বিএনপির সমাবেশ
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
সমাবেশে যোগ দিতে বেলা ১২টা থেকেই স্লোগান দিতে দিতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
এর আগে বুধবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গত ১৭ বছরে কর্তৃত্ববাদী শাসনবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। পরে সমাবেশের তারিখ পিছিয়ে মঙ্গলবার নির্ধারণ করা হয়।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি নয়াপল্টনের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
২ মাস আগে
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে দলের সমাবেশ চলছে।
শনিবার দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সামবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দলের নেতাকর্মীরা। নানা রকম ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও শীর্ষ নেতাদের ছবিসহ মিছিল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন দলটির নেতাকর্মীরা।
বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন সহযোগী সংগঠন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বুধবার সারাদেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করছে দলটি।
এ ছাড়া আগামী ১ জুলাই সব মহানগর এবং ৩ জুলাই সব জেলা সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
গত ২২ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল সফলভাবে তার বুকে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করেন। তিনি এখন হাসপাতালের সিসিইউ সুবিধাসহ একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০২২ সালের ১১ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লকেজ ধরা পড়ে, যার মধ্যে একটি ৯৫ শতাংশ ব্লক হয়ে গিয়েছিল এবং সে সময় স্টেন্ট বসানোর মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে একাধিকবার।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেটে ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধাসহ কেবিনে স্থানান্তর
৪ মাস আগে
আ. লীগ ও বিএনপির সমাবেশ: ৩টি গাড়ি ভাঙচুর
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দল তাদের নিজ নিজ সমাবেশ করতে প্রস্তুত হওয়ার সময় আজ (২৮ অক্টোবর) ঢাকার কাকরাইল এলাকায় দুর্বৃত্তরা ৩টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের বিপরীতে কাকরাইল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দু’টি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
পরে তারা ওই এলাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সামনে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে আটক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ: নাটোরে মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর
পিরোজপুরে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
১ বছর আগে
সময় টিভির সংবাদকর্মীর ১৬ জানুয়ারির সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ
ঢাকার নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে (২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি) দায়িত্ব পালন করার সময় বেসরকারি টেলিভিশন সময়ের এক সাংবাদিক দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিতের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি বলেন, ‘সমাবেশের ভিডিও ধারণ কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রোনের ক্ষতি করে এবং তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় উত্তেজিত জনতা।’
সময় টিভির সাংবাদিক মোবারক হোসেন দাবি করেন, বিএনপির কামরাঙ্গীর চর শাখার সভাপতি মনির চেয়ারম্যান; একই শাখার সাধারণ সম্পাদক নায়েম এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে প্রায় ৬০ নেতাকর্মী তাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং ড্রোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, শুভ বাধা দিলে তারা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ইভেন্ট কাভারের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কনস্টেবল প্রত্যাহার
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে প্রেস কার্ডে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি রাখার পদক্ষেপকে স্থানীয় সাংবাদিকদের সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রেস কার্ডে তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করার জন্য কিছু সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দলটির সমালোচনা করেন। কারণ তিনি একজন ‘দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি’।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন পরোপকারী বরিশালের সাংবাদিক মাসুদ
১ বছর আগে
জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। যেখানে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিলের কথা উল্লেখ করা হয়। তাদের এই দাবি শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে ঘোষণা দেয়ার পরে পেশ করা হয়।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিষয়টি শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে। দেশ অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গণে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিদ্যমান।’
আরও পড়ুন: ২০১৩-১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার কথা ভুলে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
দেশে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকটে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি দেশকে আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশ থেকে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়া; ১৯৯৬ সালে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের খ, গ ও ঘ ধারা অনুসারে একটি নিরপেক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নতুন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, যা সব দলের জন্য সমান অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি করবে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিল করবে; বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় আলেমসহ সকল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর সাজা বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি; অবিলম্বে জামায়াতের কার্যালয় খুলে দেয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে; বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ সেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; গত ১৫ বছরে ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতে এবং শেয়ারবাজারে দুর্নীতি শনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে; গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের শিকার সকলকে উদ্ধার করতে হবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে, শুক্রবার ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে বিএনপি।
গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ২৪ ডিসেম্বর ‘যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন’ ঘোষণা করেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে শনিবার সকালে ঢাকায় গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর হত্যাকাণ্ড চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করে: জয়
১ বছর আগে
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
বিএনপি জানিয়েছে, সরকার বিকল্প স্থান নির্ধারণ না করলে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে তারা।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
আব্বাস বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা আমাদের কর্মসূচির জন্য নয়াপল্টন বেছে নিয়েছি, এখন সরকারকে বিকল্প ও গ্রহণযোগ্য স্থানের পরামর্শ দিতে হবে। সরকার যদি উপযুক্ত স্থান প্রদান করতে না পারে, যাই ঘটুক না কেন আমরা আমাদের নির্বাচিত স্থানে আমাদের সমাবেশ করব।’
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
এক প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থাকবে বলে তারা আশা করেন।
আব্বাস আরও বলেন, ‘তারা বলে আমাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হবে। কিন্তু গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
সড়ক গত ২০ বছর ধরে অবরুদ্ধ।অবরোধের কারণে এসব এলাকার মানুষ কি কষ্ট পাচ্ছে না?
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন, কারণ তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করছেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী আনী বলেন, তারা চান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ তাদের সমাবেশের বিকল্প স্থান হতে।
এ্যানি বলেছেন, ‘আমরা আজ দুপুর ২টায় পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম যখন আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি যে আমরা আমাদের সমাবেশ নয়াপল্টন বা আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণে করতে চাই। আমরা বর্তমানে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
১ বছর আগে
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে নগরীতে পৌঁছেছেন।
শনিবার সকাল থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহী মহানগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছান।
সমাবেশস্থলে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী মিছিল ও স্লোগান দিচ্ছেন। সকাল ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ দেখতে পান ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার আগে থেকেই নগরীতে পৌঁছানো নেতাকর্মীরা ভেন্যু সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নেন।
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হবে এবং এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে নগরীতে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং নগরীর সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সাদা পোশাকেও পুলিশ পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
১ বছর আগে
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
বিএনপির গণসমাবেশের পূর্বে ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাত্রীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীতে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজশাহী বাস টার্মিনাল থেকে বিআরটিসির একটি বাস ছেড়ে গেলেও অন্যান্য বাস কাউন্টার বন্ধ পাওয়া গেছে।
নগরীর তালাইমারী মোড়ে পরিবহনের অপেক্ষায় থাকা আশরাফুল ইসলাম ইউএনবি সংবাদদাতাকে বলেন, নাটোর হয়ে বগুড়া যেতে তাকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমার মতো যাত্রীরা।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু বৃহস্পতিবার
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউর হক টিটু বলেন, ধর্মঘট চলায় রাজশাহী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি এবং অন্যান্য স্থান থেকে প্রবেশও করেনি।
নাটোরে সব ধরনের গণপরিবহনের উপস্থিতি খুবই কম, অন্যদিকে যাত্রীদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কিছু যাত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটতে দেখা গেছে।
বুধবার রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়ে যৌথসভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করছে।
তারা দাবি করেছেন যে বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র নেই, কারণ তারা পূর্বেই তাদের দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর বিভাগীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংহতি পরিষদ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১০ দফা দাবি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেয়।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাতিল এবং মহাসড়কে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অবৈধ থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দেয়।
অন্যদিকে বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আট শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিলে সমাবেশস্থল মাদরাসা মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশ আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস দুলু বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা আজ থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান করবেন এবং সমাবেশ সফল করে বাড়ি ফিরবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা ছাড়া বিভিন্ন শহরে সব সমাবেশের আগে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে দেশজুড়ে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য খালাস বন্ধ
রাজশাহীতে মালিকদের পরিবহন ধর্মঘটের ইঙ্গিত
১ বছর আগে
বিএনপির সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ যেন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের ৮ ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ৬ তারিখে করবে।
রবিবার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোনো বাধা দিবে না সরকার, তবে আগুন-লাঠি নিয়ে খেলতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
বিএনপিকে একটি ‘সন্ত্রাসী দল’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কানাডার একটি আদালত বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাদের রাজনীতি হচ্ছে আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে নেতা বানানো এতো সহজ নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? আপনাদের নেত্রীই তো বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়!’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মিউজিয়ামে।’
কুমিল্লার সমাবেশে কোথায় গেল হাঁকডাক, কোথায় গেল জনস্রোত আর ঢল- এমনটা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন যে ঢাকা শহরে দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
১ বছর আগে
সিলেটে বিএনপির সমাবেশ: ধীরগতির ইন্টারনেট সেবার অভিযোগ স্থানীয়দের
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরুর আগে শনিবার সকাল থেকেই ধীরগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবার অভিযোগ করেছেন সিলেটবাসী।
মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা জানান, সকাল থেকে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।
সমাবেশের আগে জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবার গতি কমে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনুষ্ঠানস্থল থেকে কয়েকজন বিএনপি নেতা।
শনিবার সকালে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সিলেটে দলটি বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৭ম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
সকাল ১১টা ১০ মিনিটে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপির সিলেট মহানগর শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
পরিবহন ধর্মঘট ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শুক্রবার রাত থেকেই সমাবেশস্থলে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় জমায়। তারা বাস ধর্মঘটের কারণে প্রতিবন্ধকতা ও ঝামেলার আশঙ্কায় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পূর্বেই জড়ো হতে থাকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির সমাবেশ: নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখরিত আলিয়া মাদরাসা
বিএনপির সমাবেশের আগের দিনেই জনসমদ্রে পরিণত সিলেট
২ বছর আগে