তিনি গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওএমএস ডিলার।
শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকার ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালান। এসময় গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম ও কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শিশির কুমার কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনওনাজমুল ইসলাম সরকার জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দুস্থদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হলে ওএমএসের ডিলার আলাল উদ্দিন স্বপন ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পান। রেজিস্ট্রারে তিনি দেখিয়েছেন মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে ৪৯২ জনকে ১০ টাকা দরে চাল দেয়া হয়েছে।
কিন্তু তিনি প্রায় ২০০ মানুষের কাছ থেকে ওএমএসের কার্ড কেড়ে নিয়েছেন এবং রেজিস্ট্রারে জাল স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রেজিস্ট্রারে অনেকের স্বাক্ষরই নেই।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলাল উদ্দিন স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালানো হলে একটি ঘরে ৬৭ বস্তা চাল পাওয়া যায়। যার প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চাল রয়েছে। সরকারি বস্তা থেকে বের করে চালগুলো সাধারণ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল।
ইউএনও আরও জানান, চালগুলো গুদামে থাকার কথা। গুদামের সামনে থাকার কথা সাইনবোর্ড।কিন্তু কিছুই নেই। চাল ছিলো স্বপনের বাড়িতে। তার বাড়িতে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির কার্ডও পাওয়া গেছে যেগুলো বিতরণ করার কথা।
চাল আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ স্বীকার করে দলের অন্য এক নেতার নির্দেশে এ কাজ করেছেন বলে দাবি করেন স্বপন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে বাদী করে আওয়ামী লীগ নেতা আলাল উদ্দিন স্বপনের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও নাজমুল ইসলাম সরকার।