রাজনীতি
বাংলার মানুষকে ১৫ আগস্টের নির্মম প্রতিদান দিয়েছে মোশতাক-জিয়াসহ অন্যান্যরা: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্য পূরণে খুব ধীর-স্থির ও চৌকস ছিলেন।
মঙ্গলবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছেন, ‘এই মানুষটির (বঙ্গবন্ধু) দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাকে মারাত্মক সমীহ করত। ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি 'বাঙালির মুক্তির সনদ' ৬ দফা বাস্তবায়নে সারা দেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়। সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্টপ শ্যুটিং’। পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনের মিশন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: 'হত্যার ষড়যন্ত্র': আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদ তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘৭১-এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে বাংলাদেশকে আবারো গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, বাড়িঘর। সেই পরিস্থিতিতে তরুণদের, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো।’
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ- সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়।
সজীব বলেন, তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের উপরে, ঠিক তখনই পুরানো শত্রুরা এক হলো, প্রতিশোধ নিতে চাইলো ১৯৭১-এর (তাদের) পরাজয়ের।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেলো রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো ‘বেঈমান’ মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র।’
আরও পড়ুন: বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘২০২৩ নতুন অর্জনে পূর্ণ’ করার অঙ্গীকার সজীব ওয়াজেদের
চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে বিক্ষোভ মিছিলে সংঘর্ষ, নিহত ১
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতা বিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার(১৫ আগস্ট) বিকাল ৪ টার দিকে চকরিয়া পৌর শহরের বায়তুশ শরফ রোড়ে এঘটনার সৃষ্টি হয়। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামে একজন মারা যান। নিহত ব্যক্তি চকরিয়া পৌর এলাকার ১ ওয়ার্ডের আবুল ফজলের ছেলে।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সহ আহত হয়েছে আরও ১২ জন। আহতদের মধ্যে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সহ ৫ পুলিশ সদস্যও রয়েছে।
এসময় বিক্ষোভকারিরা ওসির গাড়ি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার গাড়িসহ বেশ কয়েকটি সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তিনিসহ পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘটিত ঘটনায় কে কোন দলের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, 'চকরিয়ায় জানাজা নিয়ে সংঘটিত সংঘর্ষের বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। তবে গুলিবর্ষণ পুলিশের কাছ থেকে করা হয়নি। হতাহতের ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, 'গায়েবানা জানাজার নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও স্থান পরিবর্তন করে জানাজা পড়েছে তারা।পরে মিছিল সহকারে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে সাঈদী ফাউন্ডেশনে ছেলের পাশেই সাঈদীকে দাফন: শেষ বার দেখতে মানুষের ঢল
পিরোজপুরে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর দাফন সম্পন্ন
দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে পিরোজপুরে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সাঈদীর ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে বড় ছেলের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আজ দুপুর ১টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মুজিবুর রহমান তার নামাজে জানাজা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন
এর আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিএসএমএমইউর সামনের সড়কে অন্তত দু’টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং সাঈদীর লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে ঘিরে বিক্ষোভ করে।
সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক
২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সাঈদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা: দফায় দফায় সংঘর্ষ, আটক ৩০
এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
বিএনপি তাদের এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
এছাড়া অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৭ ও ১৯ আগস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করে।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ, লুটেরা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করা হবে।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
রিজভী বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট একই দিনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কর্মসূচি পালন করবে।
গত ৯ আগস্ট বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের শেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করে।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটকারী ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল ভূয়া ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
খালেদার চিকিৎসার জন্য কর্মসূচি
রিজভী বলেন, খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তাদের দল ১৭ আগস্ট সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে এবং ১৯ আগস্ট মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মিছিল করবে।
এছাড়াও, তিনি বলেন, খালেদার দ্রুত রোগমুক্তির জন্য তাদের দলের পক্ষ থেকে বুধবার তাদের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বয়স এবং মানবিক কারণে কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে বিএনপি প্রধানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক
সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক শোকবার্তায় সাঈদীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
এই প্রথম জামায়াতের কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে বিএনপি শোক প্রকাশ করেছে। এর আগে যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল তখন দলটি নিরব ছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মারা যান সাঈদী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
এক শোকবার্তায় ফখরুল বলেন, কারাবন্দী অবস্থায় সাঈদীর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
জামায়াতের এই নেতাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেম হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, সাঈদী বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষকে ইসলামের আলোকিত পথে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
ফখরুল বলেন, ‘ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রতি সহমর্মী এই মানুষটি জনসাধারণের মধ্যে বিশুদ্ধ ইসলামি জ্ঞানের চর্চা ও প্রচারে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় সংসদে তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল ও তেজস্বী বক্তা।’
ফখরুল বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ মরহুম দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী গত ১৩ বছর বন্দি অবস্থায় থাকলেও তাকে কোনো সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তার মৃত্যু স্বৈরশাসনের এক নির্দয় নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন
সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে সমর্থকদের বিক্ষোভ: শাহবাগে মোটরসাইকেলে আগুন
১৫ আগস্টের পেছনে জিয়া, ২১ আগস্টের পেছনে তারেক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান। আর বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধূর দিন আর কখনও আসেনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যেই প্রমাণ হয় তারা জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসেনকে যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখনও নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকেরা রেহাই দেয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন।’
দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনও সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা দুইবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রথমে সরকার প্রধান এবং পরে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে একটি রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বিউগল বাজান।
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি দেশবাসীকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশ এতদিনে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।
স্বাধীনতাবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও দেশের অভিন্ন শত্রু বলেও জানান কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ৭৯ বছরে পা দিয়েছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার স্মরণে জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মঙ্গলবারের পরিবর্তে বুধবার সকাল ১১টায় বিএনপি দলের পক্ষ থেকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুধু মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মিলাদ মাহফিল করবে তাদের দল।
জাতীয় শোক দিবসে তার জন্মদিন পালনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার কারণে বিএনপি ২০১৬ সাল থেকে কেক কাটার পরিবর্তে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে তার জন্মদিন পালন করে আসছে।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক সেমিনারে বলেছেন, মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো তাদের দলের চেয়ারপার্সন বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন। ডাক্তাররা বারবার বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে তার চিকিৎসার কথা বললেও সরকার তাকে সে সুযোগ দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় 8 ফেব্রুয়ারি, ২০১৮-এ বিচারিক আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
২৫ মার্চ, ২০২০-এ বিএনপি প্রধানকে কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বয়স এবং মানবিক ভিত্তি তার পরিবারের দ্বারা একটি আবেদন অনুসরণ করে.
বিএনপির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৬ ঘণ্টার অনশন
নির্বাচনে সব দল কখনো অংশ নেয় না: ইসি আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল কখনোই নির্বাচনে অংশ নেয় না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সক্ষমতা যাচাইয়ের বিষয় আছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে। সবাইতো অংশগ্রহণ করবে না। অতীতেও করেনি।’
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন সংবিধানের বাইরে যাবে না।’
ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার শপথ নিয়েছি। আমাদের কাজ এইটুকুই যে ভোটার তালিকা করব, দলের নিবন্ধন দেব আর যখন যে নির্বাচনের সময় আসবে যথাসময়ে সে নির্বাচনগুলো করব।’
আরও পড়ুন: ইসির নিবন্ধন পেল বিএনএম ও বিএসপি
জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি