বাস চলাচল বন্ধ
শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সব যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। তবে শুধুমাত্র একতা ট্রান্সপোর্টের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। অনেকেই বিকল্প উপায়ে ভ্রমণের চেষ্টা করলেও পর্যাপ্ত বাস না থাকায় বিপাকে পড়েছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস স্টাফদের বেতন অস্বাভাবিকভাবে কম। বর্তমানে ন্যাশনাল ট্রাভেলস চালকদের প্রতি ট্রিপে মাত্র ১১০০ টাকা, সুপারভাইজারদের ৫০০ টাকা এবং সহকারিদের ৪০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। শ্রমিকরা এই বেতন বাড়িয়ে অন্তত দুই হাজার টাকা করার দাবি তুলেছেন।
বেতন না বাড়ানো পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা রুটে অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমাদের একই বেতন দেওয়া হচ্ছে। গত ২৩ আগস্ট আমরা শুধু ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাস চলাচল বন্ধ করেছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দেয়। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এবার অন্য সব বাস শ্রমিকরাও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া সব বাস বন্ধ থাকবে যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হয়।’
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘শ্রমিকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। মালিকরা ১০০ টাকা বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে আমরা শ্রমিকরা খুব দ্রুত মালিকদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
৮৭ দিন আগে
মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডে হামলা-ভাঙচুর, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালের ইউনাইটেড বাস কাউন্টারে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার(১৯ জুলাই) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে মাসকান্দা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাগামী ইউনাইটেড ও সৌখিন পরিবহনসহ সব ধরণের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও বিকাল ৪টা থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সকল রুটে (শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ উত্তরবঙ্গ ও সিলেট অঞ্চল) বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। তবে কারা বন্ধ করেছে, কেন করেছে, এব্যাপারে মালিক-শ্রমিক কেউ কথা বলছে না।
মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে জানা যায়, দুপুরের দিকে বেশ কিছু মোটরসাইকেলযোগে অর্ধশতাধিক যুবক হঠাৎ ঢাকাগামী ইউনাইটেড পরিবহনের কাউন্টারে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে কাউন্টার বন্ধ করে দেয়। পরে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
এ ব্যাপারে জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর মাহমুদ আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, রিসিভ করেননি।
পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস উল্টে হেলপার নিহত, আহত ১০ যাত্রী
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম জানান, জেলা মটর মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বাস বন্ধের বিষয়টি ঢাকা মহাখালী মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে।
তিনি জানান, রাত ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে জেলা মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নেতারা থাকবেন। আমরা দ্রুত বাস চলাচলের ব্যবস্থা করব। ‘যেকোনো দ্বন্দ্বের কারণে সাধারণ জনগণ বা যাত্রীরা কেন ভোগান্তিতে পড়বে,’ বলেন তিনি।
১০৭ দিন আগে
সুনামগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বাসভাড়া নিয়ে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই এই ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (রবিবার) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে সিলেটগামী একটি বাসে সুবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা শান্তিগঞ্জের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে বাসভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে এই তর্ক হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা বাস ভাঙচুর করেছেন । তাছাড়া শিক্ষার্থীরা ওই বাসের হেলপার ও চালককে মারধর করেছেন বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ৮ দাবি, না মানলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি
এর প্রতিবাদে রবিবার বিকালে তারা প্রায় ২ ঘণ্টা সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে উভয়দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকাল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
তবে, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন জানান, শুধু সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে এ কর্মবিরতি চলছে, পুরো বিভাগে নয়।
১২২ দিন আগে
নওগাঁ-বগুড়া-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
বগুড়ায় শ্রমিক নেতাকে ছুরিকাঘাতের জেরে নওগাঁ থেকে বগুড়া-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনো ঘোষণা ছাড়াই সকাল থেকে এ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এ পথে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বগুড়ার স্টেশন রোডে মিতালী পাম্প এলাকায় নারিকেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তাদের থামাতে গেলে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতা ছুরিকাঘাতে আহত হন। এর প্রতিবাদে নওগাঁ থেকে কোনো বাস বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ এলাকায় ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বগুড়ার ওপর দিয়ে নওগাঁ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃজেলা ও ঢাকাসহ দূরপাল্লার কোনো বাস প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ফলে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। ঈদের আগে হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এ পথের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ডে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের আনাগোনা ছিল বেশি। অনেক যাত্রী কাউন্টারে বাস না পেয়ে ইজিবাইকে করেই বগুড়ার যাচ্ছেন। তবে ঢাকাগামী কিছু কিছু বাসকে বিকল্প পথ হিসেবে বগুড়ার কাহালুর ভিতর দিয়ে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাসকে গন্তব্য ছেঁড়ে যেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবরোধ
বগুড়াগামী মোসলেম উদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘জরুরি কাজে বগুড়া যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। বাধ্য হয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে দ্বিগুণ ভাড়ায় বগুড়া যাওয়ার রওনা দিতে হচ্ছে। যে কারণে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা ছাড়া কিছুই নয়।’
নওগাঁ বাস মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বগুড়ায় শ্রমিক নেতাকে ছুরিকাঘাতের জেরে বগুড়ার উপর দিয়ে অপাতত নওগাঁ থেকে বগুড়া ও ঢাকাগামী সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু বাস বগুড়ার কাহালুর ভিতর দিয়ে বিকল্প পথে চলাচল করছে। আপাতত দুই জেলার সঙ্গে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
২৬০ দিন আগে
বরিশালের সাথে ৫ জেলার বাস চলাচল বন্ধ
বরিশালের সাথে ৫ জেলার ১৯ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বাস শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বাস এবং টার্মিনাল ভাংচুরের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডেকেছেন রুপাতলী বাস টার্মিনালের শ্রমিকরা।
ফলে বরিশালের সাথে বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং কুয়াকাটার বাস চলাচল করছে না।
মঙ্গলবার ঝালকাঠি মালিক সমিতির বাসে হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে হেলপারের সাথে বাকবিতন্ডা হয় বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রীর। পরে কলেজ শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার করার অভিযোগে সন্ধ্যায় রুপাতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় বরিশাল বিএম কলেজের একদল শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
এসময় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসসহ বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা।
৩১০ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের বাধার মুখে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আনোয়ারুল ইসলাম আনার জানান, রাজশাহীতে সিএনজি ও অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে বাস চালকদের মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও রাজশাহী রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজশাহীর ওপর দিয়ে ঢাকাগামী দূর পাল্লার বাসও চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিষয়টি শ্রমিক ফেডারেশনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
৩৫২ দিন আগে
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
শ্রমিক মারধরের জেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ- রাজশাহী রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
সোমবার সকালে রাজশাহীর আল-মাহি পরিবহন নামের একটি বাসের চালক সাঈদ হাসান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্রমিকদের হাতে মারধরের শিকার হন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস মালিক সমিতির নেতারা দাবি করে রাজশাহীর ওই বাসচালক যাত্রীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি জানান, গত শনিবার রাতে রাজশাহীর একটি বাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন বাসশ্রমিক ছিলেন। বাসে ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে রাজশাহীর বাসের কন্ডাক্টরের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর বাসটি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঢুকলে চালক ও হেলপারসহ তিনজনকেই মারধর করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষই সমাধানের পক্ষে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সমাধান হচ্ছে না।
৪০১ দিন আগে
দেশব্যাপী অবরোধ: খুলনা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রথম দিন খুলনা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দূর পাল্লার রুটের বিলাশবহুল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে আন্তঃজেলা রুটগুলোতে বাস চালানোর চেষ্টা করছেন মালিক-শ্রমিকরা। যাত্রী কম থাকায় সেগুলোও সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে না।
খুলনা থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য রুটের ট্রেনগুলো সময়মতো ছেড়ে গেছে। বাস টার্মিনালসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে পান ইউএনবির প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী বিরোধী দলগুলোর ৩ দিনের অবরোধ চলছে
মঙ্গলবার সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, প্রতিদিনের স্বাভাবিক সেই কোলাহল নেই। টার্মিনাল মোড় অনেকটা ফাঁকা। আন্তঃজেলা রুটের কয়েকটি বাস মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ডাকছে। কিন্তু যাত্রী স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।
কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সোহাগ, ঈগল, গ্রীনলাইন, সৌদিয়াসহ বিশালবহুল বাসগুলোর যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা রুটের টুঙ্গিপাড়া, ইমাদ, ফাল্গুনী পরিবহনের এসি বাসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ভোরে পরিবহনগুলোর নন-এসি কয়েকটি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। দিনের অন্যান্য সময়ের বাসেরও টিকিট বিক্রি করছেন তারা।
আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, বাস চালানোর জন্য মালিকদের নির্দেশনা রয়েছে। তবে যাত্রী কম থাকায় বাস কিছুটা কম চলছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের অবরোধে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির
৭৬৫ দিন আগে
পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধের জেরে নাটোর-রাজশাহী রুটে উভয় জেলার বাস চলাচল বন্ধ
পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধের জেরে রবিবার (১৫ অক্টোবর) নাটোর-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উভয় জেলার বাসমালিক-শ্রমিকরা।
এর ফলে নাটোরের কোনো মালিকের বাস রাজশাহীতে যাচ্ছেনা এবং রাজশাহীর কোনো মালিকের বাস নাটোর হয়ে ঢাকাসহ অন্য রুটেই যেতে পারছেনা। তবে এ রুটে অন্য জেলার মালিকের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এতে করে কিছুটা বাস সংকটে পড়েছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
নাটোর বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালিয়া জানিয়েছেন, তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
শ্রমিক নেতারা জানান, তিনদিন আগে নাটোর মালিকের রাজকীয় পরিবহনের কর্মচারিকে রাজশাহীতে মারপিট করে সেখানকার মালিকের দ্বীপ পরিবহনের শ্রমিকরা। এর জেরে গতকাল দ্বীপ পরিবহনের কর্মচারিকে নাটোরে মারপিট করে এখানকার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় নিরাপত্তার আশঙ্কায় রবিবার সকাল থেকে উভয় জেলায় নিজেদের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
৭৮১ দিন আগে
মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব: ১৩ দিন সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
দুই জেলার বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে টানা ১৩ দিন ধরে সিলেট-ময়মনসিংহ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের রুটে বাস চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
তবে আগামী রবিবার দুই জেলার মালিক সমিতির নেতারা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এতে দ্বন্দ্বের সমাধানের আশা করছেন নেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট থেকে ময়মনসিংহ সড়কে সিলেট জেলার পাঁচটি এবং ময়মনসিংহ জেলার ৭০টি বাস চলাচল করে। তবে সিলেট জেলার পাঁচটি বাস চলাচলে নিষেধ করে ময়মনসিংহ জেলা বাস মালিক সমিতি। এই নিয়ে দু’পক্ষ দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট থেকে এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জে যাতায়াতকারীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া পূর্ব ঘোষণা ছাড়া অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট
ময়মনসিংহগামী এক যাত্রী বলেন, ১৩ দিন ধরে সিলেটগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে, অথচ সাধারণ যাত্রীরা কিছুই জানি না। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে কাউন্টারে এসে জানতে পারছি বাস চলাচল বন্ধ। এখন বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিআরটিসি বাস চলাচলে পরিবহন শ্রমিকদের বাধা
সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বলেন, ময়মনসিংহ সমিতি আমাদের ৪-৫ টি বাস ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করেছে। অথচ তাদের ৬০-৭০টি বাস প্রতিদিন এ সড়কে চলে। তাদের এতো বাস চলতে পারলে আমাদেরটা কেন চলতে পারবে না। তাই আমরাও আমাদের দাবি আদায়ে অনড় রয়েছি। তবে রোববার দুপুর ২টায় আমরা হাইওয়ে ইনে বসতেছি। আশা করছি বৈঠকে দ্বন্দ্বের সমাধান হবে।
১২০৯ দিন আগে