রাজনীতি
বিরোধী দলকে নির্মূলে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরাতে সরকার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা (সরকার) সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এবং রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে যে কোনো উপায়ে (নির্বাচনের) মাঠ থেকে বিরোধী দলগুলোকে অবৈধভাবে সরিয়ে দিয়ে আবার ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবে।’
রবিবার (২০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য বিরোধী দলগুলোকে দমন করে ও তাড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনের মাঠ পরিষ্কার করা।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা চুরির আরেকটি কৌশল: ফখরুল
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের নির্দেশে পুলিশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। এখন যা চলছে এটাকে আমরা রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বলতে পারি। এছাড়া বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান একইভাবে কাজ করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের কাছে কিছু কিছু ডকুমেন্ট আছে যেগুলো আমরা প্রয়োজন হলে দেখাবো। যাতে বিচারকদের বলা হচ্ছে, তাড়াতাড়ি মামলা শেষ করো, এত তারিখের মধ্যে মামলা শেষ করতে হবে… সাক্ষী না আসলে তাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে এসে সাক্ষী দাও। একদিকে পুলিশি নির্যাতন, অন্যদিকে বিচারে দ্রুত সাজা দেওয়ার ভয়াবহ কর্মসূচি তারা নিয়েছে। লক্ষ্য একটাই..তারা পুরো মাঠ খালি করে দিতে চায়।
তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কথা বলছে। যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় এবং দায় বিরোধীদের ওপর চাপানো যায়।
তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয় কারণ তারা অতীতে একইভাবে একই কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। আমরা কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলাম। যা কিছু সন্ত্রাস তাতো আপনার করছেন। বন্দুক আপনাদের হাতে, পিস্তল আপনাদের হাতে, আইনও আপনাদের হাতে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবি পুলিশের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা একটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ এখন ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছে। ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। ডিবি তাদের প্রেস ব্রিফিংয়ে যে অস্ত্রগুলো দেখিয়েছিল তা প্রাগৈতিহাসিক যুগে (তৈরি) ছিল।
তিনি বলেন, ডিবি বলছে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছে। আমরা বিস্মিত যে তারা এখন পুরোপুরি রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলছে। বোঝা যায় যে তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক।
তিনি ছাত্রদল নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, তারা শনিবার ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির হাইকমান্ড এবং এর ছাত্র সংগঠনের ইউনিটগুলো দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল।
ফখরুল শনিবার নারায়ণগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে বিদেশের কোনো দেশ এগিয়ে আসবে না: ফখরুল
বিএনপি আশা করে বাংলাদেশিদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে মূল্য দেবে ভারত: ফখরুল
সরকার কচুরিপানার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে: হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘এ সরকার কচুরিপানার পানি নয়, যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে৷ টেক ব্যাক নয়, ফরওয়ার্ড বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে।’
তিনি বলেন, এ অশুভ শক্তিকে কীভাবে ঘায়েল করতে হয়, সেটা আওয়ামী লীগ জানে৷ তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) রাজপথে প্রতিহত করে আবার ক্ষমতায় থাকব।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ
তিনি বলেন, দেশের ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকলে কোনো শক্তি তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না।
রবিবার (২০ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আগস্ট মাস শঙ্কার মাস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের নেতা ছিলেন৷ বঙ্গবন্ধু হত্যা কমিশন গঠন করা হোক, যেন আসল খুনিদের কথা আমরা জানতে পারি। ত্যাগের ইতিহাস এ স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেন, এ স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে চায় স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন৷ তিনি তার সব কর্মকাণ্ডে স্বাক্ষর রেখে গেছেন যে তিনিই হত্যাকারী।
আরও পড়ুন: প্রশাসন যেখানে অনুমতি দিয়েছে, বিএনপিকে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: হানিফ
ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না: হানিফ
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে, সরকার আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শনিবার (১৯ আগস্ট) পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে এক পুলিশ অফিসারের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য শুনে বুঝতে পারলাম না তিনি পুলিশ অফিসার নাকি শাহবাগ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
রবিবার (২০ আগস্ট) মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন হাছান মাহমুদ (তথ্যমন্ত্রী) এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ভাষায় কথা বলেন- তখন আভাস পাওয়া যায় আগামী নির্বাচন কতটা ভয়াবহ হবে।
রিজভী বলেন, জনগণ ও ভোটাররা নির্বাচনে যোগ দিতে পারবেন না, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণের কথা বাদই দিলাম। কারণ সেই নির্বাচন হবে নাটকীয়ভাবে একতরফা।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রবিবার (২০ আগস্ট) সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম রানার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা।
রিজভী আশঙ্কা করেন যে, বর্তমান পুলিশ-প্রশাসন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে এবং যারা নির্বাচনের সময় বিরোধী দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে যাবে তাদের গ্রেপ্তার করবে।
তিনি বলেন, এই হলো পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ প্রশাসন। এভাবেই একতরফা নির্বাচনের বড় নীলনকশা তৈরি করছেন শেখ হাসিনা এবং জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই আবার নির্বাচন করছেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকার সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কারণ এখন মাত্র দু-একটি দেশ এই সরকারের সঙ্গে আছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তারা শুনেছেন যে- বাংলাদেশের বর্তমান ‘অবৈধ’ শাসনের পক্ষে লিখতে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ভারতের কলকাতার এক সাংবাদিককে দুই টন ইলিশ মাছ পাঠিয়েছেন। এই ঘটনা কতটুকু সত্য আমরা তা জানি না। কিন্তু এমন শোনা কথা যাচ্ছে।
