বাংলাদেশ
বাড়ি দখল করা কথিত সেই নারী সমন্বয়ক ৪ দিনের রিমান্ডে
টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখলে নেওয়া কথিত সেই নারী সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. গোলাম মাহবুব খান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মিষ্টির বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী গ্রামে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, ‘মিষ্টিকে আজ সোমবার আদালতে হাজি করা হলে বিচারক তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, ‘বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগে কসরা মামলায় রবিবার (৯ মার্চ) রাতে শহরের আকুর টাকুর পাড়া হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে শুনানি, চার আসামি রিমান্ডে
এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বরেও জানান ওসি তানবীর।
এর আগে গত ৮ মার্চ সকালে পাগলদের আশ্রম হিসেবে ব্যবহারের জন্য টাঙ্গাইল শহরের ছোটকালীবাড়ি এলাকায় জোয়াহেরুল ইসলামের ৬ তলাবিশিষ্ট বাড়ি দখলে নেন সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি। তিনি তালা ভেঙে ২০ জন পাগল নিয়ে ওই ভবনে প্রবেশ করেন। একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দখলমুক্ত হয় বাড়িটি। এ ঘটনায় রবিবার রাতে জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান টাঙ্গাইল সদর থানায় মিষ্টিকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় রওশন আরা খান উল্লেখ করেন, ৮ মার্চ সকালে বাসার গেটের ছয়টি তালা ভেঙে আসামিরা নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়।
আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে বাড়িতে উঠে বসবাস করতে থাকে। মিষ্টি ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে সাত দিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন।
২৮০ দিন আগে
ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সোমবার (১০ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাফিজ উদ্দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
উপপ্রেস সচিব আজাদ আরও জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় ‘কমার লেবেল ৩ থেকে ৫’ এ উন্নীত হয়েছে। সিএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আজ সকালে প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। শ্বাসরোধের অপচেষ্টার কারণে অক্সিজেন লেভেল কমে মস্তিষ্কে পানি জমেছে। যা এখনও অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল তা অপসারণ করা গেছে। হয়তো দু-একদিনের মধ্যে শিশুটির স্বাস্থ্যের আরও কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
রবিবার দিবাগত রাতে মাগুরা আদালতে অভিযুক্তদের রিমান্ড শুনানি হয়। বিচারক আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুলী গ্রামের ভুক্তভোগীর বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ(৫০), বড় বোনের শ্বাশুরী জায়েদা খাতুন এবং তাদের দুই ছেলে সজিব ও রাতুল শেখ।
২৮০ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে অর্ন্তর্বীকালীন সরকার। সোমবার (১০ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার সমপরিমাণ বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
এছাড়া তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে এতে বলা হয়।
২৮০ দিন আগে
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণ গ্রেপ্তার
শেরপুরে কিশোরীকে (১৫) সাব্বির হোসেন (২০) নামে এক তরুণ ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৯ মার্চ) নকলা উপজেলার কুর্শা এলাকার এফআরবি ইটভাটার নির্জন স্থানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত তরুণ ধর্ষক সাব্বির হোসেনের বাড়ি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায়। সে নকলার এফআরবি ইটভাটাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এছাড়া নকলার বাসিন্দা ওই কিশোরীও একই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে রবিবার রাতে নকলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
পুলিশ জানায়, সোমবার সাব্বিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাব্বিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।’
২৮০ দিন আগে
ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা, সাতক্ষীরায় আটক ১
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ১৫টি স্বর্ণের বারসহ মো. সোহেল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১০ মার্চ) বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হকের তত্ত্বাবধানে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের দায়িত্বাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেল উদ্দিনকে আটক করে।
সময় তার সঙ্গে থাকা ইজিবাইক ও দুটি মোবাইল ফোন তল্লাশি করে ইজিবাইকের স্টিয়ারিংয়ের সেটিংয়ের মধ্যে টেপ দিয়ে পেচিয়ে রাখা ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
আটক স্বর্ণ পাচারের জন্য ভারতে নেওয়া হচ্ছিল বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশর (বিজিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার করা স্বর্ণ সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান।
২৮০ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৪
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪ জন।
সোমবার (১০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৫ জন রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৬৪৮ জন। এর মধ্যে ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ শতাংশ নারী।
২৮০ দিন আগে
‘ন্যাশনাল চার্টার’ প্রণয়নে দ্রুতই ঐকমত্য গড়তে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, 'ন্যাশনাল চার্টার' প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি করতে চায় কমিশন।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যেভাবে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তেমনিভাবে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব।
আলী রীয়াজ বলেন, ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা। তিনি বলেন, কমিশন এ বিষয়ে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে বা ব্যাখ্যা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত পেলেই তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
এসব আলোচনার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দলগুলোর মতামত পাওয়া মাত্রই—তা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
কমিটির সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২৮০ দিন আগে
ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয় মানবতার প্রতি চরম আঘাত: ১৫১ আলেমের বিবৃতি
ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয় মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র বলে মন্তব্য করেছেন আলেমরা।
নারী-শিশু ধর্ষণ ও বিচার না পাওয়ার প্রতিবাদে সোমবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে দেশের প্রখ্যাত ১৫১ জন আলেম এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমাদের সমাজে যে নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি আয়না ঘরে রোজার মধ্যে পর্দানশীন মুসলিম নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধর্ষণের শিকার ১৬ বছরের কিশোরী বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মাগুরায় একটি নির্দোষ ৮ বছরের শিশু নির্মমভাবে ধর্ষণের শিকার হয়ে এখন লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এগুলো শুধু একটি অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের এক ভয়াবহ চিত্র।
এতে আরও বলা হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষণ একটি জঘন্যতম অপরাধ—যা কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজের শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন দৃষ্ট অপরাধ করার সাহস না পায়। একই সঙ্গে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধর্ষকের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, শুধু শাস্তি ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট না। শাস্তির পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জায়গাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
আলেমরা বলেন, দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ করছি যে, সুকৌশলে আমাদের সমাজে পশ্চিমা অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো হচ্ছে—যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের জন্য এক মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মো. মুহিম ওরফে মোহনা নামক এক রূপান্তরকামী ব্যক্তিকে 'অদম্য নারী পুরস্কার দেওয়াকে নারীদের প্রকৃত মর্যাদাকে হেয়প্ৰতিপন্ন করা এবং সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপহাস করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
তারা বলেন, একজন জন্মগত পুরুষকে নারীর স্বীকৃতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য নির্ধারিত পুরস্কার প্রদান করা নারীত্বের প্রতি চরম অবমাননাকর। এটিকে আমাদের ইসলামী মূল্যবোধ ও পারিবারিক কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত হিসাবে বিবেচনা করছি। বিকৃত যৌন মতাদর্শের নরমালাইজেশনের প্রচেষ্টা বিদ্যমান অবস্থাকে আরও প্রকট করবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে শুনানি, চার আসামি রিমান্ডে
বিবৃতিদাতা ১৫১ আলেম হলেন— আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, শায়েখ আহমাদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মুফতী মুহা কাজী ইব্রাহীম, ড. মিজানুর রহমান আল আজহারী, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরি, ড. খলিলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুবন্দার, মাওলানা খুবাইব বিন তায়িব (জিবি), মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ড. মানজুরে এলাহি, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী, ড. মীর মনজুর মাহমুদ, অধ্যাপক ড. সায়েদ মাকসুদুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. মুখতার আহমেদ, হাফেজ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল, মাওলানা মোশতাক ফয়েজী, শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী, শায়খ হারুন আজিজী নদভী, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক।
মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী) ড. ইউসুফ সুলতান, শায়েখ মুরতাজা হাসান ফরাজী মাসুম, ড. মো. রফিল ইসলাম আল মাদানী, ড. রশিদ আহমদ, মাওলানা ফখরুদ্দীন আহম্মাদ, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল্লাহ আল-আমিন, মুফতি আমির হামজা, শায়খ কামরুল ইসলাম সাইদ আল আনসারী, শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, মুফতি মনোয়ার হোসেন, শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, সৈয়দ হাসান আল আযহারী, মাওলানা রাষ্ট্রী বিন মুনির, শায়খ জামাল উদ্দীন, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী, মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, শায়খ সাদিকুর রহমান আল-আযহারী, মুফতী মুহাম্মদ আলী, মুফতী আব্দুল্লাহ মাসুম,মাওলানা মীযান হারুন, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক কাসেমী, মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, সৈয়দ শামছুল হুদা, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ড. আবুল কালাম আজাদ মাদানী, ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী, মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি নোমান কাসেমী, শায়খ যোৱা নাজিমুদ্দীন, মুফতি জিয়াউর রহমান, উদ্ভাব আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান, মুফতি হেদায়েত উল্লাহ খান আজাদি, মাওলানা গাজি ইয়াকুব, মুফতী সাঈদ আহমাদ, মুফতি নুরুজ্জামান নাহিদ, মাওলানা আফাফ ফুরকান, মুহাদ্দিস মাওলানা আ.ন.ম. আকরাম হোসাইন, মাওলানা সিফাত হাসান, মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেমী, মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মুফতি আরিফ জাব্বার কাসেমী, মুফতি আবদুল গাফফার, মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, মাওলানা মুস্তাফিজ রহমানী, মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মাওলানা আমিন ইকবাল, মাওলানা ইমরান রাইহান, মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, মাওলানা নাজমুল হাসান, শায়খ ইউসুফ ওবায়দী, উদ্ভাদ আহমদ রফিক, মাওলানা হাছিব আর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা এ হাসিনুর রহমান, মাওলানা আসাদ বিন সিরাজ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, হাফেজ মাওলানা মুফতী আৰু মুহাম্মদ রহমানী, মাওলানা আবুল কাহহার, শায়খ ড. আস সালাম আজাদী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা মুফতী আফিফ, ড. খলীলুর রহমান, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ, মাওলানা মাসুদ আল-আজমী, মাওলানা নাজমুল ইসলাম, মুফতি আম্মার নুর, মাওলানা মির্জা আরাফাত, শাইখ সালাহউদ্দীন থাকা, মাওলানা উমায়ের বিন রশিদ, মাওলানা আবদুস সালাম যুক্তিবাদী, মাওলানা এমদাদ হোসেন, মাওলানা নুরুল কারীম আকরাম, মাওলানা গোলাম রব্বানী,মাওলানা মুস্তাফা, শায়খ জারির ইবনে আব্দুল্লাহ জাফরী, মুফতী নুরুন্নবী, মুফতী মাহমুদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মুফতী তানভীর আহম্মদ, মুফতী আল আমিন, মুফতী সুলাইমান খান, মুফতী সালমান শেখ, হাফেজ মাওলানা হাসানুজ্জামান, মাওলানা নজির হোসাইন, মাওলানা হোসাইন আহম্মদ, মুফতী আব্দুল্লাহ, মুফতী রফিকুল ইসলাম, মুফতী আবুল হাসান, মাওলানা ইমদাদুল হক, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতী ফাহিম আহমাদ, মাওলানা হাসান বনিক, মুফতী মোবারের হাসান, মাওলানা আল আমিন রংপুরী, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন, মুফতী মুহাম্মদ আলী যশোরী, মুফতী শরীফুল ইসলাম, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা আব্দুর রহমান কোব্বাদি, মুফতি মোহাম্মাদউল্লাহ, মুফতি ইমামুদ্দিন, মুফতি মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমি, মুফতি জুবায়ের আবদুল্লাহ কাসেমি, মাওলানা শাহজাহান আল হাবিবি।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে ‘হটলাইন’: আইন উপদেষ্টা
২৮০ দিন আগে
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে হটলাইন চালু
দেশে নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে হটলাইন চালু করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হটলাইন। সোমবার (১০ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, কটূক্তি, ইভটিজিং, হেনস্থা, যৌন হয়রানি বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে এই হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে। দেশের যেকোনো স্থানে এরূপ ঘটনা ঘটলে এ হটলাইন নম্বরে অভিযোগ দেওয়া যাবে।
হটলাইন নম্বরসমূহ হলো: ০১৩২০০০২০০১, ০১৩২০০০২০০২, ০১৩২০০০২২২২। এগুলো দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে ‘হটলাইন’: আইন উপদেষ্টা
এছাড়া, সাইবার অপরাধের শিকার নারীদেরকে আইনি সেবা ও সুরক্ষা দিতে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ফেসবুক পেজ পূর্বের মতই চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমনের পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
২৮০ দিন আগে
চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অন্যান্য উপায়ে দেশ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া কোটি কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সরকার এজন্য সহায়তা দিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে গঠিত ১১ সদস্যের টাস্কফোর্সের সঙ্গে সোমবার (১০ মার্চ) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করতে শিগগিরই একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
বর্তমানে সংসদ না থাকায় আইনটি কীভাবে প্রণয়ন করা হবে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, একটি নির্ধারিত পদ্ধতি হিসেবে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি করা হবে।
আজকের বৈঠকটি প্রায় ৯০ মিনিট স্থায়ী ছিল উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন,‘এটা এক ধরনের মহাসড়ক ডাকাতি। এটি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সরকার যেকোনো মূল্যে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে চায়।’
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ আইন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে এবং প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য এটি ৩০টির সঙ্গে চুক্তি করতে পারে।
শফিউল আলম বলেন, সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ১১টি বড় কোম্পানি ও ব্যক্তির বিষয়ে কাজ করছে।
একজন ব্যক্তি টিউশন ফি বাবদ ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন মর্মে উদাহরণ দেন প্রেস সচিব।
বৈঠকে অর্থ পাচারের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার সিদ্ধান্ত হয়, কীভাবে এটি ঘটেছে এবং কোথায় গেছে তা জানার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা সভায় উপস্থিত সকলের কাছ থেকে আপডেট চেয়েছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থ ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শফিউল আলম বলেন, প্রতি মাসে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং ঈদের পর পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সহকারী প্রেস সচিব সুস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
২৮০ দিন আগে