পাশাপাশি, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ হিসেবে একই দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ৩০ ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করবে। এ দিন আমরা সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘আমরা ৩০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে, শনিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এক সভায় ৩০ ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে গণফোরাম ও অন্য কয়েকটি দল নিয়ে জোট বেঁধে জাতীয় নির্বাচনে গিয়েছিল বিএনপি। এ নির্বাচনে বিএনপি ছয়টি এবং গণফোরাম দুটি আসন পেয়েছিল। কিন্তু ব্যাপক ভোট ডাকাতি ও রাতের বেলা ভোট কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের ভোটগ্রহণ বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিও করে আসছেন তারা।
তবে, পরে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত আটজন সংসদ সদস্য সংসদে যোগ দিয়েছেন।
বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ গ্রহণ করেননি।
নির্বাচন কমিশন এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ২৪ জুন উপনির্বাচনের আয়োজন করে। উপনির্বাচনে বিএনপির পক্ষে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।