সিরাজগঞ্জ
আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি
উজানের ঢল ও বর্ষণে আবারও যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনার পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার পানিতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার স্থানীয় ওয়াপদা বাঁধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দি
স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গাজমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার ভূতের মোড় থেকে ময়নাল সরকারের কবরস্থান পর্যন্ত তীব্র ভাঙনে কবলে পড়েছে।
এছাড়া কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিস, শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল, জালালপুর, কৈজুড়ী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ও বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোর্য়াটার) নাজমুল হাসান বলেন, ‘যমুনায় পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নজর রাখছেন।’
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনায় আবারও পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে স্থানীয় এমপি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।’
আরও পড়ুন: যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ফলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বাড়ছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
নদীর তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের দেড় হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।’
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনা খাবারসহ ত্রাণ ও সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ৬৬২ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল ও গাঁজা বহনের অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৬২ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ কেজি গাঁজা, একটি ট্রাক, একটি কাভার্ডভ্যান, আটটি মোবাইল ও নগদ ৬ হাজার ৮৯০ টাকা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ
গ্রেপ্তাররা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের বক্কারের ছেলে মোজাহার (৩১), লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মদনপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল মোনা (১৯), কুড়িগ্রামের কচুকাটা উপজেলার কেদার গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে আনিছুর রহমান (৩৫), দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের তমছের আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার কাঠগিরি গ্রামের মঈন আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪০)।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১২) অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলকোচা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান থেকে ১৫১ বোতল ফেনসিডিল ও সলংগা থানার ঘুরকা বেলতলা বাজার এলাকায় ভুট্টা ভর্তি ট্রাক থেকে ৫১১ বোতল ফেনসিডিল এবং শুক্রবার ভোরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাত্রীবাহী বাস থেকে ১২ কেজি গাঁজাসহ ওই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ১৩২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, নানি-নাতি গ্রেপ্তার
সিলেটে ১৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ২
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
উজানের ঢলে এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সদর দপ্তর) নাজমুল হোসেন বলেন, বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে এবং কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
নাজমুল হোসেন আরও বলেন, এ ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে ও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে এবার সিরাজগঞ্জে মাঝারি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, সিরাজগঞ্জে ব্যাপক ভাঙন শুরু
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উজানের পানির চাপ সামলাতে ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলের লোকজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে পাওয়া তিস্তার পানি প্রবাহের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, উজানে পানি কমলেও ভাটিতে পানি প্রবাহ বেড়েছে। শুক্তবার বিকাল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯.৩০ মিটার; যা বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ কমে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হলেও আগামী ৭২ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া রংপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এলাকার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ায় গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। পানি বাড়ায় তিস্তা অববাহিকার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ডাউয়াবাড়ী ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এক দিকে পানির নিচে ফসলি জমি অন্য দিকে বাড়িতে পানি, গবাদি পশুর খাবার সংকট, তাদের ভাবিয়ে তুলছে। এসব এলাকায় সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো ত্রাণ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীসমূহের পানি বাড়তে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে নীলফামারীর উজান ও ভাটিতে গত দুই দিন পানি বাড়লেও শুক্রবার পানি কিছুটা কমেছে।
ডিমলা উপজেলার তিস্তাপাড়ের পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও শুক্রবার কমে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি ৩৩, সকাল ৯টায় ৩৭, বেলা ১২টায় ৪৫ এবং বিকাল ৩টায় ৪৭ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদ্দৌলা বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি গত দুই দিনের তুলনায় কমেছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় বিপৎসীমার ৪৭ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনও শুরু হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে ২৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপরে বইছে ১৬ নদীর পানি
সিরাজগঞ্জে ব্রিজের উপরে ভিডিও করার সময় যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী ইলিয়ট ব্রিজের (বড়পুল) উপরে ছাদ খোলা গাড়ি থেকে ভিডিও করার সময় লোহার পাইপের সঙ্গে আঘাত লেগে রবিউল আজিম তনুর নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ২৯৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ২
নিহত তনু সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার ভোরে ছাদ খোলা গাড়ি নিয়ে চার বন্ধু ঘুরতে বের হয় এবং শহরের ইলিয়ট ব্রিজের সৌন্দর্য দৃশ্য গাড়ির উপর থেকে মোবাইলে ধারণ করে তনু। এ সময় ব্রিজের উপরে থাকা লোহার পাইপের সঙ্গে মাথার পেছনের অংশের ধাক্কা লাগে। এতে রবিউল আজিম তনু গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কোনো অভিযোগ না থাকায় দুপুরে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ট্রাক্টর-নসিমন সংঘর্ষ, নিহত ১
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ট্রাক্টর ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক্টরের চালক মো. তোজাম উদ্দিন নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল দিকে উপজেলার মানিকচাপর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাটিভর্তি ট্রাক্টরের চাপায় শিশু নিহত
নিহত তোজাম উপজেলার উপরসিলেট গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ট্রাক্টর নিয়ে তোজাম উদ্দিন তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কে উঠার সময় তাড়াশ থেকে আসার খড় বোঝাই নছিমন ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাক্টরচালক তোজাম উদ্দিন নিহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করলেও কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: শেরপুরে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত
সিরাজগঞ্জে ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ৩
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় ফেনসিডিল বহনের অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ কবরস্থান ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াক গ্রামের বাসিন্দা মো. সুমন সরকার জিয়া (৩৭), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়া চালা গ্রামের মো. শাহীন আলম (৪১) ও বগুড়া সদরের মালগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম সোহাগ (৩৯)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে অস্ত্র-ইয়াবা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ জানান, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ কবরস্থান ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে দুইটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় ৪০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা প্রাইভেটকার দুইটিও জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুমনের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা ও শহিদুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে ১টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। গ্রেপ্তার আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ছিল।’
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ৫১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় আটতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মোহাম্মদ সাব্বির নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় পৌর এলাকার ভাঙাবাড়ি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির সদর উপজেলার বেড়াবাড়ি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লায় প্রকৌশলী নুরনবী ও সুলতান মাহমুদের আটতলা ভবনের চিলেকোঠায় রবিবার সকাল থেকে সাব্বির কাজ করছিলেন। কাজ শেষে সন্ধ্যায় পলিথিন দিয়ে সারাদিনের কাজের অংশ বৃষ্টি থেকে নিরাপদ রাখতে ঢেকে দিতে গিয়ে ঝড়ো বাতাসে পলিথিনসহ পাশের দোতলার ছাদে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান ওসি।
সিরাজগঞ্জে ২ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১৫টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রসমূহে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
এ দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা দুটির কেন্দ্রসমূহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জের ২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রসমূহে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা কিছুটা কম ছিল।
কেন্দ্রের বাইরে ছোটখাট ২-১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে
উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবী নেওয়াজ খান (হেলিকপ্টার), আকমল হোসেন (আনারস), জহুরুল ইসলাম মিল্টন (দোয়াত কলম), সেলিনা মির্জা (মোটরসাইকেল), হেদায়েত আহম্মেদ (ঘোড়া) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উল্লাপাড়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫০ হাজার ২৮৬ জন এবং কেন্দ্র সংখ্যা ১৪৪টি।
এছাড়া তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনিরুজ্জামান (দোয়াত কলম) ও সনজিৎ কুমার কর্মকার (আনারস) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৬ জন এবং ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ৭১টি।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, রির্টানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় ওই ২টি উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উক্ত ২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মোতায়েনসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটগ্রহণ শুরু