হত্যা
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ফারুক (৩৪) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে স্বামী পলাতক।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে যুবকেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
তানিয়া বেগম নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছোটন মিয়ার মেয়ে। আর স্বামী ফারুক জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের শাহআলম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ফারুক মাদকাসক্ত ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে মাদকের টাকার জন্য ফারুক তার স্ত্রীকে মারধর করে। এর জেরে শুক্রবার ভোরে ফারুক শ্বাসরোধ করে তানিয়াকে হত্যা করে লাশ বাথরুমে ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘আমরা ফারুককে আটকের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর হত্যায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বরিশালের হিজলা উপজেলায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুফিয়ান সরদার (৩২) নিহত হন বলে জানিয়েছেন হিজলা থানার ওসি জুবাইর আহম্মেদ। এ সংঘর্ষে আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
নিহত সুফিয়ান সরদার উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের চর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল সরদারের ছেলে। তিনি মেমানিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
সুফিয়ানের মামা ও মেমানিয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নোমান সরদার বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে সুফিয়ান তার দুই বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মাইনুলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ হামলা করে। ওই সময় দুই বন্ধু পালিয়ে গেলে সুফিয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে তারা গিয়ে সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে মাঝ পথে মারা যান সুফিয়ান।
নোমান বলেন, মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মাছঘাট দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর আহমেদ বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হযেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন। আহতদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত চারজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ওসি বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা এ ঘটনায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে যুবকেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যায় জড়িতরা ছাড় পাবে না: ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, তিন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের তিন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। যারা তাদের হত্যা করেছে, যারা পোশাকধারী পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তাদের একজনকেও রেহাই দেওয়া হবে না। তারা যেই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি-জামায়াত ও মৌলবাদী শক্তি দেশব্যাপী নাশকতার নেতৃত্ব দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৩৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অনেকে রিমান্ডে আছেন এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ৬৯টি পুলিশ স্থাপনায় হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি ট্রাফিক বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও স্টেশনে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে।
ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর প্রথম গুলি ছোড়ে পুলিশ। তাই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থীদের পুলিশের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তাই যেকোনো নাশকতার প্রথম লক্ষ্যবস্তু বাংলাদেশ পুলিশ।’
সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব বলেন, 'আমাদের উন্নয়ন বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করছে। ৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এবং যেভাবে পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা বিবেচনায় নিলে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এটা ছাত্র আন্দোলন হতে পারে না। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এর পেছনে বিএনপি-জামায়াত ছিল।’
এর সঙ্গে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী জড়িত ছিল না বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘আমরা হামলার স্থানের সব ফুটেজ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ভিডিও পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ ভিডিও আমাদের দিচ্ছেন। আমরা সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। যারা এই সহিংসতার মূলহোতা, তাদের গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান চলছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে রাজধানীতে আহত ১২ পুলিশ: ডিএমপি
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
রাজশাহীতে যুবকেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীর পবা উপজেলায় নুরুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবকেকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে দামকুড়া থানার মুরারীপুর এলাকায় ফজরের নামাজ পড়ে হাটাহাটি করার সময় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
নুরুল ইসলাম ওই এলাকার পাতান আলীর ছেলে।
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল বাশার স্থানীয়দের জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নুরুল ইসলাম ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা এসে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে যখম করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলামের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারকে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে। মামলা করলে আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কোটা সংস্কার: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
যশোরের ঝিকরগাছায় রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরের মধ্যে ঢুকে ফেরদৌসী খাতুন নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিহতের মেয়ে জান্নাতি খাতুনকেও ছুরিকাঘাত করে আহত করেছেন তারা।
শনিবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার নওয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফেরদৌসী খাতুন (৪৮) ওই গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী। আলতাফ হোসেন স্পেন প্রবাসী।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কদমতলীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত
স্থানীয় বাসিন্দারা ধারণা করছেন, অঙ্গাতনামা ব্যক্তি রান্নাঘরের গ্রিল কেটে চুরির উদ্দেশ্য ঘরে ঢুকতে পারে। চুরি করার সময় ফেরদৌসী খাতুন টের পেয়ে যাওয়ায় তার বাম কানের পাশে, ডান হাতের আঙ্গুলে ও বাম বুকে ছুরিকাঘাত করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা, এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ সময় তার মেয়ে জান্নাতি খাতুনকেও ছুরিকাঘাতে আহত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
জান্নাতি খাতুন তাদের পাশের বাসায় থাকা তার চাচা মিজানুর রহমান মিন্টু ও চাচি নিলুফা খাতুনকে জানালে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন ফেরদৌসী খাতুন ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘চুরি করতে গিয়ে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে কি না এটা আমরা নিশ্চিত না, তবে গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার মেয়েকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটল সেটি আমরা তদন্ত করছি।’
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, নারী আটক
এমপি আনার হত্যার তদন্তে সন্তুষ্ট ডিবিপ্রধান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সন্দেহভাজন দুই আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
শনিবার (১৩ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন বলেন, 'এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং দুজন এখনও ভারতে রয়েছে।’
গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, পুলিশ অযথা কাউকে তলব ও হয়রানি করছে না। ‘তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
হারুন বলেন, বাংলাদেশে থাকা অপরাধীদের দ্রুত ধরতে সক্ষম হয়েছে ডিবি।
আরও পড়ুন: ডিএনএ নমুনা দিতে শিগগিরই ভারতে যেতে পারে আনার পরিবার: ডিবিপ্রধান
গত ১১ মে বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে রওনা হন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন (বাংলাদেশের খুলনাকে ভারতের নদীয়ার সঙ্গে সংযোগকারী) এবং বরানগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
১৩ মে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি হাসপাতালে নিউরোলজিস্টের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্টের নাম করে ক্যাবে করে বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। আনারকে বহনকারী ট্যাক্সির চালক কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছেন, নিউ মার্কেট এলাকা থেকে আরেক বাংলাদেশিকে তুলে নিয়ে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন তারা। মেডিকেলের অ্যাপয়েন্টমেন্ট যদি প্রথম স্থানে ছিল তবে সেখানে যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাজারহাটের অভিজাত উন্নয়ন সংস্থা সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে আনার ছাড়াও দু'জন পুরুষ ও এক নারী ঢোকেন। পরের চারদিন ধরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাকি তিনজন বিভিন্ন সময়ে ভবন থেকে বের হয়ে গেলেও এমপিকে আর দেখা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ঢোকার প্রথম দিনই তাকে হত্যা করা হয়। ওই অ্যাপার্টমেন্টের সেপটিক ট্যাংকে কিছু মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেলেও নিহত এমপি আনারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় ২২ মে নিহতের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যার বিষয়ে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবিপ্রধান
ডিবিপ্রধান হারুন এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা এবং কেন ছিলেন তা নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে নানা তত্ত্ব দাঁড় করালেও এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের কোনো উত্তর সন্তোষজনকভাবে পাওয়া যায়নি।
হারুন শুরু থেকেই ঝিনাইদহে এমপির কৈশোরের বন্ধু ব্যবসায়ী মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের হাতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। যিনি একজন মার্কিন নাগরিক। কলকাতার যে ফ্ল্যাটে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেই ফ্ল্যাটটি তিনি এক ভারতীয় আইএএস কর্মকর্তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু যখন ঘটনা ঘটে সেসময় শাহীন নিজে কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন না।
মতাদর্শগত পার্থক্য থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক বিরোধেরর সম্ভাব্য কারণও থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ডিবিপ্রধান।
অতি সম্প্রতি এমপির মেয়ে বলেছেন, তার বাবার হত্যার পেছনের কারণটি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ শাখার কোন্দল।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিই গ্রেপ্তার: ডিবিপ্রধান
লন্ডনে নিজ বাড়িতে ৩ নারীকে হত্যা, ক্রসবো সজ্জিত ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ
লন্ডনের কাছে একটি বাড়িতে তিন নারী নিহত হওয়ার পর ক্রসবো-সশস্ত্র এক ব্যক্তিকে খুঁজছে ব্রিটিশ পুলিশ।
মঙ্গলবার(৯ জুলাই) সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুশে এলাকার একটি বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
হার্টফোর্ডশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, তিন খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৬ বছর বয়সী কাইল ক্লিফোর্ডকে খুঁজছেন তারা।
