বাংলাদেশ
বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না: আইজিপি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। বিগত তিন নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে এসে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে খুলনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) লাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে আইজিপি এসব কথা বলেন। তার আগে তিনি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। মানুষ নির্বাচনকে স্বাগত জানাচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও চাচ্ছে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। তাই কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া যায়, সে বিষয়ে পুলিশ নিজের ইচ্ছায় প্রশিক্ষত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশের কিছু সদস্য কোন কারণে দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়েছে বা ভুল করতে বাধ্য হয়েছে—তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পুলিশ, যাতে করে অতীতের ভুলগুলো শুধরে নেওয়া যায়। একটি সফল নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ সদস্যরা উজ্জ্বীবিত।
আইজিপি বলেন, গত তিনটি নির্বাচন নিয়ে নানান বিতর্ক আছে, সমালোচনা আছে। আমরা যেন সেইসব সমালোচনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। সমাজের সকল অংশের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে একটা সফল নির্বাচনে আমাদের ওপর যে দায়িত্ব এসেছে, আমরা তা ভালোভাবে পালন করব।
তিনি বলেন, আমি আমার ৩৫ বছরের পুলিশি জীবনে শুনি নাই যে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও অপরাধ দমন করা—এগুলো আমাদের মৌলিক কাজ।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা ক্রসফায়ার দিয়ে সন্ত্রাস দমন করতে চাই না। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে চাই। অপরাধীকে আদালতে প্রেরণ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই বর্তমান পুলিশের লক্ষ্য। সমাজের প্রতিটি মানুষ আমাদের শক্তি। পুলিশের শক্তি পুলিশের একার পক্ষে সব সমাধান করা সম্ভব নয়।
আগামী নির্বাচনে সাইবার সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই জায়গায় আমরা দুর্বল। কিছু ব্যক্তি মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই দিয়ে যা ইচ্ছা তাই ভাইরাল করছে। আমরা প্রথমে বিটিআরসিকে জানাই। বিটিআরসি ফেসবুকের মেটাকে জানায়। অনেক সময় ৪০ ভাগ সেগুলো অপসারিত করে মেটা। সবগুলো পরিত্যাজ্য করে না। এখানে পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বিগত দিনে নির্বাচনে বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তারা আগামী নির্বাচনে কি দায়িত্ব পালন করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবে না। বর্তমান সরকার চায় একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সফল নির্বাচন। আমরা পুলিশও সেটি চাই। পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে চলবে। নির্বাচন কমিশনও যথেষ্ট আন্তরিক। আমাদের বিশ্বাস, আমরা সফল হব।
এ সময় সিএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজউল করিমসহ খুলনা বিভাগের পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৩০ দিন আগে
ইন্টারনেট স্বাধীনতায় ৭ বছরে সর্বোচ্চ উন্নতি বাংলাদেশের
বৈশ্বিক অনলাইন স্বাধীনতা কমলেও এ বছর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়ে ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচকে ভারতের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশ।
ফ্রিডম হাউসের গত ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গত বছর বাংলাদেশের ইন্টারেন স্বাধীনতার স্কোর ছিল ৪০, সেখান থেকে এ বছর দেশের স্কোর বেড়ে ৪৫-এ পৌঁছেছে। এই উন্নতি গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া অঞ্চলগতভাবে ভারত (৫১) ও শ্রীলঙ্কার (৫৩) কাছাকাছি অবস্থান নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন টেলিকম অধ্যাদেশ, সার্ভেইল্যান্স কাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ পাস করাসহ ইন্টারনেটের স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন, যার ফলশ্রুতিতে সূচকের এই উত্থান।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ বিশ্বমানের হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এরই মধ্যে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল।
এদিকে, ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ৭২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এ বছর সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের ফলে দমনমূলক সরকার অপসারিত হওয়ায় এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সংস্কার, বিশেষত ইন্টারনেট শাটডাউন বন্ধে নীতিগত সংশোধন এবং বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের মতো পদক্ষেপ ইন্টারনেটে স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশের এই অগ্রগতি দেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ আরও উন্মুক্ত ও সুরক্ষিত করার প্রত্যয়কেই প্রতিফলিত করে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাছাড়া, মানসম্পন্ন ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, টেলিকমের কমপ্লেক্স লাইসেন্স রেজিম সহজ করা, নাগরিক সেবা এবং ইন্টার-অপারেবিলিটিতে যে উদ্যোগগুলো নেয়া হচ্ছে তাতে খুব দ্রুতই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতার সূচক ৫০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
৩০ দিন আগে
কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন খলিলুর রহমান
আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) সপ্তম এনএসএ-স্তরের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এই আঞ্চলিক ফোরামে অংশ নেওয়ার জন্য ড. খলিলুরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
নয়াদিল্লিতে সিএসসি বৈঠকে তার অংশগ্রহণকে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থার সভায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। গত এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমসটেকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পাশাপাশি সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতেও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
ড. খলিলুর রহমান এর আগে চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত চায়না-ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন ফোরামে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
৩১ দিন আগে
নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন-চিন্তা করলে ভুল হবে: সেনাপ্রধান
দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন-চিন্তা করলে তা ভুল হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের সাবেক ক্যাডেটদের তিন দিনব্যাপী প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ভালো মানুষ হতে হবে। নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের স্বপ্ন অনেক ক্যাডেট তৈরি করা। আমরা নারী নেতৃত্ব এবং ক্ষমতায়ন চাচ্ছি। আমাদের ভাবতে হবে দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে। সেজন্য নারীদের দক্ষভাবে গড়ে তুলতে হবে।
নতুন ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পূর্বসুরীদের মতো দেশ ও জাতির জন্য আপনারা কাজ করে যাবেন।
এ সময় প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ক্যাডেট ও সাবেক ক্যাডেটদের সফলতা ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে তাদের দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
এরপর অ্যাসোসিয়েশন অব জয়পুরহাটে এক্স ক্যাডেট এজেইসি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও পুনর্মিলনী প্যারেডের সালাম গ্রহণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল হক ও জয়পুরহাট এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌসুমী শিখা।
এ সময় জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩১ দিন আগে
ডাবলিন ও বুয়েনস আইরেসে দূতাবাস খুলবে ঢাকা
আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন ও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে দুটি নতুন দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরর উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বার্তায় বলা হয়েছে।
৩২ দিন আগে
বিমানের টিকিট বিক্রিতে প্রতারণা বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার
টিকিট বিক্রিতে দুর্নীতি, প্রতারণা ও যাত্রী হয়রানি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এখন থেকে এসব অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
নতুন আইনে অবৈধ টিকিট বিক্রি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অননুমোদিত লেনদেনের মতো কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিলের ক্ষমতাও পাচ্ছে সরকার।
বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই এই কঠোর শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব ফারহিম ভীমা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিমান উপদেষ্টা বলেন, টিকিট বিক্রিতে যেকোনো প্রকার দুর্বৃত্তায়ন, প্রতারণা বা যাত্রী হয়রানির ক্ষেত্রে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড ও এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা দূর করে নতুন অধ্যাদেশে নিবন্ধন সনদ বাতিল বা স্থগিতের ১১টি নতুন কারণ যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ টিকিট বিক্রয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, তৃতীয় দেশের টিকিট বেচাকেনা এবং গ্রুপ বুকিংয়ের ক্ষেত্রে টিকিট কনফার্মের পর যাত্রীর তথ্য পরিবর্তনকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শেখ বশির উদ্দীন বলেন, প্রতারণা বা আর্থিক আত্মসাতের প্রমাণ মিললে সরকার সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবে। এমনকি, প্রয়োজনে অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হবে।
‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর লক্ষ্য হলো ট্রাভেল ব্যবসায় অবৈধ অর্থ লেনদেন, মানি লন্ডারিং, টিকিট মজুতদারি ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা এবং অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রীদের ৮০ শতাংশের বেশি অভিবাসী কর্মী। নতুন আইন বাস্তবায়িত হলে অভিবাসী কর্মীদের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষিত হবে, টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আসবে এবং যাত্রীসেবা হবে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও জনবান্ধব।
বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ প্রথমবারের মতো ‘যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ’ শব্দগুচ্ছ আইনের প্রস্তাবনায় যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, টিকিট বিতরণে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা আনতে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস), নিউ ডিস্ট্রিবিউশন ক্যাপাবিলিটি (এনডিসি) ও এপিআই-ভিত্তিক ডিজিটাল সিস্টেমের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ ছাড়া, নতুন অধ্যাদেশে এয়ার অপারেটরের ট্যারিফ দাখিল ও মনিটরিংয়ের বিধান, কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসে টেকসই জ্বালানি ব্যবহারের নির্দেশনা এবং একটি ‘বেসামরিক বিমান চলাচল অর্থনৈতিক কমিশন’ গঠনের ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিমান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দুটি অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় শৃঙ্খলা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে টিকিটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে এবং যাত্রী ও অভিবাসী কর্মীদের অধিকার সংরক্ষিত হবে।’
