ইউপি সদস্য
প্রধানমন্ত্রী থেকে ইউপি সদস্য পর্যন্ত সবার জবাবদিহিতা চান তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দলের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পর্যন্ত সবাই তাদের কাজের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি করতে চাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মন্ত্রী, এমপিসহ সকল স্তরের সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফরিদপুরে এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
একই সঙ্গে সরকারি-আধা-সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এটি এমন কিছু নয় যা রাতারাতি অর্জন করা যায়, তবে এটি সম্ভব ... পরিবারের কথা চিন্তা করলে জবাবদিহিতার কারণে তা বিকশিত হয়।’
ফরিদপুর সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে '৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার প্রস্তাব ও জনসম্পৃক্ততা' শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
তারেক বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে জবাবদিহিতার সম্পূর্ণ অভাবের কারণে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ অন্যান্য অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার একতরফা নির্বাচন আয়োজন করেছে, যেখানে দলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক লুটপাট ও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারে লিপ্ত হয়েছে। এটি হয়েছে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার অভাবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তাই আমাদের লক্ষ্য দুর্নীতি দূর করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করা, যাতে জনগণ সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে। আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে শিক্ষার্থীরা দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হলে অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনা, জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার এবং ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। ‘বিএনপির মতো দল সুষ্ঠু নির্বাচনের ডাক দেবে এটাই স্বাভাবিক। এটা করতে হলে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করতে কীভাবে সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তা স্মরণ করেন বিএনপি নেতা। ‘একইভাবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, 'আমরা যদি আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই, তাহলে সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতা প্রয়োজন। এই সহযোগিতার প্রথম শর্ত হচ্ছে জনগণের আস্থা ধরে রাখা। সেটা করতে হলে আমাদের অবশ্যই জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে হবে, কথা বলতে হবে এবং আচরণ করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা স্বীকার করেন যে, দলের কিছু নেতাকর্মী ভুল করতে পারেন এবং তা অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। ‘আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের সতর্ক করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তারেক বলেন, জনগণের আস্থা যেকোনো রাজনৈতিক দল, তার নেতা ও নেতাকর্মীদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। ‘জনগণের আস্থা হারালে আমরা সব হারাব। তাই আসুন আমরা তা সংরক্ষণের অঙ্গীকার করি। আমরা যদি ঘরে বসে বসে ভাবি যে, জনগণ ইতোমধ্যে বিএনপির ওপর আস্থা রেখেছে, তাহলে সেই আস্থা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে।’
নিজেকে সংশোধন করুন
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে এবং চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সবার আগে নিজেদের সংশোধন করতে দলীয় সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগে নিজেকে সংশোধন করুন, তারপর অন্যকে সংশোধন করতে বলুন। অন্যথায় বড় বড় কথা বলে লাভ নেই (অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার বিষয়ে)।
দুই নেতা দলের নেতাদের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির বিষয়ে তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্ন তোলেন, দলের কোনো নেতাকর্মী দলের প্রভাব খাটিয়ে অমানবিক, সমাজবিরোধী ও চাঁদাবাজি বা অন্য কোনো অপকর্মে লিপ্ত হলে বিএনপি কমিশন গঠন বা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেবে কি না।
এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে কেউ যদি এমন অনৈতিক কাজ করে থাকে, তাহলে আগে নিজেকে সংশোধন করুন। আমাদের দলে কিছু খারাপ লোক থাকতে পারে, যারা খারাপ ও অনৈতিক কাজ করছে। আমরা ইতোমধ্যে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে কঠিন: তারেক রহমান
তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পেলেই তার দল সর্বাত্মক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এমনকি বিএনপির যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা চরম ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও জানান বিএনপি নেতা। ‘মূল কথা হলো ‘প্রথমে নিজেকে সংশোধন করা এবং তারপরে অন্যদেরও এটি করতে উৎসাহিত করা।’
বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক।
তিনি বলেন, তাদের দল দ্রুত বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চায়, যাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো যথাযথভাবে সমাধান করা যায়।
২ সপ্তাহ আগে
নরসিংদীতে সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে নারীসহ দুই ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চান্দেরকান্দি ইউপি সদস্য মানিক মিয়া (৫৫) সাবেক নারী ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম (৩২)। তারা উভয়ই রুবেল গ্রুপের সদস্য। আহতরা হলেন- আমির হোসেন (২১) রাব্বি মিয়া (২৪) অন্যান্য আহতদের নাম ঠিকানা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নরসিংদী কারাগারের লুট করা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার আরও ২
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সংঘর্ষে রুবেলের চাচা মানিক মিয়া পার্শ্ববর্তী চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় হারুন অর রশিদের সমর্থকরা তাকে বশির উদ্দিনের উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানা যায়। নিহত মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও কল্পনা বেগম একই ইউনিয়নের সাবেক নারী ইউপি সদস্য।
ওসি জব্বার বলেন, ‘দুই গ্রুপের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে ভোর থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ দুইজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার বিস্তারিত পরে জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নরসিংদী কারাগারের ৭৭ জন বরখাস্ত
২ সপ্তাহ আগে
আবাসিক হোটেলে ‘গোপন বৈঠকের’ অভিযোগে ১৯ ইউপি সদস্য আটক
কক্সবাজার শহরে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ‘গোপন বৈঠকের’ অভিযোগে ১৯ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহরের কলাতলী ইউনি রিসোর্টের পঞ্চম তলার হল রুম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জহির আহমেদ বলেন, ‘জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা চলছিল। আমরা প্রায় ৭০ জনের মতো ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্রান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। পুলিশ ও সমন্বয়করা ঢুকে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আটক করে। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকতো তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পর্যটন কেন্দ্রে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, ‘আজ আমাদের মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিলেন। কিন্তু এভাবে আমাদের ভাইদের আটক করার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এদিকে পুলিশ হোটেল ঘেরাও করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একারণে হোটেলের পর্যটদের কাউকে কাউকে হোটেল ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
ইউনি রিসোর্টে ৫০৫ নম্বর কক্ষের পর্যটক মিরাজ বলেন, ‘আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এই হোটেলে উঠেছিলাম। হঠাৎ পুলিশ হোটেল ঘেরাও করে। কিছুক্ষণ পর কেয়কজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে হোটেলে ডুকে পড়েন। আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি না। তাই চলে যাচ্ছি।‘
এদিকে অভিযানের নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ নিতে বাধা দেন সমন্বয়ক পরিচয়ধারীরা। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর হামলাও করেন তারা।
দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি আশরাফ বিন ইউছুফ বলেন, হোটেলে পুলিশের অভিযান চলছে এমন খবরে আমরা নিউজ সংগ্রহ করতে আসি। আমরা ছবি তুলতে গেলে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। ভিডিও ধারণ করতে গেলে দালাল বলে গালিগালাজ করেন এক যুবক। তিনি নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এখানে অনেক ইউপি সদস্য আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের আটক করা হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের অভিযানে অর্ধশত কথিত সমন্বয়ক কেন- এমন প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে পিস্তল-গুলি জব্দ, আটক ১
১ মাস আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় শ্রীমঙ্গলের এক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য পিয়াস দাস গ্রেপ্তার হয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশের হাতে বুঝিয়ে দেয়।গ্রেপ্তার পিয়াস (৩৪) সদর ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ গ্রামের পিযূষ দাসের ছেলে পিয়াস ভারতে যাওয়ার জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশনে আসেন।
শ্রীঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামের রিকুইজিশন মূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় করা মামলায় তিনি ১ নম্বর আসামি।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
১ মাস আগে
যশোরে ইউপি সদস্যের ঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশুসহ দগ্ধ ৪
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১ নম্বর গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের কাগমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দম্পতি দগ্ধ
দগ্ধ তিনজনের শরীরের দুই-তৃতীয়াংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধরা হলেন- ইউপি সদস্য তালিমুল ইসলাম খাঁন (৪০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫), ছেলে মেহেমিদ খাঁন (৪) এবং ভাই ওবায়দুল খাঁন (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য তালিমুল স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে রাতে ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন কে বা কারা ঘরের বাইরের থেকে দরজা আটকিয়ে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের উদ্ধার করতে গেলে তালিমুলের ভাই ওবায়দুলও দগ্ধ হন। পরে ঘরের দরজা ভেঙে স্থানীয়রা সবাইকে উদ্ধার করে। এতে ওই পরিবারের সবাই দগ্ধ হন।
গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে শুক্রবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমিসহ আমার টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই, দগ্ধ ১০
মেঘনা টোল প্লাজায় মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডে ৫ যাত্রী দগ্ধ
৪ মাস আগে
এমপির নামে নকল সিল, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সংসদ সদস্যের নামে নকল (অবৈধ) সিল তৈরির অভিযোগে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপির ব্যক্তিগত সহকারী কামরুজ্জামান বাদী হয়ে এক ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল পৌর শহরের ভাঙা মার্কেট এলাকায় তহুরা কম্পিউটারের দোকানে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে গবার নামে অনুমতি ছাড়া নকল সিল তৈরি করছিলেন। সংসদ সদস্যর ব্যক্তিগত সহকারী কামরুজ্জামান গোপনে খবর পেয়ে বিষয়টি এমপিকে জানালে তিনি তার নামে সিল তৈরির বিষয়ে জানেন না বলে জানান।
বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নকল সিল তৈরির প্রস্তুতি শেষ করার সময় দোকানি আব্দুর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। ৩ এপ্রিল থানা পুলিশ আটক রশিদকে ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করেন। পরদিন তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
এদিকে ঘটনার চারদিন পর শনিবার রাতে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এমপির নামে জাল সিল বানানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, থানায় অপহরণ মামলা
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার ১২
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি সদস্য নিহত, যুবলীগ নেতা আহত
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে কাঠবোঝাই চাঁদের গাড়ির (জিপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. হেলাল উদ্দিন (৩৮) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিহত এবং এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে ২ নম্বর ওয়ার্ড বটতল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হেলাল উদ্দিন বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওই এলাকার করিম উল্লাহর ছেলে।
অন্যদিকে আহত মো. নুরুন্নবী (৪০) রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া নাপিত পুকুরিয়া ব্রিজঘাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র নিহত
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, পদুয়ার বটতল এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে কাঠ বোঝাই চাঁদের গাড়ির (জিপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে মোটরসাইকেল থাকা দুইজন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক ইউপি সদস্য হেলালকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, নুরুন্নবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কাছে হেলালের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। জিপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১১
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
১ বছর আগে
গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ইউপি সদস্য খুনের অভিযোগ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যুবকের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে বাদশা মিয়া নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্বপন ও সবুজ নামে দুই সহোদর আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের পূর্ব নয়নপুর গ্রামে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় জালে উঠে এলো মানব ভ্রূণ
নিহত বাদশা মিয়া (৫০) বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় রাতে ছিঁচকে চুরি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েকজন যুবককে প্রহরী নিয়োগ করা হয়। ওই প্রহরীরা এলাকায় ঘোষণা করেন, বিনা প্রয়োজনে রাত ১০টার পর বাড়ির বাইরে কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। রাত ১২টার দিকে একই গ্রামের মোসলেম আকন্দ ভোলার ছেলে পাপুল আকন্দের পথরোধ করেন প্রহরী খায়রুল।
এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য এগিয়ে যান ওয়ার্ড সদস্য বাদশাসহ অন্যান্যরা।
উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পাপুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়াসহ পাশের লোকজনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে বাদশাসহ প্রতিবেশি দুই সহোদর গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দীবাকর অধিকারী জানান, অভিযুক্ত পাপুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বউ-শাশুড়ি মেলা!
গাইবান্ধায় গাড়ির ওয়ার্কশপ থেকে ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ফরিদপুরে সাপের কামড়ে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু
ফরিদপুরের সাপের কামড়ে এক নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টা দিকে সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কানন সিকদার (৩৫) চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য এবং বিষ্ণুপুর গ্রামের শান্ত চৌধুরীর স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের মা।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, কাকন বিকালে বাড়ির সামনে থেকে কেটে রাখা কাঠ বের করার সময় সাপের ছোবলে তিনি অসুস্থ হন। পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক বলেন, সাপে কাটা এক নারীকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই নারীকে এই হাসপাতাল আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কাকন শিকদার ১, ২, ৩ সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সাপের কামড়ে ইউপি সদস্যের এ মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
১ বছর আগে
জামালপুরে সাবেক ইউপি সদস্য খুন
জামালপুরে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে মাদারগঞ্জ উপজেলার ফুলজোর গ্রামে স্থানীয় বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় ২৪০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম (৫০) মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তার বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার ফুলজোর গ্রাম।
জানা যায়, শনিবার রাতে ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
পরে মাদারগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) স্বজল কুমার সরকারের নেতৃত্বে মাদারগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্বজল কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ বর্তমানে মাদারগঞ্জ থানায় রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দ্রুতই জহুরুল ইসলামের লাশ জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
১ বছর আগে