রাজনীতি
ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেল: রিজভী
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় এখন ভাতের হোটেলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ডিবি কার্যালয় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের আতঙ্কের আস্তানা। সেখানে কী হয়েছিল জানেন? ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেলে পরিণত হয়েছে।’
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশতিনি বলেন, গত ২৯ জুলাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে নগরীর ধোলাইখাল এলাকায় দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের খাবারের ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে আরও কয়েকজন সেলিব্রেটি ডিবি অফিসে তাদের বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সেখানে যাওয়ায় দুপুরের খাবার খান। ডিবি প্রধান বলেন, দুপুরের খাবারের সময় তাদের অফিসে আসা লোকজনকে দুপুরের খাবার দেয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
চলমান আন্দোলন দমন করতে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর জন্য ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের নেতাদের তুলে নিয়ে ৪-৫ দিনের জন্য গায়েব করা হচ্ছে। তারপর বলা হয় মহানগর ডিবি অফিসে নাকি ডিবি পুলিশের কাছে। কয়েকদিন পর থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন ও স্বাভাবিক রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন বা ন্যায়বিচার নেই। দেশে ন্যায়বিচার থাকলে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন তারা তাদের অপকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে থাকতেন।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে নাইটিঙ্গেল ক্রসিং অভিমুখে মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: ভয়-প্রতিহিংসা থেকে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
ভয়-প্রতিহিংসা থেকে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ভয় ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ‘শান্তি’ সমাবেশের নামে বিএনপির কর্মসূচিতে ‘প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে 'ইচ্ছাকৃত' আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। যেদিন আমরা কর্মসূচি দিয়েছিলাম, সেদিনই তারা পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছিল। আমরা যখন আমাদের কর্মসূচি পরিবর্তন করেছিলাম তখন তারা একই কাজ করেছিল। তারা কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ ও আতঙ্কিত, তারা অবশ্যই এই ধরনের কাজ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিলে রাজনীতি থেকে তারা নিশ্চিহ্ন হবে বলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, দেশ ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) সবকিছু ভালোভাবে দেখছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কতটা সত্য তা ভালো বলতে পারবেন।
ফখরুল বলেন, তাদের দল গত কয়েক বছর ধরে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে। ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সচেতনভাবে যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার জন্য তিনি সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এই সরকার অনেক মেগা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু তারা বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছে না।’
পরে ফখরুল ঘোষণা করেন, তাদের দল এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে গণমিছিল করবে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সরকারকে বাধ্য করবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা তাদের এক দফা দাবি আদায়ে জুমার নামাজের পর পৃথক মিছিল বের করবে।
এ ছাড়া অন্যান্য বিরোধী দল যারা যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান বিএনপি নেতা।
শুক্রবার শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিতব্য তাদের কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেবে না বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিলের ঘোষণা বিএনপির
নভেম্বরে চালু হবে নির্বাচনী অ্যাপের কার্যক্রম
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অনলাইনে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা রাখতে নভেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
বুধবার (৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আইন অনুযায়ী অফলাইন, অনলাইন দুভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি, ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানানোসহ একগুচ্ছ সেবা দিতে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ’ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তফসিলের আগে নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ চালু করতে হবে, তা না হলে এটা চালু করলাম কেন? অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাসহ নানা বিষয় এ অ্যাপে থাকবে। যে অবস্থায় রয়েছে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, নভেম্বরে চালু করতে পারব। অ্যাপ আমরা নভেম্বরে চালু করব।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু অনলাইন রাখতে গেলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে অনলাইন এখন আমরা চাইলেও হবে না। আমরা চিন্তা করছিলাম সব নির্বাচনের জন্যই যাতে এটা প্রযোজ্য হয়। এটা বাধ্যতামূলক করার সুযোগ নেই। কারণ আইনে সংশোধন আনতে হবে। তাই বাধ্যতামূলক করতে আমরা যাচ্ছি না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দেওয়ার সুযোগটা এজন্য করা হয়েছে যাতে কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। কেননা, ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।’
নির্বাচনী অ্যাপসে আর কী থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত সম্পর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি হবে ওটা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিলে অনেক বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে দিতে হবে।
নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর নামের তালিকা ও ছবি থাকবে। কে কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে গুগল ম্যাপেও ভোটার তার ভোটকেন্দ্র দেখতে পারবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা থাকবে। দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর ভোট পড়ার হার জানানো হবে। ১০টা, ১২টা, ২টা ও বিকেল ৪টায় আপডেট থাকবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল আমরা অ্যাপসে কেন্দ্রভিত্তিক দেখতে পারব। বেসরকারি ফলাফলটাও দেখা যাবে।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, অ্যাপসের ফলে নির্বাচনে সহিংসতা বা শক্তি প্রদর্শন কমে আসবে। ভোটাররাও সহজেই কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রার্থীও কত ভোট পড়েছে তাও জানতে পারবে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ম্যানুয়ালি করতে হয়, এতে অনেক সময়ের ব্যয় হয়। এটা কমে আসবে।
ইসি বলেন, এই নির্বাচনের পরে যেন আরেকটি নির্বাচনেও এই অ্যাপস ব্যবহার করা যায়, আমরা এজন্য ছয় বছর মেয়াদি এই উদ্যোগ নিচ্ছি। পরবর্তী কমিশন এসে কী করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, কেননা, এতে অর্থ ব্যয়ের বিষয় আছে। সব নির্বাচনেই আমরা এই অ্যাপস ব্যবহার করব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এটির কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বরে এটা আমরা চালু করব।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হার্ডওয়্যারের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। আর সফটওয়্যাট যারা দেবে তাদের সঙ্গে আমাদের ছয় বছরের চুক্তি থাকবে। ইসির যে ডাটাবেজ আছে সেখান থেকেই মূল তথ্যগুলো এই অ্যাপে আসবে।ে
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিসুর রহমান বলেছেন, দুর্গম এলাকা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করতে হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে তফসিলের সম্ভাবনা নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সিইসি বলে দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তফসিল হবে।
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
নভেম্বরে দ্বিতীয়ার্ধে তফসিলের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি জানান, যথাসময়ে হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে তা স্পষ্ট করে না জানালেও গত ৩০ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিুল আউয়াল বলেছেন, ‘অক্টোবরের আগে তারা তফসিল দিচ্ছেন না’। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা বা সিদ্ধান্ত কিছুই হয়নি। অক্টোবরের আগে তফসিল দেওয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি উন্মোচন,বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উচ্ছাস
বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা ছাড়া কিছুই বোঝে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এখনো জনগণকে জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা ও গুলি ছাড়া কিছুই বোঝে না।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অগ্নিসংযোগসহ তারা মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মধ্যে ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি আমাদের একটি বিরোধী দল আছে। তারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহিংসতা, বাস ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে আক্রমণ এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার মতো অপকর্ম করে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যত তিনটি স্থানের সুবিধাভোগী এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও ২ দশমিক ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রায় ১ লাখ ১৫,০০০ লোককে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে।
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩৯,৩৬৫টি গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘর-জমি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিলের ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে গণমিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর ইউনিট তাদের এক দফা দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করতে জুমার নামাজের পর পৃথক মিছিল বের করবে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেবে না বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
এছাড়া মিছিলে বাধা দিলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ
ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ‘ব্যর্থতার’ দায়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাশেদ ইকবাল জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রাবণের ভূমিকায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সন্তুষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন ২৯ জুলাই তাকে দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি বলেই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
মন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের বুধবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের
এ সময় ওবায়দুল কাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নিজাম উদ্দিন হাজারী।
সেতু বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরলেন কাদের
সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি ও একাত্তর টিভির টকশোতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতারা।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি মঙ্গলবার ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘টকশোতে অংশ নেওয়া দলীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এই দুটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নেব না।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে হেয় করতে বিভিন্ন ভিডিও দেখাচ্ছে সময় টিভি। চ্যানেলটি শত্রুর মতো আচরণ করছে, ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে।’
এ্যানি বলেন, ‘একাত্তর টিভির টকশো উপস্থাপকরা নিজেদের মতো ঘটনা বর্ণনা করেন। অনেক সময় তারা চতুরতার সঙ্গে আমাদের দল ও নেতৃত্বকে হেয় করতে অনুষ্ঠান আয়োজন করে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসব সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে কমিশন সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এ প্রক্রিয়ায় যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাবে, সেগুলো আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নতুন ২ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ইসির শুনানি
মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৮ সালে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি আবেদন ইসিতে জমা পড়ে।
প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় অভিযোগ শুনানি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার সময়ে সংখ্যা আরও কমতে পারে। এর ফলে গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াবে।
ইসি সূত্র জানায়, ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথমবারের মতো সেইবার ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার রোধ: ফেসবুকের সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে না সিসিটিভি ক্যামেরা