নতুন আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিমান পরিবহন ব্যবস্থা আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও যাত্রীবান্ধব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৩২ দিন আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করলেন রাষ্ট্রপতি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এর মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
গেজেট অনুযায়ী, সংবিধান সংস্কারের অংশ হিসেবে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’—এই দুই বিকল্পে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ভোটগ্রহণ হবে, যেগুলো ঐকমত্য কমিশনে আলোচিত হয়েছিল।
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট প্রাধান্য পেলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠন করা হবে। এ পরিষদ সংস্কার প্রক্রিয়ার পূর্ণ এখতিয়ারভুক্ত থাকবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একযোগে সংসদ সদস্য ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সংস্কার পরিষদ তাদের প্রথম অধিবেশনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের (ছয় মাস) মধ্যে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। সংস্কার কার্য শেষ হলে পরিষদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে।
পরিষদ নিজেই অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবি করার, সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন ও গ্রহণ করার এবং প্রক্রিয়া নির্ধারণের ক্ষমতা রাখবে। সংসদ সচিবালয় পরিষদের প্রশাসনিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাঠামো
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যেদিন শপথ নেবেন, সেদিনই একই অনুষ্ঠানে তারা পরিষদ সদস্য হিসেবেও শপথ নেবেন। সংসদীয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের যিনি পরিচালনা করবেন, তিনি পরিষদের শপথও পরিচালনা করবেন।
প্রথম অধিবেশনে সদস্যরা পরিষদের সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান নির্বাচন করবেন। পদাধিকারী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সদস্যদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত একজন প্রবীণ সদস্য অধিবেশন পরিচালনা করবেন। সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধানের অনুপস্থিতিতে বিধি অনুযায়ী যেকোনো সদস্য অধিবেশন পরিচালনা করতে পারবেন।
সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করতে হবে, যা সংসদের প্রথম অধিবেশনের সময়সীমার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় ন্যূনতম ৬০ সদস্যের উপস্থিতি আবশ্যক হবে।
পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্ধারিত হবে। ভোট সমান হলে সভাপ্রধানের ভোটই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
গেজেট অনুযায়ী, পরিষদের সদস্যরা সংসদ সদস্যদের মতোই আইনগত মর্যাদা, অধিকার ও দায়মুক্তি ভোগ করবেন। পরিষদ জুলাই জাতীয় সনদকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নিশ্চিত করবে।
উচ্চকক্ষ গঠন
রাষ্ট্রপতির আদেশে বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার এক মাসের মধ্যে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করতে হবে।
নতুন এ কক্ষটি নিম্নকক্ষ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে গঠিত হবে।
উচ্চকক্ষের মেয়াদ তার শপথগ্রহণের দিন থেকে নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের সময় উচ্চকক্ষের জন্য আলাদা প্রার্থী তালিকা জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
উচ্চকক্ষ গঠনে কোনো প্রক্রিয়াগত জটিলতা দেখা দিলে সরকার নির্দেশনা দিতে পারবে এবং পরিষদ প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করতে পারবে।
গেজেটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিষদ কর্তৃক গৃহীত যেকোনো সংস্কার চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো অনুমোদন বা অনুমোদন প্রক্রিয়া প্রয়োজন হবে না।
রাষ্ট্রপতি সংশোধিত সংবিধানটি দ্রুত সরকারি গেজেটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
৩২ দিন আগে
চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা
জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ভাষণ শুরু হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। জুলাই সনদের আলোকে আমরা গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছি।’
প্রধান উপদেষ্টার ভাষ্য, প্রশ্নটি হবে এরকম— আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন—
ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।’
গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানানোর জন্য বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
৩২ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় এ ভাষণ শুরু হয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।
৩২ দিন আগে
দুপুর আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩০মিনিটের দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড সরাসরি সম্প্রচার করবে।
৩২ দিন আগে