বিএনপির সমাবেশ
সময় টিভির সংবাদকর্মীর ১৬ জানুয়ারির সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ
ঢাকার নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে (২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি) দায়িত্ব পালন করার সময় বেসরকারি টেলিভিশন সময়ের এক সাংবাদিক দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিতের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি বলেন, ‘সমাবেশের ভিডিও ধারণ কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রোনের ক্ষতি করে এবং তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় উত্তেজিত জনতা।’
সময় টিভির সাংবাদিক মোবারক হোসেন দাবি করেন, বিএনপির কামরাঙ্গীর চর শাখার সভাপতি মনির চেয়ারম্যান; একই শাখার সাধারণ সম্পাদক নায়েম এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে প্রায় ৬০ নেতাকর্মী তাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং ড্রোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, শুভ বাধা দিলে তারা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ইভেন্ট কাভারের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কনস্টেবল প্রত্যাহার
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে প্রেস কার্ডে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি রাখার পদক্ষেপকে স্থানীয় সাংবাদিকদের সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রেস কার্ডে তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করার জন্য কিছু সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দলটির সমালোচনা করেন। কারণ তিনি একজন ‘দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি’।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন পরোপকারী বরিশালের সাংবাদিক মাসুদ
জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। যেখানে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিলের কথা উল্লেখ করা হয়। তাদের এই দাবি শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে ঘোষণা দেয়ার পরে পেশ করা হয়।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিষয়টি শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে। দেশ অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গণে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিদ্যমান।’
আরও পড়ুন: ২০১৩-১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার কথা ভুলে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
দেশে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকটে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি দেশকে আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশ থেকে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়া; ১৯৯৬ সালে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের খ, গ ও ঘ ধারা অনুসারে একটি নিরপেক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নতুন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, যা সব দলের জন্য সমান অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি করবে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিল করবে; বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় আলেমসহ সকল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর সাজা বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি; অবিলম্বে জামায়াতের কার্যালয় খুলে দেয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে; বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ সেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; গত ১৫ বছরে ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতে এবং শেয়ারবাজারে দুর্নীতি শনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে; গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের শিকার সকলকে উদ্ধার করতে হবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে, শুক্রবার ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে বিএনপি।
গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ২৪ ডিসেম্বর ‘যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন’ ঘোষণা করেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে শনিবার সকালে ঢাকায় গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর হত্যাকাণ্ড চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করে: জয়
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
বিএনপি জানিয়েছে, সরকার বিকল্প স্থান নির্ধারণ না করলে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে তারা।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
আব্বাস বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা আমাদের কর্মসূচির জন্য নয়াপল্টন বেছে নিয়েছি, এখন সরকারকে বিকল্প ও গ্রহণযোগ্য স্থানের পরামর্শ দিতে হবে। সরকার যদি উপযুক্ত স্থান প্রদান করতে না পারে, যাই ঘটুক না কেন আমরা আমাদের নির্বাচিত স্থানে আমাদের সমাবেশ করব।’
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
এক প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থাকবে বলে তারা আশা করেন।
আব্বাস আরও বলেন, ‘তারা বলে আমাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হবে। কিন্তু গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
সড়ক গত ২০ বছর ধরে অবরুদ্ধ।অবরোধের কারণে এসব এলাকার মানুষ কি কষ্ট পাচ্ছে না?
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন, কারণ তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করছেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী আনী বলেন, তারা চান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ তাদের সমাবেশের বিকল্প স্থান হতে।
এ্যানি বলেছেন, ‘আমরা আজ দুপুর ২টায় পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম যখন আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি যে আমরা আমাদের সমাবেশ নয়াপল্টন বা আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণে করতে চাই। আমরা বর্তমানে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে নগরীতে পৌঁছেছেন।
শনিবার সকাল থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহী মহানগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছান।
সমাবেশস্থলে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী মিছিল ও স্লোগান দিচ্ছেন। সকাল ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ দেখতে পান ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার আগে থেকেই নগরীতে পৌঁছানো নেতাকর্মীরা ভেন্যু সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নেন।
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হবে এবং এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে নগরীতে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং নগরীর সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সাদা পোশাকেও পুলিশ পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
বিএনপির গণসমাবেশের পূর্বে ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাত্রীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীতে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজশাহী বাস টার্মিনাল থেকে বিআরটিসির একটি বাস ছেড়ে গেলেও অন্যান্য বাস কাউন্টার বন্ধ পাওয়া গেছে।
নগরীর তালাইমারী মোড়ে পরিবহনের অপেক্ষায় থাকা আশরাফুল ইসলাম ইউএনবি সংবাদদাতাকে বলেন, নাটোর হয়ে বগুড়া যেতে তাকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমার মতো যাত্রীরা।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু বৃহস্পতিবার
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউর হক টিটু বলেন, ধর্মঘট চলায় রাজশাহী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি এবং অন্যান্য স্থান থেকে প্রবেশও করেনি।
নাটোরে সব ধরনের গণপরিবহনের উপস্থিতি খুবই কম, অন্যদিকে যাত্রীদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কিছু যাত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটতে দেখা গেছে।
বুধবার রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়ে যৌথসভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করছে।
তারা দাবি করেছেন যে বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র নেই, কারণ তারা পূর্বেই তাদের দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর বিভাগীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংহতি পরিষদ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১০ দফা দাবি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেয়।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাতিল এবং মহাসড়কে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অবৈধ থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দেয়।
অন্যদিকে বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আট শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিলে সমাবেশস্থল মাদরাসা মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশ আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস দুলু বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা আজ থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান করবেন এবং সমাবেশ সফল করে বাড়ি ফিরবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা ছাড়া বিভিন্ন শহরে সব সমাবেশের আগে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে দেশজুড়ে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য খালাস বন্ধ
রাজশাহীতে মালিকদের পরিবহন ধর্মঘটের ইঙ্গিত
বিএনপির সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ যেন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের ৮ ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ৬ তারিখে করবে।
রবিবার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোনো বাধা দিবে না সরকার, তবে আগুন-লাঠি নিয়ে খেলতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
বিএনপিকে একটি ‘সন্ত্রাসী দল’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কানাডার একটি আদালত বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাদের রাজনীতি হচ্ছে আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে নেতা বানানো এতো সহজ নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? আপনাদের নেত্রীই তো বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়!’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মিউজিয়ামে।’
কুমিল্লার সমাবেশে কোথায় গেল হাঁকডাক, কোথায় গেল জনস্রোত আর ঢল- এমনটা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন যে ঢাকা শহরে দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
সিলেটে বিএনপির সমাবেশ: ধীরগতির ইন্টারনেট সেবার অভিযোগ স্থানীয়দের
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরুর আগে শনিবার সকাল থেকেই ধীরগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবার অভিযোগ করেছেন সিলেটবাসী।
মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা জানান, সকাল থেকে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।
সমাবেশের আগে জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবার গতি কমে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনুষ্ঠানস্থল থেকে কয়েকজন বিএনপি নেতা।
শনিবার সকালে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সিলেটে দলটি বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৭ম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
সকাল ১১টা ১০ মিনিটে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপির সিলেট মহানগর শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
পরিবহন ধর্মঘট ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শুক্রবার রাত থেকেই সমাবেশস্থলে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় জমায়। তারা বাস ধর্মঘটের কারণে প্রতিবন্ধকতা ও ঝামেলার আশঙ্কায় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পূর্বেই জড়ো হতে থাকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির সমাবেশ: নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখরিত আলিয়া মাদরাসা
বিএনপির সমাবেশের আগের দিনেই জনসমদ্রে পরিণত সিলেট
সিলেটে বিএনপির সমাবেশ: নেতাকর্মীদের খাবার ও পানির ব্যবস্থা করছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পুত্রবধূ
সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সেখানে প্রায় চার লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিয়েছে দলটি। গণসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, গণসমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের জন্য খাবার ও পানির ব্যবস্থা করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পুত্রবধূ রেজিনা নাসের।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর থেকে গণসমাবেশ লাগোয়া একটি তাবু থেকে পানি বিতরণ করতে দেখা যায়। গণসমাবেশে আসা সাধারণ মানুষের মাঝে এই পানির বোতল বিতরণ করেছেন ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত
তারা জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজনের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য দুপুর থেকেই পানির বোতল বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। শুধু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বোতল পানি বিতরণ করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমানের স্ত্রী রেজিনা নাসের এই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার বলেন, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতৃবৃন্দসহ দলের নিবেদিত কর্মীরা গণসমাবেশে আসবেন। তাদের তৃষ্ণা মেটাতে রেজিনা নাসের পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশের সবকটি বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সিলেটে হচ্ছে গণসমাবেশ
সিলেটের গণসমাবেশে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে চায় বিএনপি।
বিভাগের সব জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সমাবেশে উপস্থিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।
ধর্মঘটসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কথা মাথায় রেখেই নেতাকর্মীদের সমাবেশে আনার জন্য বিকল্প যানের ব্যবস্থা এবং তাদের রাতযাপনের জন্য নগরীর কমিউনিটি সেন্টার ও প্রবাসীদের বাড়িসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন বাস ধর্মঘট
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: ৩৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু
ফরিদপুরে শুক্রবার সকাল থেকে ৩৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
মহাসড়কে তিন চাকার যান ‘বন্ধের দাবিতে’ ৩৮ ঘণ্টার এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফরিদপুর জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয়েছিল এবং শনিবার রাত ৮ টায় এই ধর্মঘট শেষ হবে বলে জানা গেছে।
ধর্মঘটের বিষয় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামীকাল শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার ও প্রশাসনের ইন্ধনে এই বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
ধর্মঘটের সকাল থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড ও শহরের ইমামুদ্দিন স্কয়ার এলাকা ঘুরে যাত্রীদের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আর পরিবহন শ্রমিকরা কেউ কেউ কেরাম ও লুডু খেলছেন।
হাবিবুর নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ধর্মঘট করছি, আমাদের নেতারা বলছেন তাই ,আমাদের নেতাদের কথায় চলতে হয়। তবে আমাদের তো টাকা আয় না করলে প্রতিদিন ঘরে চাল জোটে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেকটি সমাবেশ, আরেকটি পরিবহন ধর্মঘট: এবার ফরিদপুরে
পুরোনো বাসস্ট্যান্ডে নাটোরের কৃষি শ্রমিক গুলজার মিয়া বাসের অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়নে এসেছিলেন ভুট্টার খেতে কাজ করতে। বাড়িতে এক স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে আছে। মালিকের কাছে খবর এসেছে তারা তিনজনই জ্বরে আক্রান্ত। এই খবর পাওয়ার পর তিনি বাড়ির উদ্দেশে বের হয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড এসে দেখেন বাস চলাচল বন্ধ।
আরেক শ্রমিক বলেন, ‘এতটা পথ ইজিবাইকে (অটোরিকশা) ভেঙে ভেঙে যাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া ভাড়াও লাগবে অনেক বেশি, তাই বাসের অপেক্ষায় বসে আছি।’
গত ৭ নভেম্বর জেলার মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ১০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে পরদিন সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত (৩৮ ঘণ্টা) সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
সম্পাদক গোলাম নাসির বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
তবে জেলায় তিন চাকার গাড়ি ও ভাড়া করা মাইক্রোবাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, ফরিদপুরের জনসভায় জনগণকে বাধা দিতে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
তারা সফল হবে না এবং বিগত বিভাগীয় সমাবেশের মতো শনিবারও ফরিদপুর জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
এদিকে হরতালের কারণে দলের নির্ধারিত সমাবেশের তিন দিন আগে বুধবার থেকে ফরিদপুরে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বুধবার রাত ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-জনশিক্ষা সম্পাদক খোকন তালুকদারের নেতৃত্বে শরীয়তপুরের শত শত বিএনপি নেতাকর্মী কোমরপুর উপজেলার আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছান।
খোকন তালুকদার জানান, ফরিদপুরে তারাই প্রথম এসেছেন। পরিবহন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন।
তিনি বলেন, আয়োজকরা বিএনপি নেতাকর্মীদের খাবার ও আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন।
আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট চত্বর আজ (শুক্রবার) সকালে জমজমাট ছিল কারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন এবং তারা তাদের দুপুরের খাবার রান্না করছেন।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে আরও পাঁচটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর শনিবার ফরিদপুরে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ষষ্ঠ সমাবেশ হবে।
বরিশাল, রংপুর ও খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেও একই ধরনের ধর্মঘট করা হয়েছিল, তবে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক বাধা অতিক্রম করে সমাবেশে অংশ নেন।
চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের হাতে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনও রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে সংবিধানে সেই সুযোগ নেই বলে তাদের দাবিকে প্রত্যাখান করে আসছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সিলেটে ২য় দিনে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে, পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন
বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহের জন্য তৈরি করা সাংবাদিকদের মঞ্চ ভেঙে দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আহতের মধ্যে একজন সুজয় দাস, যিনি সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন।
সুজয় দাস বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জন্য করা মঞ্চে উঠে লাফালাফি করছিলেন। আমরা সে সময় অনেক সংবাদকর্মী সেখানে কাজ করছিলাম। বিএনপি কর্মীদের প্রথমবার নামিয়ে দেয়া হলেও তারা পুনরায় মঞ্চে উঠে লাফালাফি শুরু করলে সেটি ভেঙে পরে।’
আরও পড়ুন: বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
তিনি আরও বলেন যে এতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
অপর এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং একটি টিভি ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বিএনপির নেতাদের স্বাগত জানাতে মঞ্চ প্রস্তুত।
বরিশাল বিএনপির বিভাগীয় সভার মঞ্চ প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবুল হোসেন লিমন বলেন, নেতাদের জন্য ৫০ ফুট লম্বা ও ২৫ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ব্যানার টাঙানোর কাজও শেষ।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে ১২০টি লাউডস্পিকার রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই বরিশালে পৌঁছেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে শুক্রবার বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীকে দেখা গেছে।
বিভাগীয় সমাবেশের প্রথমটি চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে, তৃতীয়টি খুলনায় ও চতুর্থটি রংপুরে হয়েছে। এটি হবে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ।
আগামী বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য সমর্থন জোগাতে অন্যান্য বিভাগেও সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল