ডব্লিউএইচও
স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কীভাবে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে লিঙ্গ বৈষম্য করা হয় এবং কীভাবে নারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যের ফলাফলগুলোকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে তা ব্যাখ্যা করে ‘স্বাস্থ্য ও যত্নের জন্য ন্যায্য ভাগ: লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজের অবমূল্যায়ন’ শীর্ষক নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বল্প বিনিয়োগের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। ফলে এতে দেখা যায় যে অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজের একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে ও মজুরিভিত্তিক শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ হ্রাস পেয়েছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং লিঙ্গ সমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাপী বেতনভোগী বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের ৬৭ শতাংশই নারী। এই অর্থ প্রদানের কাজ ছাড়াও, এটিতে অনুমান করা হয়েছে যে নারীরা সমস্ত অবৈতনিক সেবা কার্যক্রমের আনুমানিক ৭৬ শতাংশ সম্পাদন করেন।
বুধবার(১৩ মার্চ) জেনেভা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নারীদের দ্বারা পরিচালিত কাজগুলোর বেতন কম এবং কাজের পরিবেশ খারাপ থাকে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে কম বেতন এবং চাহিদাযুক্ত কাজের পরিবেশ সাধারণত স্বাস্থ্য ও যত্ন খাতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
প্রাথমিকভাবে নারীদের দ্বারা সম্পাদিত পরিচর্যার কাজের অবমূল্যায়ন, মজুরি, কাজের পরিবেশ, উৎপাদনশীলতা এবং খাতের অর্থনৈতিক পদচিহ্নকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে কয়েক দশকের দীর্ঘস্থায়ী স্বল্প বিনিয়োগ যত্নের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী সংকটকে বাড়িয়ে তুলছে।
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার (ইউএইচসি) দিকে অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সাড়ে ৪ বিলিয়ন মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার পূর্ণ কভারেজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, নারীরা আরও বেশি অবৈতনিক যত্নের কাজ গ্রহণ করতে পারে।
দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষতিকর প্রভাবের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজ যত্নশীলদের স্বাস্থ্য এবং পরিষেবার মানকে আরও চাপে ফেলছে।
ডব্লিউএইচও'র হেলথ ওয়ার্কফোর্সের পরিচালক জিম ক্যাম্পবেল বলেন, 'ফেয়ার শেয়ার' প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে লিঙ্গ-সমতাভিত্তিক বিনিয়োগ স্বাস্থ্য ও যত্নের মূল্যকে পুনরায় সেট করবে এবং ন্যায্য ও আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে চালিত করবে। ‘আমরা নেতা, নীতি-নির্ধারক এবং নিয়োগকর্তাদের বিনিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি: স্বাস্থ্য ও যত্নের জন্য ন্যায্য ভাগের সময়।’
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজকে আরও ভালভাবে মূল্য দেওয়ার জন্য নীতি ও সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে:
১. সব ধরণের স্বাস্থ্য এবং যত্নের কাজের জন্য কাজের অবস্থার উন্নতি করুন, বিশেষত অত্যন্ত নারীদের পেশার জন্য।
২. বেতনভুক্ত শ্রমশক্তিতে নারীদের আরও ন্যায়সঙ্গতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের কাজের পরিবেশ এবং মজুরি বৃদ্ধি করা এবং সমান মূল্যের কাজের জন্য সমান বেতন নিশ্চিত করা।
৪. যত্নের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, মানসম্পন্ন যত্নের কাজকে সমর্থন করা এবং যত্নশীলদের অধিকার ও কল্যাণ বজায় রাখা।
৫. নিশ্চিত করুন যে জাতীয় পরিসংখ্যান সমস্ত স্বাস্থ্য এবং যত্ন কাজের জন্য হিসাব, পরিমাপ এবং মূল্য দেয়।
৬. অবৈতনিক পরিচর্যা কাজের বোঝা কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করুন।
স্বাস্থ্য ও যত্ন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ কেবল ইউএইচসি-র অগ্রগতিকেই ত্বরান্বিত করে না, তারা অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজকে পুনর্বণ্টন করে।