হারফোর্ডশায়ার পুলিশের চিফ সুপারিনটেনডেন্ট জন সিম্পসন বলেন, ক্লিফোর্ড ওই নারীদের হত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিম্পসন বলেন, ‘একটি ভয়াবহ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান দলও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। এই হত্যাকাণ্ডে ক্রসবো এবং অন্যান্য অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, আহত ৩
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার(৯ জুলাই) সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুশে এলাকার একটি বাড়িতে ২৫, ২৮ ও ৬১ বছর বয়সী তিন নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ঘটনাস্থলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
লন্ডনের বাসিন্দা ক্লিফোর্ড ওই নারীদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
ক্লিফোর্ড এখনও সশস্ত্র থাকতে পারে এবং জনগণকে তার কাছে না যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
সিম্পসন বলছিলেন, 'কাইল, আপনি যদি এসব দেখে বা শুনে থাকেন, তাহলে দয়া করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে বাসভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে কবিরাজ সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামির ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলার রাউজান উপজেলায় ৮ বছর আগে কবিরাজ সুলাল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের পরিমল চৌধুরীর ছেলে মিঠু চৌধুরী, একই এলাকার মৃত সন্তু চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী (৩৫), আবদুর রহমান চৌকিদারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫) এবং শাহ আলমের ছেলে এরশাদ হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের নীল কমল কবিরাজের বাড়ির ডা. পায়রিণ চৌধুরীর ছেলে সুদ্বীপ চৌধুরী প্রকাশ ও সঞ্জিত চৌধুরী।
আর খালাস পেয়েছেন রাউজান থানার চিকদাইর মুন্সী পাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে মো. ইলিয়াস প্রকাশ ইলু (৩০)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, সুলাল চৌধুরী পেশায় কবিরাজ ছিলেন। তিনি রাউজান উপজেলার আজাদী বাজারের যুগিরহাট চাউল বাজারে অভয়া উৎঘালয় নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন। ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে ফার্মেসির কাজ শেষে রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে যায় অভিযুক্তরা। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর ভিকটিমের ছেলে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছয়মাস পর ২৭ ডিসেম্বর মোট ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুদীপ কান্তি নাথ বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত এই রায় দিয়েছেন। এসময় একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী গ্রেপ্তার, শিশু কন্যা উদ্ধার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসমত আলী নামে এক ব্যক্তিকে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নাটোর র্যাবের সদস্যরা শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার রামারচর থেকে আসমতকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
উদ্ধার করা হয় শিশু আসমানিকে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি নান্নু খান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে আসমত তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে। পরে মেয়ে আসমানিকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। আসমত আলীর ভাতিজা আনোয়ার বাড়িতে মেঝেতে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই কুরবান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনা জানার পরই ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
নাটোর র্যাব কমান্ডার এএসপি রায়হানুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আসমত আলীর অবস্থান শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র্যাব সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ২৬৮৮০ ক্যান বিয়ার জব্দ, ৩ যুবক গ্রেপ্তার
মেহেরপুরে ১০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীতে দম্পতির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি ভবন থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর মমিনবাগ এলাকার একটি চারতলা ভবন থেকে লাশদুটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, বুধবার ভোরের দিকে মমিনবাগের ১৭৫ নম্বর ভবনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন- ৬০ বছর বয়সী শফিকুর রহমান এবং তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)। শফিকুর রহমান জনতা ব্যাংকের চাকরি করতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ভবনটির নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের এবং দোতলায় শোবার ঘরে ফরিদার লাশ পাওয়া যায়।
দুজনেরই গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গাছের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় ২ বন্ধু নিহত, আহত ৩
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তৌহিদুল হক মামুন বলেন, ‘দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত- সেসব এখনও জানা যায়নি। এটি পূর্বের বিরোধ, না কি ডাকাতির ঘটনা- তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় প্রথমে তার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দুজনেরই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।’
‘বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। আলমারিও খোলা পাওয়া গেছে। শফিকুলের কাছে প্রধান ফটকের চাবি ছিল।’
পুলিশ জানায়, নিজেদের চারতলা বাড়ির দোতলায় থাকতেন শফিকুর-ফরিদা দম্পতি। ওপরের দুই তলা এবং নিচতলার একপাশে ভাড়াটিয়ারা থাকেন।
এই দম্পতির ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসআই ইমন ও তার স্ত্রীও ওই বাসায় থাকেন। তবে বুধবার রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বংশালে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত