বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা হানিফের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। যার ফলে পদবঞ্চিত অনেক নিবেদিত নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার হানিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে যা হয়েছে তা সামান্য ঘটনা। ছাত্রলীগ একটি বড় সংগঠন, যার হাজার হাজার নেতাকর্মী রয়েছে...সবাইকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দেয়া সম্ভব নয়। তাই, কয়েকজন নেতা অসন্তুষ্ট হয়ে কিছুটা সমস্যা করেছেন।’
হানিফের বক্তব্যের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসুর সদস্য (ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক) নিপু ইসলাম তন্বী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রশ্ন রাখতে চাই, মধুর ক্যানটিনের ঘটনাটি কোন পর্যায়ে গেলে তাদের মনে হতো এটি একটি বিশাল আকারের ঘটনা?’
মধুর ক্যানটিনের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির বিষয়ে তন্বী বলেন, ‘ওই তদন্ত কমিটি আমরা যারা ভুক্তভোগী, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। এটি নাটক ছাড়া কিছুই নয়।’
রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক লিপি আক্তার (ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপসম্পাদক) বলেন, ‘নতুন কমিটির অনেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। যাদের পদ দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে রাজাকারের সন্তান, মাদকসেবী, বিভিন্ন মামলার আসামি, বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িতরা।’
আগামীকালের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে ছাত্রলীগের কমিটি থেকে পদত্যাগ করে অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন এই নারী নেত্রী।