ব্যবসা
সাড়ে ৪ মাস পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দীর্ঘ চার মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগষ্ট) সন্ধ্যায় সাতটি ট্রাকে মোট ২০২ টন পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করেছে। সোমবার (১৮ আগষ্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোমরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেবতী কুমার বিশ্বাসের মালিকানাধীন মেসার্স অয়ন ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আর ছাড়কারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে মোশাররফ ট্রেডার্স। যার স্বত্বাধিকারী জিএম আমীর হামজা।
তিনি আরও বলেন, ভারতের ঘেজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে আরও কয়েকটি ট্রাক পেঁয়াজ ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে।
পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীতে আইপি নীতি পূর্নবিবেচনার দাবি আমদানিকদের
ভোমরা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. শওকত হোসেন বলেন, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ৭টি গাড়িতে ২০২ টন ভারতীয় পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করেছে। চলতি বছরের ২৭ মার্চ এ বন্দর দিয়ে সর্বশেষ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
এতে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ভোমরা স্থলবন্দর হয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির দ্বার উন্মুক্ত হলো।
১১৯ দিন আগে
১৫ দিন পর পুঁজিবাজারে লেনদেন ৯৫০ কোটি টাকা ছাড়াল
১৫ দিনের উত্থান-পতনের মিশ্রধারা শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা, বেড়েছে সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে প্রধান সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইসি ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৪০০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৪ কোম্পানির, কমেছে ৯৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড— সবকয়টি ক্যাটাগরিতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২২১ কোম্পানির মধ্যে ১৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৪১ কোম্পানির ১৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে পূবালি ব্যাংক।
সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। সারাদিনে ডিএসইতে ৯৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৮০১ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস এবং ৫ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে আইসিবি ইমপ্লোয়িস প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
পড়ুন: সূচকের বড় উত্থান ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতোই উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬১ পয়েন্ট।সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ২০৮ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮, কমেছে ৫৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে ১৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে সিএসইতে, যা গতদিন ছিল ১৩ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
১১৯ দিন আগে
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এলো আরও ৬৬0 মেট্রিকটন ভারতীয় পেঁয়াজ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আবারো ভারত থেকে দেশে এলো পেঁয়াজ।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ২৩টি ট্রাকে ৬৬০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনায় নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক(অপারেশন) কামাল হোসেন।
তিনি জানান, সরকার পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দেয়ায় গত বৃহস্পতিবার(১৪ আগষ্ট) থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় ৪টি ট্রাকে ১০০ মেট্রিকটন ভারতীয় পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে।
দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী শুরু হয়েছে।
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
১২০ দিন আগে
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীতে আইপি নীতি পূর্নবিবেচনার দাবি আমদানিকদের
দেশের বাজারে পেঁয়াজের স্বাভাবিক সরবরাহ বজায় রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক গ্রুপ।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রুপের এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।
এ সময় আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, সম্প্রতি সরকার এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানীর জন্য সীমিত পরিমাণে কয়েকজনকে আইপি দিয়েছে। যার পরিমাণ ৩০ মেট্রিক টন ও ৫০ মেট্রিক টন। অথচ ভারত থেকে প্রতিটি ট্রাক সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ফলে ৩০ মেট্রিক টনের আইপি দিলে এলসি, শুল্ক, সিএন্ডএফসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাবে। এর প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়বে এবং দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
তারা আরও বলেন, আগের মতো উন্মুক্তভাবে আইপি দেওয়া হলে আমদানিকারকরা সবাই সুবিধা পাবেন। এতে সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে এবং বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
