বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার। বিচারক এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
এদিকে ইরফান সেলিম ও তার সহযোগী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে।
চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে বুধবার ভোরে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মামলা দায়ের করেছেন বলে থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক শাহ নেওয়াজ জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার অবৈধভাবে রাখা বিপুল সংখ্যক ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ পাওয়া যাওয়ায় ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে আরও ৪ মামলা
র্যাবের অভিযানের সময় ইরফানের বাসায় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও মদ জব্দ করা হয়।
রবিবার রাতে ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ইরফান ও তার সহযোগীরা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর নীলখেত থেকে কিছু বই কিনে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজেদের মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। পথে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতারের কাছে একটি প্রাইভেটকার তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরবর্তীতে প্রাইভেটকার থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে ওয়াসিফকে মারধর ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন।
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।