বাংলাদেশ
আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অংশগ্রহণ করেন।
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল নিশ্চিতে সবকিছু করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
২৭৬ দিন আগে
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কাল
আগামীকাল শনিবার (১৫ মার্চ) সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পেইন সফল করতে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের নিকটস্থ স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্র থেকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল। রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯৭৪ সালে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
ভিটামিন ‘এ’ শুধু অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। এর পাশাপাশি ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে, যা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (শিশু মৃত্যুর হার কমানো) অর্জনে খুবই সহায়ক ছিল।
আমাদের সব শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ বা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিতে ভুগছে এবং ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রয়োজন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সব শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে শনিবার সারা দেশে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে, সব শিশুকেই যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেই সব মা-বাবা ও অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান।
২৭৬ দিন আগে
খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্পের ঘর কাদের দেওয়া হয়েছে, কী প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি (ঘর পাওয়া ব্যক্তিদের) তালিকা করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং দায়িত্ব বণ্টন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতেও জোর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের পুর্নবাসন করার কথা তারাই বাড়িঘরগুলোতে উঠতে পারছে কি না, অন্য কেউ এসে নিয়ম না মেনে অসাধু উপায়ে উঠে পড়ছে কি না—এগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। ভবন তো টাকা দিলেই নির্মাণ হচ্ছে, কিন্তু যে লক্ষ্যে ভবন নির্মাণ করতে চাচ্ছি, সেটা পূরণ না হলে তো এসবের কোনো অর্থ নেই।’
আরও পড়ুন: সবার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘকে পাশে পাবে বাংলাদেশ: গুতেরেস
প্রকল্পের একটি জমি ২০১৭ সাল থেকে বেক্সিমকো গ্রুপ দখলে রেখেছে বলে এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জানান সংশ্লিষ্টরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এটি নিয়ে আদালতের রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এতদিন ধরে অসীম দুর্নীতি চলেছে। যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা তাদের না দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকজনকে দিয়ে দিয়েছে, টাকা-পয়সারও লেনদেন হয়েছে। কিন্তু যাদের নায্য পাওনা ছিল তারা পায়নি।’
‘কিন্তু এ ভুল আর করা যাবে না। প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে, যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি হতে না পারে। তত্ত্বাবধায়ন ঠিকমতো হতে হবে। কার কী দায়িত্ব—পরিষ্কার হতে হবে।’
২৭৬ দিন আগে
মরক্কো ছেড়ে কানাডায় যাওয়া রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
মরক্কোতে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে না ফিরে কানাডায় গিয়ে সেখান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা ও বিগত সরকারের সাফাই গাওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের জেরে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর মরক্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এ সত্ত্বেও তিনি স্বপদে বহাল থেকে এ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। এরপর গত ৬ মার্চ তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ হারুন ফেসবুকে ‘A Plea for Bangladesh-and for Myself Subject: Bangladesh’s Descent into Anarchy under Yunus-The World’s Silence is painful’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি পূর্ববর্তী ‘নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের’ গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন করে ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এরূপ রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।”
“বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ও মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তার এবং তার পরিবারের (সদস্যদের) পাসপোর্ট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না জানিয়ে ভবিষ্যতেও যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
২৭৬ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল নিশ্চিতে সবকিছু করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগণের দুর্ভোগ এড়াতে প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিতে সংস্থাটি সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের বালুখালী-১৮ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে, এটি (সংকট) এড়াতে আমরা সবকিছু করব এবং তহবিল প্রাপ্তির ব্যাপারে আমাদের সহায়তা করতে পারে—এমন সব দেশের সঙ্গে আমি কথা বলে যাব।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের কথা ভুলে যাবে—এটা মেনে নেওয়া যায় না মন্তব্য করে তিনি জানান, (রোহিঙ্গাদের বিষয়ে) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি সোচ্চার হয়ে কথা বলবেন।
গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জরুরি-ভিত্তিতে আরও সহায়তা প্রয়োজন। (শরণার্থী শিবিরে) এই জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার জন্য এই সহায়তার খুবই প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সবার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘকে পাশে পাবে বাংলাদেশ: গুতেরেস
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারে শান্তি পুনর্প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকারকে সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবকিছু করা জরুরি।’
এদিন কক্সবাজারে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন গুতেরেস।