অন্যদিকে সীমিত আইপি বরাদ্দ অব্যাহত থাকলে অরাজকতা তৈরি হবে। কেউ আইপি পাবে, কেউ পাবে না। ফলে বাজারে সরবরাহ ব্যাহত হবে এবং ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চারটি ট্রাক ১০০ টন পেঁয়াজ নিয়ে দেশে প্রবেশ করে।
১২০ দিন আগে
সূচকের বড় উত্থান ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। বেড়েছে লেনদেন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৯ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৫ কোম্পানির, কমেছে ১৩৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং বি ক্যাটাগরিতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, কমেছে জেড ক্যাটাগরিতে।
সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়া এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২২০ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ১৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে ফাইন ফুডস।
সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। সারাদিনে ডিএসইতে ৮০১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৭০৩ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে দেশ গার্মেন্টস এবং ৬ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে পতনে পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো ৩,৩৯৬ কোটি টাকা
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতোই উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সার্বিক সূচক বেড়েছে ১২৪ পয়েন্ট।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ১৭৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮, কমেছে ৬৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে সিএসইতে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে এডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড।
১২০ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে পতনে পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো ৩,৩৯৬ কোটি টাকা
সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে চারদিনই পতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই); বাজার মূলধন কমেছে ৩,৩৯৬ কোটি টাকা।
ডিএসই'র সাপ্তাহিক পুঁজিবাজারের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে সপ্তাহ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকায়।
পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে মোট মূলধন কমেছে ৩,৩৯৬ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
মূলধন হ্রাসের পাশাপাশি সাপ্তাহিক গড় লেনদেনেও ভাটা পড়েছে। ৯০০ কোটি টাকার ঘরে থাকা গড় লেনদেন কমে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে মোট লেনদেন কমেছে ২৪ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে সারা সপ্তাহের লেনদেনে সব সূচক কমেছে; প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৭ পয়েন্ট, বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ২৩ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৭ পয়েন্ট।
সাপ্তাহিক লেনদেনে ডিএসইতে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির; ৯৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৭৪ কোম্পানির এবং ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
খাতভিত্তিক শেয়ার
ডিএসই'র তালিকাভুক্ত কোম্পানির ২১ খাতে দাম বেড়েছে মাত্র পাঁচটিতে, বাকি সব খাতে শেয়ারের দাম নিম্নমুখী।
বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে রীতিমতো ধস নেমেছে। ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৫৫ শতাংশ, লেনদেন কমেছে ৫২ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে ২৮ ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে।
অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে দাম কমেছে ৫৩ শতাংশ, লেনদেন কমেছে ৫১ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে ১৯ প্রতিষ্ঠানের।
বীমাখাতে সাধারণ বীমা এবং জীবন বীমার দাম কমেছে যথাক্রমে ৩২ এবং ৭ শতাংশ।
পতনের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চামড়াশিল্প খাতে, দর বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ। ভালো অবস্থানে আছে পাটখাত, দাম বেড়েছে ১৩৬ শতাংশ। এছাড়া উত্থান হয়েছে পর্যটন খাত, কাগজ ও প্রিন্টিং এবং করপোরেট বন্ডে।
উত্থানে শীর্ষ কোম্পানি
ডিএসইতে উত্থানের ধারায় শীর্ষে আছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির রিটার্ন বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। ৭১ টাকায় লেনদেন শুরু করে শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৭ টাকা।
পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ ছয় বছর পেছানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক, রিটার্ন বেড়েছে ২০ শতাংশ। সপ্তাহব্যাপী কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।
বেক্সিমকোর পরেই শীর্ষ তালিকায় আছে ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, রিটার্ন বেড়েছে ১৯ শতাংশ। আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের রিটার্ন বেড়েছে ১৮ শতাংশ; ৩৮৮ টাকা প্রতি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫৯ টাকা।
উত্থানের শীর্ষ তালিকায় আছে সামাতা লেদার কমপ্লেক্স, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড।
পতনে শীর্ষ কোম্পানি
ঢাকার বাজারে ১৪ শতাংশ রিটার্ন কমে পতনের শীর্ষে আছে এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। ১২ শতাংশ রিটার্ন কমে দ্বিতীয় অবস্থানে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।
দাম কমেছে সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের; ১১ শতাংশ কম রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে। গত ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লাভ (ইপিএস) কমেছে ৪ শতাংশ।
পতনের শীর্ষ তালিকায় আছে ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস এবং এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতন হয়েছে সব সূচকের; দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
সারা সপ্তাহের লেনদেন সিএসইর সার্বিক সূচক (সিএএসপিআই) কমেছে ২২১ পয়েন্ট। শরীয়াভিত্তিক সূচক সিএসআই কমেছে ১১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির সূচক সিএসই-৩০ ও সিএসই-৫০ কমেছে যথাক্রমে ২০০ এবং ২১ পয়েন্ট।
সারা সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৩ কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে; দাম কমেছে বেশিরভাগের। ৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৯ কোম্পানির এবং ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এবং দরবৃদ্ধিতেও শীর্ষে আছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। গত সপ্তাহে ওরিয়নের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ।
সিএসইতে দর পতনের শীর্ষে আছে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড; সপ্তাহব্যাপী দাম কমেছে ২৩ শতাংশ।
এদিকে, টানা এক সপ্তাহ পতন হলেও বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের হিসাব অনুযায়ী, এক সপ্তাহে নতুন বেনিফিসিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৯৩৯টি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্থান-পতনের সাম্যবস্থা রক্ষা করা সম্ভব হলে বাজারে বড় বিনিয়োগ আসবে। এছাড়া ভালো কোম্পানির নতুন আইপিও আসতে শুরু করলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
১২১ দিন আগে
বাজারে আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ঊর্ধ্বমুখী প্রতিটি পণ্যের দাম
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির; ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে, বাড়তি দামে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। সরেজমিনে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের গোল বেগুন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম দ্বিগুণ, বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা কেজিতে। লম্বা জাতের বেগুনের দাম ১৬০-১৮০ টাকা এবং সাদা জাতের বেগুন কেজিপ্রতি ১২০-১৪০ টাকা।
ঝিঙা, ধুন্দল, শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে; ঢেঁড়স, পটল, কাকরোল কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। ৮০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে শুধু পেঁপে—৪০ টাকা কেজি। প্রতি পিস জালি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, লাউ ১০০-১৫০ টাকা।
বাজারে বরবটি প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুমুখী ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে কাঁচামরিচেও—কেজিপ্রতি ২২০-২৪০ টাকা। পাইকারি বাজারে পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, সবজির এমন নাগালবিহীন দামে খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। খরচের ধাক্কা সামলাতে পরিমাণ কমিয়ে কিনতে হচ্ছে সবজি।
উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসে স্কুলশিক্ষিকা ইয়াসমিন আরা বলেন, ‘বেগুনের দাম শুনে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়লাম। এক সপ্তাহে বেগুনের দাম কেজিতে ১০০ টাকা কী করে বাড়ে! বেগুন না কিনে পেঁপে কিনে বাসায় যাচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা আবদুল গফফার বলেন, ‘সাধারণত এক কেজির নিচে কোনো সবজি কেনা হয় না। আজকে তিন রকমের সবজি আধা কেজি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। সবজির দাম শুনে মানতেই পারছি না। গত এক বছরের মধ্যে এবারই সবজির দাম এত বেশি।’
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এতে করে অনেক ক্রেতাই সবজি না কিনে ফিরে যাচ্ছেন, অনেকে কিনছেন আধা কেজি বা ২৫০ গ্রাম করে। সব মিলিয়ে তাদেরও মুনাফা কম হচ্ছে।
রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার ভোরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজির প্রতিটির দাম ছিল বাড়তি। মৌসুমের এ সময়ে ফলন কম হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন বিক্রেতারা।
কাওরান বাজার সবজির আড়তের বিক্রেতা নূর ইসলাম জানান, পাল্লাপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা। এতে করে প্রতি কেজি সবজিতে খরচ বাড়ছে। অক্টোবর মাস আসলে সবজির দাম আবার কমে আসবে বলে জানান তিনি।
আরেক ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, মার্চ থেকে মাঠে সবজির পরিমাণ কমতে থাকলেও চাহিদা আগের মতোই থাকে। তাই সবজির দাম বাড়ে এ সময়ে। এ ছাড়া রাস্তায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বাড়তি খরচ বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পড়ুন: সোনামসজিদ দিয়ে দেশে ঢুকল ১০০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ
শুধু সবজি নয়, উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও। গত সপ্তাহের ৭৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। পাইকারি বাজারে পাল্লাপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৪০০-৪৩০ টাকা।
