রাজনীতি
নতুন বাজেটে দুর্নীতির আশঙ্কা আরও বেশি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট কালো টাকাবান্ধব এবং এর মাধ্যমে দেশে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাজেট কালো টাকার প্রচারের জন্য। কীভাবে কালো টাকা সাদা করা যায়, দুর্নীতির প্রসার ঘটানো যায়, কীভাবে (অবৈধভাবে) অর্থ উপার্জন করা যায়, এসবের জন্য এই বাজেট।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৭ জুন) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সোনালি দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাজেট নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই। ডেইলি স্টারের প্রথম পাতায় কার্টুন দেখুন, যেখানে অনেক সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের ওপরে বসে আছে একটি বিশাল হাতি... এই চমৎকার কার্টুনটি বাজেটের একটি পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জনগণের অর্থ লুটপাটের আরও সুযোগ তৈরি করতে সরকার অলাভজনক খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর কর বাড়ানোয় সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর কর বাড়ানোর অর্থ কী? এর মানে হলো এখানে কোনো শিল্প-কারখানা থাকা উচিত নয় কেন না যন্ত্রপাতি আমদানি করা যায় না।’
কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎসের অভাবে মানুষ খুব কঠিন সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, 'যারা ঢাকা শহরে ছোটখাটো ব্যবসা করতেন এবং এখানে কাজ করতেন তারা এখন কাজের অভাবে গ্রামে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও কাজ না থাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।’
ফখরুল বলেন, বর্তমান দানবীয় সরকারকে যতদিন ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারবে ততদিন সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের কোনো লাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার মিথ্যার ওপর টিকে আছে। এই সরকারের সব পরিসংখ্যান মিথ্যা ও বানোয়াট। কোন পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে আপনি একটি পরিকল্পনা করবেন? বেনজীরের (সাবেক আইজিপি) দুর্নীতি এখন সব জায়গায়... বেনজীর এখন সব জায়গায়।'
দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশের মানুষকে জাগ্রত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তরুণ প্রজন্মকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
৫৫৬ দিন আগে
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে: জমির উদ্দিন সরকার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকাকে বৈধ করার বিধান রাখা মানেই ‘দুর্নীতিকে উৎসাহিত’ করা।
তিনি বলেন, ‘যদি ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায়, তাহলে আমাদের, সৎ করদাতা এবং তাদের (কালো টাকার ধারক) মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।’
শুক্রবার (৭ জুন) এক আলোচনা সভায় জমির উদ্দিন এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা বৈধ করার কোনো সুযোগ না দিয়ে বাজেয়াপ্ত করা উচিত। ‘যদি করের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা যায়, তাহলে সেটি অসততায় লিপ্ত হতে উৎসাহিত হবে।’
এর আগে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান রেখে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আরও পড়ুন: লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
তবে দুই বছর আগেও ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান ছিল। তবে পরে ভালো সাড়া না পাওয়ায় এ বিধান বাতিল করা হয়।
এক বছরের বিরতির পর অর্থমন্ত্রী কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে বিধানটি আবারও ফিরিয়ে এনেছেন।
সংসদের প্রাক্তন স্পিকার সরকার কালো টাকা সাদা করার বিধানটি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ‘দয়া করে সতর্ক থাকুন, যাতে একজনের উপার্জন করা অর্থ এবং অন্যজনের সহজেই পেয়ে যাওয়া অর্থের মধ্যে পার্থক্য বজায় থাকে। সহজে টাকা পাওয়ার সঙ্গে টাকা রোজগার করার মিল থাকে না... সরকারের কাছে এটাই আমার বিনীত অনুরোধ।’
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবী পরিষদ।
দেশের বিচার বিভাগে এ জে মোহাম্মদ আলীর অবদানের কথা স্মরণ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক এই স্পিকার।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৫৬ দিন আগে
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের এখন আর সহ্য হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার হালুয়া-রুটির ভাগ-বাঁটোয়ারার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ যারা বিএনপি দল গঠন করেছিলেন, ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী ২ বছর ও একাধারে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদসহ ২২ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা তাদের পক্ষে এখন আর সহ্য হচ্ছে না।’
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাঙালির মুক্তি সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন অগ্রগতিও তারা সহ্য করতে পারছে না। সেই কারণে তারা এখন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা হয়েছে। গত ১৫ বছরে বাজেটের অংক সাড়ে ১১ গুণ বেড়েছে। দেশের বাজেটের আকার যখন বাড়তে থাকে তখন বুঝতে হবে দেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বাজেট ঘোষণার আগেই বিবৃতি রেডি করে রাখে। গত ১৫ বছরের তাদের বিবৃতি-বক্তব্য যদি দেখেন, হুবহু মিল খুঁজে পাবেন।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-সন্ত্রাসের প্রতীক তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাজেটের সমালোচকদের মন্ত্রী হাছান প্রশ্ন করেন, ‘বাজেট জনগণের কল্যাণে যদি না এসে থাকে, তাহলে গত ১৫ বছরে দরিদ্রতা ৪০ শতাংশ থেকে নেমে ১৮.৭ শতাংশে নেমে এল কীভাবে? আর অতিদরিদ্রতা ২২ শতাংশ থেকে ৫.৭ শতাংশে কীভাবে নেমে এসেছে? এটি সম্ভব হয়েছে বাজেট বাস্তবায়নের কারণেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিছু বিশেষজ্ঞ নামধারী এবং বিএনপি-জামায়াত প্রতিবারের মতো এবারও বলতে শুরু করেছে- এই বাজেট জনগণের কোনো কল্যাণে আসবে না।’
