সারাদেশ
দিনাজপুরে অটোরিকশায় গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কা: ২ নারী নিহত, আহত ৭
দিনাজপুরের চুনিয়াপাড়া এলাকায় গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী ২ নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— জেলা সদরের ননাম মেম্বারপাড়ার আজিজুর রহমানের স্ত্রী খতেজা বেগম (৬১) এবং একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শেফালী বেগম (৩১)।
দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে ছুটে যান তারা। দুর্ঘটনাস্থলেই খতেজা বেগম নিহত হন। বাকি আহতদের তারা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে শেফালী বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্য ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি।
৮ দিন আগে
খুলনায় পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ
খুলনার রূপসায় গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ফেরদৌস হোসেনের (২৭) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
রুপসা থানা পুলিশ জানায়, ফেরদৌস হোসেন যশোর জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। শিয়ালী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পে ফেরদৌস হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পের বাথরুমের সিলিংয়ে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। মরদেহ খুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৯ দিন আগে
মাগুরায় দুই সরকারি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
মাগুরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় এবং রেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. আসমা আক্তার বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে দুষ্কৃতকারীরা ভবনের পেছন দিক দিয়ে জানালা ভেঙে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে নিচতলার একটি কক্ষে আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে থাকা কম্পিউটার ও জমির প্রয়োজনীয় নথিপত্র পুড়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
তিনি আরও জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে মাগুরা রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক স্থানে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অফিসের ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাইরে দলিল লেখকদের দুটি কক্ষ আগুনে পুড়ে গেছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পেট্রোলের বোতল শনাক্ত করে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
৯ দিন আগে
পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারীকে সন্তানসহ ফেরত
পুশইনের শিকার হওয়া অন্তঃসত্ত্বা এক ভারতীয় নারী ও তার সন্তানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে তার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে আজ (শনিবার) নিশ্চিত করা হয়।
ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন— ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার পাকুর এলাকার দানিশ শেখের স্ত্রী সোনালি খাতুন (২৬) ও তার ৮ বছরের ছেলে সাব্বির শেখ।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, পুশইনের শিকার হওয়া অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালি খাতুন ও তার সন্তান সাব্বির শেখকে ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ আইসিপিতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৬ জুন বিএসএফ সোনালি খাতুন ও তার ছেলেসহ ছয়জনকে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়। এরপর তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠলে ২০ আগস্ট অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের আটক করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে গত সোমবার সোনালিসহ ৪ ভারতীয় নাগরিককে জামিন দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
৯ দিন আগে
গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারায়ণগঞ্জে ৪ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ এক পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণে দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার কাঁচপুর পাটাততা গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন— জরিনা বেগম (৬৫), আলাউদ্দিন (৩৫), সাঁথিয়া আক্তার (১৪) ও সাইমা (৪)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আজ ভোরে সোনারগাঁও এলাকা থেকে শিশু ও নারীসহ চারজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে জরিনা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, আলাউদ্দিননের ৪০ শতাংশ, সাঁথিয়া আক্তারের ১২ শতাংশ এবং শিশু সাইমার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে আলাউদ্দিনের দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে এবং অন্যদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরও ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হতে পারে।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বাসায় লাইনের গ্যাসের মাধ্যমে রান্নার কাজ চলত। গত রাতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে যায়। পরে তা থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে আমার দুই ভাতিজিসহ ভাইয়ের পরিবারের চার সদস্য আহত হয়। পরে আজ ভোরে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের কেউ জানায়নি। শুনেছি দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।’
৯ দিন আগে
১১ ডিগ্রিতে নামল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, লেপ-তোশকের দোকানে ভিড়
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আর শীত বাড়তেই জেলার লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।
হঠাৎ করে শুরু হওয়া হিমেল হাওয়া, কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জেলার জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে দিনমজুর ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮১ শতাংশ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের মতে, কয়েকদিনের মধ্যেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়লেও কাজ থেমে নেই দিনমজুর ও শ্রমিকদের। ভোর থেকেই ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে কাজে ছুটছেন তারা।
৯ দিন আগে
আগারগাঁওয়ে গ্যাস বিস্ফোরণ: এক পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
দগ্ধরা হলেন— মো. জলিল মিয়া (৫০), আনেজা বেগম (৪০), আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬), মনিরা (১৭) ও ইভা (৬)।
হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ জলিল মিয়ার জামাই আফরান মিয়া জানান, আমার শ্বশুর আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাম পাশের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিয়ে আকস্মিক গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, আজ সকালে আগারগাঁও এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ছয় জনকে দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তাদের ড্রেসিং চলছে। তাই এই মুহূর্তে তাদের কে কতটা দগ্ধ হয়েছে, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
৯ দিন আগে
কুমিল্লায় ট্রাক উল্টে নদীতে, গোসলরত ৩ নারী নিহত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মালবাহী ট্রাক (ট্রলি) উল্টে নদীতে পড়ে তিন নারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কড়িকান্দি-রাজাপুর সড়কের ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— শুক্কুর আলীর স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫), ইমন মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তার (৩০) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী সামছুন নাহার (৪০)। তাদের মধ্যে রুজিনা ও সামছুন নাহার আপন জা এবং রিনা আক্তার তাদের ভাগ্নে-বৌ।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমেছিলেন ওই তিন নারী। এমন সময় রাজাপুর থেকে কড়িকান্দি বাজারগামী একটি খালি ট্রলি ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে এসে উল্টে নদীতে নারীদের ওপর পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রিনা ও রুজিনা নিহত হন। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে সামছুন নাহারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, একই পরিবারের তিন নারীর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কয়েক গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ছুটে এসে তাদের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্না এবং স্বজনদের আহাজারিতে সে সময় বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
ঘটনার খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, মরদেহ পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে
হবিগঞ্জের ৫ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শেষে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান।
হবিগঞ্জের রঘুনন্দন এলাকায় ১৯৮৮ সালে ৫ নম্বর কূপটি খনন করা হয়। কূপটি থেকে বর্তমানে প্রতি দিন ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। তবে ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদন বেড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৬০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যাবে জাতীয় গ্রিডে।
মূলত গ্যাসের সঙ্গে পানি ওঠাসহ নানা জটিলতার কারণে ৫ নম্বর কূপটি ওয়ার্কওভারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ অক্টোবর কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়ে শেষ হয় ২৭ নভেম্বর। এতে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক ইসমাইল মোল্লাসহ প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১১ দিন আগে
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফের গুলিতে সবুজ মিয়া (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ মিয়া ওই ইউনিয়নের পচাভান্ডার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-৬১ বিজিবির অধীনস্ত শমশেরনগর সীমান্তের মেইন পিলার ৮৬৪/৫-এর বিপরীতে ভারতের ভেতরে কেনাকাটা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
শমসেরনগর বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার কামাল উদ্দিন একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, বিএসএফকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠানো করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। শুনেছি এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১১ দিন আগে