শুক্রবার পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিশুদের নির্যাতন করাটা অন্যায় হয়েছে। মামলার আসামিরা কেউ এলাকায় নেই, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে
নির্যাতনের শিকার শিশু সুমনের মা শরিফা খাতুনের অভিযোগ, থানায় এজাহার করার ৭ দিন পার হলেও আসামিদের পুলিশ ধরছে না।
শরীফার অভিযোগ, তার স্বামীর বড় ভাই মোতালেব আলী তাকে কু-প্রস্তাব দেয় কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। এ জন্য তাকে ঘায়েল করতে ছেলে সুমন ও চাচাতো দেবরের ছেলে কামরুল ইসলামকে গত ২২ মে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ এনে শালিস বৈঠক বসায়। সেখানে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম নেতৃত্বে মোতালেব আলীসহ কয়েকজন সুমন ও কামরুলের হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে। এতে ওই দুই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। নির্যাতনকারীরা নির্যাতনের চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, 'আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তির একটি মোবাইল ফোন চুরি করে দুষ্ট প্রকৃতির ওই দুই শিশু। এর আগে তারা নানা রকম অপরাধ করে। পারিবারিকভাবে তাদের শাসন করা হচ্ছিল। তাছাড়া যার মোবাইল ফোন চুরি হয় তিনি তাদের মারধর করেছে, আমি মারিনি।’