পরিবেশ-ও-কৃষি
৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
৬ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালীর উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পাবনার ঈশ্বরদীতে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে 'অতি তীব্র' তাপপ্রবাহ বইছে
ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৩৪ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১১তম।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ভারতের দিল্লি, মিশরের কায়রো সিটি ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ১৯৩, ১৭১ ও ১৭০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে 'অতি তীব্র' তাপপ্রবাহ বইছে
দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
৭ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি
অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে 'অতি তীব্র' তাপপ্রবাহ বইছে
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায় এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ও নীলফামারীর ডিমলায়।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ১২৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান অষ্টম।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
ভারতের দিল্লি, কাতারের দোহা ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ২২৬, ১৬৮ ও ১৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান আজও 'অস্বাস্থ্যকর'
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে 'অতি তীব্র' তাপপ্রবাহ বইছে
ঢাকার বাতাসের মান আজও 'অস্বাস্থ্যকর'
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজ সকালেও অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সকাল ৯টায় একিউআই সূচক ১৩০ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
আগের দিনের বাতাস মাঝারি থাকলেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী আজকের বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
চীনের বেইজিং, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৬৭, ১৬৫ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে 'অতি তীব্র' তাপপ্রবাহ বইছে
বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে এবং ঢাকাসহ খুলনা বিভাগ ও রাজশাহী জেলার কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, রবিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ৫ দিনে চলমান তাপপ্রবাহের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অফিস
তীব্র তাপদাহে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলায় শনিবার (২০ এপ্রিল) হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজধানী ঢাকায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি পাঁচ দিন অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে অত্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি
প্রচণ্ড গরমের কারণে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।
আজ রবিবার আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে বলা হয়েছে পূর্বাভাসে।
এতে আরও বলা হয়, বরিশাল বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলার কিছু অংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রংপুর বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর আর্দ্রতা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বোরো মৌসুমে ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে সরকার
আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ১ লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা।
আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, গত বছর ধানের সংগ্রহমূল্য ছিল ৩০ টাকা ও চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল ৪৪ টাকা। ৭ মে থেকে ধান-চাল কেনা শুরু হবে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
ধান কেনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ধান যদি ৫ লাখ টনের বেশি কেনা যায় তা করা হবে। কৃষকের সুবিধার্থে আরও ধান আমরা কিনব। এক্ষেত্রে ওপেন রাখা হয়েছে। কমিটিতে সেটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
হাওরসহ যেখানে যেখানে ধান কাটা শুরু হয়েছে, সেখানে ৭ মে থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বোরো ধান ও চালের উৎপাদন খরচ গত বছরের থেকে বেশি হওয়ায় এবার সংগ্রহ মূল্য কিছুটা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দামের কারণে কৃষক একটু উৎসাহিত হোক। না হয় কৃষক অন্য শস্যে চলে যাচ্ছে। কিন্তু, আমাদের চালের প্রয়োজন।’
বর্তমানে সরকারি গুদামে চাল ও গম মিলিয়ে মোট খাদ্যশস্যের মজুত ১২ লাখ টন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
ইতোমধ্যে বন্দরে ১ লাখ ২০ হাজার টন গম এসে পৌঁছেছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরও ৩ লাখ গম কেনা প্রক্রিয়াধীন।’
রবিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঢাকার বাতাসের মান আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) 'মধ্যম' পর্যায়ে রয়েছে। সকাল ৯টায় ৯৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৬তম।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস বুধবার সকালে 'মধ্যম' পর্যায়ে
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
চীনের বেইজিং, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৬৭, ১৬৫ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে 'মধ্যম' পর্যায়ে
খুলনায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শনিবার (২০ এপ্রিল) খুলনায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর আগে ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে নগর জীবনে। অন্যদিকে উচ্চবিত্তরা অনেকে প্রয়োজন ছাড়া দুপুরবেলা কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
এদিকে তীব্র তাপদাহে সাত দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে অভিভাবকদের মাঝে।
৫ দিনে চলমান তাপপ্রবাহের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অফিস
৩ জেলা ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তায় অধিদপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
এদিকে, ৫ দিনে চলমান অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে বুলেটিনে অধিদপ্তর উল্লেখ করেছে।
এছাড়া- চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ
বুলেটিনে বলা হয়, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও সিলেটে।
আরও পড়ুন: ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