কোভ্যাকসের মাধ্যমে ২০টি দেশে ২০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন বিতরণের এক ঐতিহাসিক সপ্তাহ শেষে ডব্লিউএইচও এর মহাপরিচালক টেড্রস আধানম গেব্রেয়াসুস শুক্রবার বলেছেন যে আরও ৩১টি দেশ আগামী সপ্তাহে ১৪.৪ মিলিয়ন ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে।
জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে টেড্রস বলেন, ‘এটি একটি উৎসাহজনক অগ্রগতি, তবে কোভ্যাকসের মাধ্যমে ভ্যাকসিন বিতরণের পরিমাণ এখনও তুলনামূলকভাবে কম।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন আমাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হলো সব দেশকে মহামারি শেষ করতে সহায়তা করা। এর অর্থ হলো উৎপাদন বাড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া।’
টেড্রস বলেন, ডব্লিউএইচও এবং এর কোভ্যাকস অংশীদাররা ‘প্রতিবন্ধকতা’ ও প্রাসঙ্গিক সমাধান বের করতে আগামী সপ্তাহে সরকার এবং শিল্প প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে আমরা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে কাঁচামাল, প্লাস্টিক এবং ছিপিসহ কাঁচামালের ঘাটতির কারণে উৎপাদনের গতি বাড়াতে বেশ কিছু বাধার মুখোমুখি হচ্ছি।’
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মে’র মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সবার জন্য টিকা সরবরাহের ঘোষণা বাইডেনের
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় কোভিড নিয়ন্ত্রণে: প্রধানমন্ত্রী
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৬ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৫ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৫৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৮ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৭০ জনের।
মেক্সিকো ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭৮ জনের মৃত্যু নিয়ে এ তালিকায় তিন নম্বরে থাকলেও রোগীর সংখ্যা নিয়ে আছে ১৩তম অবস্থানে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২১ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।