বাংলাদেশ
রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে সভাপতি করে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করেছে সরকার।
বুধবার (১২ মার্চ) ছয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিটিতে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদাকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তকাজের অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত গৃহীত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপ পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সভা করতে পারবে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
২৭৮ দিন আগে
শাপলা চত্বর গণহত্যা: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১২ মার্চ) গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্যা নজরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গণহত্যা: ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম কয়েকজন ব্লগারের 'ইসলাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অবমাননার প্রতিবাদে' ১৩ দফা দাবি পেশ করেছিল।
দাবি আদায়ে সরকার ব্যর্থ হলে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে জড়ো হন হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা।
ওইদিন রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ মাদরাসা ছাত্র ও পথচারীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, নিহতদের লাশ সিটি করপোরেশনের যানবাহন ব্যবহার করে গুম করা হয়।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, তারেক আহমেদ সিদ্দিকী ও মাহবুব খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় লাশের স্তূপীকরণের মামলায় নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না
২৭৮ দিন আগে
এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না
এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি রিটের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
তবে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন হয়। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন আহ্বায়ক শামসুল হুদাসহ অন্যরা ২০১৩ সালে একটি রিট করেন।
ওই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি গত বছর অপর একটি রিট করেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯(১) ধারার ভাষ্য, এই আইনের অধীন নিবন্ধন করা কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনো নাম, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না, যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে বলে কেউ মনে করতে পারেন, যদি না তা কোনো স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে সিভিল সার্জনসহ ৪ ডাক্তার ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। ২৯ (২) ধারার ভাষ্য, কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং সেজন্য তিনি ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং ওই অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রতিবার এর পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে, দণ্ডনীয় হবেন।
প্রথম রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। দ্বিতীয় রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে আইনের ২৯ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন শুনানি করেন। এছাড়া প্রথম রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইদুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম শুনানি করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম শুনানি করেন।
২৭৮ দিন আগে
আগুনে সব হারিয়ে হাহাকার সাততলা বস্তির বাসিন্দাদের
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে গিয়েছে মহাখালির সাততলা বস্তির শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বস্তির বাসিন্দাদের।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বুধবার (১২ মার্চ) সরেজমিনে সাততলা বস্তি ঘুরে দেখা যায়, আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভুক্তভোগীদের ক্ষতি হয়েছে অসামান্য।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ৩টা ২০মিনিটের দিকে আগুন লাগে। বেশিরভাগই টিনের ঘর হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলেও ততক্ষণে বস্তিজুড়ে ছড়িয়ে পরে আগুন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি হেমায়েত বলেন, রোজার মাস হওয়ায় অনেকেই জেগে ছিলেন। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবাই এক কাপড়ে বের হয়ে প্রাণে বেঁচেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২৭৮ দিন আগে
শিল্পপতি সৈয়দ মনজুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১২ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ছিলেন। দেশের চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার একান্ত পরিশ্রমে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।’
১৯৯৬ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অ্যাপেক্সর চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী আর নেই
দায়িত্ব পালনকালে তার দক্ষতার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংগঠক হিসেবেও তার অসামান্য কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি।’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে সকলের শ্রদ্ধাভাজন, দেশপ্রেমিক শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক জানাই। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
২৭৮ দিন আগে
অ্যাপেক্সর চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী আর নেই
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় আজ বুধবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা যান। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মোস্তফা কাজলের মৃত্যুতে সিজেএফডির শোক
বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হওয়া সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন এই খাতের সফল ব্যবসায়ী। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতার বিদেশযাত্রা (রপ্তানি) শুরু। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থানে আছে তার প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স।
১৯৭২ সালে ‘মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে কোম্পানি করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর যাত্রা শুরু করা অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষ জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
২৭৮ দিন আগে
সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মেলবন্ধনে চতুর্থ বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইফতার শেষে আয়োজকরা জানান, রমাদানের শিক্ষাকে ধারণ করে গত বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এই গণ-ইফতার কর্মসূচি পালিত হলো। প্রত্যেক বছর এই ইফতার কার্যক্রম চালু থাকবে।
আয়োজক কমিটির সদস্য তাহজিব হাসান বলেন, ‘গতবছর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারে বাঁধা দিয়েছিল তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার প্রতিবাদে গতবছরই আমাদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা জাবিতে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করে। সেই ধারা অব্যাহত রাখার জন্যই আমরা এই আয়োজন করেছি। এই ধারা চলমান থাকবে।
আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘আমাদের আজকের এই আয়োজনে অনেকেই অনেকভাবে সহযোগিতা করেছে। এত সুন্দর একটা আয়োজন করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি আগামী বছরও এমন আয়োজন হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আজকের যে ইফতার কর্মসূচি আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরা, তাদের এই আয়োজনকে স্বাগত জানাই। এখানে এসে ইফতার করেই যে আমরা চলে যাবো, গিয়ে সব কিছু ভুলে যাবো এমনটা যেন না হয়। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এই রমজানে আমরা যে সংযমের শিক্ষাটা নেব এটা যেন সারাটা জীবন নিজের মাঝে ধরে রাখতে পারি। আমরা যেভাবে গুনাহমুক্ত ভাবে দুনিয়াতে এসেছি সেভাবেই যেন আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে পারি এই শিক্ষাটা রমজান থেকেই অর্জন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম বলেন, ‘আমার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আজকে গণ-ইফতারের মতো এত সুন্দর একটা আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এমন আয়োজন রমজানের সৌন্দর্যকে যেন আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মাহে রমাদানের শিক্ষা আমাদের সবাইকে ধারণ করা উচিত।’
২৭৯ দিন আগে
পাশববৃত্তিকে দমন করতে না পারলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘সিয়াম সাধনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে পাশববৃত্তিকে দমন করতে হবে। অন্যথায় মানুষ তার মর্যাদা হারিয়ে পশুতে পরিণত হয়ে যাবে। অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে পারলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিশুদ্ধ হবে।’
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন , ‘নারীরা হচ্ছেন মায়ের জাতি। তাদের প্রতি যারা অসম্মান ও অমর্যাদাপূর্ণ আচরণ করে, তারা হায়েনা ও নরাধম।’
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার ধারাবাহিক যে নীলনকশা, ধর্ষণের ঘটনা তার বাস্তবায়ন মাত্র। সামনে ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা নতুন এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামবে।’
আরও পড়ুন: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এ সময় তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ড. মুহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ১৩৫, ১৩৬ ও ১৩৭তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
২৭৯ দিন আগে
একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন সম্ভব: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিলোপের পাশাপাশি নতুন সংবিধান প্রণয়নে আগামী নির্বাচনে একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
ফ্যাসিবাদ-বিরোধী রাজনীতিবিদ, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য হতে পারে, তর্কবিতর্ক হতে পারে, নীতিগত বিরোধ হতে পারে, কিন্তু গণতান্ত্রিক সম্পর্ক, সংলাপ ও পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়ায় এসব কারণে যেন কোনো ছেদ না পড়ে।’
বাংলাদেশবিরোধী শক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের বিপদ এখনও কাটেনি উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘নীতিগত বিরোধ থাকলেও ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এনসিপি বাংলাদেশের শাসন-কাঠামোর গুণগত ও মৌলিক পরিবর্তন চায়। তাই আমরা একটি নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি নতুন রিপাবলিকের কথা বলছি।’
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন সম্ভব। এতে করে একদিকে নতুন সংবিধান কায়েম হবে, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নতুন পথের উত্তরণ ঘটবে।’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের কারণে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে: নাহিদ ইসলাম
সরকার সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যেই এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের পাশাপাশি জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারের প্রস্তাবগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধ্যাদেশ জারি করে সম্পন্ন করা উচিত।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।’
এছাড়া নির্বাচনের সময়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ আচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনার ওপর জোর দেন এনসিপির আহ্বায়ক। বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের ব্যাপারে রাজনৈতিক ফয়সালার পথে হাঁটতে হবে।’
২৭৯ দিন আগে
বাসসকে দ. এশিয়ার অন্যতম সংবাদ উৎসে পরিণত হতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংবাদ উৎসে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (১১ই মার্চ) বাসস কর্মকর্তা, সম্পাদক ও সংবাদদাতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলা করা বর্তমান সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাসসকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে বাসসকে কাজ করতে হবে। এর জন্য তিনি বাসসে কর্মরত প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, সম্পাদক, সংবাদদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, সম্পাদক ও সংবাদদাতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
২৭৯ দিন আগে