বাংলাদেশ
যায়যায়দিন দখলমুক্ত ও ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি
সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের প্রধান কার্যালয় দখল ও ঠুনকো অজুহাতে পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের অভিযোগ তুলেছেন যায়যায়দিন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ এ অভিযোগ তুলেন। তিনি অবিলম্বে যায়যায়দিন অবৈধ দখলমুক্ত এবং পত্রিকার ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সামনে রেখে একটি চক্র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান কার্যালয় দখল করে। তারা সেখান থেকে অবৈধভাবে দৈনিক যায়যায়দিনের মূল লোগোর সঙ্গে হুবহু মিল রেখে ‘দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিদিন’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশ করছে; যা আইনগতভাবে অবৈধ।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘২০০৭ সালে আর্থিক সংকটে পড়ে শফিক রেহমান দৈনিক যায়যায়দিন পাবলিকেসন্স-এর শেয়ার এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীর কাছে বিক্রি করেন। ২০০৭ সালের ২৩ মার্চ ফরম-১১৭ এর মাধ্যমে শফিক রেহমান, তার স্ত্রী তালেয়া রহমান এবং ছেলে সুমিত রহমান তাদের যায়যায়দিন পাবলিকেসন্সের সব শেয়ার সাঈদ হোসেন চৌধুরী ও আবুল হাসান মো. আল ফারুক বরবার হস্তান্তর করেন। এর দুইদিন পর অর্থাৎ ২৫ মার্চ ২০০৭ তারিখ শফিক রেহমান ও তালেয়া রেহমান ফরম-১১৭ এর মাধ্যমে তাদের যায়যায়দিন প্রিন্টার্সের শেয়ার এইচআরসি মিডিয়া লিমিটেড এবং এইচআরসি বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে হস্তান্তর করেন।’
শেয়ার হস্তান্তরসহ সব প্রক্রিয়া শেষে শফিক রেহমান ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই অতিরিক্ত ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থিত হয়ে যায়যায়দিনের প্রকাশকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থিত হয়ে আবুল হাসান মো. আল-ফারুক যায়যায়দিনের প্রকাশকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০১১ সালের ৯ জুন পত্রিকার প্রকাশকের পদত্যাগের ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রকাশকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদ হোসেন চৌধুরী যায়যায়দিনের প্রকাশক ও মুদ্রাকরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় থেকে সাঈদ হোসেন চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শফিক রেহমান ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশকের দায়িত্বভার থেকে পদত্যাগ করলেও ২০০৮ সালের ৬ মে পর্যন্ত বেতনভুক্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে তিনি স্বেচ্ছায় সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৬ মে যায়যায়দিন ও সমকালসহ একাধিক জাতীয় দৈনিকেও এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায়।
শফিক রেহমান পদত্যাগ করার পর শহীদুল হক খান এবং পরে বরুণ শংকর দৈনিক যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে ২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। উল্লেখিত সময় থেকে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি দখল করে নিতে বেশকিছু দুস্কৃতকারী পত্রিকার প্রধান কার্যালয় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের এইচআরসি মিডিয়া ভবনে কয়েক দফা হামলা চালায়। এ ব্যাপারে গত ২৪ অক্টোবর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সামনে রেখে ওই চক্র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান কার্যালয় দখল করে নেয়।
এদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে যায়যায়দিন কার্যালয় ও প্রেস বেদখল হওয়ার পর বিধি মোতাবেক ডিসি অফিসকে অবহিত করে অন্য প্রেস থেকে যায়যায়দিন পত্রিকা ছাপানোর ব্যবস্থা করা হয়। পর পর দুটি প্রেস পরিবর্তনের বিষয়টিও যথারীতি ডিসি অফিসকে জানানো হয়। কিন্তু ডিসি অফিস শফিক রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঠুনকো অজুহাতে ১০ ফেব্রুয়ারি যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে।
২৭৮ দিন আগে
আপাতত কর্মসূচি নেই, সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ
আপাতত আর নতুন করে কোনো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে না ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। তারা বগুড়ার শিশু ধর্ষণ মামলা অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।
বুধবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের একজন নেত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তবে তিনি নাম প্রকাশ করেননি।
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ২৮ জন নেতা বুধবার বিকেলে দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন আসিফ নজরুল।
বৈঠক শেষে মঞ্চের ওই নেত্রী বলেন, ‘গত ৯ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি নারী হল থেকে শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিলেন সারাদেশে চলমান নারীর প্রতি ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদ জানাতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা একটি মশাল মিছিল করি এবং রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে ৫টি দাবি উত্থাপন করি। সেই পাঁচটি দাবি আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি আকারে আইন উপদেষ্টার কাছে আমরা দিতে এসেছি।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বগুড়ার শিশু ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আশা করছি, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হবে। যাতে এটা সারা বাংলাদেশের সামনের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’
‘ধর্ষণের মামলা বিচারের জন্য আমরা একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য বলেছি। বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের দিয়ে যে ধর্ষণগুলো সংঘটিত হয়েছে, তারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে, সরকার তাদের বিচারের আওতায় আনেনি। আমরা চাই, এই বিশেষ আদালত একই সঙ্গে পুরনো মামলাগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করবে এবং বিচার করবে। আমরা বিশেষ করে সোহাগী জাহান তনু, মুনিয়ার মামলার কথা বলেছি। একই সঙ্গে র্যাব হেফাজতে রোজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ করার যে ঘটনা ঘটেছে, এই ঘটনাটির কথাও আমরা উল্লেখ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র, আইন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টাকে চলমান ধর্ষণের জন্য দায় স্বীকার করতে হবে। সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জনেরও কম: আসিফ নজরুল
ধর্ষণ সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা রয়েছে জানিয়ে এই নেত্রী বলেন, ‘এগুলোকে ব্যবহার করে ধর্ষকরা ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। এই আইনগুলো সংস্কারের জন্য বলেছি আমরা। এক্ষেত্রে ধারা-উপধারাগুলোর অস্পষ্টতা দূর করার জন্য বলেছি।’
তিনজন উপদেষ্টার দায় স্বীকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি দুজন উপদেষ্টা দায় স্বীকার করেছেন। বলেছেন, তারা নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, এজন্য তার আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
মিটিংয়ের পর আপনারা সন্তুষ্ট কিনা- এ বিষয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রী বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে পাঁচটি সুস্পষ্ট দাবি উত্থাপন করেছি। পাঁচটা দাবি যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, বাংলাদেশের ধর্ষণের হার অনেক বেশি কমিয়ে আনা যাবে। যেভাবে স্যার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাতে আমরা আপাতত আশ্বস্ত হয়েছি।
আপনাদের এরপরের আন্দোলন কর্মসূচি কি হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমাদের আর কোন কর্মসূচি নেই। আমরা পর্যবেক্ষণ করবো আছিয়ার মামলার অগ্রগতি কিভাবে হচ্ছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন নিয়ে তারা কিভাবে কাজ করছে।'
২৭৮ দিন আগে
ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার প্রকাশিত ছবিতে সত্য আড়াল করা হয়েছে: পুলিশ
ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার প্রকাশিত একটি ছবিতে সত্য আড়াল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। বুধনার (১২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছবির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
এতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকালে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের প্ল্যাটফর্মের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রার চেষ্টা করে। পুলিশ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাজনিত কারণে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বাধা দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হটলাইনে ১০৩ অভিযোগ
এসময় পুলিশ পবিত্র রমজানে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত হওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানায়। কিন্ত তারা পুলিশের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তাদের অতর্কিত হামলায় ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার গুরুতর আহত হন।
এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখলে পরিষ্কার হয় যে, উত্তেজিত মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করার পর পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। কিন্তু প্রকাশিত ছবিতে এ সত্যটি আড়াল করা হয়েছে।
পুলিশ দাবি করছে, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে এরূপ খন্ডিত সংবাদ ও ছবি প্রকাশ কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।
গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণও প্রত্যাশা করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টাস।
আরও পড়ুন: পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
২৭৮ দিন আগে
মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষকের যাবজ্জীবন
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে আব্দুর রহিম কালু নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারী শিশু আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘২০২১ সালের ১৮ মে বড়াইগ্রাম উপজেলার তালসো গ্রামের আল জামিয়া মাদরাসার শিক্ষক কালু ওই ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে স্থানীয় একটি ভবনের ছাদে নিয়ে বলাৎকার করে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে নারীকে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে মামলা করলে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ (বুধবার) এ রায় দেন।
এছাড়া ওই শিক্ষককে জরিমানা করা ৫০ হাজার টাকা ভিকটিম ছাত্রকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৭৮ দিন আগে
সিলেটে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় চোরাই চালান জব্দ
সিলেট গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা ১২ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দ হওয়া বড় চালান এ যাবৎকালের সবচেয়ে চালান।
বুধবার (১২ মার্চ) গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করে বিজিবি সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ ব্যাটালিয়ন ৪৮।
জব্দ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, কসমেটিকস, জিরা, মাল্টাসহ অন্যান্য পণ্য।
আরও পড়ুন: ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা, সাতক্ষীরায় আটক ১
সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
এছাড়া জব্দকৃত চোরাচালানের মালামালসমূহের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান নাজমুল হক।
২৭৮ দিন আগে
শাহ আমানতে ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেদ্দা থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার সমমূল্যের স্বর্ণ জব্দ করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।
বুধবার (১২ মার্চ) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৩৬ ফ্লাইট করে জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে আসে অভিযুক্ত যাত্রী শাহিন আল মামুন।
এসময় কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে ৩ নম্বর গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা, সাতক্ষীরায় আটক ১
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তার হাত ব্যাগ ও প্যান্টের পকেট থেকে ২২ ক্যারেটের ৪০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘উদ্ধার করা স্বর্ণালংকার এরই মধ্যে বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।’
