ডাকসু
ডাকসুর প্রথম সভায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর অনুষ্ঠিত প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খানসহ ডাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
সভা শেষে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘এই নির্বাচনে কেউ হারেনি। আমরা সবাই মিলে কাজ করব। ডাকসুতে কারও ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই—এটি শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই প্রজন্মের বিজয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রশ্ন করবেন, আর আমরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার জবাব দেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের যেকোনো সমস্যা আমাদের জানাতে পারবেন। আমরা তাদের মতামত শুনে মাসিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করব।’
আরও পড়ুন: ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ: ফারুকী
জিএস এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমরা সবার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমস্যাগুলো তুলে ধরার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করে বাস্তবায়নে নামব।’
তিনি জানান, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ পদে সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করা হবে।
সভায় নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা গঠনমূলক নীতিমালা প্রণয়ন, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি, এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রথম সভার শুরুতে নির্বাচিত নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য। পরে ডাকসুর ভিপি, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ মোট ২৮টির মধ্যে ২৩টি পদে বিজয়ী হন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা। বাকি পাঁচটির মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র ও একটিতে বামপন্থী প্যানেলের প্রার্থী জয়ী হন। আজকের সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ডাকসু কমিটির কার্যক্রম শুরু হলো।
৮১ দিন আগে
ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ: ফারুকী
উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লেখেন তিনি।
উপদেষ্টা লেখেন, ‘ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ। এরপর চলে আসবে জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন। সবাইকে নির্বাচন মোবারক!’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে লাইলাতুল ইলেকশনের জননী, ব্যাংক লুটেরা, গুমের মাস্টারমাইন্ড (মূল পরিকল্পনাকারী), বিডিআর-শাপলা-জুলাই ম্যাসাকারের (গণহত্যা) প্রধান পরিকল্পনাকারী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি খুনী হাসিনা যে কথা বলেননি, ‘যে ভোট রাতেই করে ফেলা যায় সেটা দিন পর্যন্ত রাখা হলো কেনো? সময়ের কাজ সময়ে না করা এই জাতির বড় দূর্বলতা’।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
এদিকে, আজ সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো জাতির দৃষ্টি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে।
ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।
অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) শিটে। প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে।
আগে ৮ কেন্দ্রে ৭১০ বুথ ছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে, যাতে আবাসিক-অনাবাসিক ভোটারদের কোনোভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
প্রার্থী তালিকায় রয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেল। নির্বাচনী লড়াইয়ে ভিপি ও জিএসসহ অন্যান্য পদে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থীও।
৮৬ দিন আগে
ডাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু
দীর্ঘ ৬ বছরের অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আটটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খুলে সবাইকে দেখিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদের দুইটি বাক্স সিলগালা করে দেন।
আরও পড়ুন: রাত পেরোলে ডাকসু নির্বাচন, নতুন ভোরের অপেক্ষায় ক্যাম্পাস
এ সময় তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ব্যালট বাক্স সম্পূর্ণ ফাঁকা রেখে সিলগালা করা হয়েছে। এর মধ্যে বড় বাক্সটি কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ছোটটি হল সংসদের জন্য। ভোট গ্রহণ শেষে যখন ভোট গণনা হবে, তখন সবাইকে নিয়ে বাক্সটি খোলা হবে।
৮৭ দিন আগে
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই থাকছে, ৯ সেপ্টেম্বরই ডাকসু নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা রইল না।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে রায়ে বলা হয়েছে।
এদিন আদালতে ঢাবির পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির, রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং ডাকসুর জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের পক্ষে ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী শুনানি করেন।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এ রিট দায়ের করেন।
রিটে অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন— এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
এরপর গেল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী— এ বিষয়েও জানতে চান চাওয়া হয়।
তবে তার এক ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের আদালত ওই স্থগিতাদেশ দেন।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় পুনরায় মামলাটির বিষয়ে গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন নিয়ে চেম্বার জজ আদালতে গেলে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানির জন্য মামলার দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: ‘৩৬ জুলাইয়ের’ সঙ্গে মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ইশতেহার ঘোষণা
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৯২ দিন আগে
ডাকসু ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রুমমেটকে ছুরি মারার অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের হলে তার রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জালাল আহমেদ টেলিভিশন ও ফিল্ম বিভাগের শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থী রবিউল হক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮–১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তারা একই কক্ষের বাসিন্দা।
রবিউল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রাবিউল বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল রুমে এসে লাইট অন করে এবং শব্দ করতে থাকে। ফলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি বলি, সকালে আমাকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে অযথা শব্দ করলে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এতে সে রেগে গিয়ে আমাকে অবৈধ, বহিরাগত বলে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে আঘাত করে জখম করে। পরে কোনোক্রমে আমি নিজেকে আত্মরক্ষা করি।’
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: চারুকলায় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ফেস্টুন ভাঙচুর
তবে ঘটনার পর এক ফেসবুক পোস্টে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জালাল। তিনিই বরং রবিউলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি জালালের।
ওই পোস্টে নিজের ক্ষতচিহ্নের ছবি যুক্ত করে জালাল লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে অবৈধ ও বহিরাগত শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার দাবিতে উকিল নোটিস পাঠানোর প্রাক্কালে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে আজ রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে মেরেছে আমার রুমমেট রবিউল ইসলাম। সে গত কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছে।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে প্রক্টরিয়াল দলের সদস্যরা গেছেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১০০ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৪৭১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৪৭১ জন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ৫০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জন স্বেচ্ছায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: সেনাবাহিনীর ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ মোতায়েনসহ থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা
পদভিত্তিক প্রার্থী সংখ্যা-
সহ-সভাপতি (ভিপি) ৪৫ জন; সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন; সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন; কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন; আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন; সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন; গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন; ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন; সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন; মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ১১ জন; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ১৫ জন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ২১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ৩৮তম ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১০০ দিন আগে
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রদর্শন বন্ধ থাকছে
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সর্বসাধারণের জন্য প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট থেকে প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট হল ও দপ্তরগুলোর জন্যই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা উন্মুক্ত থাকবে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদর্শন সীমিতকরণের দাবিতে রিট
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ওয়েবসাইটে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদর্শন সীমিতকরণের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একই সঙ্গে যেসব নারী শিক্ষার্থী তাদের ছবি প্রকাশ করতে চান না, তাদের ছবি প্রাইভেট (ব্যক্তিগত) করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারীরা হলেন– সাবিকুন্নাহার তামান্না, মো. জাকারিয়া, ফাতেমা, তাসনিম ঝুমা ও রেদোয়ান মন্ডল রিফাত। তাদের পক্ষে আইনজীবী রয়েছেন ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
১০২ দিন আগে
তন্বীর সম্মানে ‘গবেষণা ও প্রকাশনা’ পদে প্রার্থী দেয়নি ছাত্রদল ও বাগছাস
গত বছরের ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী দেয়নি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই প্যানেল ঘোষণা করেন।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তন্বী। তিনি ঢাবির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
তিনি ১৫ আগস্ট ২০২৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার সময় আহত হন। সেসময় তার রক্তাক্ত মুখের ছবি দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে উদ্দীপনা জাগায়।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘তন্বীর সম্মানে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আমাদের কোনো প্রার্থী থাকবে না। এ পদে ছাত্রদল ঘোষিত প্যানেল তন্বীকে সমর্থন দেবে।’
এদিকে বাগছাসের প্যানেল থেকেও তন্বীর সম্মানে এই পদে কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
সংগঠনটির ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘তন্বী আমাদের জুলাইয়ে জ্বলে ওঠা বিক্ষোভের উৎস, তন্বী আমাদের জুলাইয়ে গর্জে ওঠা প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের সমর্থিত প্যানেলে গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদটি শূন্য রাখা হয়েছে এবং তন্বীর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’
১০৬ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ শুরু আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
প্রার্থীরা ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ ২ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ আগস্ট বিকেল ৩টা।
প্রার্থীরা সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করতে পারবেন। একই সময়ে হল সংসদের মনোনয়নপত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট হল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সশরীরে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর
ডাকসু ও হল সংসদ আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না।
এদিকে, নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় বহিষ্কৃত ও মামলায় অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থর্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা।
১১৪ দিন আগে
ডাকসুর তফসিল ঘোষণা ২৯ জুলাই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জুলাই মাসের ২৯ তারিখে ঘোষণা করা হবে ডাকসুর তফসিল। পাশাপাশি চল্লিশ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসুর বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে তফসিল সংক্রান্ত চূড়ান্ত সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় এ সিদ্ধান্ত উঠে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম।
এই সভায় নির্বাচন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রভোস্ট কমিটি, ডিনস কমিটিসহ সকল রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
অধ্যাপক মারুফুল বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার তারিখ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার চল্লিশ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ‘নিরপেক্ষ’ ছয় কেন্দ্রে।
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু গত সাড়ে তিন দশকে নির্বাচন হয়েছে কেবল একবার।
সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সংসদের মেয়াদপূর্তির পর পেরিয়ে গেছে আরও ছয় বছর। নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডাকসু নির্বাচনের দাবি আবার জোরারো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
আরও পড়ুন: ইসি ওয়েবসাইটে ‘নৌকা’ সরিয়ে ‘তুলা’ প্রতীক যুক্ত
১৩৭ দিন আগে