অভিযান ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিন সকাল ৯টা হতে ১২টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। মাঝে ৬ নভেম্বর শুক্রবার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এ সময় পরিচ্ছন্নতা এবং মশক নিধনের পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। বিগত দিনে পরিচালিত চিরুনি অভিযানে যেসব বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল তার তালিকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অ্যাপে সংরক্ষিত আছে। এবার সেই তালিকা ধরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং কারও বাড়ির আশপাশে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডেঙ্গু সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং অভিযান সম্পর্কে নগরবাসীকে অবহিত করতে ইতোমধ্যে ডিএনসিসির সর্বত্র মাইকিং করা হয়েছে বলে সংস্থার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অভিযান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, গণমাধ্যম কর্মী এবং ডিএনসিসির সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি অভিযান চলাকালে কাউন্সিলরদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
কাউন্সিলরদের নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় মেয়র বলেন, ‘চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যেকোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে অবশ্যই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে।’
এছাড়া, শনিবার রাতে নগরবাসীর উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় মেয়র বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অসময়ে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত এবং উচ্চ তাপমাত্রার জন্য হঠাৎ করে নগরে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যদিও উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা অল্প তথাপি আমরা এ সমস্যাটাকে খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
এদিকে, মশক নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি দেশের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র সংস্থা হিসেবে চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড নোভালিউরন ব্যবহার শুরু করেছে। এ সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব এবং কার্যকর লার্ভিসাইডটি একবার ব্যবহার করলে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মোট ৪০ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে এসব কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে পারবেন।