এর বাইরে দাম বেড়েছে ডিমের। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৩০-১৩৫ টাকা।
স্থানভেদে সোনালি এবং ফার্মের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৪০ টাকায়, ফার্ম ১৭০-১৮৫ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস—কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা; খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১১০০-১২০০ টাকা।
বাজারে দাম বেড়েছে প্রতিটি মাছের; কেজিতে ৫০-২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। কাঁচকি মাছের দাম গত সপ্তাহে ৫০০ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে ৬০০ টাকা। চাপিলা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা। পোয়া মাছ সাইজভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকায়। শিং-মাগুর কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা।
বড় মাছের মধ্যে রুই কেজিপ্রতি ৩৮০-৪২০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৮০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২৫০ টাকা, নদীর পাঙাশ ৮০০-১০০০ টাকা, বোয়াল ৮০০-১২০০ টাকা, আঁড় মাছ ১ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ইলিশ মাছেরও। এক কেজির নিচে মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়, ছোট সাইজের ইলিশ ১২০০-১৬০০ টাকা। এক কেজির ওপরে ইলিশের দাম ২০০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবজি এবং পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারের প্রতিটি পণ্যের দামে। দাম কমাতে সিন্ডিকেটের কারসাজি, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন তারা।
১২২ দিন আগে
এলডিসি থেকে উত্তরণ ছয় বছর পেছানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের (গ্রাজুয়েশন) সময়সীমা ৬ বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, আগামী বছর বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়া হবে ভুল সিদ্ধান্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের বেসরকারি খাত।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশন: সাম অপশনস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ দাবি জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
সেমিনারে সূচনা বক্তব্যে আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখনো এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। মুক্ত বাণিজ্যে বাংলাদেশের দর কষাকষির সক্ষমতা, রপ্তানি বৈচিত্র্য, শিল্পখাতে দক্ষ মানবসম্পদ, বিদেশি বিনিয়োগ আনা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি না করেই এলডিসি গ্রাজুয়েশন দেশের অর্থনীতিকে বিপদের মুখে ফেলবে।
মাহবুব জানান, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের প্রথম ঝাপটা আসবে শুল্ক বৃদ্ধির ওপর। জিএসপিসহ অন্যান্য সুবিধা হারালে দেশে রপ্তানি ৬ থেকে ১৪ শতাংশ কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা সংস্থা দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের (টিডব্লিউএন) লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও গবেষক সানিয়া রেইড স্মিথ।
সানিয়া বলেন, অনেক দেশই এলডিসি গ্রাজুয়েশনের সক্ষমতা অর্জনের পরেও পিছু হটেছে। অ্যাঙ্গোলার মতো দেশ গ্রাজুয়েশনের এক সপ্তাহ আগে প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে। মিয়ানমারের ২০২৪ সালে গ্রাজুয়েশন হওয়ার কথা থাকলেও তারা আগ্রহ দেখায়নি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) সভাপতি আবদুল মুক্তাদির জানান, দেশের ওষুধ শিল্প কঠিন সময় পার করছে। শীর্ষ ১০০ কোম্পানির মধ্যে ৩০ শতাংশ কোম্পানিই বাজারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। পেটেন্ট বাধ্যবাধকতা না থাকায় বর্তমানে অনেক দুর্মূল্য ওষুধ কম দামে পাওয়া গেলেও এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর দাম বাড়বে ১০ গুণ। কয়েকশত টাকার হেপাটাইটিস-বি টিকার দাম হবে ১ হাজার ডলার।
অভিযোগ জানিয়ে মুক্তাদির বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনে কোন কোন ওষুধে কী প্রভাব পড়বে, দাম কেমন হবে, পেটেন্ট পাওয়া কতটা কঠিন হবে সব তালিকা বিআইপির হাতে আছে। সরকারকে বারবার বলার পরেও তাদের সঙ্গে বসা যাচ্ছে না, আগ্রহ দেখাচ্ছে না তারা। যে ওষুধ শিল্প এখন বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার রফতানি আনে—এ শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিলে আয় দ্বিগুণ হতো।’
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাবে, তবে এখন নয়। দেশের প্রস্তুত হতে আরও সময় দরকার। দেশের জ্বালানি খাতের এমন করুণ দশার মধ্যে কোনো সমাধান না নিয়ে এলডিসি গ্রাজুয়েশনে গেলে পোশাক খাতে ধস নামবে।
পড়ুন: মালয়েশিয়ার শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
‘যদিও এক বছরে ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে; এলএনজি আমদানি পর্যাপ্ত ডলার আছে, কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ এলএনজি আমদানির সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। গভীর সমুদ্র বন্দর এখনো প্রস্তুত হয়নি—এলএনজি আমদানি সহজ করতে আগে গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শেষ করতে হবে,’ জানান বাবু।
লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘৬ বছরের আগে এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হবে। ২০২৬ সালের নভেম্বরে কোনোভাবেই বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়া উচিত হবে না। গ্রাজুয়েশনের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।’
মঞ্জুর জানান, দিনকে দিন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছে। জাহাজ ভাড়ার কারণে রপ্তানি খাতে প্রতিটি ব্যবসায়ী বিপদে। বাংলাদেশের মতো এত জাহাজ ভাড়া অন্য কোনো দেশকে দিতে হয় না। এ অবস্থায় খাত কলমে এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়ার সক্ষমতা থাকলেও ভবিষ্যতের জন্য এটি ভুল সিদ্ধান্ত।
ঢাকা চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের রপ্তানির ৯০ শতাংশ ওষুধ, পোশাক ও চামড়াখাতে। এ খাত সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা বলছেন গ্রাজুয়েশনের জন্য ৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে, সেটি সরকারের ভেবে দেখা উচিত। আর এর চেয়েও ভালো কোনো প্রস্তাব সরকারের হাতে থাকলে তাদের উচিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসা।’
ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সায় দিয়ে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, সরকার, আমলা এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি সিদ্ধান্তে দ্রুত আসা উচিত। বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী বছর নেপালও এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাবে—তাদের সঙ্গেও সমন্বয় জরুরি।
‘ব্যাংকিং খাত বাদে দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে উল্লেখযোগ্য সংস্কার আসেনি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নানান বিষয় নিয়ে আলাপ হলেও অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি কেউ আমলে নেয়নি। শ্বেতপত্র কমিটির বেশিরভাগ সুপারিশই গ্রহণ করা হয়নি। এ অবস্থায় সংস্কার ছাড়া এলডিসিতে গেলে দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও বিনিয়োগে বিপদের মুখে পড়বে,’ শঙ্কা প্রকাশ করেন সেলিম।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এলডিসির জন্য বাংলাদেশ যতটা না অর্থনৈতিক বিবেচনায় এগিয়েছে, তার থেকেও এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ ছিল বড়। বিগত সময়ের রাজনৈতিক সাফল্য দেখাতে সক্ষমতা ও প্রস্তুতি ছাড়াই এলডিসি গ্রাজুয়েশন ভালো ফল বয়ে আনবে না।
২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়ার কথা। এলডিসি গ্রাজুয়েশনে গেলে এতদিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যে শুল্ক ও পেটেন্ট সুবিধা পেত তা আর বলবৎ থাকবে না।
এ অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
১২৩ দিন আগে
চার মাস পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
আমদানিতে সরকারের অনুমতি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেশ কয়েকটি চাল বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে।
বন্দরের সায়রাম ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালের এই প্রথম চালান দেশে আনেন।
এর ফলে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে ধারণা করছেন আমদানিকারকরা।
বন্দরের আমদানিকারক ললিত কেশরা জানান, দেশে চালের মজুদ ও ভোক্তা পর্যায়ে দাম স্বাভাবিক রাখতে এ পর্যন্ত বন্দরের ২৮ জন আমদানিকারক অনুমতি পেয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমদানির কারণে দেশে চালের বাজারে দাম অনেকটা কমে আসবে। ফলে ভোক্তারা কম দামে চাল কিনতে পারবেন।
এ দিকে বন্দরের উপ-সহকারী ইউসুফ আলী জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের ২৮ জন আমদানিকারক ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি করার অনুমতি পেয়েছেন।
পর্যায়ক্রমে আরও আমদানিকারকরা চাল আমদানির অনুমতি পাবেন বলেও জানান তিনি।গত ১৫ এপ্রিল থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ ছিল।
১২৫ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
টানা ৬ দিনের মতো পতনের ধারা অব্যাহত আছে পুঁজিবাজারে। সোমবারের (১১ আগস্ট) পতন শেষে আজও (মঙ্গলবার) সুবিধা করতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসইতে কমেছে প্রধান সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির দাম।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসই'র প্রধান সূচক কমেছে ২৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইসি ৯ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৫ কোম্পানির, কমেছে ২২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি, জেড— তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ৪৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ ২২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
সারাদিনে ডিএসইতে ৬৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৬১০ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে সিলভা ফার্মাসিটিক্যালস এবং ৬ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতোই পতনের ধাক্কা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ৮৪ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ২২৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮, কমেছে ১২৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে ২২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে সিএসইতে, যা গতদিন ছিল ১২ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে মিঠুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
১২৫ দিন আগে