যখন নারীরা বেতনভুক্ত স্বাস্থ্য ও যত্ন কর্মসংস্থানে অংশ নেয়, তখন তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হয় এবং স্বাস্থ্যের ফলাফল আরও ভাল হয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সব ধরনের স্বাস্থ্য ও সেবার কাজে স্বীকৃতি, মূল্য এবং বিনিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ছুটিতে জনসমাগম ও নতুন ভ্যারিয়েন্টে ডিসেম্বরে করোনায় অন্তত ১০ হাজার জনের মৃত্যু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
৮ মাস আগে
ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরডি পদে নির্বাচিত সায়মা ওয়াজেদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক (আরডি) হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ। নির্বাচনে তিনি ৮-২ ভোটে জয়ী হন।
বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে মনোনীত যথাক্রমে সায়মা ওয়াজেদ ও ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি আজ ভারতের নয়া দিল্লিতে তাদের ৭৬তম অধিবেশনে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করতে ভোট দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য সচিব।
সায়মা ওয়াজেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (আগে টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমাকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য @WHOSEARO সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ধন্যবাদ!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি বিদায়ী আরডি ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিংকে আমাদের অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যের জন্য এক দশক ধরে সেবা দেওয়ায় শ্রদ্ধা জানাতে চাই। একই সঙ্গে এই পদের জন্য মনোনয়ন পাওয়া ড. আচার্যের জন্যও বিশেষ শ্রদ্ধা। তার দীর্ঘ ও সফল কর্মজীবনে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। আমি আশা করি আমাদের অঞ্চল তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবে।’
সায়মা বলেন, ‘আরও স্বাস্থ্যকর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গড়ে তুলতে আমি প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ: টিকাদান নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং তিনি পুনরায় একবার নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
সায়মা ওয়াজেদের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ৩টি আন্তর্জাতিক রেজুলেশনের খসড়া তৈরি করা, যেগুলো পরে জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো:
- ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও ৬৭ দশমিক ৮ (কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটেড এফর্টস ফর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার)
- ২০১২ সালে ডব্লিউএইচও-আরসি: সিইএ/আরসি৬৫/আর৮ (কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটেড এফর্টস ফর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিস)
- ২০১২ সালে ইউএনজিএ: ৬৭/৮২ (অ্যাড্রেসিং দ্য সোশিওইকোনমিক নিডস অব ইনডিভিজুয়ালস, ফ্যামিলিস অ্যান্ড সোসাইটিস অ্যাফেক্টেড বাই অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস, ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেড ডিজঅ্যাবিলিটিস)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে রেজ্যুলেশন
১ বছর আগে
কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভারতের দিল্লিতে ৩ দিন ব্যাপী চলা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে এ স্বীকৃতির সনদপত্র দেওয়া হয়।
স্বীকৃতির সনদপত্রটি তুলে দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রপাল এবং এটি গ্রহণ করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ফাইলেরিয়া ও পোলিও নির্মূল করে সনদ পেয়েছিল।
তিনি বলেন, এবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে প্রথম হওয়ায় এটি একটি জাতিগত প্রশংসিত অর্জন হয়েছে। এ অর্জনে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ আমরা সকলেই গর্বিত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অর্জনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পরামর্শ ও নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক এর প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন ভরসার জায়গা হতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটি থেকে ওই এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশের দুর্গম এলাকাতেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। ক্লিনিকগুলো থেকে ৩০ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
