বাংলাদেশ
ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে ‘হটলাইন’: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি হটলাইন খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ধর্ষণের মামলা তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সেলও খোলা হচ্ছে।
রবিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ব্যাপারে প্রতিকার নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি আলাদা হটলাইন দেওয়া হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। এটি হবে টোল ফ্রি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘হট লাইন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অভিযোগ জানানো যাবে। এটা তদারকি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটা ডেডিকেটেড সেল থাকবে।’
‘একই সঙ্গে ধর্ষণের মামলাগুলো তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আলাদা সেল থাকবে। যেখানে মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে কালক্ষেপণ না করা হয়, সেটি দেখা হবে।’
দিনাজপুরের শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুলের জামিন আপিল বিভাগে বাতিল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক সময় অনেক প্রত্যাশা মাফিক আমরা কাজ করতে পারি না। সেটা নিয়ে যন্ত্রণা ও আত্মদহন থাকে।’
‘বাংলাদেশে এখন যে নারীর প্রতি সহিংসতা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে— এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই সরকারের পুরো প্রশাসন এই মামলাগুলোতে সুবিচার নিশ্চিত ও যৌন হয়রানি বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর।’
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আজ (রবিবার) মিটিংটা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই আপনাদের মতো ডিস্টার্বড(অতিষ্ট)। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের আরও অনেক কঠোর হতে হবে। এখন থেকে যেকোনো ধরনের মব জাস্টিসকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
২৮১ দিন আগে
মব জাস্টিস-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার: তথ্য উপদেষ্টা
এখন থেকে কেউ মব জাস্টিস কিংবা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ওই স্থান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘যে অপরাধী তাকে আমরা ওখানেই গ্রেপ্তার করব। আমরা একদিনও অপেক্ষা করব না। ওখান থেকেই তুলে নিয়ে আসব।’ রবিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘ আইন হচ্ছে অন্ধ, যেই অপরাধী হন, তার জাত-পাত, বর্ণ দেখা হবে না। লিঙ্গ দেখা হবে না, নারী কী পুরুষ।’
তিনি বলেন, ‘যিনি মব জাস্টিস করুন না কেন—ধার্মিক হোক, অধার্মিক হোক না কেন—তাকে আইনের আওতায় নেওয়ার বিষয়ে আজ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি— সামনে থেকে মব জাস্টিস পরিস্থিতি তৈরি হলে, থানা ঘেরাও থেকে শুরু করে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, আমরা কঠোর ভূমিকা রাখব।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা সেখানেই আমরা নেব। এ বিষয়ে সকল অংশীজনদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যেসব জায়গায় মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে, যথাযত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলা হলে বা আমাদের দিক থেকেও যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। এই যে মব জাস্টিস- এখানে ওখানে গিয়ে ডাকাতি, এর ওর সম্পত্তি দখল বা এজাতীয় যতগুলো ঝামেলা আছে, যতগুলো জটিলতা এই সমাজে তৈরি হয়েছে, অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, এখন থেকে এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স ভূমিকা উত্তীর্ণ হব। যেখানে মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সে যেই হোন না কেন। সে ধর্মের যে লিঙ্গের যে বর্ণের হোন না কেন- এখন থেকে কঠোর ভূমিকা অবতীর্ণ হব।’
শাহবাগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নজরদারিতে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত সাত-আট মাসের যে যেখানেই ঝামেলা করেছে, যে যেখানে মব জাস্টিস করেছে—আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয় আছে। আমরা বলেছি আরও কার্যকর পদ্ধতিতে সবকিছু নজরদারিতে আনার জন্য। আজকে থেকে আমরা সমন্বিতভাবে সব তথ্য সংগ্রহ করে, যে অপরাধী তাকে আমরা ওখানেই গ্রেপ্তার করব। আমরা একদিন অপেক্ষা করব না। ওখান থেকেই তুলে নিয়ে আসব।’
তিনি আরও জানান, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সচেতনতা বাড়াতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কর্মসূচি নেওয়া হবে। এছাড়া যে ইস্যুগুলো রয়েছে যেমন আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত, মব জাস্টিস ইস্যু আছে, মিলিটেন্সি ইস্যু হয়তো সামনে আসতে পারে, আরও কিছু ইস্যু আছে—যে সবগুলো আছে সেগুলো যাতে মিডিয়ায় ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়, সেই বিষয়ে মনিটর করার চিন্তা-ভাবনা করছি। সেগুলোতে মিডিয়া কিভাবে ফোকাস করবে এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা মিডিয়াগুলোর সঙ্গে বসব। আমরা এই স্টাবলিশমেন্টটা ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করব, যাতে জনগণ সঠিক তথ্যটা পেতে পারে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ৬ থেকে ৭ মাস ধরে এই সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ভেতর ও ভারত থেকে কমিউনিকেশন ওয়ার ফেয়ার চলছে। আমাদের জায়গা থেকেও আমরা এখন থেকে কাউন্টার কমিউনিকেশন ওয়ার ফেয়ারে যাব।’
২৮১ দিন আগে
মুগ্ধকে নিয়ে কথা বললে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়: ফরিদা আখতার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মুগ্ধ ইতিহাস রচনা করে গিয়েছে। তাকে নিয়ে বলতে গেলে দুঃখ লাগে ঠিকই, কিন্তু গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়।
রবিবার (৯ মার্চ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুগ্ধকে হারিয়েছি ঠিকই, তবে সে নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গিয়েছে। সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তৃষ্ণা নিবারণের পানি যুগিয়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বরেন, ‘আগে ভাবা হতো নতুন প্রজন্ম নিজেদের ছাড়া কিছু বোঝে না, তারা দেশ ও রাজনীতিবিমুখ। কিন্তু সেই প্রজন্মের সন্তানরাও তাদের দেশপ্রেমের অবস্থান প্রমাণ করে দিলো। এখন আমাদের দায়িত্ব ও দায় অনেক বেশি।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার খুনিদের বিচার এই মাটিতেই হতে হবে বলে জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আরও পড়ুন: শিল্প রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে: ফরিদা আখতার
তিনি বলেন, ‘পলাতক খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। তাদের বিচার ছাড়া জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে না।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আব্দুল মজিদ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. মো. হারুনর রশীদ খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নূরুন্নবী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’র উদ্বোধন করেন।
২৮১ দিন আগে
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ইনু কারাগারে
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে তাকে হাজির করা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করা হয় ও আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কুষ্টিয়া কারাগারে আনা হয় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে। তাকে দেখতে আদালতে জাসদের শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। আদালতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি। এখন পর্যন্ত এ মামলার মোট চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি ফজলে করিমকে কারাগারে পাঠালেন ট্রাইব্যুনাল
এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইমুম হাসান বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান হত্যাচেষ্টা মামলায় ইনুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা মামলায় হাজিরা দিতে আনা হয়েছিল ইনুকে। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আলোচিত এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করা হয়।
২৮১ দিন আগে
শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
বৈশ্বিক যোগাযোগ, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফর করবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ড. ইউনূস ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন। আশা করা হচ্ছে— ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে দুই দেশের নেতা ড. ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সুবিধাজনক সময়ে ড. ইউনূসকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, 'আপাতত এই সফরের প্রস্তুতি চলছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ২৬ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন।
সফর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ড. ইউনূস চীনের হাইনান প্রদেশ থেকে বেইজিং যাবেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হাইনান প্রদেশের বোয়াওতে ২৫ থেকে ২৮ মার্চ অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দেবেন।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার অনেক প্রধান, মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তা, ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ এর উদ্যোক্তা এবং খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ ও স্কলাররা বার্ষিক সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএফএ মহাসচিব ঝাং জুন।
ব্যাংককে ইউনূস-মোদির সম্ভাব্য বৈঠক
থাইল্যান্ড বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে ব্যাংককে এবং বাংলাদেশ ৪ এপ্রিল এর পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। শীর্ষ সম্মেলনের আগে ৩ এপ্রিল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে প্রথমবারের মতো একান্ত বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাপানের সঙ্গে আলোচনা
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার ইকুইনা আকিকো টোকিওতে ২৯ ও ৩০ মে অনুষ্ঠেয় নিক্কেই ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া ইভেন্টে যোগ দিতে অধ্যাপক ইউনূসকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি ২০০৪ সালে নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূসকে মে মাসে অনুষ্ঠেয় ওসাকা এক্সপো ২০২৫-তে আমন্ত্রণ জানান।
কর্মকর্তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টা নিক্কেই ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ড. ইউনূস ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনে উভয় দেশই কাজ করছে।
২৮১ দিন আগে
ট্যাপট্যাপ সেন্ডের উদ্যোগে ইতালির রোমে ইফতার মাহফিল
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশি কমিউনিটির সম্মানে এক ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জনপ্রিয় অ্যাপ ‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’ ওই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
শনিবার (৮ মার্চ) রোমের তরপিনাতারা এলাকার বাংলাদেশি একটি রেস্টুরেন্টে ওই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ফোরাম ইন ইতালি (বিএসএফআই)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন— বাংলাদেশ দূতাবাস রোমের মিনিস্টার ও হেড অব চ্যান্সারি মো. রিয়াদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এই ধরনের আয়োজন আমাদের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে ও আমাদের কৃষ্টি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখবে। বাংলাদেশ দূতাবাস সবসময় প্রবাসীদের সেবা ও সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ট্যাপট্যাপ সেন্ড বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর ও মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড অ্যাপ ব্যবহার করে খুবই সহজে ও বিনামূল্যে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যায়। প্রথম ট্রান্সফারে EGALTUBE প্রোমোকোড ব্যবহার করলে গ্রাহকেরা ২০£, ২০€ বা ২০$ পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট বোনাস পেতে পারেন। আমরা গর্বিত যে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে ও তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করতে পারছি। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রবাসীদের জন্য অর্থপ্রেরণ সহজ করা যাতে তারা নিজেদের পরিবার ও স্বজনদের পাশে থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: যানজটে আটকে রাজধানীবাসীর ইফতার
এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর ইতালি কান্ট্রি অফিসের স্টেশন ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফিন্যান্স ম্যানেজার মো. গোলাম মাওলা, সাংবাদিক এমকে রহমান লিটন, শিক্ষার্থী মোতাওয়াক্কিল, ইতালিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির জনপ্রিয় মুখ মো. শামীম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ফোরাম ইন ইতালি (BSFI)- এর পক্ষ থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তারা প্রবাসী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, আমাদের সংগঠন প্রবাসী শিক্ষার্থীদের একত্রিত করার পাশাপাশি একে অপরকে সাহায্য করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করে।
ইফতার মাহফিলে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। ইফতার মাহফিলটি আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ও এটি একটি মিলনমেলার রূপ নেয়। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
২৮১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৬ জন।
রবিবার (৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮ জন রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৯
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
২৮১ দিন আগে
পলিথিনের ক্ষতি কমাতে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে আমাদের পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানো অতীব জরুরি। তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পাটজাত পণ্য জনগণের কাছে সহজলভ্য করতে কাজ করছে সরকার।
রবিবার (৯ মার্চ) পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পাটপণ্য জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার, মনিপুরীপাড়া, ফার্মগেটে আয়োজিত ‘বহুমুখী পাটপণ্য মেলা ও তাত বস্ত্র মেলা-২০২৫’ এর স্টল পরিদর্শনকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলে।
আরও পড়ুন: শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমাতে শব্দদূষণ রোধ জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
২৮১ দিন আগে
ঈদে চলবে ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন, টিকিট বিক্রি ১৪ মার্চ থেকে
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে দেশের পাঁচটি রুটে বাড়তি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৯ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ আগের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। তবে ট্রেনের সাপ্তাহিক কোনো বিরতি থাকবে না।
বিশেষ ট্রেনগুলো চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে চলাচল করবে।
এসব ট্রেনের সূচি অনুযায়ী শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। একজন যাত্রী ঈদ অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার টিকিট করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
এতে আরও বলা হয়, ঈদের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ ও ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। পশ্চিমাঞ্চলের চলাচলরত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হবে। আর পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে।
টিকেটধারী যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের সুবিধার্থে ঈদের পূর্বে ২৪ মার্চ থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত জয়দেবপুর স্টেশন হতে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন হতে জয়দেবপুরমুখী আন্তঃজোনাল আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকেট ইস্যু করা হবে না। একইভাবে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা স্টেশন হতে বিমানবন্দরগামী আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকেট ইস্যু করা হবে না।
এছাড়া ঈদ যাত্রা শুরুর দিন ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, চিলাহাটি ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।
ঈদের ১০ (দশ) দিন পূর্বে এবং ঈদের পরে ১০ (দশ) দিন পর্যন্ত ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন করা হবে না। সুন্দরবন, মধুমতি, বেনাপোল, জাহানাবাদ, রূপসীবাংলা এক্সপ্রেস ও নকশীকাঁথা কমিউটার ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের শহরতলী প্লাটফরম থেকে পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবিরতির দাবিতে লালমনিরহাটে ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন
২৮১ দিন আগে
ধর্ষকদের শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
সারা দেশে চলমান ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর সংলগ্ন পশ্চিম পাশের রাস্তায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুন্না গাজীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।
চলমান ধর্ষণ, হত্যা, নারী-নিপীড়ন, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, দেশে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে, এই অবস্থার দ্রুত উত্তরণ দরকার। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান তারা।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের প্রতিবাদে মধ্যরাতে জাবিতে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ
এসময় জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মন্ডল সংহতি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা দেশেই ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ আমাদের চোখে পড়ছে না।’
ধর্ষকদের শাস্তি যদি নিশ্চিত করা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে এই অপরাধের মাত্রা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই শিক্ষক। অনতিবিলম্বে ধর্ষকদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে ধর্ষণ একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ধর্ষকদের ফাঁসি হয়েছে বা বড় কোনো শাস্তি হয়েছে—এমন কোনো খবর আমরা নিকট অতীতে শুনিনি। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, দেশে কোনো একটি অন্যায় অত্যাচার সংঘটিত হলে জনগণ বারংবার রাস্তায় নামবে; প্রশাসন বিচারের আশ্বাস দেবে, কিন্তু বিচার করবে না। এই প্রহসন বন্ধ করে সমাজের সকল অনিয়ম দুর্নীতির সমাপ্তি ঘটাতে হবে এবং ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে অভিমত দেন তিনি।
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নারী শিক্ষার্থী সানজিদা খানম বলেন, ‘সারা দেশে পুরুষদের মাধ্যমে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, একজন নারী হিসাবে এটা কখনই সমর্থন করি না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ
অনতিবিলম্বে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কামনা করে ওই শিক্ষার্থী বলেন,পরবর্তীতে কোনো ধর্ষক যেন আর কোনো নারীর ওপর নারকীয় তাণ্ডব চালাতে না পারে।
এর আগে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং নারী নিপীড়ন বন্ধের প্রতিবাদে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভাগের সকল ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি মাগুরা এবং গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, ছিনতাই, নারী নিপীড়ন, ধর্ষণসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
২৮১ দিন আগে