এর আগে, আজ (শুক্রবার) বিকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের একটি প্রকল্প উদ্বোধন এবং খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। এরপর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে সঙ্গে নিয়ে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সবশেষে সন্ধ্যায় একসঙ্গে ঢাকায় ফেরার কথা তাদের।
২৭৬ দিন আগে
সবার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘকে পাশে পাবে বাংলাদেশ: গুতেরেস
সবার জন্য একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘ বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘বাংলাদেশ বর্তমানে যে সংস্কার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাতে সবার জন্য একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যত গড়তে জাতিসংঘের সহায়তার বিষয়টি আপনি বিবেচনায় রাখতে পারেন,’ ইউনূসকে বলেন গুতেরেস।
তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ড. ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব।
এরপর কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অ্যান্তনিও গুতেরেস। দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানান। আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
কক্সবাজার সফরে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন তারা। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমান বন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসাথে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
২৭৬ দিন আগে
এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে র্যাব-১১-এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। আসাদুজ্জামান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা গ্রেপ্তার
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আসাদুজ্জামানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।’
গ্রেপ্তারের পর তাকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
২৭৬ দিন আগে
ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক আর নেই
লাইফ সাপোর্ট থেকে ফেরা হলো না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী, সহকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী, স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন জনপ্রিয় এ শিক্ষক।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তার ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক ইউএনবিকে জানান।
আরও পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক
এর আগে ৬ মার্চ দুপুরে ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলেন এবং রমনার ঢাকা ক্লাবে যান আরেফিন সিদ্দিক। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে টানা লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে আরেফিন সিদ্দিকের।
দেশের এই শিক্ষাবিদ ১৯৫৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আরেফিন সিদ্দিক ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭তম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। উপাচার্যের মেয়াদ শেষে আবারও নিজ বিভাগে অধ্যাপনায় ফিরে আসেন তিনি। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান আরেফিন সিদ্দিক।
শিক্ষকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি।আরও পড়ুন: আরেফিন সিদ্দিকের সার্বিক অবস্থা ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’
২৭৭ দিন আগে
আশুলিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা গ্রেপ্তার
আশুলিয়ায় সৎ বাবার বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অভিযুক্ত সৎ বাবা শাবলু মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাবলু মাতাব্বর ফরিদপুর জেলার দরগা বাজার নাছিরাবাদ এলাকার মৃত রফিক মাতাব্বরের ছেলে। সে কাজের সুবাধে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার কেছু মুন্সির ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা পেশায় একজন পোশাক কারখানার কর্মী। ৫ বছর আগে সৎ বাবা শাবলু মাতাব্বরের সঙ্গে তার মায়ের বিয়ে হয়। এটা তার মায়ের দ্বিতীয় সংসার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণে মারা যাওয়া শিশুটির দাফন সম্পন্ন, প্রধান অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন
আর অভিযুক্ত শাবলু মাতাব্বরের কোনো কাজ কর্ম না থাকায় বাসায় সন্তানদের দেখাশুনা করতেন। সেই সুযোগে তার স্ত্রী চাকরিতে চলে গেলে মায়ের অনুপস্থিতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করতো সে। পরে ওই কিশোরী একাধিকবার ধর্ষণের কথা তার মাকে জানায়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা শাবলু মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ওই কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আট বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, চা দোকানি গ্রেপ্তার
২৭৭ দিন আগে
মাগুরায় ধর্ষণে মারা যাওয়া শিশুটির দাফন সম্পন্ন, প্রধান অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন
এক সপ্তাহ আগে ধর্ষণের শিকার হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে হেলিকপ্টারে করে মেয়েটির লাশ মাগুরা স্টেডিয়ামে আনার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে দাফন করা হয়।
আজ সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা নোমানী ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
পরে তাকে জেলার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে তার বাড়ির পাশে দাফন করা হয়।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি গ্রামে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি আর নেই
গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণেরি শিকার হয় শিশুটি।
তিনি রাতে তার বোনের সঙ্গে বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ তার বোন তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে তার সন্ধান শুরু করেন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে কয়েক গজ দূরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে মাগুরা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং পরে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আসামিদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
২৭৭ দিন আগে