মঙ্গলবার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া দুই হাজার টাকা মুচলেকা নিয়ে তাকে জামিন দেন।
জামিন পাওয়ার পর সংসদ সদস্য নিক্সন বলেন, ‘তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তার এ মামলাটি গুরুত্ব হারিয়েছে কিনা সে বিবেচনা আদালত করবে।’
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ মামলাটি করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন থানায় এ মামলা দায়ের করেন চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালনকারী জেলার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নিক্সন চৌধুরীকে শর্তসাপেক্ষে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন
ফরিদপুরের নির্বাচনী ইতিহাসে কোনো এমপির বিরুদ্ধে এই প্রথম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী ৯ অক্টোবর সকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে ফোন করে নির্বাচনে অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কারণে তার সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হলে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখান ও অশোভন মন্তব্য করেন।
এছাড়া নির্বাচনের দিন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক ব্যক্তিকে আটক করেন। এ ঘটনায় ইউএনওর মুঠোফোনে তাকে ও সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান নিক্সন। তাছাড়া নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী কার্যকলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের মামলায় আগাম জামিন চেয়ে এমপি নিক্সনের আবেদন
মামলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ বিধি অনুযায়ী নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।