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ছয় দফা প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘পূর্ববাংলার মানুষের মাঝে স্বাধীনতার পক্ষে মনন তৈরি করার জন্যই বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। ছয় দফার পক্ষে মানুষ ব্যাপক সাড়া দেন। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা নিয়ে সারাদেশ ঘুরে বেড়ান, যেখানেই বক্তব্য দেন সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হতো। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মুক্তি লাভ করেন।’
তিনি আরও বলেন,“ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর ছয় দফার ওপর ভিত্তি করেই দেশে সাধারণ নির্বাচন হয়। জনগণ ছয় দফার পক্ষেই ভোট দেয়। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মেজরিটি পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। এরপর ক্ষমতা হস্তান্তরে যখন বাহানা করা হচ্ছিল তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ছয় দফা যখন ঘোষণা করেছিলাম তখন এটি আওয়ামী লীগ কিংবা শেখ মুজিবের দফা ছিল, নির্বাচনের পর এটি জনগণের দফায় পরিণত হয়েছে। জণগণই ছয় দফার পক্ষে রায় দিয়েছে। আমি ছয় দফার বাইরে কোনো আপস করতে পারব না।’”
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব সংকট-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় আওয়ামী লীগ পরপর চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বিরোধী শক্তি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের চোখ কান সবসময় খোলা রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ছিলেন- সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহসভাপতি ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না, অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়ন হার ৯২-৯৭%: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৫৬ দিন আগে
৬ দফা আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘টার্নিং পয়েন্ট’: কাদের
৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা এটা মানে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারীকারই ৭৫ পরবর্তী সময়ে ৭ জুন, ৭ মার্চ পালন করতে দেয়নি।’
আরও পড়ুন: পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
তিনি আরও বলেন, ৭৫ এর পর ৭ জুন, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যারা নিষিদ্ধ করে দেয় তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তারা দেশের স্বাধীনতা মানে না।
তিনি বলেন, ছয় দফা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক। ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলনের সূত্রপাত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি দুর্নীতি ও লুটপাটের ওস্তাদ: ওবায়দুল কাদের
৫৫৬ দিন আগে
বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না, অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়ন হার ৯২-৯৭%: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না। অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) সংসদে প্রায় ৮ লাখ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়, বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেননা। প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।’
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-সন্ত্রাসের প্রতীক তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আবার যারা নিজেদের জ্ঞানী বলে মনে করেন, তারা কোনো কিছুতে ভুল না ধরলে উনি যে জ্ঞানী এটা তো বোঝানো যায় না। সেজন্য সবকিছুতে ভুল ধরা উনাদের অভ্যাস। সেজন্যই তারা বলেন, এই বাজেট বাস্তবায়নরেযাগ্য নয়। সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৫বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। বাজেটের আকার গত ১৫ বছরে সাড়ে ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠী ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। অতিদারিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্র হত্যাকারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট যদি গরীবের উপকারে না আসত, তাহলে দরিদ্রতা ও অতিদরিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অংকে, টাকার অংকে আরও বেশি। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।’
সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ, সমাজকে পথ দেখায়, সমাজের অনুম্মোচিত বিষয়গুলো উম্মোচিত করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। তবে অনেকসময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমনভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএ’র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৫৫৬ দিন আগে
লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত লুটেরাদের নতুন পরিকল্পনা এটি।
তিনি বলেন, ‘সরকার লুটেরা হয়ে গেছে। লুণ্ঠনকে আরও প্রশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে লুটেরাদের এই বাজেট। আমি বিশ্বাস করি, বাজেটে (জনগণের অর্থ) আত্মসাতের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী: কাদের
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকা।
তিনি বলেন, ‘পুরো বাজেটটিই মনে হয় মেগা প্রকল্প, মেগা চুরি, দুর্নীতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই এই বাজেটকে আমি শুধু তথাকথিত গণবিরোধীই বলছি না, বাংলাদেশবিরোধীও বলছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত ব্যয় রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ভারসাম্যহীনতা কেবল জনদুর্ভোগকেই তীব্রতর করবে এবং তাদের বোঝা বাড়িয়ে তুলবে।
সরকার ব্যয় মেটাতে জনগণের পকেট কাটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যয় ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে বিদেশের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ বা অনুদান নেবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এর ফল ভোগ করতে হবে জনগণকেই। তারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্য, জ্বালানি ও সেবাখাতের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে অদূর ভবিষ্যতে সেবাখাতের দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করতে গিয়ে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
৫৫৭ দিন আগে
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ : সিইসি
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার, ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২১ জনের জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গাবালীর ৩ জনের প্রার্থিতা বহাল
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ শফিউল আজিম সাংবাদিকদের জানান, এই নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সিইসি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়া ২২ উপজেলায় ৯ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের জন্য মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান, ২৬৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনটি পদের বিপরীতে পাঁচজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৬০ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
৫৫৮ দিন আগে
আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সব ধরনের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই রাস্তায় নামি, তারা (সরকার) আমাদের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পুলিশ ও র্যাব আমাদের ওপর হামলা চালায়। বেনজীর ছিলেন পুলিশ ও র্যাবের প্রধান।’
বুধবার (৫ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেনজীর রহমানের অপকর্ম, চুরি, দুর্নীতি নিয়ে পত্রিকায় যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু হয়, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, সাবেক আইজিপি ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
তিনি বলেন, 'তিনি (বেনজির) আওয়ামী লীগে নাম লিখিয়েছিলেন কি না আমি জানি না। কিন্তু আওয়ামী লীগকে রক্ষা ও ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকার জন্য তিনি সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করেছেন।’
বেনজীর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। সে সময় তিনি প্রকাশ্যে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে বলেছিলেন বলে স্মরণ করিয়ে দেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বেনজীর র্যাব ও পুলিশ প্রধান থাকাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন, হত্যা ও গুম করার চেষ্টা করেছিলেন।
এছাড়াও বেনজীর র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের বানোয়াট ও ভুতুড়ে মামলায় জড়ানোর প্রচলন শুরু হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, আজিজ আহমেদের দুই ভাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী জেনেও অনেক কর্মকর্তাকে সরিয়ে তাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
পরে ২০১৮ সালে নির্বাচনি প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ক্ষমতাসীন দল আজিজকে ব্যবহার করেছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
ফখরুল আরও অভিযোগ করেন, দেশে তিনটি প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, যাতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কারণ সেখানকার জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
৫৫৮ দিন আগে
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৬০ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
ইউএনবির কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার চৌদ্দগ্রাম, হোমনা ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রথম দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৮৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের বিপরীতে মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০৫ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৬টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সমতল জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় ১৭-১৯ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল এবং ১৯-২১ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে কয়েকটি জেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
৫৫৮ দিন আগে
বিদেশে চোর-ডাকাত পাচার করছে সরকার: ফখরুল
সরকার সাবেক আইজিপি বেনজীরের মতো চোর-ডাকাতদের বাঁচাতে গোপনে বিদেশে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে চট্টগ্রামে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ হওয়ার পর সরকারই তাকে বাঁচাতে গোপনে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্বাধীনতা হারাবে: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের তৈরি করা হাজার হাজার বেনজীর-আজিজ দেশটাকে গিলে খাচ্ছে। আমাদের ভাবতে লজ্জা হয়, বলতে লজ্জা হয়। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সাবেক প্রধান, র্যাবের সাবেক প্রধানের (বেনজীর আহমেদ) বিরুদ্ধে প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় পাতায় দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সারা দেশে এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে সে জায়গা কিনেনি বা দখল করেনি। এমন কি হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা পর্যন্ত জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। আর এই সরকার ওই চোরকে, ডাকাতকে বাঁচানোর জন্য গোপনে পাচার করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতন্ত্র চায়নি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা সব সময় চেয়েছে নিজেরা একাই সবসময় দেশ শাসন করবে, আর কেউ করবে না। তারা লুটপাট করবে, সবকিছু তারাই নিয়ে যাবে এবং করেছেও তাই।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা: ফখরুল
৫৫৯ দিন আগে