বাংলাদেশ
সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি লাইফ সাপোর্টে আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবার (১০ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল এমন তথ্য দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘গত ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন অবস্থায় শিশু আইসিইউ, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়। তখন শিশুটি সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় ছিল।’
‘এই সময় তার রক্তচাপ ১২০/৭০ মি.মি. (কার্ডিয়াক সাপোর্টসহ), হৃদস্পন্দন ১১৮/মিনিট, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬ শতাংশ পাওয়া যায়। শিশুটির গলার সামনের দিকে গভীর ক্ষত এবং শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘রোগীর যথাযথ অবস্থার নিরুপণ এবং সঠিক চিকিৎসা দিতে কমান্ড্যান্ট সিএমএইচ ঢাকা, চিফ সার্জন জেনারেল, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান শিশু বিভাগ, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান স্ত্রী ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগ, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান শিশু সার্জারি বিভাগ, সিনিয়র অবেদনবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র শিশু নিউরোলজিস্টের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উদর, বক্ষ ও মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান, উদরের ইউএসজি ও বুকের এক্স-রে এবং রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা হয়। পরীক্ষায় শিশুটির নিউমোথোরাক্স (আরটি), এআরডিএস ও ডিফিউজ সেরেব্রাল এডেমা ধরা পড়ে এবং একই সাথে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয়।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল জানিয়েছে, প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদানুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে শিশুটি লাইফ সাপোর্টে আছে।
গত ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়।
২৮০ দিন আগে
কক্সবাজারে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবক আটক
কক্সবাজারে ইউএন ওম্যান নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত মার্কিন এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তারেকুর রহমান প্রকাশ ওরফে সোইল্যা তারেককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শহরের শহীদ সরণীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
তারেক কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ার মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, ইউএন ওম্যান নামের সংস্থার কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী ও তার অপর এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে শহরে হেঁটে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ওই যুবক গতিরোধ করে ঝাপটে ধরেন। একই সঙ্গে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। বিষয়টি পরবর্তীতে তিনি পুলিশকে জানালে পুলিশ বিকাল ৪টার দিকে শহরের ঝাউতলা থেকে অভিযুক্তকে আটক করে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
২৮০ দিন আগে
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই আহমেদ সোহাইল ফসিহুর রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমানসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।’
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট গে বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের পর তা আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
২৮০ দিন আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে শাবি শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য অযৌক্তিক কোটা বাতিলের আলটিমেটাম দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এই সময়ের মধ্যে কোটা বাতিল না হলে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ২৪’র জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, কোটা সংস্কারের নামে বৈষম্যের ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া হবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব কোটা বাতিল করতে হবে।
এর আগে একইদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, আলোচনা সাপেক্ষে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত কোটাগুলো যৌক্তিক বলে বিবেচিত হতে পারে। তা হলো- মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের কোটা, হরিজন, দলিত, চা-শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কোটা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৯ মার্চ
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শাবিপ্রবিতে কোটায় সর্বমোট আসন বহাল রখেছে ১০৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) মোট আসন ৯৮৫টি ও ‘বি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) মোট ৫৮১ টি আসন রয়েছে। এসব আসন ছাড়াও অতিরিক্ত ১০৫ টি কোটা আসন রয়েছে। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২৮ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/ জাতিসত্ত্বা/ হরিজন-দলিত কোটা ২৮ জন, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪ জন, পৌষ্য কোটা ২০ জন, চা শ্রমিক কোটা ৫ জন, বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটা ১০ জন।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম মামুন।
২৮০ দিন আগে
শিশু ধর্ষণের খবরে বাবার মৃত্যু! ২ কিশোর গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৯ মার্চ) বিকালে ধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটে।
শিশুটির মামা মুমিন মিয়া জানান, মেয়ের ধর্ষণের খবরে মারা যান তার বাবা। তিনি বলেন, ‘তার বাবা বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিল। তার মেয়ের ঘটনা শোনার পর থেকে তিনি অসুস্থবোধ করেন, একপর্যায় সকাল ১১টার দিকে মারা যান।’
এই ঘটনায় ভিকটিমের নানী মিনারা বেগম বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— বানিয়াচংয়ের দক্ষিণ যাত্রাপাশা বনমথুরা গ্রামের সাজমান মিয়ার ছেলে নোফায়েল মিয়া (১৭) ও একই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া (১৫)।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
স্থানীয়রা জানায়, গত ৯ মার্চ বিকালে শিশুটি দক্ষিণ যাত্রাপাশায় তার বাড়িতে খেলাধুলা করছিল। এক পর্যায়ে ওই শিশুটিকে ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির আত্ন-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে কিশোররা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠনো হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন। ওইদিন রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোফায়েল ও শামীমকে আটক করে পুলিশ।
আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, ‘শিশুটি ধর্ষণের ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৮০ দিন আগে
সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিদেশি দুই ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এছাড়া দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ নিয়ে আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে, অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল, আদালতে বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। এজন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সালমান এফ রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
এসব হিসাবে সর্বমোট ৫৫ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১১৭ টাকা রয়েছে।
গত বছরের ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
২৮০ দিন আগে
মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সফরকালে বার্ষিক রমজান সংহতি সফরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের এই পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে গুতেরেস স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ও মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতার করবেন। যা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৪ মার্চ সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
আরও পড়ুন: চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
রমজানের প্রতি সংহতি সফরের অংশ হিসেবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এসময় তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বাংলাদেশ সফরকালে তিনি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
২৮০ দিন আগে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
প্রায় ১১ বছর আগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১০ মার্চ) বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমানবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর, ঘৃণ্য এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
পাবলিক প্রসিকিউটর ও যশোর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, প্রথমে মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে গেলেও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেকের
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আইন অনুসারে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা কেবল তখনই দায়ের করা যেতে পারে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধের সময় রাষ্ট্রে কোনো সরকারি পদে থাকেন। যেহেতু শেখ মুজিবুর রহমান তখন সরকারি কোনো পদে ছিলেন না, সেহেতু মামলাটি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
এর আগে মামলাটি খারিজ চেয়ে করা একটি আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু রিভিশন শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করে মামলাটি খারিজ করে দেন।
২৮০ দিন আগে
আট বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, চা দোকানি গ্রেপ্তার
ফেনীর ফুলগাজীতে ৮ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নুরুল ইসলাম নামে এক চা দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম (৫৫) সদর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের ফকির বাড়ির বাসিন্দা।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানান যায়, ৩ মার্চ ওই ছাত্রী মাদরাসায় যায়। সকাল সাড়ে ১০টায় ক্লাসের বিরতিতে টিফিন কিনতে পাশের চা দোকানে যায়। চা দোকানি নুরুল তাকে খাবার খাওয়ানোর কথা বলে দোকানের ভেতরে নিয়ে নিপীড়ন চালায়।
একপর্যায়ে নুরুল শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করলে শিশুটি চিৎকার করে। এ সময় নুরুল শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। দুপুরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে বিষয়টি জানায়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানন ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ।
সোমবার ফুলগাজী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার আট বছর বয়সী ওই শিশুর মা থানায় মামলা করেন। রাতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
২৮০ দিন আগে
বাকৃবিতে অসম্পূর্ণ প্ল্যান্ট দেখিয়েই গবেষণা দাখিল
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বাকৃবি রিসার্চ সেন্টারের (বাউরেস) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণায় মিনি প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন সম্পূর্ণ না করেই গবেষণা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বাউরেসের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পরেশ কুমার শর্মা নিশ্চিত করেছেন, প্রকল্পটি ২০২৪ সালে শেষ হয়ে গেছে।
বাউরেস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত বাউরেসের বার্ষিক কর্মশালায় অধ্যাপক ইলিয়াস বাকৃবির পোল্ট্রি খামারে প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপনের ওই তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন।
বাউরেসের কর্মশালার প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, ‘প্রকল্পের কার্যক্রম দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমত; ময়মনসিংহের স্থানীয় বাজারে পোল্ট্রি জবাই এলাকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা ও স্থানীয় বাজার এবং প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট থেকে উৎপাদিত মুরগির মাংসের জীবাণু ও গুণাগুণ মূল্যায়ন করা। দ্বিতীয়ত; বাকৃবি পোল্ট্রি খামারে একটি মিনি প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছিল। সেই খামারে একটি ১৫০ বর্গফুট খোলা-পার্শ্বযুক্ত প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই তথ্য মতে, গতবছর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেই মিনি প্রসেসিং প্লান্ট।’
এদিকে সরজমিনে দেখা যায়, বাকৃবির পোল্ট্রি খামারে নেই অধ্যাপক ড. ইলিয়াসের কোনো সম্পূর্ণ প্রসেসিং প্ল্যান্ট। তবে রয়েছে ছাদ ও দেয়ালবিহীন একটি কাঠামো।
বাকৃবি পোল্ট্রি খামারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাষক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান খামারে কোনো প্রসেসিং প্ল্যান্ট নেই। তবে একটি প্রসেসিং প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলমান।’
এছাড়া বাউরেসের নিয়ম অনুযায়ী, গবেষণা শেষে ফলাফল যাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন— পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, পশু পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন বলে জানা যায়।
কোনো প্রকার প্রসেসিং প্ল্যান্ট ছাড়াই কিভাবে গবেষণা ফলাফল জমা পড়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই গবেষণার যাচাই দলে আমি ছিলাম। তবে যাচাই টিমের কাজ হলো গবেষণা প্রবন্ধের ফাইন্ডিংস, অবজারভেশন অর্থাৎ গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যবেক্ষণ করে মূল্যায়ন করা। আর্থিক মনিটরিংয়ের কাজ আমাদের নয়, এটি করে থাকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)। আসলে প্রসেসিং প্ল্যান্টের বিষয়ে ওই গবেষণা প্রবন্ধে কিছু ছিল কিনা, সেটা আমরা দেখি না।’
২৮০ দিন আগে