ডিএনসিসি
ডিএনসিসি’র সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতিটি বস্তি এবং মার্কেটে আগুন নেভাতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘'২০২১ সালে যখন সাততলা বস্তিতে যখন আগুন লাগে, তখন আমি বলেছিলাম এখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে।আগে আমাদের কোনো বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারিনি। সাততলা বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও বসানো হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ফায়ার হাইড্রেন্টে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এই পানি অন্তত ৪০ মিনিটের জন্য ফায়ার সেফটি করতে পারবে। ৪০ মিনিট যদি আমরা টিকে থাকতে পারি, আর রাস্তা যদি খালি থাকে তাহলে কোন ক্ষতি হবে না।
তিনি বলেন, সাততলা বস্তি ফায়ার সেফটির জন্য একটি মডেল। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তি গুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।'
মেয়র বলেন, 'জনবসতি জায়গায় ফায়ার হাইড্রেন্ট ও ফায়ারড্রিল লাগবে। আগুন লাগলে কারা ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করবে সেই ভলান্টিয়ার লাগবে। আমরা সাততলা বস্তিতে ১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই সতেরো জন স্বেচ্ছাসেবক এটি ব্যবহার করবে। তারা অন্যদের শিখিয়ে দিবে।
আরও পড়ুন : জননিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো প্রকল্প চলতে দেয়া হবে না: আতিকুল
ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহারের জন্য ফায়ার কি কি থাকবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, 'এখানে একটি চৌবাচ্চা, হোস পাইব ও ১৭ জন ফায়ার ও ফায়ারড্রিল কর্মী থাকবে। এখানে আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ঘন্টা বেজে উঠবে। ফায়ার এলার্ম বাজবে। এই বস্তির মধ্যে ফায়ার এক্সিট দেখানো হয়েছে। আগুন লাগলে কি করবে ও প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি ট্রেনিং দিয়ে দেওয়া হয় ইমারজেন্সি সময় কে কোন দিক থেকে বের হবে তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি মডেল। এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে। এখানে ৬০ হাজার লিটার পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ হাজার লিটার পানি থাকবে রিজার্ভ ও ২০ হাজার লিটার পানি থাকবে গৃহস্থালি কাজের জন্য।'
তিনি বলেন, 'ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেটগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্টসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মহাখালী কাঁচাবাজারকে মডেল হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে অন্য সব মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।'
আগুন লাগলে মোবাইলে সেলফি না তুলে রাস্তা খালি করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি মেহেরবানি করে বলবো, আগুন যখন লাগবে, তখন সেলফি তোলার দরকার নেই। আপনাদের কাজ হচ্ছে রাস্তা খালি করে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া।'
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'সম্প্রতি গুলশানে আগুন যখন লাগলো সবাই দেখি সেলফি তুলছেন, রাস্তা তখন বন্ধ। রোড ব্লক করে দিয়ে বলছেন দেখি না কি হয়। দেখি না কি হয় ভাববার সময় তখন না। আগুনে যারা আটকা পরেছেন তাদের উদ্ধারে আশপাশের ছোট রোড খালি করে দিতে হবে। রাস্তা খালি না থাকলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কিভাবে আসবে। আগুন নিভানোর যন্ত্রাংশ কিভাবে আসবে। ওখানে ২১ জন মানুষ ছিল তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছিল। আমি নিজে গিয়ে চিল্লাচিল্লি করে রাস্তা খালি করেছি।'
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
শহরে খাল জলাশয় দখল হয়ে গেছে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'যখন আগুন লাগে তখন পানি তো নেই। পানি নাই পানি নাই হাহাকার কারবালার প্রান্তর হয়ে গিয়েছে। আমাদের খাল, জলাশয় দখল করে বিল্ডিং করা হয়েছে। তাই পানি নেই। জলাধার, মাঠ বাড়াতে হবে। গাছ লাগাতে হবে। খালে পানি থাকলে, বেশি গাছ থাকলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মাঠ থাকলে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ হবে।'
ইউএনডিপি'র এলআইইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় ও ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্বাহী পরিচাল ড. দিবালোক সিংহ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ প্রোগ্রাম এন্ড পলিসি এডভোকেসি পার্থ হেফাজ শাইখ, জাতিসংঘ কর্মসূচি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন, ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আমেনা বেগম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