মন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি গ্রামের মায়েদের নিরাপদ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক কাজে লাগছে। এর সুফল হিসেবে গত কয়েক বছরের জড়িপে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩২০ জন থেকে হ্রাস পেয়ে এখন ১৬৩ জন হয়েছে। একইভাবে প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মৃত্যুহার ৬৫ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ২৮ জনে নেমে এসেছে।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রী বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, শিশুমৃত্যুহার হ্রাস করা, গড় আয়ু বৃদ্ধি, টিকাদানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ সফলতা, করোনাকালীণ দুর্যোগে ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২৫ হাজার নার্সসহ প্রায় দেড় লাখ মানুষের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
'আমি সবসময় জানি আমি কে, আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি একরাতে সবকিছু হারিয়েছেন'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদের অন্যতম প্রার্থী সায়মা ওয়াজেদ ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ উল্লেখ করে তার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অটিজম নিয়ে কাজ করা সায়মা ওয়াজেদ ভারতীয় ইংরেজি ভাষার সংবাদ চ্যানেল ডব্লিউআইওএন-এর কূটনৈতিক প্রতিবেদক সিধান্ত সিবালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার আসল লক্ষ্য থাকবে- মানসিক স্বাস্থ্য, যা অত্যন্ত অবহেলিত এবং বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এটিকে সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও নিশ্চিত করা।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিস ৬টি প্রধান আঞ্চলিক ইউনিটের মধ্যে একটি এবং ১১টি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের মমত্ববোধ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে হওয়ায় তার রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবসময় জানি আমি কে এবং আমি জানি যে সবসময় তা মনে করিয়ে দেওয়া হবে, তবে আমি শরণার্থী হিসেবেও বেড়ে উঠেছি, আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি এক রাতে সবকিছু হারিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যখন খুব, খুব গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত সফল কারো কন্যা হন, তখন সবাই ধরে নেয় যে বিষয়গুলো আপনার পক্ষে অনেক সহজ হবে। তবে কঠোর পরিশ্রম না করলে আপনি সফল হতে পারবেন না।’
২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট ডব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ডব্লিউএইচও সিইএআরও’র পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানালেন সায়মা ওয়াজেদ
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ থেকে মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও নেপাল থেকে মনোনীত ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ৭৬তম অধিবেশনে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের যোগ্য হবেন।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সজীব ওয়াজেদ
১ বছর আগে
ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচন: সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকার সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য মনোনীত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সোমবার (১৬ অক্টোবর) একটি উচ্চ-পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে থাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ডা. চোলনান শ্রীকাউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
এসময় আব্দুল মোমনে ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের প্রার্থী ড. সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থন জানানোর জন্য থাই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
থাই জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের সিদ্ধান্তকে ‘বাংলাদেশের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ডব্লুএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রেইসাস চলতি বছরের ১৮ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পাঠিয়েছিলেন।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশের মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ এবং নেপাল মনোনীত ডা. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটি ভারতের নয়াদিল্লিতে ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত একটি বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
তারপরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বর্তমানে দুইদিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
এরপর সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ড. মোমেনথাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ড. চোলনান শ্রিকাওয়ের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ড. চোলনান শ্রিকাও তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় ড. চোলনান শ্রিকাওকে অভিনন্দন জানান।
১ বছর আগে
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যুদ্ধে নিহতদের লাশ সাধারণত স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে না: রেডক্রস ও ডব্লিউএইচও
দুর্যোগ ও যুদ্ধে নিহতদের লাশ সম্পর্কে প্রায়ই ভিত্তিহীন ভয় ও ভুল ধারণা থাকে। তাই এসব ঘটনায় নিহতদের লাশ নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে সমাহিত করার জন্য সমাজের মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও তথ্য নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেডক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি), ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যুদ্ধ ও দুর্যোগে বেঁচে যাওয়া মানুষদের সাহায্য করার অংশ হিসেবে এ আহ্বান জানিয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সশস্ত্র সংঘর্ষে যখন অনেক মানুষ মারা যায়, তখন এই লাশের উপস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য কষ্টকর।
কেউ কেউ দ্রুত এসব লাশ দাফনের জন্য এগিয়ে আসে। দুর্দশা কমানোর জন্য অনেকে গণকবর দেয়। কারণ ধারণা করা হয়, এই লাশগুলো স্থানীয় জনসাধারণের স্বাস্থ্যগত হুমকির কারণ হতে পারে।
তবে এই সংস্থাগুলো বলেছে, এই ধরনের কাজ কিছু মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জনগণ যদিও লাশগুলো দ্রুত কবর দেওয়ার জন্য প্রচুর চাপের মধ্যে থাকে, তবে লাশ অব্যবস্থাপনার ফলে নিহতের পরিবারের সদস্যেরা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক কষ্টের পাশাপাশি সামাজিক ও আইনি সমস্যায় পড়ে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারের উর্ধ্বগতি, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ডব্লিউএইচও’র
সু-পরিচালিত কবরস্থান বলতে যেখানে সহজে শনাক্তযোগ্য এবং সঠিকভাবে নথিভুক্ত কবরকে বোঝায়।
সংস্থাগুলোর তৈরি নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিশেষ করে আইসিআরসি/আইএফআরসি/ডব্লিউএইচও ম্যানুয়াল ফর দ্য ডেড অব দ্য ডিজাস্টারস আফটার ম্যানেজমেন্ট অনুযায়ী প্রতিটি লাশের সঠিক অবস্থান এবং সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিশ্চিত করা উচিত।
লাশ সঠিকভাবে শনাক্ত করার আগে সমাহিত বা দাহ করা উচিত নয়।
লাশের আরও ভালো ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করার জন্য সংস্থাগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সরঞ্জাম সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে তারা প্রয়োজনে (যখন একসঙ্গে অনেক লাশ দাহ বা সমাহিত করতে হয়) লাশ কবর দেওয়ার মতো কাজ করতে সহায়তা করতে পারে।
লিবিয়ায় রেডক্রস ও ডব্লিইএইচও টিম সরাসরি কর্তৃপক্ষ, সম্প্রদায় ও লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে কাজ করছে। তাদের নির্দেশিকা, উপকরণ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে।
আইসিআরসি ও ডব্লিইএইচও উভয়ই লাশের মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করার জন্য লিবিয়ায় বডি ব্যাগ বিতরণ করছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সশস্ত্র সংঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে মারা যাওয়া মানুষদের লাশ প্রায় কখনোই স্থানীয় জনগণের জন্য স্বাস্থ্যগত বিপদ ডেকে আনে না।
এর কারণ হলো ট্রমা, ডুবে বা আগুনে মারা যাওয়া মানুষেরা সাধারণত এমন রোগ সৃষ্টিকারী কোনো জীবাণু বহন করে না।
ব্যতিক্রম হলো- যখন ইবোলা বা মারবার্গ রোগ বা কলেরার মতো সংক্রামক রোগ থেকে মৃত্যু ঘটে বা যখন এই সংক্রামক রোগগুলোর জন্য স্থানীয় অঞ্চলে বিপর্যয় ঘটে।
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ের চিকিৎসা বিষয়ে ডব্লিউএইচও-এর প্রথম নির্দেশিকা প্রকাশ
তবে, যেকোনো পরিস্থিতিতে লাশ পানির উৎসের কাছাকাছি বা পাশে থাকলে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
কারণ লাশ থেকে বের হওয়া মল পানির উৎসকে দূষিত করতে পারে। যা ডায়রিয়া বা অন্যান্য রোগের ঝুঁকি তৈরি করে।
তাই পানীয় জলের উৎসের সংস্পর্শে লাশ ফেলে রাখা উচিত নয়।
আইসিআরসির ফরেনসিক ইউনিটের প্রধান পিয়েরে গাইয়োমার্চ বলেন, ‘লাশ মহামারি সৃষ্টি করবে এই ধারণার কোনো প্রমাণ নেই। আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই যেখানে মিডিয়া রিপোর্ট এবং এমনকি কিছু চিকিৎসা পেশাজীবীরাও এই সমস্যাটি সমাধানের ক্ষেত্রে ভুল করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ঘটনা থেকে বেঁচে থাকে, লাশের চেয়ে তাদের রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।’
ডব্লিউএইচও-এর জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে জৈব নিরাপত্তা ও জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক মেডিকেল অফিসার ডা. কাজুনোবু কোজিমা বলেছেন, ‘আমরা ট্র্যাজেডির মুখে পড়া এলাকার কর্তৃপক্ষকে গণদাফন বা গণদাহ করার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো না করার জন্য অনুরোধ করছি। লাশের মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থাপনা পরিবার ও সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রায়ই লড়াইয়ের দ্রুত সমাপ্তি আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’
আইএফআরসি-এর জরুরি পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং মরক্কো আর্থকোয়েক রেসপন্সের জরুরি অপারেশনের প্রধান গওয়েন ইমার বলেন, ‘দুর্যোগ বা যুদ্ধে নিহতদের লাশ সমাহিত করার জন্য অপ্রয়োজনীয় তাড়াহুড়ো করলে পরিবারগুলোকে তাদের প্রিয়জনদের শনাক্ত করার এবং শোক করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। মর্যাদাপূর্ণ ব্যাবস্থাপনার জন্য লাশ শনাক্তকরণ এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নিয়ম অনুসারে শোক ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য উপযুক্ত সময় প্রয়োজন।’
আইসিআরসি, আইএফআরসি ও ডব্লিউএইচও কর্তৃপক্ষ ও সম্প্রদায়কে নিম্নলিখিতগুলো মনে করিয়ে দিতে চায়:
লাশ দেখাটা দুঃখজনক হলেও, সম্প্রদায়ের নেতা বা কর্তৃপক্ষের তাড়াহুড়ো করে গণকবরে লাশ সমাহিত করা বা গণদাহ করা উচিত নয়। দাফন বা দাহ করার পদ্ধতি অবশ্যই সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও পারিবারিক উদ্বেগের কথা মাথায় রাখতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সশস্ত্র সংঘর্ষে যারা মারা যায়, তাদের লাশ সাধারণত রোগের উৎস নয়।
আরও পড়ুন: প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন গর্ভবতী নারী বা নবজাতক মারা যায়: ডব্লিউএইচও
মৃত ব্যক্তি একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগে মারা না গেলে, জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি খুব কম থাকে। তবে লাশের মল মিশ্রিত হয়ে দূষিত হওয়া পানি পান করলে ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য পানীয় জলের নিয়মিত জীবাণুমুক্তকরণ যথেষ্ট।
দ্রুত, অসম্মানজনক গণদাফন বা শ্মশান লাশ শনাক্তকরণ ও পরিবার শনাক্ত করা আরও কঠিন এবং কখনো কখনো অসম্ভব করে তোলে।
শুধুমাত্র লাশ তখনই মহামারির স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করে, যখন নির্দিষ্ট কিছু সংক্রামক রোগে মৃত্যু ঘটে।
চুনের গুঁড়ায় দ্রুত পচন ধরে না। যেহেতু বিপর্যয় বা যুদ্ধে নিহতদের লাশে সাধারণত সংক্রামক ঝুঁকি নেই, তাই লাশগুলো জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন হয় না।
তবে, নিহত ব্যক্তির লাশ স্পর্শ করার পর সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। অথবা দৃশ্যমান ময়লা না থাকলে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
আইসিআরসি, আইএফআরসি ও ডব্লিউএইচও সকল পক্ষকে যুদ্ধ ও দুর্যোগে নিহতদের লাশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমাজের সকলের মঙ্গলের জন্য প্রতিষ্ঠিত নীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানায়।
১ বছর আগে
বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারের উর্ধ্বগতি, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ডব্লিউএইচও’র
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার (১১ আগস্ট) একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে।
