জামায়াত
সংস্কার ও খুনিদের বিচারের আগে নির্বাচন নয়: জামায়াতের আমির
আগামীতে যেকোনো নির্বাচনের আগে খুনিদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, যা দৃশ্যমান হতে হবে। আর আরেকটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার—এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) লালমনিরহাটের কালেক্টরেট মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।’
ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালো কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে তারা ভালো থাকবে কিনা।’
জামায়াতপ্রধান আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনও কিছু কু-রাজনীতিক চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও কাজের ব্যবস্থা করবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ লালমনিরহাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই—যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন চাই না। টুকরা টুকরা জাতি চাই না। আমরা মাইনরিটি ও মেজরিটি শব্দই শুনতে চাই না।
ডা. শফিকুর বলেন, এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও বলছে এই কথাগুলো বলেই বলেই আমাদের শোষণ করা হয়েছে। আমরাও চাই না। নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই দেশকে গড়ে তুলবো। নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা নিরাপদভাবেই ঘরে থাকবেন, বাইরে যাবেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। যুবকদের হাতকে আমরা কাজের হাতে পরিণত করব। সেই অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, আমাদের লাখ লাখ মানুষ বলছেন, জীবন দেবো, দেশের সার্বভৌমত্ব দেবো না। কারো লাল চোখের দিকে আর আমরা তাকাবো না। আমাদের দিকে যদি কেউ লাল চোখ তুলে তাকায় তাও আমরা বরদাশতহ করব না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারো হাতে বন্দি হওয়ার জন্য না। বরং সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সেই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিভেদহীন জাতি চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনে এগোতে চাই, লালমনিরহাটের প্রাণের দাবি তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও লালমনিরহাটের বিমানবন্দর চালু করতে হবে—তাহলে বেকারত্ব দূর হবে।
কালেক্টরেট মাঠ ছাড়াও শহরের অপর একটি মাঠে নারীদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।
জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এসময় জনসভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় জামায়াত
১ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জামায়াতে ইসলামী দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা কথা হয়েছে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। তারা আগামী নির্বাচন কখন হবে, কীভাবে হবে এটা জানতে চেয়েছেন। তারা আরও জানতে চেয়েছেন সবগুলো দল সংস্কার চাচ্ছে, সেই সংস্কার কেমন হতে পারে এবং আমরা কি চাচ্ছি?’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে? তারা আমাদের রিজিওনাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়গুলোও জানতে চেয়েছেন। আমরা এ সমস্ত বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছি।’
জামায়াত আমির বলেন, তারা মাইনরিটি ইস্যু (সংখ্যালঘু) নিয়ে কথা বলেছেন, তারা নারী অধিকার ও লেবার রাইটস নিয়েও কথা বলেছেন। আমরা তাদের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
দেশ জটিল পরিস্থিতিতে আছে ও গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করার সময় আমেরিকার ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ পুনর্বিবেচনা করার জন্য তাদের অনুরোধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানানোর অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করি এবং আমাদের দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করতে চাই। এজন্য আমাদের যা করণীয় তা আমরা করব।
ডা. শফিকুর বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচনকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা প্রস্তাবনার মাধ্যমে। যেটা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দলীয় স্বার্থে এটাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এখন আবার গোটা জাতি এটা চাচ্ছে এবং আমরা আশাকরি এটা আবার সংবিধানে সন্নিবেশিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি জনগণ পছন্দ করে না: মিয়া গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় প্রশ্নে আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিবেন। আমরা আশা করি ইলেকশনটা এ সময়ের মধ্যেই হবে। তবে আগামী রমযানের আগে হলে ভালো হয়। জুনের দিকে নির্বাচন দিলে তখন বর্ষা, ঝড়-ঝাপটাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। তখন আবার নির্বাচনটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা এজন্য চাচ্ছি, ঐ আশঙ্কার আগেই যাতে নির্বাচনটা হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘জাতি ট্রমাটাইসড! এখনো হাসপাতালে অনেক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীরা পড়ে আছেন। এখনো শহীদদের মা-সন্তান-স্ত্রীরা কান্না করছেন। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে আমরা সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
৩ দিন আগে
রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি জনগণ পছন্দ করে না: মিয়া গোলাম পরওয়ার
জনগণ রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি পছন্দ করে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, কোনো কোনো দলকে এখন জামায়াতের বিরোধিতা করতে দেখা যায়। জামায়াতের বিরোধীতা করার আগে তাদের জামায়াতের অবদানের কথা স্মরণ করতে হবে।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কখনো চায়নি পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হোক। তিনি দেশপ্রেমে নয়, ক্ষমতার মসনদে বসার লড়াই করেছেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন গোলাম পরওয়ার।
গোলাম পরওয়ার প্রশ্ন রেখে বলেন, ৭ মার্চ যদি শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থাকেন—তাহলে ৭ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ শেখ মুজিব পাকিস্তানি শাসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কেন? তিনি বলেন, এ প্রশ্নের জবাব আজও আওয়ামী লীগ জাতির সামনে দিতে পারেনি।
'মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস' উপলক্ষে বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিন: মিয়া গোলাম পরওয়ার
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী তাদের সঙ্গে থাকলে হয় সঙ্গী আর সঙ্গে না থাকলে হয় জঙ্গি! যারা জামায়াতে ইসলামীকে স্বাধীনতা বিরোধী বলেন, তাদেরকে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র পড়ার আহ্বান জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, এদেশে আমরা যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছি, তাদের এদেশ ছেড়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আমাদের চারদিকে আমাদের আধিপত্যবাদী শক্তি। আরেক পাশে বঙ্গোপসাগর। ফলে আমাদের জীবন ও অস্তিত্বের প্রয়োজনে আমরা এদেশকে ভালোবাসি। আমাদের ঈমান ও ইসলামের স্বার্থে এদেশকে ভালোবাসি। তাই ইসলামই মূলত স্বাধীনতার গ্যারান্টি।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের এই দেশকে নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরই অংশ হিসেবে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছে ভারত। যার কারণে তারা আমাদের দেশ নিয়ে তাদের মিডিয়াতে নানা রকম গুজব ছড়াচ্ছে এবং প্রচার ও প্রকাশ করছে। বিরোধীতা করার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখার এবং পূর্বের ইতিহাস জানারও পরামর্শ দেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কাঁদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি করে না। কোন দলের কোন নেতার পরিবারের কারা কারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল সেটা এদেশের জনগণ জানে। আজকে যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলেন, তারাও কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের এমপি ও মন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতিও বানিয়েছেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ক্ষমতায় গিয়ে অনেকে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যা করার পরও জাতীয় স্বার্থে জামায়াত সব কিছু ভুলে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ আন্দোলন করেছে।
আরও পড়ুন: যেনতেন একটা নির্বাচন দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না: ডা. তাহের
মতের দ্বিমত থাকলেও দেশ ও জাতির স্বার্থে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান ব্যাখ্যা করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে এবং গণহত্যার বিচার করে অন্তবর্তীকালীন সরকার যখন নির্বাচন দেবে জামায়াতে ইসলামী তখনই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। শুধু নিয়ম রক্ষার একটি নির্বাচন নয়— অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন জামায়াতের এই নেতা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আব্দুল হালিম। এছাড়াও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামছুর রহমান, মহানগরী কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, কামরুল আহসান হাসান, শাহীন আহমেদ খান, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
২৪ দিন আগে
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবাণীতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া।’
‘এ সময় দেশেকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে এবং বাইরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।’
এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচার দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
৩০ দিন আগে
যেনতেন একটা নির্বাচন দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না: ডা. তাহের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘যেনতেন একটা নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর হবে না। আবার সকল সংস্কার শেষে নির্বাচন—এত সময় দেওয়াও সম্ভব নয়।’
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কথা স্পষ্ট, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দিন।’
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কুমিল্লা মহানগর জামায়াত আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ইফতার-পূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মোসলেহ উদ্দিন ও সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামরুজ্জামান সোহেল।
৩২ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিন: মিয়া গোলাম পরওয়ার
জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিচার, সংস্কার ও স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজবাড়ী শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে অবাধ ও সুষ্ঠু স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। সরকার আন্তরিক হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব বলে অভিমত দেন তিনি।
নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য যতটুকু যৌক্তিক সময় দরকার সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবিও জানান জামায়াত সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন: সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে: হামিদুর রহমান আযাদ
পরওয়ার বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজরা জয়ী হতে পারবে না। তাই তারা আগে জাতীয় নির্বাচন চায়। কিন্তু আমরা চাই, আগে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক।’
বর্তমানে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় অবকাঠামো নির্মাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
এ ছাড়াও রিলিফ, ভিজিডি, কাবিখা ইত্যাদি প্রকল্পের জন্য জনগণ সাধারণত জনপ্রতিনিধিদের কাছে আসে। কিন্তু, তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দেশে হানাহানি, রক্তারক্তি রোধ করার জন্য ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের নামে মামলা করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে—নির্বাচনের আগেই জাতি তাদের বিচার দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
তিনি নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগে নির্বাচন কমিশনের যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। তারপর অপরাধীদের বিচার করতে হবে। এরপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি। সবশেষে অর্ন্তবর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলেন তিনি।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আরির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. দেলাওয়ার হোসেন ও অন্যান্য নেতারা।
৫১ দিন আগে
আজহারকে মুক্তি না দিলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জামায়াত আমিরের
এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আজহারুলের মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দেশ পুরোপুরি মুক্তি পাবে না। শুধু একজন মজলুম মুক্তি পাবে। দেশকে মুক্ত করতে হলে যুব সমাজকে আগাতে হবে।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক পথসভায় এ দাবি জানান ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলন করেছি। কিন্তু সেই সমস্ত কষ্ট দুঃখ-যাতনা, জুলুম একত্রিত হয়ে যে শক্তি তৈরি হয়েছিল, আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে সেই শক্তিতে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে।’
