লাইনচ্যুত বগির মধ্যে ৩টি বগিতে আগুন ধরে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হলেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
তবে ওই ট্রেনের চালক তারেক রহমানসহ (৩৫) কমপক্ষে ৩৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে চালকসহ ১৩ জনকে সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
উল্লাপাড়া স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত যান্ত্রিক ক্রটির কারণে দুপুর সোয়া ২টার দিকে রংপুরগামী ৭৭১ নং আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪টি বগির মধ্যে ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ইঞ্জিনের পেছনের ৩টি বগিতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়।’
সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, কামারখন্দ, তাড়াশ ও বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, বলেন তিনি।
স্টেশন মাস্টার আরও জানান, পাকশী থেকে রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজে রওনা দিয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার আহসানউল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাবেন।
কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন। তবে রিলিফ ট্রেন আসার পর মধ্য রাত থেকে পুনরায় রেল যোগাযোগ শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মঞ্জিল হক বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। যাত্রীরা কান্নাকাটি এবং হুড়োহুড়ি শুরু করে।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাত্রীদের উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিবাগত রাতে কসবার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।