পরিবেশ-ও-কৃষি
আগস্টে উত্তরের জেলাগুলোতে কম বৃষ্টিপাত, প্রকৃতি ও জনজীবনে প্রভাব
উত্তরের আট জেলা— রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষকে। আর এর প্রভাব পড়ছে কৃষি সহ সব জায়গাতেই। ধীরে ধীরে রুক্ষ হয়ে উঠছে এই অঞ্চলের আবহাওয়া। তীব্র গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে।
উত্তরের জেলাগুলোতে এ বছর আগস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাসজুড়ে ২৫ দিন বৃষ্টি হলেও প্রকৃতিতে ছিল খরতাপ ও রুক্ষভাব। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর বিভাগীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা প্রায় ১ হাজার ৩৫০ মিলিমিটার। সেখানে গত মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৭১৭ মিলিমিটার। মাসের প্রথম দিনে ১১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষণ। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৮ আগস্ট, ৭৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার। এরপর ১৪ আগস্টে ৫৬ মিলিমিটার, ৯ আগস্টে ২৭ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং ১৯ আগস্টে ২১ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সিলেট, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
এপ্রিল ও মে মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছিল, যদিও জুন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। আগস্টে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় পুরো বিভাগের কৃষিখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগস্টে উত্তরের জেলাগুলোতে কম বৃষ্টিপাত, প্রকৃতি ও জনজীবনে প্রভাব যাওয়া ও গরম-ঠান্ডার মিশ্র আবহাওয়ার কারণে রোগবালাইও বেড়েছে। এ সময় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, হিটস্ট্রোক, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
১০১ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
আজ বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় রাজধানী ঢাকা আজ অনেক বেশি ব্যস্ত। সকাল থেকে চোখে পড়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট, নানা গন্তব্যে মানুষের ছুটে চলা আর চারিদিকে ধুলাবালি। এতে গতকালের তুলনায় আজ ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
আজ (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮২। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ষোড়শ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৬০। ওই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ৩৯তম স্থানে ছিল শহরটি।
বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, গতকালের মতো আজও ঢাকার ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও বেড়েছে দূষণের পরিমাণ। শহরটির বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠা থেকে খুব বেশি দূরে নেই।
একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লির বাতাসের মানও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। দিল্লির একিউআই স্কোর ৯৬ এবং লাহোরের একিউআই স্কোর ছিল ৮৯।
আরও পড়ুন: আজ বিশ্বের কোনো শহরই ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে না
এদিকে, এই ময়ে আজ তালিকার শীর্ষে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা। শহরটির বাসিন্দাদের আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিতে হচ্ছে। কারণ কিনশাসার একিউআই স্কোর আজ ১৫৫। এ ছাড়া, ১৪৯ ও ১৪৪ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ ও উগান্ডার কাম্পালা।
চীনের বেইজিং আজও চতুর্থ স্থানেই রয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় দূষণ বেড়েছে। গতকাল এই সময়ে শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১০২, আজ সকালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩৪।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০২ দিন আগে
আজ বিশ্বের কোনো শহরই ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে না
প্রতিদিন বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার লাইভ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিইএয়ার। তবে আজ সকালে এই তালিকায় চমকপ্রদ একটি বিষয় লক্ষ করা গেছে। আজ বিশ্বের কোনো শহরই ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে না। বিশ্বের মাত্র চারটি শহরের বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। বাকি শহরগুলোর বাতাসের মান ‘মাঝারি’ থেকে ‘ভালো’ পর্যায়ে রয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৩৭ স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। ১২৮ ও ১১১ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল সৌদি আরবের রিয়াদ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ।
আজ চীনের রাজধানী বেইজিং উঠে এসেছে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার চতুর্থ স্থানে, একিউআই স্কোর ১০২। এই চারটি শহরের স্কোরই বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।
মোট ১২৬টি শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, আজ বিশ্বের কোনো শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে নেই।
এ সময় বিশ্বের সমচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। শহরটির একিউআই স্কোর মাত্র ১১। রোববার (৩১ আগস্ট) এক ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে দেশটির পূর্বাঞ্চলে। এর মধ্যে বাতাসের মানে এই বিশুদ্ধতা স্বস্তির খবর হলেও আফগানদের কাছে এই মুহূর্তে তা গুরুত্ব হারিয়েছে। কারণ স্বজনদের হারিয়ে পুরো দেশজুড়ে চলছে হাহাকার।
আরও পড়ুন: একই মানের বাতাসে আজ শ্বাস নিচ্ছে ঢাকা ও দিল্লি
এদিকে, একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে। ৬০ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় আজ ৩৯তম স্থানে ছিল ঢাকা।
গতকাল এই সময়ে ৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৩৫তম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। সে তুলনায় আজ ঢাকার বাতাসের মানে সামান্য উন্নতি হয়েছে।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০৩ দিন আগে
একই মানের বাতাসে আজ শ্বাস নিচ্ছে ঢাকা ও দিল্লি
গত দুদিন টানা অবনতির পর আজ ঢাকার বায়ুমানে লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হলেও তা চলে এসেছে ‘ভালো’র কাছাকাছি।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৩, আইকিউএয়ারের সূচকে যাকে ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। ঠিক একই স্কোরে দেখা গেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের শহর দিল্লিকেও। ফলে আজ সকালে একই মানের বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ঢাকা ও দিল্লির বাসিন্দারা।
৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ৩৫ ও ৩৬তম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা ও দিল্লি।
অথচ গতকাল এই সময়ে ১১৬ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর ছিল ঢাকা, ৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তার আগের দিন যা ছিল নবম।
এদিকে, গতকাল সকালে মাত্র ২৮ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের বিশুদ্ধ বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় স্থান করে নেওয়া লাহোরের বায়ুমানে আজ অবনতি হয়েছে, তারপরও তা ঢাকা-দিল্লির চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। একই সময়ে ৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে ৪০তম অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের শহরটি।
আরও পড়ুন: লাহোরের বাতাস আজ ‘ভালো’, ঢাকায় বেড়েছে দূষণ
অন্যদিকে, ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ সকালে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহর ছিল আরব আমিরাতের দুবাই। ১২৪, ১১৯, ১১২ ও ১১১ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরের চারটি স্থানে ছিল যথাক্রমে কঙ্গোর কিনশাসা, উগান্ডার কাম্পালা, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও মিসরের কায়রো।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০৪ দিন আগে
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সিলেট, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
সিলেটে আজ সোমবার সকাল থেকে বইছে অসহনীয় দাবদাহ। দুপুর ১টায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সময় গড়ালে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ রুদ্র তালুকদার। তবে এর মাঝে বৃষ্টি হতে পারে বলেও সুসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পড়ুন: দিল্লিতে তীব্র দাবদাহ, রেড অ্যালার্ট জারি
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দিনে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
মঙ্গল এবং বুধবারও (২ ও ৩ সেপ্টেম্বর) এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে।
এদিকে, সিলেটে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম তীব্র হওয়ায় বিপাকে পড়েন কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষজন। বিশেষ করে দিনমজুরদের কষ্ট বেড়েছে।
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে সিলেট মহানগরের বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বিক্রেতাদের কাছ থেকে শরবত কিনে পান করছেন মানুষজন। রিকশা-ভ্যানচালকরা একটু জিরিয়ে নিচ্ছে গাছ বা ভবনের ছায়ায়।
১০৫ দিন আগে
লাহোরের বাতাস আজ ‘ভালো’, ঢাকায় বেড়েছে দূষণ
প্রায়ই বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর আজ রীতিমত চমক দেখিয়েছে। শহরটির বাতাসের দূষণ কমে বাসিন্দাদের জন্য পুরোপুরি স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর মাত্র ২৮ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার একদম নিচের দিকে চলে গেছে লাহোর। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, ‘ভালো’ বাতাস নিয়ে ৯৭তম স্থানে নেমে এসেছে শহরটি। পাকিস্তানের আরেক শহরের করাচির বাতাসের মানও আজ ‘মাঝারি’।
এদিকে, টানা কয়েকদিন ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও আজ ঢাকার বাতাস হয়ে উঠেছে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ঢাকার বাতাসের মানের আরও অবনতি ঘটেছে।
একিউআই স্কোর ১১৬ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৮ম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮৮। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার নবম স্থানে ছিল ঢাকা। সে তুলনায় আজ অনেকটা অবনতি ঘটেছে শহরটির বাতাসের মানে।
একই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, একিউআই স্কোর ১৭৫। আইকিউএয়ারের মতে, শহরটির জনগণের মধ্যে গাড়ির অতিরিক্ত ব্যবহার দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব যানবাহনের অনেকগুলোই পুরোনো, এমনকি কিছু সোভিয়েত আমলেরও রয়েছে। এসব প্রাচীন ইঞ্জিনে চলে এবং আধুনিক, পরিচ্ছন্ন যানবাহনের তুলনায় অনেক বেশি তেলীয় বাষ্প, ধূলিকণা ও ক্ষতিকর রাসায়নিক ধোঁয়া বাতাসে নির্গত করে। তাসখন্দে দূষণের অন্যান্য কারণ হলো কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত ধোঁয়া।
অন্যদিকে, ১৫৯ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে আজ তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাতারের দোহা ও ভিয়েতনামের হ্যানয়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের চারটিই মধ্যপ্রাচ্যের, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০৫ দিন আগে
বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের চারটিই মধ্যপ্রাচ্যের, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে দেখা গেছে। প্রায়ই আইকিউএয়ারের দেওয়া বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরের তালিকার প্রথম সারিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শহর দেখা যায়। আজ সে ধারা অব্যাহত রয়েছে, বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের চারটিই আজ মধ্যপ্রাচ্যের।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল সৌদি আরবের রিয়াদ। শহরটির একিইআই স্কোর ছিল ১৯৬। এই স্কোরের বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
আইকিউএয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদের ক্রমবর্ধমান নগর এলাকাগুলোতে আরও বেশি লবণাক্ত পানি শোধনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কিন্তু লবণাক্ত পানি শোধনাগারগুলো (ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট) গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন করে। তাছাড়া, তেলের উত্তোলনও বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে। সেইসঙ্গে বনও উজার করা হচ্ছে। এসব কারণে শহরটির বায়ুদূষণের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর স্কোর যথাক্রমে ১৫৭, ১৪২ ও ১২৭। একই সময়ে ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা।
এদিকে, বৃষ্টি কমতেই কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যদিও গতকালের একই সময়ের তুলনায় আজ দূষণ কিছুটা কমেছে, তবে ‘ভালো’ হয়ে ওঠার ধারেকাছেও যেতে পারেনি।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮৮। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার নবম স্থানে ছিল ঢাকা।
আরও পড়ুন: ‘মাঝারি’ হলেও ঢাকার বাতাসে বেড়েছে দূষণ
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৯। এই স্কোর ‘মাঝারি’ হলেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ার একেবারেই কাছাকাছি। ৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০৬ দিন আগে
‘মাঝারি’ হলেও ঢাকার বাতাসে বেড়েছে দূষণ
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের দূষণমান ‘মাঝারি’ থাকলেও প্রতিদিনই একটু একটু করে তার অবনতি হচ্ছে। আজও অব্যাহত রয়েছে সেই ধারা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১১৩, সংবেদনশীল মানুষের জন্য যা অস্বাস্থ্যকর। তবে সকালের হালকা বৃষ্টির পর সাড়ে ৯টার দিকে তা কমে ৯৯-তে উন্নীত হয়। এই স্কোর ‘মাঝারি’ হলেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ার একেবারেই কাছাকাছি।
৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। ৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার ঠিক পরেই ছিল পাকিস্তানের করাচি।
তবে এই সময়ে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে ছিল দিল্লি ও লাহোর। ৮৪ ও ৮২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্দশ ও পঞ্চদশ স্থানে দেখা যায় শহর দুটিকে।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর
অন্যদিকে, একই সময়ে ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা। ১৫২, ১৪৮ ও ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরের তিনটি স্থান দখল করে রেখেছিল যথাক্রমে বাহরাইনের মানামা, কঙ্গোর কিনশাসা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। আর গতকাল এই সময় ২৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে থাকা কাতারের রাজধানী দোহা আজ ১১৯ স্কোর নিয়ে ছিল তালিকার পঞ্চম স্থানে।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০৭ দিন আগে
সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, পুড়েছে সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল
সাইপ্রাসে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল পাহাড়ি সড়কের ধারে অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়া একটি সিগারেটের আগুন থেকে। দাবানলের কারণ নিয়ে করা এক অনুসন্ধানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস ব্যুরো (এটিএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুষ্ক ঝোপঝাড়ে অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়া সিগারেটের আগুনই ছিল হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই দাবানলের উৎস।
গত জুলাইয়ে উপকূলীয় লিমাসল শহরের কাছে এই দাবানলে দুজনের মৃত্যু হয়, ৭০০টিরও বেশি স্থাপনা ধ্বংস হয় এবং একশ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে যায়।
এটিএফ জানায়, দাবানলের উৎসস্থল মালিয়া ও আর্সোস গ্রামের সংযোগ সড়কের ধারে মাটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বহু সিগারেটের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীরা উল্লেখ করেছেন, সে সময়ের পরিবেশ ছিল ‘অত্যন্ত দাহ্য’। বাতাসের গতি, শুষ্ক আবহাওয়া ও উচ্চ তাপমাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সিগারেটসহ যেকোনো জ্বালানি উপকরণ থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা, ভিডিও, ছবি ও সাইপ্রাসের ফায়ার সার্ভিসের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, প্রবল বাতাস ও কম আর্দ্রতা আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রায় ২৫০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী ও ১৪টি বিমান দুদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। সে সময় সরকার জানায়, প্রবল বাতাস, তীব্র গরম ও পরপর তিন শীত মৌসুমে স্বল্প বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট শুষ্ক আবহাওয়া দাবানলকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছিল।
সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিদেসের অনুরোধে এটিএফের একটি দল দেশটিতে গিয়ে ১০ দিনব্যাপী তদন্ত চালায়।
অগ্নিকুণ্ড থেকে বাঁচতে গাড়িতে করে পালানোর চেষ্টা করার সময় এক বৃদ্ধ দম্পতি আগুনে পুড়ে মারা যান। তাদের গাড়িটি উদ্ধার করা হয় লিমাসলমুখী এক পাহাড়ি সড়কের ধারে।
এটিএফ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহ ও বৃষ্টিপাতের ঘাটতি এ বছর তুরস্ক, গ্রিস ও সাইপ্রাসে দাবানলকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
‘ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন’ পরিচালিত ওই গবেষণায় বলা হয়, ২০২৫ সাল ছিল ইউরোপের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের বছর। এ বছর আগুনের তীব্রতা ছিল প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। দাবানলের আগুনে এসব দেশে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়, এছাড়া ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ১০ লাখ হেক্টর বনভূমি পুড়ে যায়।
১০৮ দিন আগে
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর
বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং শুধু বায়ু দূষণের কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু সাড়ে পাঁচ বছর কমছে। তুলনায় ধূমপান ২ বছর এবং শিশু ও মাতৃকালের পুষ্টিহীনতা ১.৪ বছর জীবনকাল কমিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত নতুন এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বস্তুকণা দূষণ (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার মান পূরণ করলে একজন বাংলাদেশি গড়ে সাড়ে পাঁচ বছর দীর্ঘজীবী হতে পারেন। দেশের সবচেয়ে দূষিত এলাকা— গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা— এ কারণে একজন বাসিন্দার জীবনকাল সাড়ে ৬ বছর হ্রাস পায়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বায়ু দূষণই জীবনকাল হ্রাসের সবচেয়ে বড় বাহ্যিক হুমকি। দেশের ১৬ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ এমন অঞ্চলে বসবাস করছে, যেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকা এবং দেশের জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে কম দূষিত জেলা লালমনিরহাটেও কণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকার সাতগুণ বেশি।
১৯৯৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কণা দূষণের মাত্রা ৬৬.২ শতাংশ বেড়েছে, যার ফলে মানুষের জীবনকাল আরও ২.৪ বছর হ্রাস পেয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে দূষণ দেশের জাতীয় মান অনুযায়ী হ্রাস করলে জীবনকাল যথাক্রমে ৪.১ ও ৩.৩ বছর বাড়তে পারতো।
বায়ুদূষণে তৃতীয় শীর্ষ শহর দিল্লি, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার বায়ু দূষণেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে বায়ু দূষণ ২.৮ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ু দূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৩ বছর এবং সবচেয়ে দূষিত এলাকায় ৮ বছরেরও বেশি হ্রাস পাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দাবানল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বায়ুর মান খারাপ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবানলের ঘনত্ব ও পুনরাবৃত্তি বেড়েছে, যা পূর্বে অর্জিত স্বচ্ছ বাতাসের অগ্রগতি বিপরীতমুখী করছে।
একিউএলআই পরিচালক তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘এখনও বায়ু দূষণই বিশ্বের মানুষের জীবনকাল ছোট হওয়ার প্রধান কারণ। জীবাশ্ম জ্বালানির উৎসে মনোযোগ দিলে স্থানীয় বায়ু পরিষ্কার হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। দেশগুলোকে সঠিক তথ্যভিত্তিক নীতি প্রণয়নের সক্ষমতা প্রয়োজন।’
১০৯ দিন আগে