রিজভী বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানে অনেক বিবেকবান সাংবাদিক আছেন যারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লিখছেন। হয়তো দু-একজন সাংবাদিককে ইলিশ মাছ দিয়ে কেনা যাবে, কিন্তু সবাইকে নয়।
ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনকে নগরীর নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তার করায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেল: রিজভী
ছাত্রলীগের ৩১ আগস্টের সমাবেশ পেছাল
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ব ঘোষিত ছাত্রসমাবেশ ৩১ আগস্টের পরিবর্তে ১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে এবং জনদুর্ভোগ এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিকাল ৩টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী : বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আইনি কাঠামোর বাইরে তাদের কিছু করার নেই।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়: কাদের
এসময় এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘(বিএনপি) খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করছে। এটি এখন নোংরা পর্যায়ে চলে গেছে।’
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা মামলাগুলো নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা করছেন এবং খালেদা জিয়াকে মরার আগেই কয়েকবার মেরে ফেলছে মির্জা ফখরুলরা।’
আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ ছাড়াই কিছু বিদেশি আসেন: কাদের
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে বিদেশের কোনো দেশ এগিয়ে আসবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জনগণের উত্তাল ঢেউ তৈরি হলে বিদেশি কোনো দেশ তাদের রক্ষা করতে আসবে না।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে মগবাজার অভিমুখে মিছিল বের করার আগে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কোনো শর্ত ছাড়াই বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পথ সুগম করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এই বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমরা জানি এই সরকার বিদেশের উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় রয়েছে। জনগণের সেই উত্তাল ঢেউ তৈরি হলে বিদেশি কোনো দেশ এগিয়ে আসবে না।’
তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও সংসদ এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘তাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা। এই সরকারের পতনের মাধ্যমে নবদিগন্তের সূচনা হবে।’
তাদের দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ব্যাহত না করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে মগবাজার পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
ফখরুল বলেন, তাদের দলীয় প্রধান খুবই অসুস্থ এবং তিনি এখন জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে (কোনো শর্ত ছাড়াই) মুক্তি দিতে হবে। আমরা প্রায় সব দলই এক দফা দাবিতে একমত হয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি।’
ফখরুল বলেন, সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেওয়ায় খালেদা এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বন্দিদশায় তার (খালেদার) খারাপ কিছু ঘটলে তার সব দায়ভার হাসিনা সরকারকেই বহন করতে হবে।’
দেশ ও জনগণের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জনপ্রিয় নেতাকে এভাবে বন্দি রাখা সম্পূর্ণ মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা বারবার বলছেন তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেকোনো উন্নত কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য, কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। ‘তারা এটি করছে না কারণ তারা জানে, যদি তিনি বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে আসেন; তবে তাদের সিংহাসন নড়ে যাবে।’
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার জনগণকে ধোঁকা দিয়ে এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ১৫ বছর ধরে দেশ শাসন করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বলছে যে তারা গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং তারা এখন গণতান্ত্রিক চর্চা করতে দিচ্ছে। একইসঙ্গে তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারও অব্যাহত রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, খালেদার মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণের সময় শুক্রবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, যদি তাদের জনসম্মুখে না আনা হয় এবং ছয় ঘণ্টার মধ্যে মুক্ত করা না হয় তবে সরকার এর (তাদের নিখোঁজ) দায়ভার বহন করবে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে এবং মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় ফাঁসছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা এখন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে তাদের বাড়িতে থাকতে পারে না।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে তারা সরকারের প্রতি বার্তা দিতে চান।
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বাড়িঘরে অভিযান বন্ধ করতে। অন্যথায়, মানুষ এখন জেগে উঠতে শুরু করেছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। তাকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানো উচিত এবং উন্নত চিকিৎসা দেওয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত দৃঢ় মনোবল নিয়ে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
পরে ফখরুল দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে নয়াপল্টন থেকে মিছিল শুরু করেন, যা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়। এতে নয়াপল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক ও মগবাজার এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
বিএনপির অন্য সব নগর ও জেলা ইউনিটও একই কর্মসূচি পালন করেছে।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
তার পরিবারের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে বয়স ও মানবিক দিক বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপার্সনকে একটি নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিএনপির হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়: কাদের
বিএনপির হাতে দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে জনগণের জীবন নিরাপদ নয়। তেমনি বিএনপির হাতে দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। তাই আমাদের এই দুই প্রধান বিপজ্জনক শত্রু ডেঙ্গু ও বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে হবে।’
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা উপকমিটির আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া তিনি সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ ছাড়াই কিছু বিদেশি আসেন: কাদের
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপি কবে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি দেবে সেই আশায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু, তাদের (বিএনপি) চোখের পাওয়ার কমে গেছে এবং এখন বিএনপি কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে বলেও জানান তিনি।
প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও অধ্যাপক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, নয়তো পাকিস্তানে যান: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে পদযাত্রা করেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে এ পদযাত্রা এসে শেষ হয় মগবাজারে।
এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়: ফখরুল
পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, তাদের দলীয় প্রধান খুবই অসুস্থ এবং তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেওয়ায় খালেদা এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফখরুল বলেন, তিনি ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং শুধু গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের কারণে গত পাঁচ বছর ধরে বন্দি রয়েছেন।
বন্দি অবস্থায় তার সঙ্গে খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের বাড়িতে অভিযান চালানোর জন্য সরকারের নিন্দাও জানান তিনি ।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
শুক্রবার ছাত্রদলের ছয় নেতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে, তাদের ছয় ঘণ্টার মধ্যে জনসমক্ষে হাজির করতে সরকারের কাছে দাবি জানান বিএনপি নেতা।
তাদের পদযাত্রা থেকে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে তারা সরকারের কাছে বার্তা দিতে চান।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি বহন করে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
কোনো শর্ত ছাড়াই বিদেশে কোনো উন্নত হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসার দাবি জানান নেতা কর্মীরা। এ ছাড়া খালেদার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতেও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
বিএনপির অন্য সব নগর ও জেলা ইউনিটও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি আশা করে বাংলাদেশিদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে মূল্য দেবে ভারত: ফখরুল
বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে শনিবার শহর ও জেলা পর্যায়ে মিছিল করছে দলটি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে 8 ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বয়স ও মানবিক দিক বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রওশন এরশাদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। শনিবার (১৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, গণভবনে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় করেন এবং রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
এ ছাড়া দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা সংসদীয় গণতন্ত্রে গঠনমূলক ও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের জন্য জাতীয় পার্টিকে ধন্যবাদ জানান।
এ ছাড়া গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকারকে শক্তিশালী করতে বিরোধী দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: পলকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
বিএনপি আশা করে বাংলাদেশিদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে মূল্য দেবে ভারত: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানাবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে তা দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের নিরাপত্তার জন্য ভালো হবে না।
আমরা অবশ্যই আশা করি, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানাবে।’ পাশাপাশি তারা সব দলের অংশগ্রহণে এবং সবার কল্যাণে দেশে একটি সত্যিকারের নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য তাদের পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করবে।
হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের বার্তার বিষয়ে এক প্রতিবেদক তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফখরুল বলেন, 'ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে আমরাও দেখেছি। যদি রিপোর্টটি সত্য হয়, তবে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: সামনে শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে: বরকত উল্লাহ বুলু
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যই বাংলাদেশের বর্তমান সব সংকটের মূল কারণ।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের জনগণের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে এবং বলা যেতে পারে দেশে গভীর সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, যদি এই খবরটি সত্য হয় তবে এটি ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত, যারা সর্বদা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার কথা বলে।
ফখরুল বলেন, 'আমরা কখনোই এ ধরনের কথা বলব না, কিন্তু আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি, যদি খবরটি সত্য হয়, তাহলে তারা (ভারত) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও তাদের শক্তির উপর তাদের দলের আস্থা রয়েছে। ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ কী চায়, ভারত তা বোঝার চেষ্টা করবে। ভারত যদি বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তবে তা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আমরা মনে করি এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য এবং এই অঞ্চলের জনগণের জন্যও ভালো হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদী দলের ক্ষমতায় আসার কোনো আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে কোনো মৌলবাদী দল কখনো ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বরং তাদের শক্তি কমে গেছে।’
এর আগে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ফখরুল।
ডয়চে ভেলে ও আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারতের সামগ্রিক নিরাপত্তা এবং সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকা নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয় এবং ওয়াশিংটনকেও এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা চুরির আরেকটি কৌশল: ফখরুল