দুর্ভোগ
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: জামায়াত আমির
জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা জাতির ঘাড়ে এখনও বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
বিগত সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে নারীদের সবোর্চ্চ সম্মানের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সবাই মিলেমিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, যারা একদিন গর্ব করে বলতেন এ দেশে জালিম কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। দেশ থেকে জালিমদের বিতারিত করতে হবে। অথচ আজ তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।
জামায়াতের প্রধান বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকার দ্বারা নির্যাতিত। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নির্যাতিত ও মজলুম দল। এই দলের নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে জুলুম করে গুম, খুন করা হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পাঁয়তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
১ মাস আগে
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ; ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করায় শেরপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে ঢলের পানি কমলেও বন্যার্তদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে সদরের গাজীখামার থেকে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকায় নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে জিনিয়া বেগম নামে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এনিয়ে শেরপুরে চারদিনে দুই নারী ও এক শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি কিংবা উজানের ভারতীয় ঢল না নামলে নদ-নদীগুলোর পানি আরও কমবে এবং এক-দুই দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং ঢলের পানি নামার গতি ধীর হওয়ার কারণে গবাদি পশুসহ অনেকেই উঁচু রাস্তার ওপর অবস্থান করছেন এখনও। আবার অনেক জায়গায় বন্যার পানি কমতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বন্যার্তরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট মেরামত করে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে নগদ অর্থ সংকট এবং আয় উপার্জনের উপায় না থাকায় বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ছেন শেরপুরবাসী।
এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছেন খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস।
এদিকে ঢলের পানিতে শেরপুরের শিক্ষা ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৪১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলতি বন্যায় ৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। যার মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলাতেই বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হলো ৬৩টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, জেলার ৫ উপজেলায় সর্বমোট ৭৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০২টি। এর মধ্যে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; আরও ৮ ইউনিয়ন প্লাবিত
১ মাস আগে
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা, রোগীদের দুর্ভোগ
অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
এসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এতে করে হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এদিকে এই বিষয় সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সভা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর ছেলে মানিক। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর স্বামী ইরফান বলেন, আমার স্ত্রীর বুধবার সকালে ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব দায় নিতে হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সব কার্যক্রম চালু হবে।
হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
২ মাস আগে
কানাডায় ধর্মঘটে ওয়েস্টজেটের আরও ফ্লাইট বাতিল, দুর্ভোগে লক্ষাধিক যাত্রী
কানাডায় উড়োজাহাজ মেকানিকদের ধর্মঘটের কারণে রবিবার শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম উড়োজাহাজ সংস্থা ওয়েস্টজেট। একারণে কানাডার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ভ্রমণকারী তাদের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিষয়টির মিমংসার জন্য শ্রমমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ সত্ত্বেও প্রায় ৬৮০ জন কর্মী শুক্রবার কাজ ছেড়ে চলে যান। এসব কর্মী প্রতিদিন উড়োজাহাজ পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় মেরামত করেন।
ওয়েস্টজেট এয়ারলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ডিডেরিক পেন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিষয়টি মিমাংসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েস্টজেটকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘট ও শালিসি বৈঠক একই সঙ্গে চলতে পারে না। তাই এবিষয়ে সরকারের অবস্থানের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এটি এমন একটি বিষয় যা তারা সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অন্যান্য কানাডিয়ানের মতো আমরাও অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: চীনের সামরিক মহড়ার জেরে তাইওয়ানের বিমানের ফ্লাইট বাতিল
বৃহস্পতিবার থেকে ওয়েস্টজেট সোমবারের পর্যন্ত নির্ধারিত ৮২৯টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। অথচ এটি মৌসুমের ব্যস্ততম ভ্রমণ সপ্তাহ।
রবিবারের বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল কারণ ওয়েস্টজেটের ১৮০টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৩২টি চালু রয়েছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে স্ত্রী ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে অপেক্ষা করছিলেন আলবার্টার লেথব্রিজের বাসিন্দা টেম্পল-মুরে। তিনি বলেন, 'আমাদের শুধু অপেক্ষা করতে হবে।’ তারা ক্যালগেরিতে যেতে একটি উড়োজাহাজের ফ্লাইটের চেষ্টা করছিলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের তাদের যে ফ্লাইট ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতেন না, পরের দিন সকাল ৭টার নির্ধারিত ফ্লাইটটিও যাবে কি না।
টার্মিনালের দিকে আঙুল দেখিয়ে টেম্পল-মারে বলেন, 'ওখানে অনেক ক্ষুব্ধ মানুষ আছে।’
দশম গ্রেডের এক্সচেঞ্জের শিক্ষার্থী মেরিনা সেব্রিয়ান জানান, রবিবার ভোরে তার স্পেনে ফেরার কথা থাকলেও তিনটি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক। সাত ঘণ্টা আগের মতো আজও আমার বাসায় থাকার কথা ছিল, কিন্তু আমি নেই।
ওয়েস্টজেট ও এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্র্যাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন উভয়ই অন্য পক্ষকে বিশ্বাস করে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করার অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন-ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
৪ মাস আগে
শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে এবং অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁওয়ের দেবীপুরে সফিউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের গরম কাপড় বিতরণকালে ফারুক হাসান এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দেশ-অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ বিজিএমইএ সভাপতির
তিনি বলেন, যদিও আমরা অনেকেই সৌভাগ্যবান যে আমরা শীতের দিনগুলোতে গরম পোশাক পরিধান করে শীতকালের সৌন্দর্য উপভোগ করি, এমন অনেকেই আছেন, যারা প্রচণ্ড ঠান্ডায় পর্যাপ্ত পোশাকের অভাবে তীব্র কষ্টে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এসব হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষেরা যাতে করে এই তীব্র ঠান্ডায় কষ্ট না পান, তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
তিনি সমাজের সামর্থ্যবান, বিত্তশালী, ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা তাদের স্বল্প ব্যবহৃত বা নতুন গরম কাপড় সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্রদের দান করে আর্তমানবতার সেবায় অবদান রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে: বিজিএমইএ পরিচালক
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষজন। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠাণ্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের দিনমজুর মনসুর আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ কম্বল দেয় নাই। কম্বলের খুব দরকার।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদী ও চরাঞ্চল। সবচেয়ে শীত অনুভূত হয় এখানে। সরকারিভাবে এখনো কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। শীত বস্ত্র পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরো কমেএই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
১১ মাস আগে
ভ্রমণকালে দুর্ভোগ কমাতে এলো শেয়ারট্রিপের ফিচার
ভ্রমণ প্রেমীদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে জনপ্রিয় ট্র্যাভেল-টেক প্রতিষ্ঠান শেয়ারট্রিপ তাদের প্ল্যাটফর্মে সম্প্রতি যুক্ত করেছে অভিনব সব ফিচার।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ট্র্যাভেল ই-সিম, স্মার্ট ডিলে, ফ্লাইট অ্যালার্টস আর ফ্লাইট কম্পেনসেশনের মতো নতুন ফিচারগুলো ভ্রমণকালে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগ এড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি শেয়ারট্রিপ ব্যবহারকারীদের ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
আরও পড়ুন: দারুণ সব অফারসহ শেয়ারট্রিপ এর ৫ লাখ ডাউনলোড উদযাপন!
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ সুবিধা উপভোগের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের কার্যকরী সমাধান হতে পারে শেয়ারট্রিপের ট্র্যাভেল ই-সিম।
যাত্রা শুরুর আগে যেকোনো সময় ব্যবহারকারীরা ই-সিম ইনস্টল করে নিতে পারবেন। তাদের পছন্দের গন্তব্য এবং ভ্রমণকাল অনুযায়ী সার্ভিসটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ভ্রমণের সময় ফ্লাইট দুই ঘণ্টার দেরি হলে স্মার্টডিলে সুবিধার আওতায় শেয়ারট্রিপ ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে এয়ারপোর্টে লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
যাত্রাকাল থেকে অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে নিবন্ধন সাপেক্ষে ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা পাবেন। শেয়ারট্রিপ থেকে তাদের একটি লাউঞ্জকি ভাউচার দেওয়া হবে। এটি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩ হাজারেরও বেশি এয়ারপোর্টে লাউঞ্জ সুবিধা পাওয়া যাবে।
ভ্রমণকারীরা যেন ফ্লাইটের সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করবে শেয়ারট্রিপের নতুন সুবিধা ফ্লাইট অ্যালার্ট।
এর মাধ্যমে যাত্রা শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে ব্যবহারকারীদের জন্য ট্র্যাকিং নোটিফিকেশন চালু হয়ে যাবে।
ই-মেইল ও এসএমএসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফ্লাইটের সময়সূচি সংক্রান্ত হালনাগাদ করা তথ্য জেনে নিতে পারবেন। ফলে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করাও সহজতর হয়ে উঠবে।
কোনো কারণবশত ফ্লাইট দেরি, বাতিল বা ওভারবুক হয়ে গেলে শেয়ারট্রিপের নতুন ফিচার ফ্লাইট কম্পেনসেশন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ৬০০ ইউরো পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।
এছাড়াও মালামালের ক্ষতি (ভেঙে গেলে, হারিয়ে গেলে, নষ্ট হলে বা পেতে দেরি হলে) এর জন্য ১ হাজার ২৫০ ইউরো পর্যন্ত এবং ফ্লাইটে যেকোনো সমস্যা বা বাধার সম্মুখীন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ হাজার ৪০০ ইউরো পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।
গ্রাহকদের নতুন এই সার্ভিসগুলো প্রদানের ক্ষেত্রে শেয়ারট্রিপকে সহযোগিতা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ট্র্যাভেল সাপোর্ট সিস্টেম ট্রিপঅ্যাড।
এ প্রসঙ্গে শেয়ারট্রিপের ক্যাম্পেইন, প্রোডাক্ট, পার্টনারশিপ অ্যান্ড লয়্যালটির সিনিয়র ম্যানেজার নাফিজ চৌধুরি বলেন, ‘ভ্রমণকারীরা টুকটাক সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু শেয়ারট্রিপের মাধ্যমে আমরা ছোটখাট সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি উদ্ভাবনী আর সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য সবসময়ই বিশেষভাবে মনে রাখার মতো কিছু করতে চাই। ট্রিপঅ্যাডের সঙ্গে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা এবারে কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করেছি। যা ব্যবহারকারীদের মনে রাখার মতই সার্ভিস দেবে। এর মাধ্যমে দেশে ভ্রমণ অভিজ্ঞতার উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা অর্জন করল শেয়ারট্রিপ।’
দেশের অন্যতম শীর্ষ ট্র্যাভেল-টেক প্ল্যাটফর্ম শেয়ারট্রিপ অ্যাপ এ পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজার বারেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
প্ল্যাটফর্মটির নানা ধরনের সার্ভিসের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন ৩০ লাখেরও বেশি গ্রাহক।
আরও পড়ুন: শেয়ারট্রিপের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এসটি পে চালু
ই-সিএমএ বাংলাদেশ ২০২৩-এ ‘বেস্ট ট্রাভেল টেক প্ল্যাটফর্ম’ স্বীকৃতি পেল শেয়ারট্রিপ
১১ মাস আগে
মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
বর্তমান বিশ্বে অভিবাসন সমস্যা ক্রমেই জটিল হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার ইস্যুতে সোচ্চার বলে দাবি করা দেশগুলো প্রায়ই তাদের নিজেদের ভূখণ্ডে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিষয়ে 'নীরব থাকে বা অস্বীকার' করে যা, অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, 'বিশ্বজুড়ে আমরা সীমান্তে দেয়াল, জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন, সমুদ্রতীর এলাকায় বন্দিশালা, সমুদ্রে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ, নির্বিচারে অভিবাসন চর্চা, আন্তঃদেশীয় অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক ইত্যাদির অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বাস্তবতা দেখেছি।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) জন্য জাতীয় প্রস্তুতিমূলক পরামর্শের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুস সাত্তার এসোয়েভ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব আহমেদ মুনিরুস সালেহীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) ২০২২-২০২৩ সালের সভাপতি হিসেবে কাজ করা ফ্রান্স ২০২৪ সালের ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি জেনেভায় জিএফএমডির ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
১ বছর আগে
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ও শ্রমিকেরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সকালে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহগামী কয়েকটি বাস এলেও পরে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব প্রকার যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রয়েছে। তবে সকালে মাসকান্দা বাস টার্মিনালটিতে ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের ভিড় হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁ থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে পরিবহন মালিকরা বলছেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিবহন ভাঙচুরের ভয়ে তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। তবে বিছিন্নভাবে কিছু বাস চলাচল করছে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী বাসও চলাচল করছে অনেক কম। তবে জেলার অন্য রুটেও বাস চলাচলও সীমিত রয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রী প্লাবণ বলেন, জরুরি প্রয়োজনে আমার ঢাকা যাওয়া জরুরি ছিল কিন্তু বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আমি যেতে পারছি না।
নেত্রকোনার থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, আমি ঢাকায় যাওয়ার জন্য আসছি। এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ এখন উপায় না দেখে ফিরে যাচ্ছি। আমার মতো শত শত যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, বাস মালিকদের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারা বলছেন- রাস্তায় যদি ভাঙচুর হয় তাহলে এর দায় কে নেবে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাস চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে বাস মালিক ও শ্রমিকরা নিজ থেকে পরিবহন বন্ধ রেখেছে। তবে বিছিন্নভাবে কিছু বাস চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধের জেরে নাটোর-রাজশাহী রুটে উভয় জেলার বাস চলাচল বন্ধ
রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে ঢাকা-পটুয়াখালীর ৪ উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে ঈদযাত্রীরা
১ বছর আগে
চবির শাটল ট্রেন বন্ধ, দুর্ভোগে হাজারো শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলন্ত শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে রানিং স্টাফরা।
নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ট্রেন না চালানোর কথা জানিয়েছেন তারা।
এর ফলে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চবি ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর আমাদের ২ লোকমাস্টারকে (এলএম) লাঞ্ছিত করা হয়েছে। যেহেতু তাদের নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে তাই আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
তিনি বলেন, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে। তারা যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে তাহলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে শাটল টেন বন্ধ থাকার কারণে চবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য বটতলী রেলস্টেশন থেকে ৩টি এবং ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে ৫টি বাসের ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে ভিন্ন যানবাহনে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেন।
চবি শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে ট্রেন বন্ধ হবে আমরা কেউ জানি না। সকালে বটতলী রেলস্টেশন এসে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই রেলওয়ে শ্রমিকরা নাকি ধর্মঘট ডেকেছে।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, শাটল ট্রেন চালু করতে আমরা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৈঠক চলমান রয়েছে। আশা করি বিষয়টির সমাধান এবং দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এ সময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য উপাচার্যের নির্দেশে কয়েকটি বাস দিয়েছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে বসে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চৌধুরীহাট এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৬ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জেরে ওইদিন শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছালে লোকমাস্টারদের লাঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন এলাকার স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের বেশ কয়েকটি ছোট-বড় গাড়ি।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
১ বছর আগে