%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: রওশন এরশাদ
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বলেছেন, ক্ষমতায় আসা বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জাতীয় পার্টি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া জাতীয় পার্টি কখনো নির্বাচন বয়কট করেনি এবং ভবিষ্যতেও বয়কট করবে না।
সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তার সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেত্রী এসব মন্তব্য করেন।
সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সংসদে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় গঠনমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা কখনই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনি। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, জাতীয় পার্টি দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদে ও সংসদের বাইরে গঠনমূলক ও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, কয়েকদিন ধরে দেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতি এখন ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে ছিল আবেগের বিষয়: ফিরোজ রশীদ
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আগুন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অসাবধানতা, অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বে অবহেলার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বারবার এ ধরনের ঘটনার কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও উপযুক্ত প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংসদকে সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি দল ও বিরোধী দলের উপস্থিতির পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক আলোচনা-সমালোচনায় সংসদ সমৃদ্ধ হয়।
এটি জনগণের প্রত্যাশা ও আশা পূরণকেও প্রতিফলিত করে। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। সংসদের কাজ জনগণের পক্ষে কাজ করা। জনস্বার্থের বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং আইন প্রণয়নে ভূমিকা পালন করা।
এছাড়া সংসদে এসব কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। বিরোধী দল হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মূল কেন্দ্র হচ্ছে সংসদ। জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক এবং জনমত ও প্রত্যাশাকে ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ আশা করে যে সংসদ নাগরিক জীবনের জরুরি ও জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় সংসদকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাজের সকল স্তরের নাগরিক, বিভিন্ন দল, দল, সংগঠনের দাবি ও স্বার্থ সমন্বয় করতে হবে।
রওশান বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা ও মতাদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য থাকতে পারে না। তাই জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে সংসদকে কার্যকর করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
পাঁচ সিটি নির্বাচনে সরকারের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: ফখরুল
চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাঁচটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাকে সরকারের ফাঁদ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দল এই চক্রান্তে প্রলুব্ধ হবে না।
তিনি বলেন, ‘এবার জনগণ ও বিএনপি সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না...আমরা তাদের ফাঁদ উল্টে দেব।’
সোমবার রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সংসদ নির্বাচন হতে পারে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, এই স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে তাদের দল আন্দোলনে রয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি এক বৈঠকে বরিশাল, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট- এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনকে দেখতে ডেল্টা কেয়ার হাসপাতালে যান ফখরুল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ‘এখন যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ ত্রিশটি আসনও পাবে না। এটাই বাস্তবতা।’
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, মিথ্যা মামলা এবং রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি নস্যাৎ করে ক্ষমতায় বসতে চায়।
বর্তমান সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফখরুল বলেন, নাটোরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা আবুল হোসেনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করে। ‘আসলে পুলিশ তাকে উদ্ধার না করলে তাকে হত্যা করা হতো। তারা (আ.লীগ ক্যাডার) তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।’
তিনি বলেন, নাটোরে বারবার এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা শুধু নাটোরে নয়, খুলনা, হবিগঞ্জ ও যশোরসহ সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ পুলিশের সহায়তায় শনিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের দলের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মূলত একটি সন্ত্রাসী দল এবং বর্তমান সরকার পুরোপুরি সন্ত্রাসী শাসনে পরিণত হয়েছে। দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এর যোগ্য জবাব দেবে।’
একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ ও ২২তম অধিবেশন পাঁচ কার্যদিবসের পর সোমবার স্থগিত করা হয়েছে।
স্থগিতকরণের আগে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এদিকে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ব্যাপক উন্নয়নের পেছনে সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া ১০ ঘন্টা ২৩ মিনিটের আলোচনায় অংশ নেন প্রায় ৬৩ জন সংসদ সদস্য।
এর আগে সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতির স্থগিতাদেশ পাঠ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোট ২০টি প্রশ্ন এসেছে এবং অধিবেশনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪৪৯টি প্রশ্ন আসে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সংসদ অধিবেশন হয়।
আরও পড়ুন: প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আলো পত্রিকার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাংলা ভাষার এই দৈনিকটি তার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের শত্রু।
তিনি সংসদে বলেন, ‘পত্রিকাটির নাম প্রথম আলো (প্রথম আলো), কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের শত্রু।’
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষ্যে সংসদে তার দেওয়া প্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাত, মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই’-পত্রিকাটি একটি ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলালো। আর এই মন্তব্যটি রেকর্ড করে প্রচার করা হলো।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই যে তারা কখনই চায় না যে এই দেশে স্থিতিশীলতা থাকুক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় তখন পত্রিকাটি খুবই আনন্দিত হয় এবং সেই সময় দুটি সংবাদপত্র আন্তরিকভাবে কাজ করে।
নাম উল্লেখ না করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন যে দেশটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কিন্তু তারা দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের পক্ষে ওকালতি করে আসছে।
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে: তথ্যমন্ত্রী
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সিটি করপোরেশনসহ সব নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নিক। তবে নির্বাচনে যাবে কিনা; সেই সিদ্ধান্ত যে কোনো রাজনৈতিক দল নিতে পারে। এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে সবসময়ই নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা থাকে। তারা কোনো কোনো সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, আবার কোনো নির্বাচনে করে না। এ দোদুল্যমানতা বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনের অংশ হলেও বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারত। তাদের জন্য সেটি ভালো হতো। তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারত। নির্বাচন কী রকম হচ্ছে,সেটিও তারা পরোখ করতে পারত।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘যদি তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়,সেটি তাদেরই জন্য মঙ্গলজনক। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করেছে। সরকার সবসময় নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করেছে। কাজেই এ নির্বাচনে অংশ নেওয়াই বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক। নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপির জন্য শুভ হয়নি,হবেও না। বিএনপির এই নির্বাচন বিমুখতা আসলে গণতন্ত্র বিমুখতারই শামিল।’ভোক্তা অধিকারের তৎপরতার জন্য এবারের রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতি রমজানেই আমাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এবারেই সেই তৎপরতা ছিল। কিন্তু সরকারের নানামুখী তৎপরতার কারণে কোনো কোনো পণ্যমূল্য কমেছে। মুরগির দামে যেমন অনেক বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, সেটি কমেছে। এতে প্রমাণিত হয়, যদি আমরা ভোক্তা অধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে পারি,তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে পারি,তাহলে পণ্যমূল্য যখন-তখন অহেতুক বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোক্তা অধিকারই না,এফবিসিসিআইও সোচ্চার হয়েছে।
তিনি জানান, ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় পণ্যের সংকট আছে। কোনো কোনো বিপণিবিতানে এক লিটারের বেশি ভোজ্যতেল কিনতে দেয়া হয়নি। ছয়টি কিংবা ১২টির বেশি ডিম কিনতে দেয়া হয়নি। যে কারণে দেখা গেছে, কেনার জন্য একই পরিবারের পাঁচজন মার্কেটে গেছেন। সেখানে পণ্যের সংকট আছে। যেটি আমাদের দেশে নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে যদি পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়, তাহলে সেটি সরকারের জন্য সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ভারতে তথ্য অধিদপ্তরকে ফ্যাক্টচেকের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কোন সংবাদটি সঠিক,কোনটি সঠিক না, সেটি তারা পরীক্ষা করবে, এ ধরনের সংবাদ যদি কেউ পোস্ট করে,তাহলে সেই দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন বলা হবে, এই সংবাদটি সঠিক না, সেটি তাদেরকে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে হবে। সরিয়ে না নিলে সেই ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাংলাদেশে এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা নিইনি। তার মানেটা এই যে আমাদের দেশের গণমাধ্যম ভারতের চেয়ে অনেকে বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে বিবিসির কার্যালয়ে কয়েকদিন ধরে তল্লাশি করা হয়েছে ট্যাক্স অফিসের মাধ্যমে। আমাদের দেশে কোনো পত্রিকা অফিসে তো ট্যাক্স অফিস যায়নি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: খুলনায় বিস্ফোরক আইনে ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির খুলনার ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়কসহ ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এর আগে শনিবার সারাদেশে শহর, থানা ও উপজেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক গাজী আব্দুল হকের নেতৃত্বে জামিরা রোডে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ সময় তাদের কর্মসূচি পালনের অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. রাশেদসহ বিএনপির ৯ জন নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে তারা কারাগার থেকে ছাড়া পান।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আ.লীগের হামলায় কর্মসূচি পণ্ড
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার রাজপথে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা
নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করতে থাকে এবং আগামী নির্বাচনও যদি বর্জন করে তাহলে নির্বাচনের পরে বিএনপি একটি গুরুত্বহীন দলে রূপান্তরিত হবে, এটিই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। দেশের গণতন্ত্র সংহত হোক।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে হক সেন্টারে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক যে দেশে যখন জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হচ্ছে, তখন তারা সংসদে নেই। আসলে তারা পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি বা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে তারা সংসদে থাকলেও কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছে।
হাছান বলেন, বিএনপি ভেবেছিল তারা সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের মধ্যে ঝাঁকুনি লাগবে, সরকার কাঁপবে, পড়ে যাবে। কিন্তু সরকারের কিছুই হয়নি, একটু কাতুকুতু লেগেছে, এর বেশি কিছু না।
তথ্যমন্ত্রী এসময় সকল সাংবাদিকের কাজকে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক কাজের মধ্যদিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
সরকার দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করছি যে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বিনা উসকানিতে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা ও বাধা দিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’
রবিবার এক আলোচনা সভায় এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল এ পর্যন্ত সকল বাধা-বিপত্তি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে তাদের চলমান আন্দোলনের সকল কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আওয়ামী লীগ সব সময় সংবিধান মেনে চলার কথা বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সংবিধানে বিরোধীদের কথা বলার ও প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কেন আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না? সরকার কি রাষ্ট্র নাকি ঈশ্বর? সরকার ঈশ্বর নয় (যে আমরা এর সমালোচনা করতে পারি না)।’
ক্ষমতাসীন দল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তারা (যারা ক্ষমতায় আছে) একাই কথা বলবে এবং সবাইকে দাসের মতো তাদের কথা মেনে চলতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেবে না।’
গত মাসে নওগাঁয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে র্যাব হেফাজতে মুত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
ফখরুল বলেন, ‘সুলতানা জেসমিনকে অবৈধভাবে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে এটা হতে পারে না। এটা আইন ও সংবিধানের চরম লঙ্ঘন।’
তিনি আরও বলেন, জেসমিন হত্যার ঘটনাকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই। ‘এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
সরকারের উচ্চপদস্থদের নির্দেশে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা দমন-পীড়ন ও গণহত্যায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অন্যায়ের কথা যারা বলে এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার সরকার ক্রমবর্ধমান হারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) ব্যবহার করে তাদের দমন করছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক ভাই ও সম্পাদকদের সঙ্গে নিয়ে এই আইনের প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু তারা (সরকার) এটা করবে না (এটি বাতিল বা সংশোধন)।’
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার সরকারকে ডিএসএ সংস্কার এবং এর দুটি ধারা বাতিল করার আহ্বান জানালেও আইনমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার দমনমূলক আইন ব্যবহার করে জনগণের কথা বলার অধিকার এবং প্রতিবাদের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নিতে চায় বলে ডিএসএ বাতিলের করছে না।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে ডিএসএ-এর অধীনে করা মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজনীতি এখন ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে ছিল আবেগের বিষয়: ফিরোজ রশীদ
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, রাজনীতি এখন একটি ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে যা আবেগের বিষয় ছিল।
রবিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে রাজনীতি ছিল আবেগের বিষয়, এখন এটা পেশায় পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, পাত্র সরকারি দল করে শুনলে, ‘তাহলে বলে আলহামদুলিল্লাহ।’
ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনীতিই দেশবাসীর জীবন পরিবর্তনের একমাত্র উপায়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটা একটা পেশা হয়ে গেছে। আগে রাজনীতি আবেগ ছিল, জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করত।’
পাকিস্তান আমলের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, একজন মানুষ রাজনীতিতে যুক্ত হলে চাকরি পাবেন না বলে বিয়ে করেননি।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
ফিরোজ রশীদ দাবি করেন, সংসদের অনেক অর্জনের পাশাপাশি দুর্বলতাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত (বঙ্গবন্ধু হত্যার) কমিশন গঠন করতে পারছেন না… কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল। ডালিম, ফারুক, রশিদ গিয়ে এটা করল… ঠিক তা নয়। এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র ছিল, আপনারা সেটা বুঝতে পারেননি।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, চরম বাম ও চরম ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের নাম উচ্চারণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কারণ সবাই নৌকায় উঠেছে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) নৌকায় চড়বেন। আপনারা নৌকার চালক। তারা নৌকায় বসে আছে এবং জিজ্ঞাসা করছে আর কতদূর?'
ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতি এখন দুই ভাগে বিভক্ত।
তিনি বলেন, ‘কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তি নেই। শিক্ষক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই বিভক্ত। গোটা দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত।’
তিনি আরও দাবি করেন, এ আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার বিএনপিকে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজ(শনিবার) ৫৫০টি থানা ও উপজেলায় আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল এবং প্রায় সর্বত্র পুলিশ বাধা দেয়। ঢাকা মহানগরীতে, প্রায় সব নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি।’
এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতার উস্কানিনিতে সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার সহিংসতা চালাচ্ছে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আমাদের উস্কানি দিয়ে অন্য পথে নিয়ে যেতে চায়।’
শনিবার রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার লেডিস ক্লাবে ইফতারের আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) সারাদেশের সব উপজেলা ও থানায় ১০ দফা দাবি আদায়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সর্বব্যাপী দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করার জন্য এই কর্মসূচি পালন করে দলটি।
ফখরুল দাবি করেন, কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাদের দলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা করছে। এটা একটা কাপুরুষোচিত শাসন যা মানুষকে ভয় পায়। তাই তারা জনগণকে কোনো সমাবেশ করতে দেয় না। তারা জনগণের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১৭ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমে কয়েক হাজারকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, সময় এসেছে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের জনগণ ও তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কেউ এখন বলছে না বাংলাদেশ খুব ভালো, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) সংসদে বিদায়ী ভাষণে তাদের (আ.লীগ) নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কিছু সত্য কথা বলেছেন। তিনি প্রথম কথাটি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না। এটা আমরা বারবার বলে আসছি।’
রাজনীতিতে ভদ্রতা ও সহনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বক্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল। ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি)ও (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সংঘাত ভুলে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু যে দল থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেই দল গণতন্ত্র ছাড়াই উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও জনমতের প্রতি সহনশীলতার অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল