শৈত্যপ্রবাহ
ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বেশ কিছুদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও কুয়াশা পড়ার কারণে বীজতলায় ঠান্ডা পানি জমছে। এই পানির কারণে চারা তুলনামূলকভাবে বড় হচ্ছে না।
বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। মৌসুমের শুরুতেই এমন হওয়ায় কৃষকেরা পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু কিছু স্থানে বীজতলা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে করে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে ধারণা করছেন তারা। ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। এ অবস্থায় জেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। সমস্যায় পড়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে কৃষকদের শুকনো, ভেজা, ভাসমান- তিন ধরনের বীজতলার বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে স্থান, জমি তৈরি, শেড তৈরি, সার প্রয়োগ, বীজ বপন, বীজ জাগ দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন কৃষকদের।’
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনো বীজ একটানা কত ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং কোন জায়গায় রাখতে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য তাদের দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভালো চারা উৎপাদনের জন্য বীজের ভ্রুণ জাগরিত বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে।’
সদর উপজেলার রুহিয়া রামনাথ এলাকার কৃষক সুধির রায় জানান, প্রত্যেক বছর তিনি কমপক্ষে দেড় একর (১৫০ শতক) জমিতে বোরো ধান লাগান। এ বছরও তিনি বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু তীব্র শীতে বেশিরভাগ চারা গাছ মারা যাচ্ছে।
শীতের প্রকোপে চারাগুলো বড়ো হচ্ছে না বলে জানান তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেলে চারা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান গ্রামের কৃষক সামশুল হক জানান, প্রত্যেক বছর তিনি প্রায় সোয়া দুই একর (২২৫ শতক) জমিতে বোরো ধান চাষ করে থাকেন। এ বছরও বোরো ধান রোপণের কাজ শুরু করবেন। আপাতত বোরো ধানের বীজতলা করেছেন, শীতের জন্য তিনিও সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বোরো ধানের আবাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ৮০ হেক্টর জমির। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
তিনি জানান, গত বছরে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে বেশ কিছু এলাকায় সামান্য কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার ক্ষতির খবর পাওয়া গেলেও, সেটি বড় সমস্যা নয়।
জেলার কৃষকদের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রশংসা করে জানান, বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের মতো বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
৯ মাস আগে
শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
সারাদেশে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ক্লাস শুরু হবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সময়সূচির এ পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে রজনীগন্ধা ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে আঞ্চলিক উপপরিচালকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত ২
৯ মাস আগে
রংপুর-রাজশাহী বিভাগসহ কয়েক জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অফিস
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁওয়ের বদলগাছী উপজেলা ও দিনাজপুরে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে আকাশপথে চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কবলে পড়ায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
৯ মাস আগে
কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলাজুড়ে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি এবং শুক্রবার সকালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গত ১০ থেকে ১২ বছরে জেলায় এত শীত পড়েনি। এ ধরনের তাপমাত্রা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে যে কোনো জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শীতের এমন পরিস্থিতিতে সব পেশা ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে কাজের অভাব, অন্য দিকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
কুড়িগ্রামের হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত ৮ থেকে ১০ বছরে কুড়িগ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। শীতের সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস।
তিনি আরও বলেন, এ বছর শীতের চিত্রটা ভিন্ন। আজও শুক্রবার সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, আমরা বয়স্ক মানুষ আমাদের হাঁটতে চলতে খুব সমস্যা হয়।
কাঁঠালবাড়ি সিনাই গ্রামের মোজা মিয়া বলেন, কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়ায় কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আজ শুক্রবারও ঠান্ডা খুব বেশি।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
তিনি আরও বলেন, হাত বরফ হয়ে যাচ্ছে। পানি, ইট, সিমেন্টের কাজ করা খুবই কষ্টের। নেই গরম কাপড়। কেউ একটা কম্বলও দিল না।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি পর্যবেক্ষনাগার ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অফিসটি।
১০ মাস আগে
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে বলেছে।
চলমান ঘন কুয়াশা ও শীতে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
১০ মাস আগে
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি প্রাথমিকভাবে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বরিশাল এবং ভোলাসহ উত্তরাঞ্চলকে প্রভাবিত করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই শীতের প্রভাব বিশেষভাবে দিনমজুর, শিশু ও বয়স্কদের ওপর পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে সারাদেশে তাপমাত্রার তারতম্য তুলে ধরা হয়েছে, বরিশালে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আর টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার মানদণ্ড অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে ধরা হয়। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও বৃদ্ধি পায়।
এই আবহাওয়ার ধরণটি মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাও বয়ে নিয়ে আসে, বিশেষত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং কিছু অঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, কোথাও কোথাও আকাশ আংশিক অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রায় সামান্য বৃদ্ধি প্রত্যাশিত, যদিও অনেক অঞ্চলে দিনে ঠান্ডা আবহাওয়া অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এই শৈত্যপ্রবাহে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাসিন্দারা হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মুখোমুখি হয়েছে। এটি সাধারণ জীবনযাত্রাকেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করেছে। হাড় কাঁপানো শীত থেকে জনগণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
১০ মাস আগে
দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল শনিবার দিনাজপুরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আর এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
এদিকে, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
চলমান ঘন কুয়াশা ও শীতে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
১০ মাস আগে
মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের কোথাও কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় টেকনাফে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মনোয়ার হোসেন জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং মঙ্গলবারের পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর বিভাগসহ ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে।
এতে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
১ বছর আগে
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা: ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কাঁপছে শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শুক্রবার সকাল থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা হালকা শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।
হিম-শীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শ্রীমঙ্গলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ যারা প্রতিদিন কাজ করে উপার্জন করেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অনেককে রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের গরম রাখতে দেখা গেছে। জরুরি অবস্থা না থাকলে বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, মৌলভীবাজারের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর বিভাগ; ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়াও, মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা নদী অববাহিকায় ঢেকে যেতে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, ‘অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১ বছর আগে