রাজনীতি
ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা না থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে তাদের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যে-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মূল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইলেও সেই ক্ষমতা তাদের নেই।
ফখরুল বলেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব (অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য) গ্রহণ করতে পারছে না।কারণ কমিশনের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ফখরুলকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান ইসি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপি ও জোটের শরিকরা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিকে কোনো চিঠি পাঠাবেন না। তিনি আরও বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে (সিইসি) আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি। আমি আশা করি তিনি আমাদের মতামত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইসি ক্ষমতাহীন
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার দেশ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এমন ইসির সঙ্গে বসে কোনও লাভ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সিইসি কোনও ডাকঘর নন যে আমরা সরকারকে দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেব। এটা একেবারেই সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এটা করতে পারে, অন্য কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তিনি বরেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারে বিএনপি। এছাড়া তারা বারবার বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন থাকায় ইসি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এবং সরকারকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি (নির্বাচনকালীন সরকার) ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় আমাদের আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকার আলোচনার কোনো প্রস্তাব দিলে তাদের দল বিবেচনা করবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যু ছাড়া আর কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার শামিল: মোশাররফ
সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার সরকারের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার সামিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা সংকটে রয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে, ফি দিয়ে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রাইভেট অনুশীলনের সুযোগ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার সামিল।’
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভার বক্তব্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোশাররফও অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের চিকিৎসকদের পকেট ভারি করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা ৩০ মার্চ থেকে বিকাল ৩টার পর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অনুমতি সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দেখেছেন। ক্ষমতাসীন দলের চিকিৎসকদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ তৈরির জন্য এমন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নেয়ায় এখানেও রাজনীতি করা হয়েছে।’
এই পদক্ষেপ রোগীদের জন্য ভালো ও কল্যাণ বয়ে আনবে না বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। ‘সাধারণ মানুষ এখন সরকারি হাসপাতালে কোনো সেবা পাবে না এবং তারা বিকাল ৩টার পর ফি প্রদানকারী চিকিৎসকদের কাছে যেতে বাধ্য হবে।’
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের একটি প্লাটফর্ম ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পতন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) থেকে সারাদেশের ১০টি জেলা হাসপাতাল ও ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিকাল ৩টার পর থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে।
সরকার অধ্যাপকদের পরামর্শ ফি হিসেবে ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপকদের জন্য ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং এমবিবিএস চিকিৎসকদের জন্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের একটি গ্রুপ ধনী হওয়ার জন্য দুর্নীতি ছড়াচ্ছে। এ কারণেই গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে ধনী-গরিবের বৈষম্যের হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি।’
তিনি বলেন, এক-চতুর্থাংশ ব্যবসায়ী, প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা অর্থ উপার্জনের জন্য দেশের বর্তমান দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থার সুযোগ নিচ্ছেন। ‘তাই এখন ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত চিকিৎসকদের বাড়তি সুযোগ দিতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে জনগণের কোনও উপকার হবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার রাজনীতিকরণ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠান ও সব সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেনন, ‘দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তারা(জনগণ) মনে করে এই সরকার কিছু ঠিক করতে পারবে না এবং কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে তারা এটা মেরামত করতে পারবে না। যারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে তারা সে অনুযায়ী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার করতে পারে না।’
গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মোশাররফ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিএনপিকে সংলাপে নয়, বরং অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন এভাবে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা সংলাপের আহ্বান করিনি। সংলাপ একটি আনুষ্ঠানিক ব্যাপার।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সিইসি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে একটি আধা-আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠান।
আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত বছর গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করেছে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেয়নি।
বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি জনগণের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সরকারের সর্বশেষ কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি
বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে নতুন করে সংলাপ সম্ভব নয়: সিইসি
আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফখরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইছে।
সোমবার রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার লেডিস ক্লাবে দেশের পেশাদার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিএনপি আয়োজিত ইফতার পার্টির আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ইফতারের আগে ফখরুল আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
সংক্ষিপ্ত ভাষণে ফখরুল বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রতি বছর রমজানে পেশাজীবীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করতেন। কিন্তু এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে গৃহবন্দি করে রাখায় তিনি এ কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে পবিত্র রমজান মাস পার করতে পারছে না। ‘দেশে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে এবং সরকার আমাদের সব অধিকার কেড়ে নেয়ায় মানুষ আর নিরাপদ বোধ করছে না।’
এই বিএনপি নেতা জানান, নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ ভূমি অফিসের এক নারী কর্মচারীকে এলিট ফোর্স তুলে নেয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর র্যাবের হেফাজতে মারা যান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘৫২ বছর আগে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু সেই গণতন্ত্র এখন দুর্ভাগ্যবশত সম্পূর্ণরূপে নির্বাসিত এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।’
রবিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের এখন ভোটাধিকার নেই, কথা বলার ও লেখার অধিকার নেই।
ফখরুল বলেন, ‘এখানে কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি ঘৃণ্য চক্রান্ত করে ফ্যাসিবাদী একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকারের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসির চিঠি প্রত্যাখান ফখরুলের
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং গণতন্ত্র ও সকল হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করতে সর্বস্তরের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য অধিকার ফিরে পেতে এবং শান্তিতে বসবাসের আন্দোলন শুরু করেছে। সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম এত বেড়ে গেছে যে মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুট করতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বাড়িয়েছে।
ফখরুল বলেন, তারা কোনো শর্ত ছাড়াই বিএনপি চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং ৩৫ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করবেন।
বিএনপি মহাসচিব দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল ১০টার দিকে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে আসেন এবং ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
সেখানে তারা জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
এর আগে সকালে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
তিনি বলেন, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন ও আশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও, মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করছে এবং গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে ‘স্বৈরাচারী সরকার’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মানুষ তাদের কথা বলার ও ভোটের অধিকার হারিয়েছে এবং সাংবাদিকরা সত্য লেখার অধিকার হারিয়েছে।
তিনি শোক প্রকাশ করেন যে তাদের দলের চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়া ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ আন্দোলন শুরু করার কারণে কারাগারে বন্দী হয়েছিলেন এবং ৩৫ লাখের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে ডিএমপিকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি
ফখরুল বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে তাদের দলের নেতা-কর্মীরা শপথ নিয়েছেন যে তারা ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে এবং ঘুরে দাঁড়ানোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। -উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
১৬ মার্চ দলটি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য ১০ দিনের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আগামী ২৭ মার্চ বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গণসমাবেশ’ করবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে; ষড়যন্ত্র করেছে; মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরাই এক সময় তাদেরকে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। তবে সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকেনা। করোনায় গোটা বিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। এই দেশকে নিয়ে যেন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায় না, নিয়ম নেই। অথচ সে সময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃৎপিণ্ড উপড়ে নেয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরও কত কি করেছে। তারা দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা নানা রূপে দেশে রয়ে গেছে।
রবিবার সকালে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশ থেকে এসব শক্তিকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ছাড়া কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই: কাদের
বিএনপিকে ‘পাকিস্তানের মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে ‘পাকিস্তানিদের ভাষায়’ কথা বলছে।
ভোরে সূর্যোদয়ের পরপরই সারাদেশের কেন্দ্রীয় ও দলীয় কার্যালয়সহ বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতীয় ও আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সকাল ৫টা ৫৪ মিনিটে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদার রাজনীতি করার সুযোগ নেই: কাদের
জোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররমসহ বাংলাদেশের মসজিদে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা তেজগাঁও চার্চে সকাল ৮টায় এবং মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চে রাত ১২টা ০১ মিনিটে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যরা সকাল ১০টায় মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে এবং সকাল ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রার্থনার আয়োজন করেন।
পাশাপাশি সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে দলটির একটি প্রতিনিধি দল পুষ্পস্তবক অর্পণ করলে সেখানে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
২৭ মার্চ সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা করবে যেখানে সভাপতিত্ব করবেন এবং আলোচনায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের
সরকারের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসির চিঠি প্রত্যাখান ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেছেন, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরেকটি নির্বাচন করার সরকারের সর্বশেষ কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, অতীতে কেউ কি ভোট দিতে পারতেন? তারা (সরকার) আবার সেই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এবার অনেক চাপ আছে, কারণ বিদেশিরা বলছে আগের মতো ভোট এবার গ্রহণযোগ্য হবে না...তাই তারা নতুন কৌশল নিচ্ছে। সর্বশেষ কৌশলের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছে।’
শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সোমবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে ইসির চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে বিএনপি মহাসচিবকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠান।
আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান ইসি গত বছর গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করেছে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ নেয়নি।
একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ইসি) কেন এমন চিঠি পাঠিয়ে অস্থির হচ্ছেন? আপনারা ভদ্র মানুষের মতো জীবনযাপন করেন এবং বেতন নেন।’
পূর্ববর্তী কমিশন শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বর্তমান ইসিকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তা না করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ খুঁজতে পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অযথা এসব কথা বলে নিজেদের ছোট করবেন না।
তিনি আরও বলেন, ভোটের সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘শুধু জাতীয় নির্বাচনে নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তাই অযথা এই চর্চা (আলোচনা করা) না করে আসল কথায় আসুন। আসল কথা হলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: এতিম ও ইসলামিক স্কলারদের ইফতারের আয়োজন করেছে বিএনপি
বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে।
শনিবার (২৫ মার্চ) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিকভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
আহসান হাবিব খান বলেন, ‘বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) মনে করে, বিএনপির মতো নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে।’
আহসান হাবিব খান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন নোমান আল মাহমুদ
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে নোমান আল মাহমুদকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ (শনিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
নোমান চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
আগামী ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনে সিসিটিভি মনিটরিংয়ের জন্য বাজেট নেই: ইসি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচন: নিখোঁজ প্রার্থীর সন্ধান চেয়ে স্ত্রীর আবেদন