যুবকদের উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সমাজ গড়ার জন্য দায়িত্ব নিতে হলে তোমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। যে সমাজের যুবকেরা এগিয়ে আসে বিপ্লবের জন্য সেই সমাজে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপ্লব সফল হয়।’
আরও পড়ুন: আজহারের মুক্তি দাবি: কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের
তিনি বলেন, আমি যুবকদের থেকে দুটি জিনিস চাই— একটি হচ্ছে গভীর দেশপ্রেম ও আরেকটি হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ভয়। এই দুইটা জিনিস নিয়ে যদি যুবকের এগিয়ে আসে তারাই হবে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হিমালয় পর্বত। এই পর্বত যারাই ভেঙে দিতে আসবে, তার মাথা চুরমার হয়ে যাবে।
জেলার নায়েবে আমির কে এম মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, জেলা আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুর রব হাশেমী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
৫৫ দিন আগে
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে: হামিদুর রহমান আযাদ
ফ্যাসিবাদী সরকারের মাধ্যমে সৃষ্ট অচলাবস্থার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেছন, ‘বর্তমান সরকার যদি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দিকে ফিরিয়ে নিতে চান, তাহলে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার যে দেশকে অচলাবস্থা করেছিল সেটার প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আবারো ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।’
আযাদ বলেন, বাংলাদেশকে গড়তে হলে আমাদেরকে ঔক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হামিদুর রহমান বলেন, বিগত ৫৩ বছর বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পড়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এ জন্যই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব ঘটেছে। বুলেটের সামনে দেশের দামাল ছেলেরা বুক পেতে রক্ত দিয়েছে। হাজার হাজার লাশ পড়েছে ও ৩০ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দ্যেশে করে তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংসদে সংখ্যানুপাতিক আসন বিন্যাস করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিও জানান আযাদ।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার এসেছিল বৈষম্য দূর করতে, এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি দেশ। আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের অধিকার সমান। সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ কার্যকর হয়নি এখনো।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট গণভবন ঘেরাওয়ের কথা বুঝতে পেরে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। ১৫ বছর ছাত্রদের যে ইতিহাস পড়ানো হয়েছিল, ছাত্র-জনতা সেদিন ফুসে উঠে ক্রেন দিয়ে সেগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত সরকার সম্পদের সঠিক ব্যবহার না করে শুধু লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে, চর দখলের মতো ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করে ক্যান্টনম্যান্ট তৈরি করেছিল। যে কারণে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। শুধু সমদ্রের সম্পদ ব্যবহার করে দেশের ছয় মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল।
হামিদুর রহমান বলেন, যে উদ্দেশ্য এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। দেশে সুশাসন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় পাঁচবার বাংলাদেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিচার করতে হবে। তিনি সর্বশেষে জামায়াত নেতা আজাহারুল ইসলামসহ জেলবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য’
ফরিদপুর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইমারত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বোয়ালমারী পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা সৈয়দ নিয়ামুল হাসানের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য শামসুল ইসলাম আল-বরাটী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন, সেক্রেটারি আব্দুল ওহাব, ফরিদপুর-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা, জেলা নায়েবে আমির আবু হারেস মোল্যা প্রমুখ।
৫৬ দিন আগে
আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর উপযুক্ত সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার সড়কে চাঁদপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত, যাতে কারও ভোট নষ্ট না হয় এবং প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
এ সময় নির্বাচনকে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি করেন, তাদের বলছি— আল্লাহ ভিক্ষাকে হালাল করেছেন, কিন্তু চাঁদাবাজিকে হারাম করেছেন। তাই চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করাও উত্তম। অথবা আপনারা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চান, আমরা আপনাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত, কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে চাঁদাবাজি করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা বিভিন্ন গাড়ীতে চাঁদাবাজি করেন, এ চাঁদাবাজির টাকা ১৮ কোটি মানুষের পকেট থেকে যায়। ভিক্ষুকের পকেট থেকেও যায়। সুতরাং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নইলে আবারও ৫ আগস্ট আসবে, আপনাদের দশাও তাদের মতো হবে।’
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।
আরও বক্তব্য দেন জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মুহাদ্দিস আবু নসর আশরাফী, শহর জামাতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৫৩ বছরের হওয়া সব খুনের বিচার হতে হবে: জামায়াত আমির
এদিন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা করেন সদর উপজেলা আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী। পথসভায় দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাসহ হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
৫৬ দিন আগে
আজহারের মুক্তি দাবি: কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের
কারান্তরীণ দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। তিনি এখনও বন্দী রয়েছেন। একে একে সকল জাতীয় নেতা মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। তাকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আপত্তি নেই, সংস্কার আগে হতে হবে: জামায়াত
তিনি আরও বলেন, এই জুলুমের প্রতিবাদ এবং এটিএম আজহারুল ইসলাম এর মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব।
তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। সময় মতো তাকে যথাস্থানে পাওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই ফেসবুক পোস্টে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে আজ রিভিউ শুনানির কথা ছিল। আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য ৯ নম্বরে ছিল। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি: জামায়াত আমির
৫৮ দিন আগে