তিনি বলেন, ‘এখানে কিছু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রয়েছেন এবং সবাই ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে কথা বলেছেন। শক্তিশালী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল আমরা দেশের ১৬ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং একটি কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’
মতিঝিলে নিজের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে ড. কামাল আরও বলেন, ‘বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নির্যাতন ও হামলা করা হচ্ছে। জনগণ উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন অশুভ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তি পেতে এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় জনগণের ঐক্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, তাদের জোট দেশে জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঐক্যফ্রন্টের এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের শপথ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৈঠকে এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মনসুর এমন একটি সংসদে যোগ দিয়েছেন যেটা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। ‘তিনি (মনসুর) ঐক্যফ্রন্ট এবং গণফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিয়েছেন। তিনি যেখানে যোগ দিয়েছেন সেটাকে আমরা সংসদ হিসেবে স্বীকৃতি দেব না।’
ফখরুল বলেন, ‘তথাকথিত’ সংসদের এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে মনসুর জাতির সাথে বেইমানি করেছে বলে মনে করে জোট। ‘তার দলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে তিনি শপথ নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, তাদের জোট মনসুরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের টিকিটে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে সুলতান মনসুর (মৌলভীবাজার-২) ৭ মার্চ এমপি হিসেবে শপথ নেন।
শপথ নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গণফোরাম থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় এবং ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি থেকেও তাকে বাদ দেয়া হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি ও গণফোরামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। নির্বাচনে বিএনপি ৬টি এবং গণফোরাম ২টি আসনে জয় লাভ করে।
নির্বাচনে ‘ব্যাপক ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনে জোট ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এবং সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।