রাজনীতি
আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচিই অপরাধ বলে গণ্য হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সত্তার নাম। সেই নিষিদ্ধ সত্তার নামে যেকোনো কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচিই অপরাধ বলে গণ্য হবে। গণহত্যার মামলার রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আইনগতভাবেই মোকাবিলা করবে।
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় জাতীয় জাগরণের কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম ও মৃত্যুদিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিজয়ী শক্তি নির্ধারণ করবে আগামীর গণভোট কেমন হবে। তারাই আগামীর বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি ১৯৭২-এর সংবিধান এনেছিল। ১৯৯০-এর বিজয়ী শক্তি দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, কবি গোলাম মোস্তফা জাতীয় জাগরণের কবি। তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থ ও লেখনীতে বাঙালি মুসলমানের জীবনদর্শন, চেতনা ও সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। কবি গোলাম মোস্তফার সৃষ্টিকর্মের চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংগ্রাম, অধিকার, ঐতিহ্য ও সাম্যবাদী চেতনা সমুন্নত রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মিয়া মোশাররফ হোসেন এবং কবি গোলাম মোস্তফার সন্তান বরেণ্য চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
৩১ দিন আগে
সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
গণভোট প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সরকার থেকে গণভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি এখানে সংলাপে ছিলাম। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, কোন লাইনে বলেছেন, আমি জানি না। যেহেতু শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
‘আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারবো। এখন মতামত দেওয়া যথার্থ হবে না।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একইদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ইসির মতামত কী, চ্যালেঞ্জ হবে কিনা, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা প্রশ্নে সিইসি জানান, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করলে যেমন কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে, তেমনি কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হতে পারে। তবে এতে ব্যয় অনেক কমবে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন করলে ৮০০ কোটি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই একসঙ্গে গণভোট আয়োজন করলে ব্যয় ৩০০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমিত থাকবে।
ইসি এখন পর্যন্ত হিসাব করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আনুমানিক ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
৩২ দিন আগে
বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে আর ফিরতে দেওয়া হবে না: আখতার
বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই ফিরতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ লক্ষ্যে তার দলের সব নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির এই শীর্ষ নেতা।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে নির্বাচনী উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, যারা বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতা চালাচ্ছে। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই ফিরতে দেওয়া হবে না।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা ও অবস্থান থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিতে হলে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়েও আমরা ওপেন (উন্মুক্ত) রয়েছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখিনি আমরা এককভাবেও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
দলের প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা বলেন, সারা দেশ থেকে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চাই যারা জনগণের কথা ভাববে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে, তারা মনোনয়নপত্র বিতরণ করছে। সারা দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফরম সংগ্রহ করছেন। ইতোমধ্যে অনেক যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ নভেম্বরের পর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে দলের অবস্থান জানতে চাইলে আখতার হোসেন বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশটি সঠিকভাবে জারি করা। সরকার কীভাবে এই আদেশ জারি করবে, তাতে কী থাকবে আর কী থাকবে না—সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। যদি সরকার জুলাই সনদের আদেশ যথাযথভাবে জারি করে, তাহলে সংকটের সমাধান সম্ভব এবং এর মাধ্যমেই গণভোটের প্রশ্ন নির্ধারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনই হোক বা আগে, তাতে তেমন প্রভাব পড়বে না, যদি জুলাই সনদের আদেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু আদেশটি সঠিকভাবে জারি না হলে গণভোটও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে পারবে না। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত জুলাই সনদের আদেশ জারি করবে এবং জনগণের পক্ষেই অবস্থান নেবে।
এর আগে উঠান বৈঠকে আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়াই বড় সংকট। নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে সুরাহা না হলে নির্বাচনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তাই এনসিপি নির্বাচনের আগে গণভোটের পক্ষে।
৩৩ দিন আগে
নভেম্বরের শেষে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার রাতে (১১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে কমপক্ষে দুয়েকদিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়ত, আশা করছি।’
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর লন্ডনে বসবাস করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেকের মামলা জটিলতার অবসান হলেও তিনি এখনো ফেরেননি।
গত কয়েক মাস ধরেই বিএনপির নেতারা বলে আসছেন যে, শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। নভেম্বরের শেষ নাগাদ তিনি আসতে পারেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তারিখ বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কবে দেশে ফিরছেন। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ খুব দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।’
নির্বাচনের আগে দেশে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করি, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই যখন জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা, ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের সঙ্গে থাকার।’
প্রায় দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় নিবিড়ভাবে জড়িত থাকলেও তিনি কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি। তবে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ (জুন) সাল থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন করছেন। এ দুটি আসনে তিনি কখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি। মায়ের সেই পুরনো আসনেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হবেন তারেক রহমান।
৩৩ দিন আগে
নির্বাচন পেছালে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে: মির্জা ফখরুল
এবারের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কিশমত কেশুরবাড়ি লক্ষ্মীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সংস্কারের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, এর বাইরে কিছু জোর করে চাপিয়ে দিলে এর সমস্ত দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। যারা মুনাফেকি করে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
মির্জা ফখরুল আশ্বাস দেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষা খাতের সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি শিক্ষাব্যবস্থায় এক ধরনের অসম্পূর্ণতা তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি উজ্জ্বল নাম। রাজনীতিতে নতুন দর্শনের সূচনা করেছিলেন শহীদ জিয়া, তার দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক।
সভায় বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৩৪ দিন আগে
জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয়: খন্দকার মোশাররফ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে যে জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করেছে, সেই স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে কোনো ব্যাপারে সরকার ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত নিলে তা রাজনৈতিক দলগুলো মানতে বাধ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এমন কিছু ঘটলে তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, জুলাই জাতীয় সনদে উল্লেখিত বিষয়ের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।'
তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, 'এমন কিছু ঘটলে এর দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে। এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।'
মোশাররফ হোসেন জানান, ঐকমত্য কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রায় এক বছরের আলোচনার পর ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তার ভাষ্য, সম্প্রতি নির্ধারিত সনদের বাইরে সরকারি কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং সবার সম্মতিতে নেওয়া আগের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করার সমতুল্য বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ এবং হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
৩৪ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে মুক্তিযুদ্ধটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৯৭১ হয়নি, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য কোনো অবদানই রাখি নাই। চব্বিশ যারা করেছে, তারাই সব করেছে, এমন ধারণা এখন মিলছে। ঠিক না?’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ওই একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছিল খান বাহিনীর হাতে, তাদের সঙ্গে দেশের মানুষ কি আপস করতে পারে? এই কথাগুলো জোর গলায় বলতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের গর্জে উঠতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এরা আজকে দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, গ্রাস করার চেষ্টা করছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের ধর্মীয় অনুভূতিকে বিক্রি করে তারা ওই কাজগুলো করতে চাচ্ছে। আমরা সেটা হতে দিতে পারি না। আজকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে আনতে হবে।’
হিন্দু-মুসলমান বিভেদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে দেবেন না। হিন্দু-মুসলমান ভাগ করতে দিবেন না। আমরা হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। একসঙ্গে আছি, যুদ্ধও করেছি একসঙ্গে। তাদের যেন কেউ ভাগ করতে না পারে।’
নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার, নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ, এ দেশের সর্বনাশ হওয়া। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার কালবিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবে, একটা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ড মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহম্মদ খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মনসুর আলী সরকার, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন এবং সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী।
৩৫ দিন আগে
এটাই আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ জাতীয় নির্বাচন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঠাকুরগাঁওয়ের জনগণের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এবার আপনারা আমাকে সুযোগ দিন, আমি যেন আপনাদের জন্য কিছু উন্নয়নকাজ করতে পারি।
নির্বাচনি প্রচারের অংশ হিসেবে রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে মির্জা ফখরুলের নিজ নির্বাচনি এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিজের বয়স এবং শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটাই আমার শেষ নির্বাচন। পরের নির্বাচন করার সময় আর শক্তি থাকবে না। আমার শেষ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করবেন আপনারা। এবার আপনারা আমাকে সুযোগ দিন, আমি যেন আপনাদের জন্য কিছু উন্নয়নকাজ করতে পারি।’
এ সময় জামায়াতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা আপনারা চেনেন। দাঁড়িপাল্লাও এখানে নির্বাচন করছে। বিগত সময়ে আমরা কী করেছি আর তারা কী করেছে—এটা বিবেচনা করে ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, এ সরকারের পেছনে জনগণ নেই, তাই তারা জনগণের দুঃখ-কষ্ট বোঝে না। সরকার জনগণের কথা বোঝে না বলেই কৃষক আজ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের জন্য ন্যায্য দামের ব্যবস্থা করা হবে, ফ্যামিলি কার্ড করা হবে।
গণভোটের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে যত সংকট দেখছেন সব তৈরি করা, সাজানো নাটক। জনগণ এসব বোঝে না; তারা শুধু ভোট দিতে চায়। আমরা চাই নির্বাচনের দিনে গণভোট হোক। আপনারা সত্যি বলুন, সাধারণ মানুষ কি গণভোট-সনদ বোঝেন?
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে। সব সংস্কারে আমরা রাজি আছি, যাতে রাজি হবো না, তা সংসদে গিয়ে পাস হবে।
গণহত্যা ও গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালেও গণহত্যা হয়েছে, ২০২৪ সালেও হয়েছে। পার্থক্য হলো, সে সময় পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, আর এবার আমার দেশের ফ্যাসিস্ট নেতারাই আমাদের ওপর, আমাদের সন্তানদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।
বক্তৃতার একপর্যায়ে তিনি দুর্বলতা অনুভব করেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে তার কণ্ঠ আটকে যায়, তিনি কাঁপতে থাকেন। এ সময় তিনি পাশে থাকা নেতা-কর্মীদের তাকে ধরতে বলেন। পরে উপস্থিত সবার অনুমতি নিয়ে চেয়ারে বসে বক্তব্য শেষ করেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, জেলা সদর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩৬ দিন আগে
সালাউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে এসে তিনি তারেকের অনশন ভাঙান।
এ সময় তিনি তারেককে বলেন, আগামীকাল আপিল আবেদন করবে। আর এর মধ্যে কয়েকটি অফিস সংস্কার করবে। এখন তোমার অনশন ভাঙা উচিত।
এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে নিয়ে যান তার সমর্থকরা।
গত ৪ নভেম্বর ইসি তিনটি নতুন রাজনৈতিক দলকে—বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিবন্ধন না পাওয়ায় ওই দিন বিকেল ৪টা থেকেই ইসির ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন আমজনতা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান।
আজ (রবিবার) সকাল থেকেই তারেক রহমানের স্যালাইন চলছিল। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না, দিনের বেশির ভাগ সময় শুয়েই কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে উপস্থিত লোকজনকে ডেকে তিনি নিজ দলের কাগজপত্র দেখিয়ে অভিযোগ করেন, নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও ইসি তাদের নিবন্ধন দিচ্ছে না।
দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইসির পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম সচিব এসেছিলেন আমার অনশন ভাঙাতে। কিন্তু নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।’
গত ৫ নভেম্বর আমজনতা দল কেন নিবন্ধন পায়নি, তা জানিয়ে দলটিকে চিঠি দেয় ইসি। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তথ্য সঠিক আছে। তবে ২২টি জেলার মধ্যে ২টি জেলা এবং ১০০টি উপজেলার মধ্যে ৬৭টি উপজেলায় সঠিক ও কার্যকর অফিস থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব উপজেলা অফিসে ২০০ জন ভোটার সদস্য থাকার তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, আমজনতা দলের নিবন্ধন নিয়ে ইসি নতুন করে ভাবছে কি না—জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ ইসি সচিব আখতার আহমেদ আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কী হবে সেটা আপনারাই ভালো জানেন, আমরা কী বলব?’
তারেকের অনশনের ১২৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে ইসি সচিব বলেন, ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশন কি বিধিমালার বাইরে যেতে পারে? আপনি উত্তর পেয়ে গেছেন।’
পরে বিকেল ৩টার দিকে আখতার আহমেদ বলেন, আইনগতভাবে আমরা যেটুকু আমাদের দিক থেকে বলার, আমরা সেটা বলেছি চিঠির মাধ্যমে। এখন ওনারা আপিল করলে করতে পারেন এবং ঘাটতি যেগুলো আছে, সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আপিল বা সংশোধনী বা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সময় বর্ধন—এগুলো তো একটা প্রচলিত প্রথা। সেটা নিশ্চয়ই ওনারা বিবেচনায় নেবেন এবং আমি আন্তরিকভাবে আবেদন করব যেন এই অনশন ভঙ্গ করে আমাদের আইনগতভাবে জিনিসটা সুরাহার দিকে নিয়ে যান।
৩৬ দিন আগে
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চীনে বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) চীনের গুয়াংজু শহরে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চায়না বিএনপির নেতা আসিফ হক রুপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চায়না বিএনপির নেতা মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চায়না বিএনপির নেতা শেখ মাহবুবুর রশীদ, ওয়ালী উল্লাহ ওয়ালী, হাসমত আলী মৃধা জেমস, এস এম আল-আমিন, সালাউদ্দিন রিক্তা ও এস এ শাহীন মল্লিকসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে চীনে বসবাসরত শতাধিক বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন তার বক্তব্যে বলেন, ‘৭ নভেম্বর না হলে আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পেতাম না, হয়তো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জন্মও হতো না। ৭ নভেম্বরের চেতনা বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজকরা উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
৩৬ দিন আগে