এতে উপজেলার পেড়লী বিলের প্রায় ৫০০ একর জমির রোপা আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার পেড়লী গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা শেখ ও সবুজ মোল্যাসহ অনেকেই জানান, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা মাছ শিকার করে বিক্রিসহ অধিক লাভবান হওয়ার জন্য উপজেলার পেড়লী কাটা খাল, শীতলবাটি বড়বিলা খাল ও জামরিলডাঙ্গার খালের স্লুইস গেটের তত্ত্বাবধায়কদের সাথে অনৈতিক যোগসাজসে পেড়লী বিলে মাছ ঢুকানোর জন্য ওইসব গেটের কপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
প্রায় দুমাস ধরে নদীর পানি বিলে প্রবেশ করায় ওই বিলে রোপা আমন চাষযোগ্য প্রায় ৫০০ একর জমি পনিতে প্লাবিত হওয়ায় ওই সব জমিতে আমন চাষ ব্যাহত হতে চলেছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, তারা স্লুইস গেট বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
পেড়লী কাটা খালের স্লুইস গেটের তত্ত্বাবধায়ক পল্টু শেখ বলেন, ‘মাছের জন্য নয়, পাট চাষিদের সুবিধার জন্য এবং এলাকাবাসীর ফেলে দেয়া মৃত হাস-মুরগি বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গেটটির তিন ভাগের একভাগ খুলে দেয়া হয়েছে। তবে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে বা যোগসাজসে নয়, খালটি পরিষ্কার রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খুলে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবির কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলায় চলতি বছর ৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এভাবে নদীর পানি বিলে ঢুকানো হলে ওই বিলে রোপা আমন চাষা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ নেওয়াজ তালুকদার বলেন,‘ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’