রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে তারা সড়কে বিশৃঙ্খলা ও যানবাহনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা সোমবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরে তারা আবারও বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন দাবি করেছেন, বগুড়ায় তাদের এক শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। মারধরকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ৩০ মার্চ
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ৬ মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি
এদিকে রাজশাহী থেকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। তারা অনেকেই কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। বিকল্প হিসেবে অন্য যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, দুপুর পর্যন্ত পুলিশ তাদের বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি ও স্থান নির্ধারণ করে দেয়নি। এর ওপর সকাল থেকে হঠাৎ রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমাবেশের আগে এর আগেও এ রকম করা হয়েছে।
এর কারণ বিভাগীয় সমাবেশে যেন মানুষ না আসতে পারে। এটি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টা বলেও দাবি করেন সাবেক সিটি মেয়র বুলবুল।
এরপরেও মঙ্গলবার বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
নাটোরে যাত্রীবাহী বাস চলাচল প্রায় বন্ধ
নাটোরে যাত্রীবাহী বাস চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আচমকা বাস বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। বাস কাউন্টারগুলোতে এসে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
জেলা বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সাগর বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করলেও বাস কাউন্টারগুলো থেকে কোনো টিকিট দেয়া হচ্ছে না।
বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে রাজশাহীমুখী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে সীমিত আকারে নাটোর থেকে অন্য জেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু জানান, ৬ সিটি করপোরেশনের পরাজিত মেয়র প্রার্থীদের ডাকে বুধবার রাজশাহীতে বিভাগীয় মহাসমাবেশ রয়েছে।