২৭৮ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১৭
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৭ জন।
বুধবার (১২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১৩
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৩ জন রোগী।
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৬৭৮ জন। এর মধ্যে ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ শতাংশ নারী।
২৭৮ দিন আগে
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
বুধবার (১২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৬১১ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন। এ নিয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩০৯ জনে।
২৭৮ দিন আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় বাংলাদেশের সমর্থন চায় গাম্বিয়া
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা সম্পর্কে অবহিত করেছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা। তিনি বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে তার দেশ কাজ করছে।
বুধবার (১২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিকে সমর্থন করছেন এবং বিষয়টি দেখছেন। 'আমরা এই বিষয়টিকে আবার সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে চাই।’
তিনি বলেন, 'গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং গাম্বিয়ার জনগণ এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করার জন্য এবং এই মামলার সফল হওয়ার জন্য আফ্রিকান দেশটির অবিরাম প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই এই মামলা সফল হোক। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই। এটি আমাদের জন্য একটি বড় সহায়ক।’
মামাদু টাঙ্গারা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ‘গাম্বিয়ার জনগণের কাছে আপনি পরিচিত নাম। আপনার আভা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নতুন দায়িত্বে ড. ইউনূসের সাফল্য কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা আপনার মহৎ কাজ এবং চ্যালেঞ্জিং যাত্রার সাফল্য কামনা করি।’
অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণ সংগ্রহে ঢাকার প্রচেষ্টা এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তাসহ রাখাইনে মানবিক সাহায্য ও সহায়তা এবং সীমান্ত পেরিয়ে আরও বেশি লোকের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া বন্ধ করার বিষয়ে তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১/১১ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র ভুল করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে গভীর বাণিজ্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কীভাবে আমরা সাহায্য করতে পারি—তা আমাদের জানান।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি সইয়ের বিষয়েও দুই নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারা আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে এবং ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে মহাদেশটির সহিংসতাপীড়িত কয়েকটি অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
২৭৮ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিচার, পুলিশকে মারধর এবং লাকী আক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ছেলেদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন চত্ত্বর) অতিক্রম করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারপর মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি, ২০১৩ সালে কীভাবে তৎকালীন প্রজন্মের চোখে ধুলো দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিককে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে খুন করেছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—এটা ২০১৩ নয়; এটা ২০২৫। আবার যদি কেউ কোনো শাহবাগ কায়েম করতে চায়, তাহলে তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোরা ছাত্রলীগ নিয়ে আয়, লাকিকে নিয়ে আয়, শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে আয়, কিন্তু ২০১৩ সালে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের তোরা যেভাবে খুন করেছিস, তার হিসাব আমরা পই পই করে নেব। আমরা দেখেছি সেই সব শাহবাগীরা কোন কোন পতাকাতলে লালিত পালিত হয়েছে। আমরা কাউকেই ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো মব, আর কোন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, আর কোনো শাহবাগ এই বাংলাদেশে কায়েম হতে দেব না। এই প্রজন্ম যতদিন জীবিত থাকবে, রক্তপিপাসু শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলমান থাকবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে শাহবাগী লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন, অন্যথায় আমরা কঠর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর বলেন, ‘এই শাহবাগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে, এই শাহবাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই শাহবাগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় নৃত্য করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১৩ এর সেই পুরনো শকুন আবারো দেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। যেকোন মূল্যে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই শাহবাগীরা ২৪ এর পরে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু না, এরা আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ২৪ এর সৈনিকরা এখনো বেঁচে আছি। শাহবাগীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি কীভাবে শাহবাগ বিচারিক হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা এও দেখেছি শাপলার গণহত্যাকে এই শাহবাগ কীভাবে বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় মদত দেওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসী লাকি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি, দেশের সকল স্তরের মানুষরা এই শাহবাগীদের বিচার চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে লাকি আক্তারের গ্রেফতার নিশ্চিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে ২৪ এর চেতনাকে হরণ করা হবে। আপামর ছাত্রসমাজ তা কখনই মেনে নেবে না।
২৭৮ দিন আগে