শনিবার রাত সোয়া ২টায় ৯৯৯-এ একজন কলার নীলফামারি থেকে ফোন করে জানান, তিনি একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তার এক বন্ধু বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানাধীন মাস্টারপাড়া এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করেন। কিছুক্ষণ আগে সেই বন্ধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন, বন্ধুদের তিনি বিদায় জানিয়েছেন এবং ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
কলার জানান, স্ট্যাটাসটি দেখার পর তিনি ঘণ্টাখানেক ধরে তার বন্ধুকে ফোন করছিলেন কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করছিলেন না। কলার ৯৯৯ কে তার বন্ধুকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ নম্বরে ফোন: সৌদিফেরত যাত্রীর কাছ থেকে আড়াই কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সাথে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।
পরবর্তীতে থানার এএসআই রতন ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কলারের বর্ণিত বাড়িটির গেট তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় বাড়ির মালিককে ঘুম থেকে জাগিয়ে গেট খোলার ব্যবস্থা করেন। এরপর বাড়ির মালিক এবং স্থানীয়দের সহায়তায় রাত ৩টায় আত্মহত্যা প্রচেষ্টাকারী ফ্ল্যাট থেকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ মায়ের ফোন: মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী ব্যক্তি আটক
আত্মহত্যা প্রচেষ্টাকারী ব্যক্তি জানান, তিনি প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে ৫০টি ঘুমের বড়ি খেয়েছেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রবিবার সকালে ৯৯৯ কে এএসআই রতন ফোনে জানান, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বিপদমুক্ত হয়ে ওই ব্যক্তি তার বাসায় ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি চলে যাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯ ফোনকলে উদ্ধার