দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আশা করি, আমাদের প্রার্থীদের তালিকা আজ চূড়ান্ত করতে পারব। যদি তালিকা চূড়ান্ত করতে পারি তাহলে সন্ধ্যায় আপনাদের তা জানাব।’
নির্বাচন কমিশন লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন এক প্রহসন হতে যাচ্ছে। তারা লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে বরং পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, তাদের দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন নোটিশ জারি করছে যা সুষ্ঠু নির্বাচনের সহায়ক নয়।
নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণা চালানো নিষিদ্ধ হলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই নিয়মিতভাবে সভা-সমাবেশ করছে বলে দাবি করেন ফখরুল।
নির্বাচন কমিশন কেন নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না তা তাদের জনগণকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তা না হলে আপনাদের পদত্যাগ করা উচিত।’
সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলতে চাই যে আপনারা যদি মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তার অভিযোগ, শাসক দল দেশের সব প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে একদলীয় ও একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করছে।
ফখরুল জানান, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে রাখা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘মিথ্যা’ মামলায় নিয়মিতভাবে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করছে।
তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলের গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।