এ বিষয়ে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে।
রায়ে ইংল্যান্ডের একটি ও বাংলাদেশের লিবার্টি ফ্যাশনের রায়ের নীতি বিবেচনায় এ ক্ষতিপূরণের রায় প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালত বলে, দুই নারীকে আবুধাবি এয়ারপোর্টে যে ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছে তা অর্থদণ্ডে পরিমাপ করা যায় না। আদালত ‘নেগলিজেন্স ও টর্ট’ আইনের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণের রায় প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে।
এছাড়া, আদালত ইত্তেহাদ এয়ারলাইনসকে সতর্ক করে যেন জেন্ডার বা শরীরের রঙ বিবেচনায় ভবিষ্যতে কোনো যাত্রীর সাথে এ রকম আচরণ করা না হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ এবং অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল। ইত্তেহাদের কান্ট্রি ম্যনেজারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজমালুল হোসেন কিউসি ও মো. আজিজ উল্লাহ ইমন।
বাংলাদেশি দুই নাগরিককে ২০১১ সালের ২৮ জুন আবুধাবি এয়ারপোর্টে হয়রানি, নির্যাতন ও আটকের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইত্তেহাদ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন যাত্রী তানজিন। রিটে পররাষ্ট্র সচিব, সিভিল এভিয়েশন সচিব ও চেয়ারম্যান, এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইত্তেহাদের অপারেশন ম্যানেজার ও কান্ট্রি ম্যানেজারসহ মোট সাতজনকে বিবাদীরা করা হয়।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেয়। এরপর দীর্ঘদিন রুল শুনানি শেষে এটি বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য নির্ধারিত ছিল।