বাংলাদেশ
পাবনায় আট কুকুরছানা হত্যায় মামলা: সেই নারী গ্রেপ্তার
পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮ কুকুরছানা বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নিশি রহমানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরের রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশের এক বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ‘প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯’-এর ধারা ৭-এ নিশির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর মামলার বিষয়ে জানান, মামলায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। যে কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন যে এই ঘটনা অমানবিক। এই ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তাই প্রাণী হত্যায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া মহাপরিচালক স্যারও ফোন করে তার পক্ষে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান জানান, কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় হাসানুর রহমান নয়নকে সোমবার (১ ডিসেম্বর) গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা মঙ্গলবার বিকেলে বাসা খালি করে অন্যত্র চলে গেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জীবন্ত ৮টি কুকুরছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে উপজেলা পরিষদের পুকুরে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়।
১২ দিন আগে
তারেক রহমানের ফেরার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেননি। তিনি আবেদন করলেই সরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত ইস্যু করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ছেলের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হলেও সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পায়নি বলে জানান তিনি।
তার কথায়, তারেক রহমানের পরিবার বা বিএনপির পক্ষ থেকেও তার দেশে ফেরার বিষয়ে এখনো সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।
এর আগে, গেল রবিবারও (৩০ নভেম্বর) তিনি জানিয়েছিলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার এক দিনের মধ্যেই ‘ওয়ান-টাইম ট্রাভেল পাস’ প্রদান করতে সক্ষম। তার ভাষ্যে, ‘আজ জানালে কালই আমরা পাস দিতে পারব, আর পরশুদিনই তিনি দেশে ফেরার ফ্লাইটে উঠতে পারবেন।’
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেন তারেক রহমান। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান এবং তার কয়েক দিন পরই (১১ সেপ্টেম্বর) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সরকারের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরা পুরোপুরি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, আর এ বিষয়ে যে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পেলেই সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১৩ দিন আগে
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি
গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজার বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর এই অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল গঠনের করা হবে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ হবে জামিন ও আপসের অযোগ্য।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য যদি কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখে এবং এ কাজের ফলে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে কাজটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধে দায়ী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আর গুমের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব না হলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
যদি কোনো ব্যক্তি গুমের স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশ্যে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদের জন্যও সাজার বিধান রয়েছে অধ্যাদেশে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কমান্ডার বা দলনেতা এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে অধস্তনদের আদেশ, অনুমতি, সম্মতি, অনুমোদন বা প্ররোচনা দেন, কিংবা নিজেই অংশ নেন, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারের অবহেলা বা অদক্ষতার কারণে অধস্তনরা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ালেও সাজা পাবেন সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান করার ব্যর্থতার ফলে অধস্তনরা যদি এ ধরনের অপরাধ করে, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হবেন বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার আগ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির অবস্থান ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ গোপন রাখা যাবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে।
১৩ দিন আগে
সহকারী সচিব হলেন নন-ক্যাডার ২২ কর্মকর্তা
সহকারী সচিব পদে নন-ক্যাডার ২২ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে (পিও) পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) জারি হওয়া এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (ক্যাডার-বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
জাতীয় বেতন-স্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী নবম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী তাদের পরে পদায়ন করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এ প্রজ্ঞাপনে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শরীফ উল্লাহ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলজার আলম, মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম ও মোছা. বদরুন্নাহার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র তালুকদার ও ফাতেমা বেগম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. সেকান্দার আলী খান ও মোহাম্মদ আবু নাসের এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর সরদার।
এ ছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিকদার মো. নসরত আলী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ভাষানী মির্জা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামছুন্নাহার বেগম ও মোল্যা খসরুজ্জামান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, মোছা. মল্লিকা খাতুন ও মোহাম্মদ রাজিউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাফায়েত হোসেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল ইসলাম নন-ক্যাডার সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
১৪ দিন আগে
টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে স্পিডবোট ডুবে মা-মেয়ে নিহত
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে একটি স্পিডবোট ডুবে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন বলেও জানা গেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপমুখী স্পিডবোট নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: সেন্টমার্টিন পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মরিয়াম খাতুন (৩৫) ও তার মেয়ে মহিমা (৫)।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায়। তাৎক্ষণিক কাছাকাছি থাকা একটি স্পিডবোট গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করলেও ওই মা-মেয়ে প্রাণ হারান।
নিহত মরিয়ামের ভাই বশির আহমেদ বলেন, ‘বোন আর ভাগ্নিকে নিয়ে টেকনাফে ফিরছিলাম। হঠাৎ ঢেউ এসে স্পিডবোট উল্টে দেয়। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বোনের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। সেই পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসিফ আলভী বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই মা–মেয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় আহত আরও দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। কীভাবে স্পিডবোটটি উল্টে গেল, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
১৪ দিন আগে
মানিকগঞ্জে জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন
মানিকগঞ্জে জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
জেলা শহরের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানরা সেতুর দক্ষিণ পাশে পশ্চিম সেওতা এলাকায় অবস্থিত ওই স্মৃতিস্তম্ভে রবিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে একটি কালো রঙের প্রাইভেট কারে করে তিন ব্যক্তি স্মৃতিস্তম্ভের কাছে নামে। স্মৃতিস্তম্ভের আশপাশে থাকা গাড়ির চাকার টায়ার জড়ো করে তারা। এরপর টায়ারে পেট্রোল ঢেলে সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভায়।
আজ (সোমবার) সকাল ৮টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভটি ধাতুর তৈরি হওয়ায় আগুনে এর নিচের কিছু অংশ পুড়ে কালো রং ধারণ করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মানিকগঞ্জের সমন্বয়ক ওমর ফারুকের অভিযোগ, জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়া পরিকল্পিত নাশকতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ করে আসছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে মানিকগঞ্জের পাঁচজন শহিদ হন। তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে মানরা সেতুর দক্ষিণ পাশে পশ্চিম সেওতা এলাকায় জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়।
১৪ দিন আগে
প্রথমবারের মতো পেশাদার ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের স্বীকৃতি প্রদান
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইডিএবি) দেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইন পেশার উৎকর্ষতাকে সামনে নিয়ে আসার জন্য আয়োজন করেছে মর্যাদাপূর্ণ ‘আইডিএবি এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চারটি ক্যাটাগরিতে এই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্থাপত্য জগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব স্থপতি শামসুল ওয়ারেস। তিনি তরুণ ডিজাইনারদের সৃজনশীলতাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং এই শিল্পের উন্নয়ন ও কাঠামোবদ্ধ বিকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) সভাপতি স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া এবং বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ড. এস এম নাজমুল ইমাম।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে আইডিএবি প্রেসিডেন্ট সৈয়দ কামরুল আহসান বলেন, বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পরিধি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রটি এখন সৃজনশীলতা, আধুনিক নক্সা ভাবনা এবং দেশীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মান অর্জনের পথে অগ্রসর।
তিনি আরও জানান, প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিভাবান ডিজাইনারদের স্বীকৃতি প্রদান, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেক্টরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে আইডিএবি কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য, মূল্যায়ন কাঠামো এবং বিচারের মানদণ্ডের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। জুরি বোর্ডের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইন্টেরিয়র ডিজাইনার নাসরিন জামির।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্থাপত্য ও ইন্টেরিয়র সেক্টরের শীর্ষ কনসালটেন্টরা, পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট সেক্টরের প্রতিষ্ঠান প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় চারটি ক্যাটাগরি—রেসিডেন্স, করপোরেট, হসপিটালিটি ও রিটেল থেকে জমা পড়া অসংখ্য কাজের মধ্য থেকে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
রেসিডেন্স ক্যাটাগরিতে তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন মাসুদ পারভেজ, গ্যাসডাম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ইরিনা খান মুমু। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবানা সাদিয়া আলম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, রাফিদ রিয়াসাদ এবং এম ডি সিবাত আহনাফ। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি স্থপতি শামসুল ওয়ারেস এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন সারোয়াত ইকবাল টিসা, মনন বিন ইউনুস, এবং রাজিব আহমেদ।
করপোরেট ক্যাটাগরিতে, তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন এশিয়ান পেইন্টসের সিইও কে এস এম মিনহাজ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন সারওয়াত ইকবাল টিসা, মনন বিন ইউনুস ও রাজিব আহমেদ। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ড. এস এম নাজমুল ইমাম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন স্থপতি নাজিউর ইসলাম। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন এলএবি-এর সভাপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন স্থপতি ড্যানিয়েল হক।
হসপিটালিটি ক্যাটাগরিতে তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন মার্বেল ডি কারারা (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুর রহমান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন কাজি জাহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান ড. এম ডি নওরোজ ফাতিমি এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন রাফিয়া মারিয়ম আহমেদ। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন আইডিএবি প্রেসিডেন্ট সৈয়দ কামরুল আহসান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন স্থপতি ফাতিহা পলিন।
রিটেল ক্যাটাগরিতে তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন উড টেক সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল হোসাইন খান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন রাফিয়া মারিয়ম আহমেদ। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান ড. মাসুদুর রহমান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন ফারহানা আলিয়া। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন সুইশ গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন স্থপতি মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ।
এ ছাড়াও, জুরি বোর্ডের সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
১৪ দিন আগে
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন ড. আইয়ুব মিয়া
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের পাঁচটি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। দেশের সবচেয়ে বড় এই সরকারি ইসলামী ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়াকে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চূড়ান্ত লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়। এরপর চেয়ারম্যান নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নতুন ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করবে।
যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে সেগুলো হলো: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বারবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা উন্নতি হয়নি, বরং শেয়ারবাজারে তাদের শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং প্রায় সব ব্যাংকের নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) এখন ঋণাত্মক।
এই নাজুক পরিস্থিতিতেই একত্রীকরণের মাধ্যমে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন ব্যাংকটির মোট পেইড-আপ ক্যাপিটাল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে, এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা আসবে আমানতকারীদের শেয়ার থেকে। প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
১৪ দিন আগে
প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনার ৫, রেহানার ৭, টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড, শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড এবং টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ ছাড়াও মামলার অন্য ১৪ আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করেছিল গত ১৩ জানুয়ারি। গত ২৫ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন: জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে এই মামলায় ৩২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
১৪ দিন আগে
বিজয়ের মাস শুরু
আজ পহেলা ডিসেম্বর; শুরু হয়েছে বিজয়ের মাস। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য-খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এই মাসে।
বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। যাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন হয়েছে, বিজয়ের মাসে সেসব লাখো শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবে বাঙালি জাতি।
বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হওয়ার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এ অর্জন হওয়ায়—বেদনাবিধুর এক শোক গাঁথার মাসও এ ডিসেম্বর।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাঙালি বীর সন্তানদের সঙ্গে যুদ্ধে একের পর এক পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী। ১ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেরিলা হামলা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেনাবাহিনীর আরও ভয়াবহ চেহারা প্রকাশ পেতে থাকে। বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে জিঞ্জিরাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে এক দিনেই হত্যা করা হয় ৮৭ জনকে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আরও ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে বাংলাদেশকে। শেষ কামড় দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তানি বাহিনী।
শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়ে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
কর্মসূচি
প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বিজয়ের মাস। এ উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারের বিজয় উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশসহ সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। ওই দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন বেসরকারি বেতার বা টিভি চ্যানেলে সঠিক মাপ এবং রংসহ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধি-বিধান জনসাধারণের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে। তবে ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আলোকসজ্জায় আলো জ্বালানো যাবে না। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনি করা হবে।
ওই দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে (সকাল ৬টা ৩৪ মিনিট) রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যরা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
দেশের সব জেলা এবং উপজেলায় ৩ দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন এবং শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে বিদেশি অধ্যাপক, প্রথিতযশা নাগরিক, স্থানীয় প্রশাসন, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, শিল্পী-সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড একক বা যৌথভাবে এবং চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো ঐদিন সকাল ৯টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুবিধাজনক সময়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান—ফুটবল ম্যাচ, টি-টুয়েন্টি, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, কাবাডি ও হা-ডু-ডু খেলাধুলার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশে টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসভিত্তিক অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।
এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হলসমূহে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তন বা উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। জাদুঘর ও বিনোদনমূলক স্থান শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা এবং বিনা টিকিটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে এবং দেশের সব পর্যটন কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা বা পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র, ডে-কেয়ার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রীতিভোজের আয়োজন করবে। ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও রঙিন নিশান দ্বারা সজ্জিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাক অধিদপ্তর মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে।
একই সঙ্গে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত, মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি কামনা করে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত বা প্রার্থনার আয়োজন করা হবে জানানো হয়ে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও কর্মসূচি নিয়েছে। এরমধ্যে ১৪ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৬টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত, সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ। এরপর মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশে যাত্রা। সকাল সোয়া ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং শান্তি কামনায় দোয়া/প্রার্থনা করা হবে।
মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৬টায় উপাচার্য ভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে কলা ভবন, কার্জন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও স্মৃতি চিরন্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।
তবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিজয় দিবসের গৃহীত কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি। রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
১৪ দিন আগে