রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে দুই/তিনদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বিকাল থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো এলাকা। দুপুরে কুয়াশার সাথে চলে সূর্যের লুকোচুরি।
তীব্র শীত ও হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পরেছে গবাদিপশুও। এ পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামারে বেশ কিছু মুরগি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কারণে আলু খেত ও বোরো ধানের বীজতলায় লেট ব্লাইট রোগের প্রার্দুভাবের কারণে শঙ্কায় পড়েছেন চাষিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় প্রায় এক হাজার ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। কুয়াশা ও তীব্র শীত থেকে রেহাই পেতে খামারিদের মুরগি রাখার স্থানে চারদিকে পর্দা দিয়ে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১০ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন। যাদের মধ্যে ২৩ জনই শিশু।
জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ৫৯ হাজার ১৪টি কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত নয়টি উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে ৫৬ হাজার ৫১৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।