সেইসঙ্গে প্রতিবেদনে ডেঙ্গু আত্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং মশাবাহিত এই রোগ প্রতিরোধে ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলেছে। যেমন- লম্বাহাতা জামা-কাপড় পড়া ইত্যাদি।
ইউএন হেলথ এজেন্সি অনুসারে, জুনের শেষের দিক থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া এই রোগে ১ জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে মোট ৬৯ হাজার ৪৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৩২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক্ষেত্রে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
দেশের ৬৪টি জেলাতেই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
শুধুমাত্র জুলাই মাসেই ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী রোগী শনাক্ত এবং ২০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যা মোট শনাক্তের ৬৩ শতাংশ এবং মোট মৃত্যুর ৬২ শতাংশ।
দেশটির চলমান প্রাদুর্ভাব গত পাঁচ বছরের তুলনায় অত্যন্ত বেশি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: স্যালাইন সংকটের আশঙ্কায় রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
১ বছর আগে
সাপের কামড়ের চিকিৎসা বিষয়ে ডব্লিউএইচও-এর প্রথম নির্দেশিকা প্রকাশ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য ডব্লিউএইচও পাবলিক-বেনিফিট টার্গেট প্রোডাক্ট প্রোফাইলের (টিপিপি) প্রথম একটি সিরিজ প্রকাশ করেছে, যাতে বাজারে পাওয়া অ্যান্টিভেনমের গুণমান উন্নত করা যায়। এই ধরনের পণ্যের গুণমান উন্নত করার জন্য এটিই প্রথম নির্দেশিকা। টিপিপি হলো একটি নথি যা নিয়ন্ত্রক, নির্মাতা, গবেষক এবং সংগ্রহকারী সংস্থাগুলোকে নির্দিষ্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পণ্যগুলোর ন্যূনতম এবং সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের সাপের কারণে সৃষ্ট অ্যান্টিভেনমগুলো সাহারান আফ্রিকান সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। টিপিপিগুলো নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে পণ্যগুলো ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার চিকিৎসার চাহিদা মেটানোর জন্য ডিজাইন এবং তৈরি করা হয়েছে। এবং এটি ‘ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত’ - যেমন, নিরাপদ, কার্যকর এবং ব্যবহারের পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত।
একটি উচ্চমানের অ্যান্টিভেনম প্রতি বছর সাপে কামড়ানো প্রায় ৫৪ লাখ মানুষের জন্য সর্বোত্তম উপলব্ধ চিকিৎসা সেবা সরবরাহ করে। নিরাপদ, কার্যকর অ্যান্টিভেনমগুলো সাপের কামড়ের কারণে অনেকের মধ্যে ৮৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮০০০ জনের মৃত্যুকে প্রতিরোধ করতে পারে এবং গুরুতর অক্ষমতার তীব্রতা হ্রাস করতে পারে যা আরও হাজার হাজার শিকারকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন:সাজেকে সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী যুবকের মৃত্যু
ডব্লিওএইচও গ্লোবাল এনটিডি প্রোগ্রামের পরিচালক ডা. সোস ফল বলেছেন, ‘উচ্চ মানের, নিরাপদ এবং কার্যকর অ্যান্টিভেনমের অ্যাক্সেস ইক্যুইটির একটি সমস্যা এবং এই সমালোচনামূলক কাজটি এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আমাদের এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে আসে’।
অ্যান্টিভেনমগুলো প্রায় ১৩০ বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে এখনও, অবধি, সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং কার্যকরী ব্যবহারের জন্য সঠিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এমন উচ্চ মানের পণ্য কীভাবে ডিজাইন এবং তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে কোনও নির্দেশিকা নেই।
বিভিন্ন ধরণের প্রচলিত প্রাণীর প্লাজমা থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিভেনমের জন্য চারটি টিপিপি
এর মধ্যে প্রথমটি এমন পণ্যগুলো সাব-সাহারান আফ্রিকা জুড়ে সাপের কামড়ের কারণ নির্বিশেষে সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্যব্যা পকভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। দ্বিতীয়টি হলো একটি একক প্রজাতির সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য। এই উভয় বিভাগের পণ্য বর্তমানে বাজারে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
অন্য দুটি বিভাগ এমন পণ্যগুলোর জন্য যেগুলো সাব-সাহারান আফ্রিকায় এখনও বিদ্যমান নেই, তবে বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে উন্নত হলে তাদের একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ধরনের নতুন পণ্যগুলোর মধ্যে একটি অ্যান্টিভেনমগুলোর জন্য যেখানে সাপের কামড় প্রধানত নিউরোটক্সিক প্রভাবে প্রভাবিত একটি সিন্ড্রোম সৃষ্টি করে, অন্যটি নন-নিউরোটক্সিক সাপের কামড়ের সিনড্রোমগুলোর জন্য যা রক্ত জমাট বাঁধা বা প্যারালাইটিক প্রভাব ছাড়াই টিস্যু নেক্রোসিসের প্রভাব জড়িত।
এই টিপিপি’র প্রস্তুতকারক, নিয়ন্ত্রক, ক্রয় সংস্থা, চিকিৎকক এবং গবেষকদের নির্দেশিকা প্রদানের উদ্দেশ্যে এবং অ্যান্টিভেনমের গুণমান, সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা এবং এইভাবে সাপের কামড়ের আরও ভাল চিকিৎসার উন্নতিতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
১ বছর আগে
প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন গর্ভবতী নারী বা নবজাতক মারা যায়: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যেহানি এবং গর্ভবতী নারী-মা এবং শিশুর প্রাথমিক মৃত্যুহার কমাতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি আট বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়েছে।
‘মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং বেঁচে থাকা এবং মৃতপ্রসব হ্রাস’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে। যা অনুরূপ ঝুঁকির কারণ এবং কারণগুলো ভাগ করে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোর বিধান ট্র্যাক করে৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের প্রায় ৫ গুণ বেশি: ডব্লিউএইচও
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে একটি বড় বৈশ্বিক সম্মেলনে নতুন প্রকাশনাটি চালু করা হয়েছিল।
সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণটি দেখায় যে, বেঁচে থাকার উন্নতি ২০১৫ সাল থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে। যা বার্ষিক গড় হিসাবে দুই লাখ ২৯ হাজার মাতৃমৃত্যু দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়া ১৯ লাখ মৃতপ্রসব (গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ পরে মারা যায় এমন শিশু) এবং জীবনের প্রথম মাসে একটি চমকপ্রদ ২৩ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়।
প্রতিবেদনটি দেখায় যে প্রতি বছর ৪৫ লাখেরও বেশি নারী এবং শিশু গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় অথবা জন্মের প্রথম সপ্তাহে মারা যায়।
যা প্রতি সাত সেকেন্ডে একটি মৃত্যুর সমান।
এছাড়া যদি যথাযথ চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়, তাহলে বেশিরভাগ মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য বা চিকিৎসাযোগ্য।
কোভিড-১৯ মহামারি ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট প্রসারিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
১০ টির মধ্যে মাত্র একটি দেশের (১০০ টিরও বেশি জরিপ করা হয়েছে) তাদের বর্তমান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে।
অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে মহামারির প্রভাবগুলোর ওপর সর্বশেষ ডব্লিউএইচও জরিপ অনুসারে প্রায় ২৫ শতাংশ দেশ এখনও অত্যাবশ্যক গর্ভাবস্থা এবং প্রসবোত্তর যত্ন এবং অসুস্থ শিশুদের জন্য পরিষেবাগুলোতে চলমান বাধাগুলো প্রতিবেদনে তুলে ধরে।
মাতৃত্ব-নবজাতক শিশু এবং কিশোরী স্বাস্থ্যের পরিচালক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ বার্ধক্য বিষয়ক ডা. আংশু ব্যানার্জি বলেছেন, গর্ভবতী মহিলা এবং নবজাতক বিশ্বব্যাপী অগ্রহণযোগ্যভাবে উচ্চ হারে মারা যাচ্ছে। এবং করোনা মহামারি তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও বিপত্তি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, ভারতের তৈরি সিরাপ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা
আমরা যদি ভিন্ন ফলাফল দেখতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আরও এবং স্মার্ট বিনিয়োগ এখন প্রয়োজন। যাতে প্রতিটি নারী এবং শিশু তারা যেখানেই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার সর্বোত্তম সুযোগ রয়েছে।
সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে নবজাতক এবং মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে ৬০ শতাংশেরও কম নারী ডব্লিউএইচও এর প্রস্তাবিত আটটি প্রসবপূর্ব চেকগুলোর মধ্যে চারটিও পান৷
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি বিভাগের পরিচালক ডা. জুলিটা ওনাবাঞ্জো বলেছেন, গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় যে কোনও নারী বা যুবতীর মৃত্যু তাদের মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।
এটি সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার অংশ হিসাবে মানসম্পন্ন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করার জরুরি প্রয়োজনকেও প্রতিফলিত করে।
বিশেষ করে এমন সম্প্রদায়গুলোতে যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাতৃমৃত্যুর হার স্থবির বা এমনকি বেড়েছে।
মাতৃত্বকালীন এবং নবজাতকের মৃত্যুহার মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই একটি মানবাধিকার এবং লিঙ্গ পরিবর্তনমূলক পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
এবং এটি অত্যাবশ্যক যে আমরা অন্তর্নিহিত কারণগুলোকে নির্মূল করি যা আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, অসাম্য, দারিদ্র্য এবং অবিচারের মতো দুর্বল মাতৃস্বাস্থ্যের ফলাফলের জন্ম দেয়।
বর্তমান প্রবণতাগুলোর ওপর ভিত্তি করে ৬০ টিরও বেশি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে মাতৃত্বকালীন, নবজাতক এবং মৃত জন্মের মৃত্যুহার হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে প্রস্তুত নয়।
আরও পড়ুন: অসংক্রামক রোগে প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী ১ জনের মৃত্যু: ডব্লিউএইচও
১ বছর আগে
গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, ভারতের তৈরি সিরাপ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ৫৫ জন শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে ভারতের তৈরি একটি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই আশঙ্কায় ওই কোম্পানির তৈরি সিরাপ লোকেদেরকে ব্যবহার না করারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৈরি চারটি সিরাপ হলো-প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ‘চারটি পণ্যের প্রতিটির নমুনার পরীক্ষাগার বিশ্লেষণ নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এতে দূষক হিসাবে অগ্রহণযোগ্য পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই চারটি পণ্য গাম্বিয়াতে চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে অন্য দেশ বা অঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক বাজারের মাধ্যমে বিতরণ করা হতে পারে।’
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা বিশ্লেষণ না করা পর্যন্ত পণ্যের সমস্ত ব্যাচকে ‘অনিরাপদ বলে মনে করা উচিত।’
দৈনিক দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডব্লিউএইচও সিরাপ সম্পর্কে তার মেডিকেল পণ্য সতর্কবার্তায় উল্লেখ করেছে যে তারা তীব্র কিডনি আঘাত এবং ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে।
পড়ুন: নাপা সিরাপে নয়, মায়ের পরকীয়ার জেরে সেই দুই শিশুর মৃত্যু
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্র বুধবার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের সর্বোচ্চ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) গাম্বিয়ায় শিশুদের মৃত্যু সিরাপগুলো সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে বলে জানার পর একটি তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরিয়ানার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে কোম্পানিটি গাম্বিয়াতে সিরাপ তৈরি এবং রপ্তানি করেছে। কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত পণ্যটি শুধুমাত্র গাম্বিয়ার কাছে বিক্রি করেছে।
অন্যান্য ভারতীয় সংবাদপত্র এবং টিভি স্টেশনগুলো জানিয়েছে, ডব্লিউএইচও এর মাধমে পরীক্ষা করা ২৩টি নমুনার মধ্যে চারটিতে ডায়থাইলিন গ্লাইকোল বা ইথিলিন গ্লাইকোল দ্বারা দূষিত পাওয়া গেছে।
ডাইথিলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল বিষাক্ত প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, প্রস্রাব করতে না পারা, মাথাব্যথা, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন এবং কিডনির তীব্র আঘাত যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ডব্লিউএইচও’র এই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, নিম্নমানের পণ্যগুলো অনিরাপদ এবং তাদের ব্যবহার, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে, গুরুতর আঘাত বা মৃত্যু হতে পারে।
এতে আর বলা হয়, দেশগুলোকে নিম্নমানের পণ্য শনাক্ত এবং অপসারণের জন্য সরবরাহ চেইনের ওপর নজরদারি বাড়ানো উচিত।
পড়ুন: মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসে মৃত্যু সর্বনিম্ন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি চালু
২ বছর আগে