন বলে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় বাদী মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সিলেটে স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে হাসান মুন্সি নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর আদালতের বিচারক নুরে আলম ভুঁইয়া এ রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- হাসান মুন্সি ওরফে কামরুল হাসান। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মাকসুদপুর খালপার কমলাপুরের নজরুল মুন্সির ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের কলোনির ৫ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের মালিকানাধীন সেমিপাকা ঘরের বাথরুম থেকে গৃহবধূ জনি আক্তার জয়নব ওরফে শিউলি (৩৫), তার সন্তান মিম (১৫) ও তাহসিনের (১৩) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিউলির চাচাতো ভাই নগরীর কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে হাসান মুন্সিসহ অজ্ঞাত পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শিউলি ও হাসান মুন্সির ১৬ বছরের দুই সন্তান হয়। একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় আসেন হাসান। আর পরিবারের লোকজনকে রেখে আসেন সিলেটের সুরমার ঝালোপাড়ায় ভাড়া বাসায়।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সন্ধ্যার পর বাদী জানতে পারেন হাসান মুন্সি তার চাচাতো বোন ও ভাগ্নিদের ওই বছরের ২৬-২৮ জুলাইয়ের কোনো একদিন হত্যা করেন এবং বাসায় বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যান।
৩০ জুলাই সকালে দুর্গন্ধ ছড়ালে ঘরের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে গলিত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান আহমদ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক কামরুজ্জামান তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একমাত্র হাসান মুন্সিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে পাঠানো হলে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত হাসান মুন্সিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের আক্তারুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
এসময় আসামি আল আমিন ও এনামুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের তিন ছেলে আসাদ মিয়া, আবুল কাশেম, ফালান মিয়া ও একই এলাকার রফিকের ছেলে আল-আমিন, এনামুল হক, সুমন মিয়া ও মাসুদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও এনামুল হক ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কাওনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় দুই আসামিকে বিভিন্ন ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মহানগরীর কোতোয়ালী থানার জয়নগর ১ নম্বর গলি আহমদ মিয়ার বাড়ির আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. হাছান। তিনি বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপু মৃধা পাড়া জহির সওদাগরের বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অপর আসামি আবু বক্কর খান রাজু ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া জাহাঙ্গীর কলোনীর মো. আসসাফ আলীর ছেলে। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি থানার বারই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামি হাছান ও রাজুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৩৯৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় হাছান উপস্থিত ছিলেন।
তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রাজু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাজল চৌধুরী সীতাকুণ্ডে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ভাই উজ্জ্বল চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার সিরাজদ্দৌল্লা রোডের মাছুয়া ঝর্ণা এলাকায় চৌধুরী ফার্মেসি পরিচালনা করতেন।
২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ফার্মেসি বন্ধ করে নগদ টাকা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে একটি অটোরিকশায় করে এসে চার ছিনতাইকারী তাদের উপর হামলা করে। এসময় কাজলকে ছুরিকাঘাত করে হাতে থাকা ব্যাগসহ ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় কাজলের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী।
এদিকে কাজলকে বাঁচাতে তার ভাই উজ্জ্বলকে হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী। এসময় দুই ভাইয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল চৌধুরী মারা যান।
এই ঘটনায় কাজলের স্ত্রী রত্না চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৬ সালের ৩০ মে মামলা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে সবজি বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আক্কাস সিকদার (৪৫) নামের এক সবজি বিক্রেতা নিহত হওয়ার অভিযোগ পোওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে মিজমিজি পাইনাদি রেকমত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ: স্বামীর পর স্ত্রীর মৃত্যু
নিহত আক্কাস সিকদার বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী হাটবাজার এলাকার নুর মোহাম্মদ সিকদারের ছেলে। তিনি মিজমিজি বাতানপাড়া তালতলা ক্লাব এলাকায় মোতালেব মিয়ার ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিভিন্ন সবজির আড়ত থেকে সবজি কিনে ভ্যানে করে মহল্লায় মহল্লায় বিক্রি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো ভোর পাঁচটার দিকে সবজি কেনার জন্য যাত্রাবাড়ী আড়তের উদ্দেশে রওনা দেন আক্কাস সিকদার। পাইনাদি রেকমত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে এসে রাস্তায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তিনি। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ৮১৪ জনের নামে মামলা
নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
চট্টগ্রামে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি ভাড়া বাসায় ঢুকে ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চান্দগাঁও থানা সানোয়ারা আবাসিক সংলগ্ন চান্দার বাপের বাড়ি দিদার কলোনি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় একই ঘর থেকে ঝুলন্ত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
এ ঘটনায় ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম মুন্না নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাবা মার অনুপস্থিতিতে খালি বাসায় ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আটক রাকিব কক্সবাজার সদর উপজেলার কক্সশাহীর টিকা পল্লী এলাকার মৃত ইউসুফের ছেলে এবং নিহত শিশু প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানায়, সকালে মেয়েকে বাসায় একা রেখে প্রতিদিনের মতো তারা কাজে চলে যায়। অভিযুক্ত রাকিব বাসায় প্রবেশ করে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মতলবে মামাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ ভাগ্নের বিরুদ্ধে
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ছুরিকাঘাতে মামাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমাছুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী আহত
নিহত মামা মানিক একই গ্রামের পূর্বপাড়ার আরশাদ আলীর ছেলে। এদিকে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ভাগ্নে আরিফকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাগ্নে আরিফ ছুরি দিয়ে মামা মানিকের বুকে আঘাত করেন। এরপর মানিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান।
এ সময় মানিককে উদ্ধার করে দ্রুত মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, রাতে থানায় নিহতের স্ত্রী কামরুন্নাহার সাথী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ঘাতক আরিফকে পুলিশ আটক করেছেন। থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে বাসচালকের সহকারী খুন
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী-শ্বশুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে
সিলেটে প্রবাসী স্বামীকে হত্যার চেষ্টা, প্রেমিকসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার
সিলেটের জৈন্তাপুরে বিবাহবহির্ভূত প্রেমের জের ধরে এক প্রবাসীকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এক গৃহবধূ ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জৈন্তাপুর উপজেলার ঘাটের চটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আটক গৃহবধূ হলো- মনিরা বেগম (২২) ও ফেরদৌস রহমান চৌধুরী (২৫)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাঈদীর ‘গায়েবানা’ জানাজার অনুমতি পায়নি জামায়াত
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘাটেরছটি গ্রামের ওমান প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন স্ত্রী মনিরা বেগমকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এরপর রাতে স্ত্রী মনিরা বেগম তার প্রেমিক ফেরদৌসকে ডেকে এনে হাত-পা বেঁধে প্রবাসী মিনহাজকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালান।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, এ ঘটনায় আহত প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার ঘাটের চটি গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় প্রবাসীর বাবা নূর মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে দুজনকে আসামি করে জৈন্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তাদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সিলেটে প্রাইভেটকার চাপায় মা-ছেলে নিহত
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও মাদক মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা জজ আব্বাস উদ্দীন ও নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃতদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জেলার আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ি গ্রামের সাহাদুলের ছেলে সাজাদুল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের মৃত বাবর মণ্ডলের ছেলে রব্বুল মণ্ডল, গোলাম মোস্তফার ছেলে রিপন মিয়া ও ফজলুলের ছেলে মাহাবুল। এর মধ্যে রব্বুল ও রিপন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার আওয়াল গাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে রূপালীর সঙ্গে একই গ্রামের সাজাদুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়।
২০০৯ সালের ২০ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি রূপালীকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান। পরে নদীর পাড়ে তাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে। পরের দিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়েরের পর আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
অন্যদিকে, ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রাম থেকে ১ হাজার ৪৫০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মাদকের মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন