পরিবেশ-ও-কৃষি
বায়ুদূষণে তৃতীয় শীর্ষ শহর দিল্লি, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার প্রায়ই শীর্ষ পাঁচে থাকতে দেখা যায় ভারতের দিল্লি শহরকে। শহরটির দূষণে মাঝেমধ্যেই বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠে। আজও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দিল্লির বাতাসের একিইআই স্কোর ছিল ১৬৩। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোরের বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি।
আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির দূষণের কারণ অসংখ্য, প্রতিটি বিষয় নিয়েই আলাদা প্রতিবেদন লেখা সম্ভব। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দায় যানবাহনের ধোঁয়া। শহরটিতে বিপুল সংখ্যক গাড়ি চলাচল করে, যার অনেকগুলোর ইঞ্জিনের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে—বিশেষ করে পুরোনো ট্রাক, লরি ও বাসগুলোর নিয়ে। এসব যান থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া ও কুণ্ডলী আকারে ধূসর কুয়াশা নির্গত হয়। এতে পুরো শহর ঢেকে যায় কালো কার্বন (ব্ল্যাক কার্বন বা BC)-এর আস্তরণে। ফলে শহরটির বাতাসের দূষণমাত্রা প্রায়ই বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’
এদিকে, ঢাকার বাতাসের মানে আজ খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি। গতকালের মতো আজও শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে। এই স্কোর নিয়ে আজ তালিকার ১৭তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। গতকালও এই সময়ে ১৭ তম স্থানেই ছিল ঢাকা, একিউআই স্কোর ছিল ৮৩।
একই সময়ে তালিকার শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, একিউআই স্কোর ১৭৮। এ ছাড়া ১৬৫ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। তৃতীয় স্থানে আজ রয়েছে দিল্লি।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০৯ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’
বৃষ্টি কমতেই ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা আবার বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে গতকাল বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছিল ঢাকা। সে তুলনায় আজ এই শহরের বাতাসে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে, তবে স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারেনি।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮৩। এই স্কোর নিয়ে আজ তালিকার ১৭তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের এইকিউআই সূচক ছিল ১৩২। এই সূচককে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করে আইকিউএয়ার। শুধু তা-ই নয়, ১৩২ এইকিউআই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর হিসেবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল ঢাকা।
সে তুলনায় আজ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, আজ ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’। তবে সেটি ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠা থেকে খুব বেশি দূরে নেই।
এদিকে, ঢাকার বিপরীতে আজ পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসে অবনতি দেখা গেছে। গতকাল ৪৯ একিউআই সূচক নিয়ে শহরটি এই সময়ে ছিল তালিকার ৬২তম স্থানে। তবে আজ ৯৩ স্কোর নিয়ে আবার তালিকার দশম স্থানে উঠে এসেছে লাহোর।
এই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে ছিল বাহরাইনের মানামা, যার একিউআই স্কোর ১৬৪। এ ছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও কাতারের দোহা।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর ঢাকা
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১১০ দিন আগে
বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর ঢাকা
বৃষ্টির প্রবণতা কমে রোদ বের হতেই ঢাকার বাতাসে দূষণ ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল সকালেই তার খানিকটা টের পাওয়া গিয়েছিল। এরপর আজ সকালে মানে অবনতি তো বটেই, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে ঢুকে গেছে ঢাকার নাম।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের এইকিউআই সূচক ছিল ১৩২। এই সূচককে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করে আইকিউএয়ার। শুধু তা-ই নয়, ১৩২ এইকিউআই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর হিসেবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকা।
এই সময় ১৩৭ এইকিউআই স্কোর নিয়ে দুইয়ে দুবাই এবং ১৮৪ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর ছির কঙ্গোর কিনশাসা। পাকিস্তানের করাচি এ সময় ১০৮ এইকিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে থাকলেও ৭১ এইকিউআই স্কোর নিয়ে অনেক নিচে (২৮তম) ছিল দিল্লির অবস্থান।
তবে আজ চমক দেখিয়েছে লাহোর। বায়ুদূষণের কারণে অধিকাংশ সময় যে শহরের স্থান তালিকার একেবারে উপরের দিকে থাকে, আজ তার বাতাসের মান ‘ভালো’। ৪৯ একিউআই সূচক নিয়ে শহরটি এই সময়ে ছিল তালিকার ৬২তম স্থানে।
আরও পড়ুন: আজ দিল্লি ও লাহোরের চেয়েও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১১১ দিন আগে
আজ দিল্লি ও লাহোরের চেয়েও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। সকাল হতেই আজ রাজধানীতে উঁকি দিয়েছে রোদ, ব্যস্ত মানুষজন ছুটে চলেছে গন্তব্যে। তবে ব্যস্ততম এই শহরের বহুবিধ সমস্যার মধ্যে একটি হলো বায়ুদূষণ। এ থেকে যেন বাসিন্দাদের নিস্তার নেই। গতকাল শহরটির বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে উঠলেও আজ ফের লক্ষণীয় অবনতি হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৭। যেখানে এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার একিউআই সূচক ছিল মাত্র ৪২। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম। সেখানে একদিনের ব্যবধানে ঢাকা আজ উঠে এসেছে তালিকার দশম স্থানে।
৯৭ স্কোর নিয়ে আজ রাজধানীর বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসও আজ একই শ্রেণিভুক্ত হলেও ঢাকার চেয়ে স্কোরও কম এবং তালিকারও নিচের দিকে অবস্থান করছে।
৭৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টাদশ স্থানে রয়েছে দিল্লি এবং ৬৯ স্কোর নিয়ে ২৩তম স্থানে লাহোর।
একই সময়ে ১৭৪ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। আইকিউএয়ার বলছে, সাধারণত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাকার্তার আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। এ সময় শহরটির বায়ুদূষণের মান বাড়তে দেখা যায়।
এদিকে, ১৭২ ও ১২৯ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও আজারবাইজানের বাকু।
আরও পড়ুন: দূষণে শীর্ষ দশে ব্রাজিলের শহর, ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১১২ দিন আগে
দূষণে শীর্ষ দশে ব্রাজিলের শহর, ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’
বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।
আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।
ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে ফের শীর্ষ পাঁচে লাহোর ও দিল্লি, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১১৩ দিন আগে
আরও একটি লঘুচাপ আসছে, তিন নম্বর সংকেত বহাল
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী সোমবারের (২৫ আগস্ট) মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া বিদ্যমান লঘুচাপের প্রভাবে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আগামী অন্তত দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরের সংকেত নামলেও সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
এদিকে, আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজের সই করা পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১১৪ দিন আগে
চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, সাগরে ৩ নম্বর সংকেত
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের সই করা এক বার্তা থেকে জানা যায়, দেশের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে সক্রিয় রয়েছে, যা অন্তত রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনাও রয়েছে।
কোনো নির্দিষ্টি এলাকায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণ হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করে আবহাওয়া অফিস।
১১৫ দিন আগে
বায়ুদূষণে ফের শীর্ষ পাঁচে লাহোর ও দিল্লি, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
টানা কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা কিছুটা কম। শহরটির বাতাসের মান ছিল‘মাঝারি’। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে আবারও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে বাতাসের মান ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৬৪। তার আগের দিন বুধবারও একই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল ঢাকার বাতাস।
সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকার বাতাসের মানে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। গত কয়েকদিন ধরে টানা না হলেও কমবেশি বৃষ্টি ঝরেই চলেছে ঢাকাতে। যে কারণে বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কম রয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
তবে ঢাকার মতোই দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা লাহোর ও দিল্লির বাতাসে লক্ষণীয় অবনতি দেখা গেছে। শহর দুটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
আজ ১৫৫ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে লাহোর এবং ১৫৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাহরাইনের মানামা, একিউআই স্কোর ২৪২। অন্যদিকে, ২২৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাতারের দোহা। সেই সঙ্গে গতকাল শীর্ষে থাকলেও ১৬৩ স্কোর নিয়ে আজ তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১১৫ দিন আগে
বায়ুদূষণে শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
বায়ুদূষণে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার প্রায়ই প্রথম দিকে থাকতে দেখা যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তাকে। আজ এই তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে শহরটি। কম বৃষ্টিপাত, যানবাহন ও শিল্প কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া ও খোলা পরিবেশে বিভিন্ন জিনিসপত্র জ্বালানোর কারণে জার্কাতার বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৭১ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল জাকার্তা। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আইকিউএয়ার বলছে, সাধারণত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাকার্তার আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। এ সময় শহরটির বায়ুদূষণের মান বাড়তে দেখা যায়।
একই সময়ে ১৫২ ও ১৪৩ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা ও কঙ্গোর কিনশাসা।
এদিকে, ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও গতকালের তুলনায় দূষণের মান কিছুটা কমেছে। গতকাল এই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৭৫। আজ কিছুটা কমে সেটি হয়েছে ৬৪। এই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে ২৯তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে উঠে এসেছে মাদ্রিদ, ঢাকার আরও অবনতি
সকাল থেকেই রাজধানীতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরছিল। এর প্রভাবে গতকালের তুলনায় আজ বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি দেখা দিয়েছে। তবে এখনো তা স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারেনি।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১১৭ দিন আগে
বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে উঠে এসেছে মাদ্রিদ, ঢাকার আরও অবনতি
তিন দিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ থাকলেও প্রতি দিনই বেড়ে চলেছে দূষণের পরিমাণ, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে গত কয়েকদিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খবর হলো, ইউরোপের শহর মাদ্রিদের বাতাসে হঠাৎ করে দূষণ বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় মাদ্রিদের বাতাসের এইকিউআই সূচক ছিল ১১১, আইকিউএয়ারের শ্রেণিমান অনুযায়ী যা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে স্পেনের রাজধানী।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ইউরোপীয় দেশগুলোর বাতাস বছরের অধিকাংশ সময়ই পরিচ্ছন্ন থাকে। প্রায় সবসময় স্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নেওয়া ইউরোপীয়দের জন্য মাদ্রিদের আজকের বায়ুদূষণ তাই বড় খবরই বটে।
আইকিউ এয়ার এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাহারা মরুভূমির ধুলার কারণে ওই অঞ্চলের বায়ুমান প্রভাবিত হচ্ছে। তাছাড়া স্পেনের উত্তর-পশ্চিম এবং পর্তুগালের উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সেসব আগুন থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া ওই অঞ্চলসহ মধ্য স্পেনের বাতাসের মানে প্রভাব ফেলেছে। অনেক শহরের বায়ুমান ‘অস্বাস্থ্যকর’ এমনকি ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে নেমে গেছে।
তবে আজ সকালে সবচেয়ে বেশি খারাপ কঙ্গোর কিনশাসার বাতাস। ১৬৭ একিউআই স্কোর থাকা কিনশাসার বাসিন্দারা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন। ১৫৩, ১৩৯, ১২২ ও ১১২ স্কোর নিয়ে তার পরের চারটি স্থানে ছিল যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা, ভারতের দিল্লি ও উগান্ডার কাম্পালা।
আরও পড়ুন: আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ রোধে মাথা ব্যথা নেই সরকারের
অন্যদিকে, ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ থাকলেও প্রতি দিনই একটু একটু করে দূষণ বাড়ছে। রবিবার সকালে রাজধানী ঢাকার বাতাসে দূষণ-মান ছিল ৫০, গতকাল সোমবার তা বেড়ে হয় ৬৬, আর আজ তা আরও একটু বেড়ে ৭৫-এ উন্নীত হয়েছে। এই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে ১৯তম স্থান দখল করেছে ঢাকা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১১৮ দিন আগে