রবিবার (২৬ মার্চ) মিরপুরে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে ‘এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক এবং মুক্তির সবুজায়ন’- শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে দেখেছি এই জায়গাটা নেশার ও ময়লার অভয়ারণ্য ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি সিটি করপোরেশন থেকে পরিত্যক্ত এই জায়গাটিকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি।
এখন এ এলাকার জনগণের দায়িত্ব হবে জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করা।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিক
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রু ছিল। আর এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রু।
তিনি বলেন, এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে হলে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নাই। খেলার মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
এদিকে মাঠ ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মেয়র।
ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেয়ালে লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যহত হচ্ছে।
তাই নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পরছে। ঢাকা শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পরে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
রমজানে বাজার কঠোর মনিটরিং করবে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখতে কঠোর মনিটরিং করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশে দেখেছি অন্য সময়ের তুলনায় বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসবের সময় পণ্যদ্রব্যের দাম কমে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের শপথ গ্রহণ
এ বছর রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের অহেতুক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে গুলশান ডিএনসিসির নগর ভবনে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখা এবং বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামকে আহ্বায়ক করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে একটি বাজার মনিটরিং কমিটি করা হবে। পুরো রমজান মাসজুড়ে এই কমিটি বাজারগুলো মনিটরিং করবে। রমজানে জনগণের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া আমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আপনারা দয়া করে ভেজালমুক্ত, সঠিক ওজন ও টাটকা পণ্য সরবরাহ করবেন।
মেয়র আরও বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের অবগতির জন্য ডিএনসিসির সাতটি মার্কেটে মূল্য তালিকাসহ প্রতিটি (১০x৬) ফুট সাইজের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে দেয়া হবে।
এছাড়াও প্রতিটি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বাজারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে প্রবেশের ও প্রস্থানের রাস্তাগুলোতে মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মালিকানাধীন মার্কেট ও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ডিএনসিসিকে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক
রাজধানী ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, খালের পাশে ওয়াকওয়ে তৈরি এবং ইলেকট্রিক বাস কেনায় অর্থায়ন করতে সম্মতি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
যাত্রী ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় থাকা মিরপুর-১২ থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনকে সমন্বিত যোগাযোগ কেন্দ্র বানাতে ইন্টিগ্রেট করিডোর ম্যানেজমেন্ট (আইসিএম) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কাজ করবে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (১৩ মার্চ) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার গুয়াংজে চেন এর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মনোনীত প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গকে স্বাগত জানিয়েছে
প্রজেক্ট সম্পর্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি দলে থাকা উত্তর সিটির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মেট্রোরেলের নিচের রাস্তার উন্নয়ন হলেও মেট্রোরেল স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলো দিয়ে আসা-যাওয়ার জন্য এখনও তেমন ভালো কোনও ব্যবস্থা নেই। কিন্তু,পৃথিবীর উন্নত শহরে মেট্রোস্টেশনে যাত্রীদের আসা-যাওয়ায় সমন্বিত করিডোর ব্যবস্থাপনা থাকে। সেই আদলে ঢাকার মেট্রো স্টেশনগুলোকে বহুমুখী যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদনের কথা রয়েছে। এতে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক।'
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ট্রান্সফরমিং ট্রান্সপোর্টেশন ২০২৩ সম্মেলনে ঢাকার বাস্তবতায় আগামীর গণপরিবহন নিয়ে বক্তব্য রাখবেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এতে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে মতামত রাখবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের ট্রান্সফর্মিং ট্রান্সপোর্টেশন এর ২০তম সম্মেলন উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে একটি দল ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের নতুন নেতৃত্বকে অবশ্যই জলবায়ুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখতে হবে: ভি২০
মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এতো দিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। তাই অতিদ্রুত ডিএনসিসি মশার প্রজাতি চিহ্নিত করতে একটি ল্যাব স্থাপন করতে চাই।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে তাদের ল্যাবেই মশার জীবন প্রকৃতি নির্ণয়ে কাজ করা যেতে পারে। আর ফগিংয়ে অর্থ অপচয় না করে লার্বিসাইডিংয়ে মনোযোগী হতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের আয়োজনে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল’ ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএলডিপি) আমন্ত্রণ ও অর্থায়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি দল ফ্লোরিডা সফর করে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান মেয়র আতিকের
সফরকালে মশক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির অভিজ্ঞতা হাতে কলমে শিখিয়ে দেন মিয়ামি ডেড কাউন্টির বিশেষজ্ঞরা। আর মশা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের এই সফল কার্যক্রম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, মিয়ামি থেকে যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে সেটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিএনসিসিকে মশক মুক্ত রাখতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে তাদের সিডিসির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের দেশের কীটত্ত্ববিদদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করবো। তারা আসলে কিভাবে সফল সেটি কিভাবে ঢাকাতে প্রয়োগ করা যায় তার কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, আমরা দেখেছি মিয়ামি আর ঢাকার আবহাওয়া এবং মশার ধরণ একই। তাই তারা সফল হলে অবশ্যই আমরা সফল হবো। এখন আর পিছিয়ে থাকার সময় নেই। উন্নত দেশ তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে ঢাকাকেও মশামুক্ত করা সম্ভব। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিএলডিপি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে ফিল্ড ভিজিট ও কর্মশালায় তথ্য উপাত্ত তুলে ধরার মাধ্যমে ডিএনসিসি প্রতিনিধি দলকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছে মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
কর্মশালায় তুলে ধরা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি শহরে প্রায় ৫২ প্রজাতির মশার অস্তিত্ব রয়েছে। ফলে বছরের ৩৬৫ দিনই মশাবাহিত রোগ যেমন- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় শহরটিতে।
রাজধানীর ঢাকার আবহাওয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেটের মিয়ামি ডেড কাউন্টির বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। সেখানকার তাপমাত্রা গড়ে ১৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রীতে উঠানামা করে। মাঝে মাঝে ভারি বৃষ্টিপাতও হয়ে থাকে। ফলে এডিসবাহিত ডেঙ্গুসহ সব ধরণের মশাবাহিত রোগের উর্বর ক্ষেত্র হতে পারত মিয়ামি। কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে মশাবাহিত রোগ পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।
মিয়ামিতে মশা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে মশার প্রজাতি নির্ণয়। কেননা মশার ধরন বুঝে ওষুধ স্প্রে করতে পারলেই কেবল মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।
অন্যথায় প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ফগার স্প্রে করে কোনভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি শহরের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ডিএনসিসিতে কাজে লাগাতে চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মিয়ামি ডেড কাউন্টি যেভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করে-
প্রথমত তারা মশার প্রজনন স্থল খুঁজে বের করতে একটি টিমকে দায়িত্ব দিয়ে থাকে। তারা খুঁজে খুঁজে মশার প্রজনন স্থল থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা ও মশার ডিম সংগ্রহ করে তাদের ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়। ল্যাবে থাকা বিশেষজ্ঞরা সেই মশা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রজাতি পৃথক করে দেন।দেখা যায় এক জায়গায় কিউলেক্স বেশি তো আর এক জায়গা এডিস মশা বেশি। আবার অন্য জায়গায় পাওয়া যায় ইজিপ্ট মশা। এভাবে মশার প্রজাতিত নির্ণয় করা থাকে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিককে কিরগিজিস্তানের সম্মাননা
মিয়ামির ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষের দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫২ প্রজাতির মশা রয়েছে। প্রজাতি চিহ্নিত করতে পারলেই মশা নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপ শেষ হয়। মশার ধরণ বুঝে পরিমিত ওষুধ স্প্রে করার মাধ্যমে স্ব স্ব প্রজাতির মশা ধ্বংস করা হয়। তারা ফগিংকে গুরুত্ব না দিয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন লার্বিসাইডিংকে। তাদের মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মোট বাজেটের ৮০ ভাগই খরচ হয় লারবিসাইডিং কার্যক্রমে। তাদের দাবি ফগিং পুরনো পদ্ধতি। এটি দিয়ে মশা কখনও মরে না। তাই মশা নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হয় না। যেকারণে তারা মশার প্রজনন স্থান চিহ্নিত করে সেখানে লার্বিসাইডিং কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আর কীটনাশকেও পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন।
দেশে সাধারণত টেমিফস্ট ও নোভারিয়ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন এই ওষুধ ব্যবহার করার ফলে সেখানে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
যুক্তরাষ্ট্রে বেশি ব্যবহৃত হয় বিআইটি। মিয়ামিতে যে ল্যাব রয়েছে সেটি খুব বড় কোন জায়গা নিয়ে নয়। মাত্র ৫০ বর্গফুটের দুটি রুমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে মশার জীবন চক্র নির্ণয় করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
কীটনাশক ব্যবহারে তারা মানুষের ব্যবহার কমিয়ে যন্ত্রের উপর নির্ভরশীলতা দেখিয়েছেন। এখানেও রয়েছে ভিন্নতা। তাদের দাবি মানুষের মাধ্যমে কীটনাশক মিশ্রণ ঘটালে কমবেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যন্ত্রের মাধ্যমে সঠিক পরিমাণের কীটনাশক মিশিয়ে একটি গাড়ির মাধ্যমে খোলা জায়গায় স্প্রে করে থাকে। গাড়িটির স্প্রে যন্ত্র ১০০ ফুট ওপরে ও ডানে বামে ঘুরিয়ে স্প্রে করার সক্ষমতা রাখে। এতে কীটনাশকের পরিমিত ড্রফলেটটি মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পড়ে। মজার বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কর্তৃপক্ষের হাতে।
মশক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা ও ফিল্ড পরিদর্শনে সহায়তা করেন দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের অপারেশন ম্যানেজার উসিক উনলু ও পরিচালক ড. উইলিয়াম ডি পেট্রি।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর, ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি ও মিতু আক্তার, ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত প্রমুখ।
ডিএনসিসি’র অভিযান চলাকালীন ভবন থেকে লাফিয়ে তরুণীর মৃত্যু
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অভিযান চলাকালীন বুধবার গুলশানের একটি ভবন থেকে লাফ দিলে এক তরুণীর মৃত্যু হয়।
ফারজানা বেগম (১৮) খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বাসিন্দা জাহিদ হাসানের স্ত্রী। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর খিলক্ষেতে থাকতেন।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনার সময় স্পা সেন্টারের একটি ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে গুরুতর আহত দুই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা!
ফারজানাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি।
অভিযানে অংশ নেয়া একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএনসিসির একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই নারীরা পড়ে যান।
ফারজানার স্বামী জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে তার স্ত্রী ও তার বড় বোন আফসানা স্পা করার জন্য বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি জানতে পারেন যে ফারজানা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং তার বড় বোনকে থানায় আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোবাইল না কিনে দেয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা!
যশোরে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের কোনো জায়গা কিন্তু মালিক ছাড়া নেই। ঢাকার প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। অতএব মালিক বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে কিউলেক্স মশার প্রকোপ-নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবনে ভবনে কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চত করার নির্দেশনা ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র আতিক বলেন, আমি সবাইকে সাত দিন সময় দিচ্ছি। সাত দিন পর আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবো। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবেন। কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না। নিয়মিত মামলা দেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতে মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।
মেয়র বলেন, শুধু কিউলেক্স মশা নয়। এডিস মশা এখনো রয়েছে। আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম ও অভিযান চলমান। দুই ভবনের মাঝখানে খালি জায়গায় অনেকে ময়লা ফেলে দেন। দয়া করে এটি বন্ধ করুন। স্থানীয় জনগণ ও হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বন্ধে কাজ করুন। অনেক হাউজিং সোসাইটি মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন কিনেছেন। আমরা সেসব সোসাইটিকে ডিএনসিসি থেকে বিনামূল্যে মশার ওষুধ সরবরাহ করবো।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি বৃষ্টির পানি নামার সারফেস ড্রেনে দিয়ে শহরের খাল ও জলাশয় দূষণ করছে। আমরা বার বার বলেছি প্রতিটি ভবনে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় আমাদের বর্জ্যবিভাগ থেকে ইতোমধ্যে সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেছে। ৪ জানুয়ারি এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিরা।
এসময় ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগকে সব সংস্থা ও হাউজিং সোসাইটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পহেলা জানুয়ারি থেকে এক বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে একটি ক্যালেন্ডার প্রনয়ণের নির্দেশ দেন তিনি।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ডিএনসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনে ভবনে কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চত করার নির্দেশনা ডিএনসিসি মেয়রের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রত্যকটি বহুতল ভবনের মানসম্মত কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকার জোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি ও জীবন বাঁচাতে বড় আকারের পূর্বপ্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। নানা কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটতেই পারে কিন্তু আমরা যদি নির্বাপনের জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকি দিন শেষে ক্ষয়ক্ষতি আমাদেরই হবে। আগুনে পুড়ে মানুষের মত্যুর মিছিল দেখতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাপন ব্যবস্থা থাকলেই হবে না। নির্বাপন ব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও ইলেকট্রনিক্স সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইস্সাব) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অগ্নিনিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জসমূহ’ শিরোনামের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিখাত গার্মেন্টস শিল্পে কর্মীদের অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত কঠোরভাবে মানা হয়। যে নিরাপত্তা কমপ্লায়েন্স গার্মেন্টস শিল্প মানতে পারবে সেটা কেনো সিটি কর্পোরেশন এলাকার বহুতল ভবনগুলি মানতে পারবে না? সবার জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সবাইকে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।'
এ সময় তিনি বহুতল ভবনগুলির চাকচিক্যের পাশাপাশি বিল্ডিং কোড, ফায়ার সেফটিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা জনিত বিষয়গুলি গুরুত্বসহকারে নিশ্চিত করার কথা বলেন।
তিনি বলেন, '২০ ফিটের কম প্রশস্ত রাস্তা হলে দুর্ঘটনা পরবর্তী কার্যক্রম চালানো ব্যহত হবে। কোনো ধরনের উদ্ধার সরঞ্জাম বা গাড়ি ওই এলাকায় প্রবেশ করতেই পারবে না। তাই ২০ ফিটের কম প্রশস্ত রাস্তা হলে সিটি কর্পোরেশন তা উন্নয়নের জন্য কোনো বরাদ্দ দেবে না।'
আলোচনায় ডিএনসিসি মেয়র সব ভবনের পাশাপাশি যে কোনো অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সময় করণীয় নির্দেশনা, ফায়ার সেফটির সম্পর্কে শিক্ষাসহ সিনেমা হলগুলোতে সিনেমা শুরুর আগে এবং বিরতির সময় ফায়ার সেফটি বিষয়ক জনসচেতনামূলক তথ্য চিত্র প্রদর্শনের বিষয়টি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কারের নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
বিশ্বকাপের সব খেলা বড় পর্দায় দেখাবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মাঠে একসঙ্গে সবাই মিলে খেলা দেখার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ফলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ডিএনসিসির সব এলাকায় মাসব্যাপী বিশ্বকাপের সব খেলা বড় পর্দায় (ডিজিটাল স্ক্রিন) দেখানো হবে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর ২০২২) বিকালে মিরপুর ১১নং সেকশনের প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর খেলা বড় পর্দায় (ডিজিটাল স্ক্রিন) মাসব্যাপী প্রদর্শনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, দলবেঁধে খেলা দেখার আনন্দ অনেক বেশি। সবার আনন্দের কথা চিন্তা করে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছি। অনেকে অফিস থেকে ফেরার পথেই খেলা দেখার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: ৪০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া: ডিএনসিসি এলাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি এলাকায় নয়টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হচ্ছে। স্থানগুলো হলো-
১)রবীন্দ্র সরণি, উত্তরা
২)মানিক মিয়া এভিনিউ
৩)মুজিব চত্ত্বর, হাতিরঝিল, মধুবাগ
৪) নগর ভবন, গুলশান-২
৫)বছিলা, মোহাম্মদপুর (লাউতলা খাল সংলগ্ন)
৬)প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠ
৭)কাচকুড়া কলেজ মাঠ
৮)শ্যামলী পার্ক
৯) খিলগাও তালতলা মার্কেট
আরও কয়েকটি স্থান নির্বাচন করে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার কথা শোনার জন্য আমি প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছি। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি শোনার জন্য আমি নিজে তাদের কাছে যাচ্ছি। জনগণের দাবি পূরণ করে ও সমস্যা সমাধান করে সুন্দর নগর গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। জনগণকে সম্পৃক্ত করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।'
শিশুদের খেলাধূলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে যেমন প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা, তেমনই প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ শহরে প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ নেই। চারপাশে শুধু ভবন নির্মাণ হচ্ছে। শুধু ভবন নির্মাণ করলে হবে না। শিশুদের বিকাশের জন্য খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ছোট শিশুদের কথা চিন্তা করতে হবে। শিশুরা যখন খেলার মাঠের জন্য অনশন করে সেটা সত্যি দুঃখজনক। মাঠের অভাবে তারা খেলতে পারে না। মানুষ হাঁটার সুযোগ পাচ্ছে না। ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাঠের জায়গায় প্লট এটা মানা যায় না। এই প্যারিস রোড মাঠে শিশুরা উৎসবমুখর পরিবেশে আজকে খেলা দেখছে। এবং প্যারিস রোডের এই মাঠে শিশুরা খেলবে। এই স্থানটি মাঠ হিসেবেই থাকবে।
বড় পর্দায় সরাসরি খেলা প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র শিশুদের সঙ্গে মাঠে বসে আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরবের খেলাটি উপভোগ করেন এবং শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বড় পর্দায় মাঠে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে খেলা দেখার কারণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুদের আনন্দের কথা ভাবতে হবে। তাদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্যারিস রোড মাঠ প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এখানে কিছুতেই প্লট বরাদ্দ দেয়া যাবে না। প্লট যারা পেয়েছিলেন তাদের জন্য অন্য জায়গায় প্লটের ব্যবস্থা করা হবে। এটি খেলাধুলার জন্য মাঠ হিসেবেই থাকবে।
৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
রায়েরবাজারে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
রায়েরবাজারে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে রায়েরবাজারে অবস্থিত সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পরিত্যক্ত বাজার থেকে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে ৫ নং জোনের জোনাল অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজার থেকে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০০৬ ও ২০১৯ সালে পরিত্যক্ত বাজারের সামনে এবং এর ভেতরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে।
বারবার অভিযান চালানোর পরও এই ধরনের অবৈধ স্থাপনা বেশির ভাগই দোকানপাট বসানো হয়েছে।
এ ধরনের একটি অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত রডসহ বাজারের কিছু উপকরণ নিলামের মাধ্যমে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়েরবাজারে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
৪০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া: ডিএনসিসি এলাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস
ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক