শুক্রবার রাতে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বিন্নাগারী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
পুলিশ জানায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে বাড়িতে রেখে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বিধবা মা বাইরে যান। বাড়িতে একা পেয়ে মোক্তার আলী ওই মেয়েকে ডেকে পাশের সুপারি বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় এক নারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে মোক্তার আলী পালিয়ে যান। পরে ওই নারী বিষয়টি কিশোরীর মা ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে পরদিন সকালে স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। তবে সালিশে অভিযুক্ত মোক্তার আলী উপস্থিত না হওয়ায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত মোক্তার আলীকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সাভারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, লম্পট মোক্তার আলী দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। তার পরিবারকে বিষয়টি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকায় মেয়েকে ফুসলিয়ে বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বাদীর অভিযোগে মোক্তার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ষণের শাস্তি
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেরধারা ৯(১): কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবেন। এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডও তাকে দেয়া যেতে পারে।
ধারা ৯(২): ধর্ষণের ফলে বা ধর্ষণের পড়ে অন্য কোনো কাজের ফলে ধর্ষিত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলে ধর্ষণকারী মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবেন। এছাড়াও তাকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ধারা ৯(৩): একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করলে এবং ধর্ষণের কারণে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলে তাহলে ধর্ষকরা প্রত্যেকেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়াও তাদেরকে অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
ধারা ৯(৪): যদি কোন ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে
(ক) ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
আরও পড়ুন: দলবেঁধে ধর্ষণ: ফাঁসির ৫ আসামি আপিলের রায়ে খালাস
(খ) যদি ধর্ষণের চেষ্টা করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বছর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।